March 2017

মিষ্টিসিজম্ ও যোগ

সূক্ষ্ম নন্দনতত্ত্বের ওপর আধারিত নান্দনিক অভীপ্সা যখন একটা নির্দিষ্ট উচ্চ মানে পৌঁছে যায় তাকে বলে মিষ্টিসিজম্৷ আর এই মিষ্টিসিজম্ যখন মানবীয় গরিমা মহিমার শীর্ষে বা শ্রেষ্ঠত্বের পর্যায়ে চলে আসে তাকে বলে আধ্যাত্মিকতা ব্দহ্মন্ব্জন্ব্ধব্ভ্ত্রপ্৷ এখন মিষ্টিসিজম্ কী মিষ্টিসিজম্ হ’ল সীমার সঙ্গে অসীমের, ক্ষুদ্র ‘আমি’র সঙ্গে ক্ষৃহৎ ‘আমি’র বা আত্মার সঙ্গে পরমাত্মার সম্পর্ক নির্ণয়ের এক নিরন্তর প্রয়াস৷

ভোটের ফলাফল

উত্তরপ্রদেশ

উত্তরপ্রদেশে সদ্য অনুষ্ঠিত বিধানসভা নির্বাচনে সমাজবাদী পার্টি, কংগ্রেস ও বহুজন সমাজপার্টি---সবাইকে কুপোকাৎ করে শেষে ক্ষমতায় এল বিজেপি জোট৷ উত্তরপ্রদেশের মোট ৪০৩টি আসনের মধ্যে বিজেপি জোট লাভ করেছে ৩২৫টি আসন অর্থাৎ দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশী আসন লাভ করে বিজেপি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগড়িষ্ঠতা অর্জন করল৷

উত্তরাখণ্ড

উত্তরাখণ্ডে সদ সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে মোট ৭০টি আসনের মধ্যে বিজেপি ৫৭টি আসন লাভ করে ক্ষমতা দখল করল৷

গোয়া

কাকদ্বীপ বাজারে উচ্ছের ডাঁই

ডায়মণ্ডহারবার থেকে আমাদের সংবাদদাতা জানাচ্ছেন গত ১১ই মার্চে কাকদ্বীপের নারায়ণপুর বাজারে উচ্ছে চাষী ও উচ্ছের আড়তদারদের মধ্যে উচ্ছের দাম নিয়ে বচসার জেরে অনেক চাষী বাজারে উচ্ছে ফেলে দিয়ে খালি হাতে বাড়ীতে ফিরেছে৷ সারা বাজারে ডাঁই হয়ে পড়ে আছে উচ্ছে৷ উচ্ছে চাষীরা বস্তায় ভরে উচ্ছে এনেছিল আড়তদারদের কাছে আড়তদাররা প্রথমে ১০ টাকা কেজি দামে উচ্ছে কেনে৷ তারপরে বেলা গড়াতে উচ্ছে আমদানি অনেক দেখে আড়তদাররা ২ টাকা কেজির বেশি দামে উচ্ছে নিতে অস্বীকার করে৷ তখন বচসা বাঁধে উচ্ছে চাষী ও আড়তদারদের মধ্যে৷ মারপিঠও হয় কয়েকজন আহতও হয়৷ চাষীরা অনেকে রেগে তাদের উচ্ছের বস্তা খুলে বাজারের রাস্তায় ঢেলে দেয়৷

পণ-প্রথা

পণ-প্রথা সামাজিক অবিচারের আরেকটি জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত! মানুষের সমাজ পুস্তকটিতে লেছি এই পণপ্রথার কারণ মুখ্যতঃ দুইটি---একটি অর্থনৈতিক ও আরেকটি নারী-পুরুষের সংখ্যাগত তারতম্য আর্থিক ব্যাপারে নারীর পুরুষনির্ভরশীলতা কমে যাবার সঙ্গে সঙ্গে পণপ্রথার উগ্রতা থাকবে না৷ কিন্তু এই কার্যকে ত্বরান্বিত করবার জন্যে তরুণ-তরুণীদের মধ্যে উন্নত আদর্শবাদ প্রচারেরও প্রয়োজন রয়েছে৷ আমাদের ছেলেমেয়েরা চাল-ডাল-নুন-তেল বা গোরু-ছাগল নয় যে তাদের নিয়ে হাটে-বাজারে দর কষাকষি চলবে৷

শান্তি

আজকের বিশ্বে শান্তি শান্তি বলে চোঁচানো একটা রীবাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ কিন্তু চেঁচিয়ে কোন কাজের কাজ হবে কি?

এজমালী সম্পত্তি

বিশ্ব-হ্মাণ্ডের প্রতিটি অণু-পরমাণুও সকল জীবের এজমালী সম্পত্তি৷ নীতিগতভাবে এটা মেনে নিতেই হবে, আর এ কথাটা স্বীকার করার পরে এদেশী ও বিদেশী, অমুকের অমুক দেশের নাগরিক হবার যোগ্যতা আছে আর অমূকের নেই অথবা রাষ্ট্রীয় অধিকার অমূক সম্প্রদায় এতখানি, তার চাইতে কম পাবে বা পাবেনা---এ ধরণের কথাগুলো আর বলা চলে না৷ বস্তুতঃ এ ধরণের কথায় উৎকটভাবে কায়েমী স্বার্থবাদই ফুটে ওঠে৷ এক দেশের মানুষ ভূমির অভাবে বা খাদ্যের অভাবে ক্লেশ পাক, অন্যদেশে থাকুক প্রচুর পতিত জমি বা প্রচুর খাদ্য---এ অবস্থাটাও এক ধরণের পুঁজিবাদ ছাড়া আর কী!

শিক্ষার বিশুদ্ধতা

শিক্ষাই মানব সমাজের মেরুদণ্ড৷ পশু জন্ম থেকেই পশু কিন্তু একটা মানুষ জন্ম থেকে মানুষের গুণাবলী অর্জন করে না, মনুষত্বের বিকাশের জন্যে, সমাজ-চেতনার বিকাশের জন্যে তাকে শিক্ষার ওপর নির্ভর করতে হয়৷ তাই প্রকৃত শিক্ষার ব্যবস্থা যদি না থাকে, শিক্ষা-ব্যবস্থা যদি ত্রুটিপূর্ণ হয়, তাহলে যথার্থ মানুষ তৈরী হবে না, সমাজ অমানুষে ভরে যাবে, ও সমাজ-ব্যবস্থায় বিশৃঙ্খলা, ব্যাভিচার প্রভৃতি প্রবল রূপ নেবে৷ বর্তমানে সমাজে যে ব্যাপক উচ্ছৃঙ্খলতা, সমাজ-চেতনাহীনতা, ব্যাভিচারিতা তার মূল কারণ এটাই৷ তাই বিশেষ করে শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর গুরুত্ব দেওয়া দেশনেতাদের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য৷ আর শিক্ষার জন্যে একটা শান্ত পরিব

নোতুন পৃথিবী কার্যালয়ে মহাসমারোহে শ্রীশ্রীআন্দমূর্ত্তিজীর পদার্পণ দিবস পালন

গত ১১ই মার্চ নোতুন পৃথিবী কার্যালয়ে মার্গগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী শুভ পদার্পণ দিবস মহাসমারোহে পালিত হল ১৯৭৯ সালের ১১ই মার্চ মার্গগুরু নোতুন পৃথিবী কার্যালয়ে পদার্পণ করে আমাদের আশীর্বাদ করেছিলেন৷

এক-দিবসীয় যোগ সেমিনার

গত ১১ই মার্চ নদীয়ার হবিপুর আনন্দমার্গ স্কুলে এক দিবসীয় এক যোগ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়৷ এই সেমিনারে সুস্থ ও শান্ত জীবনযাপনের জন্যে যোগ এই বিষয়ের ওপর বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেন আচার্য নির্মলশিবানন্দ অবধূত৷ বিদ্যালয়েদ্দ শিক্ষক, অভিভাবক ও অভিভাবিকাদের নিয়ে ৬৫ জন এই সেমিনারে যোগ দেন৷ যোগের ওপর তাত্ত্বিক আলোচনা ও পৃথক পৃথক ভাবে যোগ সাধনা শিক্ষা দেওয়ারও ব্যবস্থা ছিল৷ ছেলেদের যোগ সাধনা শেখান আচার্য নির্মলশিবানন্দ অবধূত ও মেয়েদের যোগ সাধনা শেখান অবধূতিকা আনন্দ বিভূকণা আচার্যা৷ আচার্য নির্মলশিবানন্দজী বলেন---শারীরিক, মানসিক ও আধ্যত্মিক---এই তিন স্তরেরই সামঞ্জস্যপূর্ণ বিকাশই যোগ৷ যোগ সাধনা মানুষকে শারীরিক

আনন্দমার্গের কেন্দ্রীয় আশ্রমে বসন্তোৎসব

গত ১২ই মার্চ আনন্দমার্গের কলকাতাস্থিত কেন্দ্রীয় আশ্রমে বসন্তোৎসব পালিত হয়৷ এই উপলক্ষ্যে বিকেলে তিন ঘণ্টা ব্যাপী বাবা নাম কেবলম্ অখণ্ড নাম সংকীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ এই অখণ্ড কীর্ত্তনে কলিকাতা ও পাশ্ববর্তী জেলাগুলির আনন্দমার্গীরা, আনন্দমার্গের বহু অবধূত, অবধূতিকা, আচার্য ও আচার্যারা উপস্থিত ছিলেন৷ অখণ্ড কীর্ত্তনের পর বসন্তোৎসব সর্ম্পকিত বাবার প্রবচন পাঠ করা হয় প্রবচনটি পাঠ করেন আচার্য নিত্যসত্যানন্দ অবধূত৷ এরপর আচার্য সর্বেশ্বরানন্দ অবধূত হোলি, ফগুয়া ও দোলযাত্রা উৎসবের তাৎপর্য ব্যখ্যা করেন৷ তিনি দোলযাত্রায় রং খেলার সূক্ষ্ম আধ্যাত্মিক ভাব সম্পর্কে বলেন---আমাদের মনে নানান জাগতিকতার রং লাগে৷ ভক্তে