December 2017

শশা ও তার উপকারিতা

পরিচয় ও প্রজাতি ঃ তোমরা অনেকেই হয়ত জান যে শশা সৃষ্ট জগতের একটি প্রাচীন অবদান৷ মানুষের উদ্ভূতির অনেক আগেই শশা এসেছে এই জগতে৷ বিভিন্ন দেশে, বিভিন্ন আবহাওয়ায় এই ফলটিকে জন্মাতে দেখা যায়৷ সর্বত্রই এটি বেশ জনপ্রিয়৷ ইংরেজী cucumber শব্দটি আপাতদৃষ্টিতে এ্যাংলো–স্যাক্সন মূলের বলে মনে হলেও এটি একটি ব্রাইটন শব্দ৷ ইংরেজীর সহযোগী ভাষাগুলি কেউ কেউ এটি ব্যবহার করলেও এর উদ্ভূতি ব্রিটানিতে [Brittany-France]৷

পরোপকারের দ্বারা মহান হও

শাস্ত্রে বলা হয়েছে, ‘প্রণিপাতেন পরিপ্রশ্ণেন সেবয়া’–মানুষ প্রণিপাত, পরিপ্রশ্ণ ও সেবা–এই তিনের সহায়তায় অর্থাৎ এই তিনের সমন্বয়ে পরমপুরুষের কাছে পৌঁছতে পারে৷ সাধক জীবনে সেবা তাই অনিবার্য৷ সেবার ভাবনা না থাকলে, দরজা বন্ধ করে বিশ ঘণ্ঢা সাধনা করলেও কোনো উন্নতি হবে না কারণ পরমপুরুষের আসন তোমার হৃদয়েও আছে, আবার বাইরেও আছে৷ তুমি ভিতরের আসনকে উজ্জ্বল করতে চাইবে, সেখানে দীপ জ্বালাবে আর বাইরের আসনকে অন্ধকারে রেখে দেবে, এতে কাজ হবে না৷ দীপ  ভিতরেও জ্বালাতে হবে, বাইরেও জ্বালাতে হবে৷

পশ্চাৎপদ শ্রেণীর উন্নয়ন

বিশ্বের বিভিন্ন পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীকে সাহায্য করা আমাদের আশু কর্ত্তব্য৷ যেহেতু বর্তমান বিশ্বের বিভিন্ন সামাজিক–অনৈতিক ব্যবস্থাগুলি পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর প্রয়োজন পূর্ত্তির প্রতি ও সামগ্রিকভাবে সমাজের উন্নতির প্রতি নজর না দিয়ে সমাজের এক বিশেষ গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা করে’ চলেছে, সেইজন্যেই পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠী শারীরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক অবদমনের শিকার হচ্ছে৷

আন্তর্জাতিক নববর্ষে মহাসমারোহে আনন্দনগরে ধর্মমহাসম্মেলন

১লা জানুয়ারী ঃ আন্তর্জাতিক নববর্ষ উপলক্ষ্যে ১,২,৩ জানুয়ারী, ২০১৮, আনন্দমার্গের কেন্দ্রীয় আশ্রম আনন্দনগরে আনন্দমার্গের ধর্মমহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে৷ এই ধর্মমহাসম্মেলনে পশ্চিমবাংলার বিভিন্ন জেলা থেকে ও ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে  আনন্দমার্গীরা যোগদান করছেন৷ বিশ্বের যে ১৮২টি  দেশে আনন্দমার্গের প্রচার রয়েছে–ওই সমস্ত দেশ থেকে আনন্দমার্গের অনুগামীরা ধর্মমহাসম্মেলনে যোগ দিতে আসছেন৷ এই ধর্মমহাসম্মেলনে মার্গগুরুর প্রতিনিধিরূপে আনন্দমার্গের প্রেসিডেন্ট আচার্য কিংশুকরঞ্জন সরকার এই তিনদিন দুবেলাই ধর্ম, সাধনা, সেবা, ভক্তি প্রভৃতির ওপর প্রবচন দেবেন৷ আনন্দমার্গের বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সন্ন্যাসীরা

প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্র্সলের উদ্যোগে সিউড়িতে প্রাউট প্রশিক্ষণ শিবির

 গত ১৭ই ডিসেম্বর থেকে ২১শে ডিসেSymposiumম্বর পর্যন্ত বীরভূমের সিউড়ী শহরের ইনডোর ষ্টেডিয়ামে প্রাউটিষ্ট ইযূনিবার্সালের  পরিচালনায়  এক প্রাউট প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন  করা হয়৷ পাঁচ দিন ব্যাপী এই প্রাউট-প্রশিক্ষণ শিবিরে বিভিন্ন রাজ্যের প্রাউট-কর্মীরা ও  শিক্ষিত  ছাত্র-যুবা মিলে প্রায় ৩০০ জন যোগদান করেছিলেন৷ তাঁদের  সামনে  প্রাউটের  অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংসৃকতিক প্রভৃতি বিভিন্ন দিক নিয়ে বিশিষ্ট প্রা

রাজ্যের বর্ত্তমান শিক্ষা সম্বন্ধে দু’চার কথা

শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলি  বিশেষ করে  যাঁর শাসনে আসেন তাঁদের  মাথা ব্যথার  অন্ত নেই,  যদিও  দীর্ঘ দিনের  দাবী  শিক্ষাকে  রাজনৈতিক  হস্তক্ষেপ  থেকে  দূরে  রাখতে হবে৷  একথা কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় প্রাক্তন ভাইস চ্যান্সেলার শ্রদ্ধেয় আশুতোষ  মুখোপাধ্যায় দৃঢ়  মানসিকতার  সঙ্গে দাবী তুলেছিলেন ও আজীবন  সেই  আদর্শ অনুসরণ করে গেছেন ৷ ইংরেজ  সরকারের সঙ্গে তাঁর  এ ব্যাপারে  তীব্র বিরোধিতা হতো৷  তিনি, শিক্ষাকে সরকারী হস্তক্ষেপ  থেকে চিরদিন  পৃথক রাখতে সংকল্পবদ্ধ ছিলেন৷  পরবর্তীকালেও  শিক্ষার ক্ষেত্রকে যাতে শাসকগণ  সরাসরি  নিয়ন্ত্রণাধীনে  না আনতে পারে সে ব্যাপারে  বহু আন্দোলন  হয় ৷ 

জ্ঞান, কর্ম ও ভক্তি

প্রাচীনকাল থেকেই লোকে বলে আসছে যে পরমপুরুষকে পাবার তিনটে পথ–জ্ঞান, কর্ম ও ভক্তি৷ তারা বলে, জ্ঞানের মাধ্যমে মানুষ ৰুঝে নেয় পরমাত্মা কী, মানুষ কী ও পরমাত্মাকে পাওয়ার মানে কী৷ এখন বিচার করতে হবে, জ্ঞান দিয়ে মানুষ কী ভাবে ৰুঝবে পরমাত্মা কী৷ মানুষের জ্ঞান–ৰুদ্ধির দৌড় আর কতদূর৷ মানুষের ব্রেন তো খুবই ছোট আর সেই ব্রেনও সে পেয়েছে পরমপুরুষের কাছ থেকেই,পরমাত্মার কাছ থেকেই৷ সেই ব্রেন দিয়ে সে কীভাবে পরমপুরুষকে পরিমাপ করবে সে কীভাবে ৰুঝবে পরমপুরুষ কেমন তাই লোকেরা যে বলে, মানুষ জ্ঞানের দ্বারা ৰুঝবে পরমপুরুষ কী, পরমাত্মা কী– একথা কতদূর সত্যি?

শিল্পে সমবায়

বিশ্বের কোন জীবকেই আমরা উপেক্ষা করতে পারি না৷ বিশ্বের এক অংশের শিল্পোন্নয়ন অন্য অংশের দারিদ্র্য বা বেকারীকে ভালভাবে দূর করতে পারে না৷ তাই শিল্প–ব্যবস্থা যতদূর সম্ভব বিকেন্দ্রীকরণ নীতি অনুযায়ীই করা উচিত৷

শিল্পের বিকেন্দ্রীকরণ ঃ কোন একটি দেশ বা জেলা যদি অত্যধিক শিল্পোন্নত হয়, তাতে অপরাপর অংশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কোন রকম সুবিধা হয় না৷ তাই শিল্পের বিকেন্দ্রীকরণ দরকার৷ কিন্তু মূল শিল্প থাকবে কেন্দ্রীকৃত৷ উদাহরণস্বরূপ, সুতাকল শিল্প হবে কেন্দ্রীকৃত–যাকে কেন্দ্র করে’ বিকেন্দ্রীকরণ পদ্ধতিতে গড়ে’ উঠবে বস্ত্রবয়ন শিল্প৷

অশনি সংকেত ও মুক্তির পথ

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

অর্থনীতিবিদের মতে বিশেষ করে ১৯৮০ সালে ভারতে অর্থনৈতিক সংস্কার শুরু হবার পর এদেশে আর্থিক বৈষম্য প্রচুর বেড়েছে৷ ভারতে জাতীয় আয়ের ৫৬ শতাংশই উচ্চবিত্তদের হাতে, যারা হচ্ছে দেশের নাগরিকের মাত্র ১০ শতাংশ অর্থাৎ জাতীয় আয়ের অবশিষ্ট ৪৪ শতাংশের ভাগীদার দেশের বাকী ৯০ শতাংশ জনগণ৷ তাহলে ভাবুন দেশের কী উন্নয়ন হচ্ছে?

নূতন  বছরের  প্রত্যাশা

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

কালের আবর্তনে আবার একটা বছর অতিক্রান্ত৷ আন্তর্জাতিক ক্যালেন্ডারের পাতায় ২০১৭-র অবসানে  ২০১৮ সনের আগমন৷ ঘটনার ঘনঘটায় পরিপূর্ণ একটি বছর  হাসি-কান্নার সংমিশ্রনে প্রভাবিত করেছে মানুষের ব্যষ্টিগত জীবন কখনো সাফল্যের রশ্মিচ্ছটায় আবার কখনো ব্যর্থতার নিকষ আঁধারে৷  নববর্ষের নূতন স্পর্শে মানুষ জেগে ওঠে নবশক্তি সঞ্চারে --- নোতুন লক্ষ্যকে সামনে রেখে৷ অতীতের  সাফল্য তাকে  নূতন লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে চলতে প্রেরণা দেয় আর ব্যর্থতার অভিজ্ঞতা ফেলে আসা দিন গুলোর ভুল ত্রুটি শুধরে  নিজেকে গুছিয়ে নিতে শেখায়৷  আগামী দিনের স্বপ্ণ আ র আশা মানুষের চালিকাশক্তি৷  এই শক্তিই ব্যষ্টিজীবন ও সমাজ জীবনে  নব উদ্দীপনার উন্মেষ ঘটা