প্রভাত সঙ্গীতের ৩৫ বর্ষপূর্ত্তি উৎসব সায়েন্স সিটিতে আনন্দমার্গের অনুষ্ঠান
কলকাতা ঃ গত ২৭ শে অক্টোবর, শুক্রবার,
কলকাতা ঃ গত ২৭ শে অক্টোবর, শুক্রবার,
ভারতে শিশু স্বাস্থের পরিস্থিতি সম্পর্কে রাষ্ট্র সংঘের সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ভারতে ১০ লক্ষের বেশি শিশুর ৫ বছরে পৌঁছানোর আাগেই অপুষ্টিজনিত কারণে মৃত্যু ঘটে৷ বলা বাহুল্য, অপুষ্টির কারণে শিশুদের বৃদ্ধি ও ওজন কমে যাওয়ার ক্ষেত্রে আদিবাসী ও তফসিলি সম্প্রদায়ের মানুষদের অবস্থা শোচনীয়৷
শিশুরা সমাজের ভবিষ্যৎ৷ আজকের শিশু আগমী দিনের গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক৷ তাদের যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে দেশ কোন পথে যাচ্ছে তা সহজেই মনুমেয়৷
আজও এ দেশে তথাকথিত উচ্চবর্ণের মানুষদের হাতে তথাকথিত নীচু বর্ণের মানুষেরা অত্যাচারিত হচ্ছেন৷ যদিও প্রকৃতপক্ষে সমস্ত মানুষই এক জাতিভুক্ত৷ কারণ সবাই একই পরমপিতার সন্তান৷
সুবিধাভোগী এক শ্রেণীর মানুষ জাত-পাতের বিভেদ সৃষ্টি করে অশিক্ষিত, দরিদ্র মানুষদের প্রাচীনকাল থেকে ধোঁকা দিয়ে এসেছে ও তাদের ওপর অকথ্য নির্যাতন চালিয়ে এসেছে৷ আশ্চর্য হতে হয় যে বর্তমানে একবিংশ শতাব্দীতেও এ জিনিসটা সমানে চলেছে৷
রাষ্ট্রসংঘের এক সমীক্ষায় বিশ্ব ক্ষুধা সূচকের পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, ২০১৭ সালে বিশ্বক্ষুধা সূচকে ভারতের স্থান ১০০-তে৷ ২০১৪ সালে যখ
আমরা দেখে শিখি, পড়ে শিখি, <
গত ২৭ শে অক্টোবর সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত রাওয়ার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ত্রিপুরার কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডঃ আদিত্য মহান্তি তাঁর ভাষণে একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা বললেন৷ তিনি বললেন, আজকের সমাজের সবচেয়ে বড় সমস্যা মানুষ আজ দিশা হারিয়েছে৷ মানুষ ভুলে গেছে তার লক্ষ্য কী?
দলতন্ত্র আর গণতন্ত্র যে এক নয় সেটা যতদিন না দেশের নাগরিকগণ মন থেকে উপলব্ধি করছেন ততদিন গণতন্ত্রের মুক্তি নেই৷ বর্তমানে দলতন্ত্র এমন এক নির্লজ্জ স্থানে এসে হাজির হয়েছে যা বলার নয়৷ অত্যন্ত বেদনা ও দুঃখের কথা, এই দলতন্ত্র প্রয়োজনে নিছক দলীয় স্বার্থে সংবিধানকে পর্যন্ত অস্বীকার করে দেশের গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাকে পদদলিত করতেও ছাড়ে না৷ এর উদাহরণ তো স্বয়ং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী দেশে অভ্যন্তরীণ জরুরী অবস্থা জারী করে দেখিয়ে গেছেন৷ লোকসভাকে না জানিয়ে তিনি এ কাজ করেছিলেন৷
পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইণ্টার সার্ভিস ইণ্টেলিজেণ্স-এর (আই এস আই) কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার আসফাকের সাঙ্গপাঙ্গরা পাকিস্তানের (টেররিস্থান)-এর মাটিতে আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি (আরশা) গঠন করেন৷ এদের উদ্দেশ্য হ’ল বর্তমান বাঙলাদেশের মাটিতে রোহিঙ্গাদের তাড়িয়ে এনে বাঙলাদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করে তোলা৷ তাছাড়া এই রোহিঙ্গাদের মধ্যে দিয়ে উগ্রপন্থী, জঙ্গী রোহিঙ্গারা ঢুকে পড়বে বাঙলাদেশ ও প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে৷ এরা অস্থিরতা সৃষ্টি করবে এই সমস্ত দেশে পাকিস্তানী জঙ্গী যারা আছে তাদের মদতে৷
গত ১৩ই অক্টোবর দার্জিলিংয়ে বিদেশী গোর্খা ও রাষ্ট্রদ্রোহীদের কবলমুক্ত করে বাংলার অখন্ডত্ব রক্ষা করতে গিয়ে তরুণ পুলিশ অফিসার অমিতাভ মালিকের মৃত্যুতে আমরা বাঙালীর কেন্দ্রীয় সচিব বকুল চন্দ্র রায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ও ‘আমরা বাঙালীর পক্ষ থেকে তিনি দাবী জানিয়েছেন ঃ
১) বিমল গুরুংয়ের নির্দেশে নিহত অমিতাভ মালিকের মৃত্যুর উচ্চ ন্যায়লয়ের তত্ত্বাবধানে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করতে হবে৷
২) গোর্র্খ রেজিমেন্টের অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীদের নিয়ে ঘটিত ‘গোর্র্খল্যান্ড পার্র্সেনাল (জি.এল.পি)’’ বাহিনীকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে’ উপযুক্ত তদন্ত সাপেক্ষে শাস্তি দিতে হবে৷
দার্জিলিংয়ে দেশদ্রোহী বিমল গুরুংয়ের বাহিনীর গুলিতে রাজ্য পুলিশের তরুণ অফিসার অমিতাভ মালিকের মৃত্যুর গভীর শোক প্রকাশ করে দার্জিলিং জেলার আমরা বাঙালী কমিটি৷ এই উপলক্ষ্যে আমরা বাঙালীর এক শোকমিছিল শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্ক থেকে শুরু হয়ে শহর পরিক্রমা করে এয়ার ভিউ মোড়ে এসে পৌঁছায়৷ এখানে এক পথসভায় সন্ত্রাসবাদী বিমলগুরুং ও তার মদৎকারী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহয়ের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়৷