ত্রিপুরায় বাঙালী নির্যাতনের বিরুদ্ধে চাই সমস্ত বাঙালীদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ

লেখক
আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

উত্তর ত্রিপুরায় মিজোরাম থেকে আসা রিয়াং শরণার্থীদের উগ্রবাদীরা দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় বাঙালীদের ঘরবাড়ী ভাঙচুর  করছে, ধনসম্পদ লুঠ করছে ও নানাভাবে বাঙালীদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে৷ কিছুদিন আগে এক বাঙালী সরকারী কর্মী সুবল দে কর্মসংস্থান থেকে বাড়ী ফেরার পথে রিয়ান উগ্রবাদীদের হাতে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর আহত হয়েছে৷ এই পরিস্থিতিতে ‘আমরা বাঙালী’ সহ কয়েকটি বাঙালী গণসংঘটন কাঞ্চনপুর পানিসাগর মোড়ে রাজপথ অবরোধের ডাক দেয়৷ অবরোধ শুরু হওয়ার আগেই পুলিশ বাঙালী জনতার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ও গুলি চালায়, পুলিশেরগুলিতে ১জন নিহত ও অনেকে আহত  হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা কসছে৷

এইভাবে সরকার যে সমস্ত রিয়াং শরণার্থী বাঙালীদের ওপর ক্রমাগত হামলা চালাচ্ছে, ঘরবাড়ী জ্বালাচ্ছে দোকানপাট লুঠ করছে--- তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টে বাঙালীদের ওপরই আক্রমণ চালাচ্ছে৷ এর প্রতিবাদে বর্তমান সারা ত্রিপুরা আন্দোলনে উত্তাল৷ আন্দোলনকারী ‘আমরা বাঙালী’ বাঙালী ছাত্র-যুব সমাজ সহ অন্যান্য বাঙালী সংঘটনগুলির দাবী, অবিলম্বে পুলিশের গুলিতে নিহতের পরিবার আহতদের ও পরিবারগুলিকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ  দিতে হবে, দোষী পুলিশদের শাস্তি দিতে হবে ও মিজোরাম থেকে আসা হামলাবাজ রিয়াং শরণার্থীদের মিজোরামে পাঠাতে হবে৷

রিয়াং শরণার্থীদের সাহায্যের নাম করে সরকার তাদের উগ্রবাদী কার্যকলাপে মদত দিচ্ছে, তাদের কাছে প্রচুর আগ্ণেয়াস্ত্র থাকা সত্ত্বেও  পুলিশ নীরব দর্শক৷ এর পেছনে ত্রিপুরা বাঙালীদের বিরুদ্ধে বিজেপি সরকারের গোপন ষড়যন্ত্রেরই আভাস মেলে৷

সিপিএম আমলে ১৯৮০ সালের বাঙালীর ওপর গণহত্যার স্মৃতি এখনও ম্লান হয়নি৷ ত্রিপুরা বাঙালীদের নিজস্ব বাসভূমি হওয়া সত্ত্বেও ত্রিপুরা থেকে বাঙালীদের উৎখাত করে ‘তিপ্রাল্যাণ্ড’ করার চেষ্টা চলছে৷ ইতোপূবেই উপজাতিদের জন্যে উপজাতি জেলা পরিষদ করে সংখ্যাগুরু বাঙালীদের নানাভাবে কোনঠাসা করা হচ্ছে ও তাদের জীবন ও জীবিকা ধবংস করার চেষ্টা  চলছে৷

গোটা উত্তর পূর্বাঞ্চলেই বাঙালীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে৷ মেঘালয়েও বাঙালীদের ওপর আক্রমণ চলছে, বাঙালীদের ঘরবাড়ী, দোকানপাঠ লুঠ হচ্ছে৷ অথচ সরকার নির্বিকার৷

অসমে তো এন.আর.সি.র অজুহাত দিয়ে প্রথমে ৩৯ লক্ষ বাঙালীকে, পরে নানান আন্দোলনের পরেও ১৯ লক্ষ বাঙালীকে রাষ্ট্রহীন তক্মা দিয়ে তাদের জীবন ও জীবিকাকে ধবংসের পথে ঠেলে দেওয়া হয়েছে৷ তাদের অনেককেই ডিটেনসন ক্যাম্পে ঢুকিয়ে তাদের ওপর অকথ্য নির্যাতন চলছে৷ সাম্প্রতিক খবরে প্রকাশ ডিটেনশন ক্যাম্পে ৩০ জনকে খুন করা হয়েছে৷ সরকার থেকে নানান আশ্বাস দিলেও সে আশ্বাস কোনো মূল্য বহন করছে না৷

একথা স্মরণ করা যেতে পারে যে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বাঙালীরা মোটেই বহিরাগত নয়৷ তারা সবাই ভূমিপুত্র বা ভূমিকন্যা৷ ব্রিটিশ আমলে দফায় দফায়  বাঙলার অংশ কেটে  বিভিন্ন রাজ্যের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছিল৷ একবার ১৮৭৪ সালে শাসনকাজের অজুহাতে বাঙালী অধ্যুষিত অঞ্চল তৎকালীন গোয়ালপাড়াকে অসমের সঙ্গে যুক্ত করা হয়৷ পরবর্তী কালে বঙ্গভঙ্গ ও তার প্রতিবাদে সারা বাঙলা জুড়ে তীব্র আন্দোলনের পর ১৯১১ সালে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বাঙলার খনিজ ও বনজ সম্পদে ভরপুর বিশাল এলাকাকে অসমের সঙ্গে যুক্ত করা হয়৷ তেমনি বাঙলার পূর্বাঞ্চলেও সিংভূম, ধানবাদ, বালেশ্বর, কেওনঝড়, প্রভৃতি খনিজ সম্পদপূর্ণ বাংলাভাষী এলাকাকে বিহার ও ওড়িষ্যার সঙ্গে যুক্ত করে দুটি স্বতন্ত্র প্রদেশ তৈরী করা হয়েছে৷

এসবের ফলে বাঙালী জনগোষ্ঠীর বৃহদংশকে অন্যরাজ্যের অঙ্গীভূত করে ধীরে ধীরে বাঙালীদের মাতৃভাষা থেকে ও ধাপে ধাপে নানান্ ন্যায়সঙ্গত অধিকার থেকে তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে ও এখনও হচ্ছে৷ তাদের ওপর স্বভূমিতে বিদেশীর মত ব্যবহার করা হচ্ছে৷ অসম, মেঘালয়, ত্রিপুরায় তো বাঙালীদের বিদেশী বলে ঘোষণা করে তাদের ওপর নানান্ভাবে অত্যাচার করা হচ্ছে৷

এইভাবে বাঙালী জাতিকে ধবংস করা হচ্ছে৷ বাঙালীর শৌর্য, বীর্য ও সাংসৃকতিক ঐতিহ্যে ভীত হয়ে প্রথমে ব্রিটিশরা বাঙলা ও বাঙালীদের নানাভাবে ধবংস করার পরিকল্পনা করেছিল, স্বাধীন ভারতেও বাঙালীদের ঐতিহ্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে বাঙলা ও বাঙালীর বিরুদ্ধে কায়েমী স্বার্থবাদীরা সূক্ষ্মভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে৷ তাই ইদানিং উত্তরপূর্বাঞ্চলে বাঙালীদের ওপর নানান্ভাবে অত্যাচার নেমে এসেছে৷ ঝাড়খণ্ড ও অন্যান্য পাশ্ববর্তী রাজ্যেও বাঙালীদের  স্বভূমিতে বাস করা সত্ত্বেও মাতৃভাষা থেকে ও বিভিন্ন অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে৷

এখনও কি পশ্চিমবঙ্গের তথা কলকাতার বাঙালীরা সারা পূর্বভারতে বাঙালীদের ওপর এই নির্যাতনের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিবাদ জানাবে না? তাহলে তো বাঙালী জাতি ধবংস হয়ে যাবে৷ অথচ, বাঙালীদের এক অতি গৌরবময় ঐতিহ্য আছে৷ আশা করব, বাঙালীরা তাদের ঐতিহ্য স্মরণ করে এই সব অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গর্জে  উঠবে৷

মহান্ দার্শনিক ত্রিকালজ্ঞ পুরুষ প্রাউট-প্রবক্তা পরম শ্রদ্ধেয় শ্রীপ্রভাত রঞ্জন সরকার  তাঁর বাণীতে বলেছেন, ‘‘ বাঙালী নামধেয় জনগোষ্ঠী অতীতে জীবিত ছিল, আজও জীবিত আছে,  আমি আশা করব ভবিষ্যতেও সে আরও দুর্দান্তভাবে জীবিত থাকবে৷

প্রাউট-প্রবক্তার এই আশাকে পূর্ণ করতে, আমরা চাই, সমস্ত বাঙালীরা ত্রিপুরা , মেঘালয় ও অসমসহ  বাঙালীদের বিরুদ্ধে সমস্ত প্রকার  নির্যাতন ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে  এক সঙ্গে গর্জে উঠুক৷ তাহলেই বাঙালীদের ওপর এই নির্যাতন বন্ধ হবে, তা না হলে বাঙালীদের ওপর নির্যাতন বেড়েই চলবে ও বাঙালী জাতিসত্তাই বিপন্ন হয়ে পড়বে৷

 

দলবদল---নীতিহীন রাজনীতি অবক্ষিপ্ত মূল্যবোধn উপেক্ষিত জনমত

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

পৃথিবীতে যত প্রকার রাষ্ট্র পরিচালন ব্যবস্থা আছে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাই শ্রেষ্ঠ যদিও সম্পূর্ণ ত্রুটিমুক্ত নয়৷ পরিতাপের বিষয় আজ পর্যন্ত রাষ্ট্রনেতারা গণতন্ত্রের সেই ত্রুটি সংশোধনের কোন প্রয়াস না করে ক্ষমতার মোহে শক্তির দম্ভে স্বার্থলোভ চরিতার্থ করতে সেই ত্রুটির আশ্রয় নিয়েছে৷ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাও এই ত্রুটির ফাঁক দিয়ে গলে সহজেই একদল থেকে অন্যদলে গিয়ে ক্ষমতাসীন দলের পরিবর্তন ঘটায়৷ এই ত্রুটির ওপর ভর করেই গণতন্ত্রের উদারনৈতিক শাসনব্যবস্থা পরিণত হয় স্বেচ্ছাচারী স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থায়৷ পিছন থেকে কলকাঠি নাড়ে ধনকুবেরের দল৷ জনগণের দ্বারা জনগণের জন্যে, জনগণের সরকার হয়ে দাঁড়ায় ধনপতিদের দ্বারা, ধনপতিদের জন্যে, ধনপতির সরকার৷

ভারতের বহুদলীয় গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার মস্তবড় ত্রুটি হ’ল এখানে শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে প্রয়োজন হয় জনপ্রতিনিধির নিরিখে গরিষ্ঠতা, জনমতের নিরিখে নয়৷ সার্থক গণতন্ত্রে শাসকদলের  পক্ষে ৫১ শতাংশ জনসমর্থন অবশ্যই প্রয়োজন৷ কিন্তু বহুদলীয় গণতন্ত্রে প্রতিদ্বন্দ্বির সংখ্যা দুই-এর অনেক বেশী হওয়ার ৫১ শতাংশের অনেক কমহারে বোট পেয়েও প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়৷ নির্বাচনে জয়ী হতে ৫১ শতাংশ জনসমর্থন দরকার এমন কোন ব্যবস্থা ভারতীয় গণতন্ত্রে নেই৷ বর্তমান জোট রাজনীতির জটে ক্ষমতার শিখরে বসতে প্রতিনিধির নিরিখেও সংখ্যাধিক্যের প্রয়োজন হয় না৷ রাজনীতির চতুর চালে জোট ধর্ম টিকিয়ে রাখার দায়ে জনপ্রতিনিধির গরিষ্ঠতা থেকে অনেক দূরে থেকেও ক্ষমতার শিখরে  বসে যায়৷ সম্প্রতি বিহারে সেটাই ঘটেছে৷ জনপ্রতিনিধির সংখ্যার নিরিখে তিন নম্বরে থেকেও ন্যায়-নীতি মূল্যবোধ বিসর্জন দিয়ে, জনমত কে উপেক্ষা করে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার দখল করেছেন৷ ক্ষমতার অংশীদার হতে জোট বজায় রাখার দায়ে প্রায় দ্বিগুন বেশী আসন পেয়েও মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে৷ এটাও উদারতা নয়, ক্ষমতাসীন জোটে থাকার বাধ্য বাধকতায়, কারণ নীতিহীন রাজনীতিতে জনমতকে মর্যাদা না দিয়ে নির্বাচন পূর্ববর্তী জোট ত্যাগ করে ক্ষমতার দর কষাকষিতে বিপরীত জোটে যেতেও আত্মসম্মানে না৷ মহারাষ্ট্রে সেটাই ঘটেছে৷ গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও ন্যায়নীতি বর্জিত এই রাজনীতি গণতন্ত্রকে প্রহসনে পরিণত করেছে৷

তবে এখানেই শেষ নয়, ভারতীয় গণতন্ত্রে জনগণের সঙ্গে সব থেকে বড় জালিয়াতি করা হয় দলবদলের নামে৷ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়, একাধিক দলের মধ্যে৷ ব্যষ্টির প্রভাব অবশ্যই থাকে, তবে সেটা খুবই নগণ্য, জনমত মূলতঃ ভাগ হয়ে থাকে দলের প্রতি আনুগত্যে৷ এই পশ্চিমবঙ্গে একসময় প্রণব মুখার্জী, প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সী দলত্যাগ করে নূতন দল করেছিলেন৷ কিন্তু সেভাবে জনসমর্থন না পেয়ে পুরনো দলে আবার ফিরে গেছেন৷ ব্যতিক্রম মমতা ব্যানার্জী৷

তবু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ব্যষ্টি অপেক্ষা দল, দল অপেক্ষা দেশ বড়৷ নৈতিক মূল্যবোধ, দেশ ও দশের স্বার্থে দলবদল আজকের রাজনীতিতে বড় একটা  ঘটে না৷ এমন কি জনমতকেও মর্যাদা দেওয়া হয় না৷ জনগণের কদর শুধু বোট দেবার আগে পর্যন্ত৷ সমর্থন আদায় করতে গলায় গামছা দিয়েও জনগণের সামনে দাঁড়াতে দেখা যায়৷ প্রতিশ্রুতির বন্যা বয়ে যায়৷ ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর তার কতটুকু পালন করা হয় সে হিসাব জনগণ আর করে না৷

ভারতীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বড় অভিশাপ জনগণের  সামাজিক অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চেতনার অভাব৷ এই সুযোগের সম্পূর্ণ সদ্ব্যবহার করে আদর্শ-ভ্রষ্ট নীতিহীন রাজনৈতিক নেতারা৷ বর্তমান রাজনীতিতে এরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ৷ নির্বাচনের পর কোন দল এককভাবে গরিষ্ঠতা না পেলে এরা ‘ঘোড়া কেনাবেচা’র বাজার খুলে বসে৷ এই  ‘ঘোড়াকেনা-বেচা’ শব্দটি আজকের রাজনীতিতে বহুল প্রচারিত৷ এর অন্তরালে যাই থাক, সাদা চোখে যেটা দেখা যায় তা হ’ল নির্বাচনে জয়ী হয়ে জনমতকে উপেক্ষা করে দল বা জোটবদল৷ আদর্শ নয়, ন্যায়-নীতি নয়, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধও নয়, শুধুমাত্র ক্ষমতাসীন দল বা জোটে থাকতে ঘোড়া কেনা বেচায় সামিল হয় জন প্রতিনিধিরা৷

ভ্রষ্টাচার রাজনীতির এক জঘন্য খেলা এই দলবদল পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখলের অসৎ উপায়  জনমতকে উপেক্ষা করে৷ বহুদলীয়  গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় দলবদল অন্যায় বা অপরাধ নয়৷ যে জনগণের  বোটে জয়ী হয়েছেন, দলবদলের সময় সেই জনমতকে কতটা মর্যাদা দিয়েছেন প্রশ্ণ সেটাই৷ জনগণের বৃহৎ অংশ ব্যষ্টি নয় দলের প্রতি আনুগত্যে বোট দেয়, এমনকি অনেক সময় অপছন্দের  প্রার্থীকেও বোট দেয় দলের প্রতি আনুগত্য বজায় রাখতে৷ সেই জনমতকে উপেক্ষা করে কোন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত পদ বজায় রেখে দলত্যাগ করেন তিনি ভ্রষ্টাচার রাজনীতিতেই সামিল৷ ক্ষমতার মোহ ও স্বার্থলোভ চরিতার্থ করতেই এই দলবদল৷ এই ভ্রষ্টাচার রাজনীতির  কবলে পড়ে  ভারতীয় গণতন্ত্র আজ বিপন্ন, মূল্যবোধ অবক্ষিপ্ত, জনমত উপেক্ষিত৷ সামান্যতম নীতিজ্ঞান ও আদর্শবোধ থাকলে নির্বাচিত জন প্রতিনিধি দলবদলের আগে নিজের নির্বাচিত পদ ত্যাগ করবেন গণতন্ত্র ও জনমতকে মর্যাদা দিয়ে৷