নূতন  বছরের  প্রত্যাশা

লেখক
জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

কালের আবর্তনে আবার একটা বছর অতিক্রান্ত৷ আন্তর্জাতিক ক্যালেন্ডারের পাতায় ২০১৭-র অবসানে  ২০১৮ সনের আগমন৷ ঘটনার ঘনঘটায় পরিপূর্ণ একটি বছর  হাসি-কান্নার সংমিশ্রনে প্রভাবিত করেছে মানুষের ব্যষ্টিগত জীবন কখনো সাফল্যের রশ্মিচ্ছটায় আবার কখনো ব্যর্থতার নিকষ আঁধারে৷  নববর্ষের নূতন স্পর্শে মানুষ জেগে ওঠে নবশক্তি সঞ্চারে --- নোতুন লক্ষ্যকে সামনে রেখে৷ অতীতের  সাফল্য তাকে  নূতন লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে চলতে প্রেরণা দেয় আর ব্যর্থতার অভিজ্ঞতা ফেলে আসা দিন গুলোর ভুল ত্রুটি শুধরে  নিজেকে গুছিয়ে নিতে শেখায়৷  আগামী দিনের স্বপ্ণ আ র আশা মানুষের চালিকাশক্তি৷  এই শক্তিই ব্যষ্টিজীবন ও সমাজ জীবনে  নব উদ্দীপনার উন্মেষ ঘটায়৷ একটি বছরের চড়াই উতরাই  গড়ে তোলে সুবিস্তৃত সমাজ ইতিহাসের  এক একটি ভিত্তি প্রস্তর৷

সাম্প্রতিক বছর গুলিতে বিশ্বের প্রায় সর্বত্রই পরিলক্ষিত হচ্ছে হিংসা, সন্ত্রাস, অবিশ্বাস আর অসহনশীলতার পরিবেশ৷  মানুষের প্রতি মানুষের ভালবাসা, বিশ্বাস, সম্প্রীতি ও ঐক্যের ভাবনা একে অপরকে কাছে টানে ও সমাজের বাঁধনকে অতিশয় নিবিড় করে৷  কিন্তু বিপরীত প্রক্রিয়ায় বিচ্ছিন্নতাবাদ ও সন্ত্রাসবাদ প্রোৎসাহিত হয়৷  ফলে সমাজের বাঁধন আল্গা হয়ে যায় ও একে অপরের বিরুদ্ধে  সংঘাত-সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে৷ ফলস্বরূপ, দাম্ভিক রাষ্ট্রনায়কেরা অহমিকা ও একনায়কত্ত্বের মনোভাব চরিতার্থ করার জন্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে মারাত্মক সব সমরাস্ত্র, পারমানবিক অস্ত্র ইত্যাদি তৈরী করে’ অন্যান্য রাষ্ট্রকে শাসানি দিচ্ছে৷  তথাকথিত অনুন্নত ও দুর্বল রাষ্ট্রগুলি  আত্মরক্ষার তাগিদে বিশাল অর্থের বিনিময়ে সামরিক অস্ত্র-শস্ত্র সংগ্রহ করছে৷  এছাড়াও পৃথিবীর বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলি উন্নত অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিভিন্নদেশে ভীতিপ্রদর্শন ও সন্ত্রাসমূলক কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে৷ এর ফলে বিশ্ব অর্থনীতি ও সার্বিক উন্নয়ন  এক চরম বিপর্যয়ের সম্মুখীন৷  জীবনধারণের নূ্যনতম উপকরণের  অভাবে সাধারণ মানুষ অনাহারে অর্ধাহারে কালাতিপাত করতে বাধ্য হচ্ছে৷ রাস্তাঘাট, নদীনালা-সংস্কার প্রভৃতি পরিকাঠামোগত উন্নয়নের  অভাব, কৃষি-শিল্প-বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে অব্যবস্থা ও  সমন্বয়হীনতা  জনজীবনকে পর্যুদস্ত করছে৷  অথচ হাজার হাজার কোটি টাকা সামরিক প্রতিযোগিতায় ব্যয়িত হচ্ছে৷  শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবার অপ্রতুলতায় অধিকাংশ মানুষ  আজ  অপুষ্টি, কুশিক্ষা, নানারকম দুরারোগ্য ব্যাধি, কুসংস্কার ও ভাবজড়তার শিকার৷ দুবেলার অন্ন জোগাড়  করতে গিয়ে মানুষ বিভিন্ন অসামাজিক কাজকর্মে লিপ্ত হয়ে পড়ছে আর  এর সুযোগ নিচ্ছে, দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষজন ও হীনস্বার্থবাদী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ৷

আমাদের দেশ ভারতবর্ষও  উপরে বর্ণিত  পরিস্থিতির বাইরে নেই৷ বহুবিধ জাতি ধর্ম-বর্ণ-গোষ্ঠীগত ভেদ বিভেদের জাঁতা কলে পিষ্ট এই দেশের জনসাধারণ৷  ক্ষুদ্র রাজনৈতিক স্বার্থের কারণে  রাজনীাতির কারবারীরা এই ভেদাভেদকে লালন করে  সমগ্র দেশে এক অবিশ্বাসের বাতাবরণ সৃষ্টি করছে ও  ঐক্যসংহতির পরিবেশ নষ্ট করে চলেছে৷ এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় কেন্দ্র-রাজ্যের পারস্পরিক সহযোগিতা ও            সুসমন্বয়  না থাকলে  দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ব্যাহত হয় আর এক পক্ষের অপর পক্ষকে দোষারোপের কুফল ভুগতে হয় নিরীহ জনসাধারণকে৷ ভোটের রাজনীতির পরিণামে কোন কোন গোষ্ঠীর তোষণ ও অপরাপর অংশের  প্রতি অসহনশীলতা জনগণের মধ্যে পারস্পরিক অসন্তোষ ও অবিশ্বাস বাড়িয়ে চলেছে আর  জাতীয় ঐক্য ধবংস প্রাপ্ত হচ্ছে৷  সঠিক আঞ্চলিক উন্নয়নের পরিকল্পনা ও  কৃষিভিত্তিক শিল্পপ্রসারের অভাবে পর্র্যপ্ত কর্ম-সংস্থানের ব্যবস্থা না হওয়ায় ছাত্র-যুব সম্প্রদায়ের ক্ষোভ ও হতাশা বেড়েই চলেছে যা সামাজিক সম্প্রীতির পরিবেশকে বিষিয়ে দিচ্ছে৷  শিক্ষা ও সাংসৃকতিক ক্ষেত্রে  পরিকল্পিত অসংস্কৃতি,  বিদেশী অনুকরণপ্রীতি  ও অনাবশ্যক রাজনৈতিক অনুপ্রবেশ যুব ও ছাত্রসম্প্রদায়ের নৈতিক ও চারিত্রিক মানের সর্বনাশ  করে চলেছে৷ নৈতিক চবিত্র ঠিক মতো না গড়ে ওঠার ফলে  যুব সমাজ বহুবিধ নেশা, জুয়া ,যৌন কেলেঙ্কারি ও অনৈতিক কাজকর্মে জড়িয়ে পড়ছে আর সমাজে হিংসাশ্রয়ী ক্রিয়াকলাপের বাড়বাড়ন্ত হচ্ছে৷ তাই আমরা প্রায়শঃই সংবাদ মাধ্যমগুলিতে  দেখতে  পাই নৃশংস,  পৈশাচিক  হিংসাত্মক ঘটনাক্রম যার সঙ্গে অনেক ক্ষেত্রেই  নাবালক কিশোর-কিশোরী ও যুবক-যুবতীরা জড়িত ৷

আমাদের দেশ স্বাধীনতার পর থেকেই  প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তানের  ভারত-বিদ্বেষী মনোভাব ও  আক্রমনের শিকার৷  পাকিস্তানের প্ররোচনায়  ও সক্রিয় সহায়তায় নানা সন্ত্রাসবাদী সংঘটন সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিংসাত্মক কার্য কলাপ চালাচ্ছে৷ এছাড়া--- পাকিস্তানী ফৌজ ও  গোয়েন্দা সংস্থাগুলি সীমান্তে সর্বদাই  অশান্তি ছড়াচ্ছে  ও গোলাগুলি বর্ষণের মাধ্যমে  সীমান্ত অঞ্চলের জনজীবনকে পর্যুদস্ত করে  ভারতের বিরুদ্ধে ছায়াযুদ্ধ চালাচ্ছে৷

প্রতিহিংসা জনিত এই প্রক্রিয়ার  ফলে উভয় দেশেরই  উন্নয়ন ও পারস্পরিক সম্পর্ক  ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আর এর মাশুল গুনতে হচ্ছে দুই প্রতিবেশী দেশের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষকে৷  অপর প্রতিবেশী দেশ চীনের উস্কানি মূলক আচরণ  অন্যান্য  প্রতিবেশী দেশ নেপাল, ভূটান,  বাংলাদেশকে ভারতের বিরুদ্ধে প্ররোচিত করছে৷ ফলে  ভারতের অভ্যন্তরে বিচ্ছিন্নবাদ ,. সন্ত্রাস ও হিংসাশ্রয়ী  কুকর্ম বৃদ্ধি পাচ্ছে আর এদেশে শান্তি শৃঙ্খলা ও সুস্থিতি নষ্ট হচ্ছে৷ প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির মধ্যে শান্তি ও সৌহার্দ্র্যপূর্ণ  সুসম্পর্ক বজায় না থাকলে স্বাভাবিকভাবেই  আঞ্চলিকক্ষেত্রে অস্তিরতা ও  শক্তির ভারসাম্যে র অভাব ঘটে৷  যার ফলে ওই  অঞ্চলের প্রতিটি দেশেরই  আভ্যন্তরীণ অর্থনীতি, রাজনীতি ও  সামগ্রিক  উন্নয়নে  কুপ্রভাব পড়ে৷  শুধু তাই নয়, বিশ্বজুড়ে সমরাস্ত্র  প্রতিযোগিতা, পারমাণবিক অস্ত্রাদির পরীক্ষা নিরীক্ষা, ব্যাপক নগরায়ণ, শিল্পায়ণ, অনিয়ন্ত্রিত প্রাকৃতিক সম্পদ ও অরণ্যানী ধবংস ইত্যাদির ফলে  ব্যাপক দূষণ, উষ্ণায়ণ, ভূ-প্রকৃতিগত পরিবর্তন, বৃষ্টিপাতের পরিমানে হ্রাসবৃদ্ধি  ও  প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে মানব সভ্যতার প্রভূত ক্ষতিসাধন করে চলেছে৷

বিশেষজ্ঞ মহলের মতে  এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী মূলতঃ  ধনতান্ত্রিক অর্থ ব্যবস্থায় মানুষের সীমাহীন লোভ,  মুনাফার জন্য যেকোন  অনৈতিক পন্থা অবলম্বনের প্রবণতা, প্রভুত্ব বিস্তারের  অসীম আকাঙ্ক্ষা৷ এর ফলে একশ্রেণীর মুষ্টিমেয় মানুষের কাছে জমছে সম্পদের পাহাড় আর অধিকাংশ মানুষের ভাগ্যে জুটছে  শোষণ ও নিপীড়ণ যন্ত্রণা৷  সম্পদের এই অসম বন্টনের ফলশ্রুতিতে  জন্ম নিচ্ছে ক্ষোভ , বিদ্বেষ, হিংসা, দুর্নীতি, সংঘাত, সংঘর্ষ ও সমাজের সার্বিক অবক্ষয়৷  এই বিপজ্জনক পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য  আজ সবচেয়ে বেশী প্রয়োজন  একদিকে মানুষের নৈতিক ও চারিত্রিক শিক্ষা যার দ্বারা মানুষের লোভ -লালসা  নিয়ন্ত্রিত হবে আর অপরদিকে এমন এক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা যার কল্যাণে ভৌতিক সম্পদের  সুষম বন্টনের  দ্বারা  সমাজে শোষণের উৎস চিরদিনের মতো বন্ধ হবে৷  এই উভয় উদ্দেশ্য সাধনের নিমিত্ত  মহান দার্শনিক শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার (যিনি  আধ্যাত্মিক গুরুরূপে শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী নামে  সমধিক পরিচিত)  দিয়েছেন মানব ও সমাজ কল্যাণে আনন্দমার্গ দর্শন,  প্রাউট দর্শন ও নব্যমানবতাবাদ ৷  আনন্দমার্গ দর্শনের মাধ্যমে আধ্যাত্মিকতার পথে  প্রতিটি মানুষকে  ব্যষ্টিগতভাবে নিয়মিত যোগসাধনা , আসন - প্রাণায়াম,  যম-নিয়মের  অনুশীলনের দ্বারা মনকে কলুষমুক্ত করে  প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার পথ নির্দেশনা তিনি দিয়েছেন৷  মানুষের অনন্ত তৃষ্ণা সীমিত ভৌতিক সম্পদ তৃপ্ত করতে পারে না৷ তাই  এই অনন্ত তৃষ্ণাকে  অনন্ত আধ্যাত্মিক জগতে পরিচালিত করে বৃহতের ভাবনায় ভাবিত করালে  একদিকে যেমন মন তৃপ্ত ও শান্ত হবে- অন্যদিকে এক অনন্ত আনন্দ সাগরের  সন্ধান পাবে৷  তখন মন শুদ্ধ, পবিত্র ও সামগ্রিক কল্যাণভাবনায়  পূর্ণ হওয়ার সুযোগ পাবে৷  আনন্দ মার্গ সাধনা পদ্ধতির মূল কথা হল ‘‘ আত্মমোক্ষার্থং জগদ্ধিতায় চ’’৷ ব্যষ্টিগত ক্ষেত্রে প্রতিটি মানুষ সাধনা মার্গে আধ্যাত্মিকতার স্পর্শে মুক্তির স্বাদ পাবে ও মনের উদারতার দ্বারা জগৎকল্যাণে সমস্ত সৃষ্টিকে পরমপিতার সন্তান-সন্ততিজ্ঞানে সেবার ব্রতে অগ্রণী ভূমিকা নেবে৷  অপর পক্ষে  প্রাউট দর্শন PROUT ---Progressive Utilization Theory) বা ‘‘প্রগতিশীল উপযোগ তত্ত্ব ’’ এর মূল  উপজীব্য হচ্ছে ‘‘ হরর্মে পিতা গৌরী মাতা  স্বদেশভুবনত্রয়ম্ ’’৷ ত্রিভুবনের যা কিছু সম্পদ আছে সবই পরমপিতার মালিকানাধীন ও  বিশ্বের সকল সৃষ্টিই তাঁর সন্তান-সন্ততি৷ তাই  এই সম্পদ সমগ্র সৃষ্টির যৌথ সম্পত্তি৷  প্রাউট দর্শন অনুযায়ী এই সম্পদের উপর কোনো মানুষ বা অন্য কারোরই  ব্যষ্টিগত মালিকানা স্বীকৃত নয়৷  সামবায়িক সংস্থার পরিচালনায় সমগ্র ভৌতিক, আধি ভৌতিক, মানসিক, আধি দৈবিক ও আধ্যাত্মিক সম্পদের সর্বাধিক উপযোগ ও বিকাশের মাধ্যমে  সমগ্র সৃষ্টির সামুহিক কল্যাণে নিয়োজিত করতে হবে৷  এই ব্যবস্থায় কোনো ব্যষ্টিগত মুনাফা বা কালোবাজারির  সুযোগ না থাকায় শোষণের সম্ভাবনাও দূরীভুত হয়৷ কৃষি, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য সবক্ষেত্রেই সামবায়িক সংস্থার চূড়ান্ত নিয়ন্ত্রণ থাকবে ও  পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন  কঠোর নীতিবাদী,  আপোষহীন নৈতিক ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে দৃঢ় ব্যষ্টি সমুদায়  যাঁদের এককথায় বলা হয় সদ্বিপ্র৷ এই সমাজ ব্যবস্থায় শুধুমাত্র মানুষই নয়,  মানুষসহ অন্যান্য জীবজন্তু, পশু-পাখী, উদ্ভিদ-জড়  সকলের  কল্যাণের ও উন্নতিবিধানের সুযোগ সুবিধা থাকবে৷  বিশ্বচরাচরে  মানুষ-উদ্ভিদ- অন্যান্য জীবজন্তু -জড় সকলেরই অস্তিত্ব একে অপরের উপর নির্ভরশীল৷ তাই শুধু  মানবতা নয়---নব্যমানবতাবাদের প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে  সকলের সুষম বিকাশ ও সহাবস্থানই  শোষণহীন সমাজ গড়ে তুলতে পারবে৷

নূতন বছরে  সমস্ত শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের  প্রত্যাশা এই যে সকলে মিলে  আধ্যাত্মিকতার পথে এগিয়ে চলে ব্যষ্টিগত ও সামাজিক উভয়ক্ষেত্রেই প্রাউট দর্শনের সার্থক ও ব্যবহারিক প্রয়োগের মাধম্যে নব্যমানবতাবাদকে সু প্রতিষ্ঠিত করবে৷  আর তখনই পৃথিবীর বুক থেকে মানব সভ্যতার সবচেয়ে বড় অভিশাপ  হিংসা, সন্ত্রাস দুর্নীতি ও শোষণ দূরীভূত হয়ে  শোষণহীন হিংসা ও দুর্নীতিমুক্ত প্রকৃত সমাজ গড়ে উঠবে৷