December 2017

আজ তুমি

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

আকুল দু’টি নয়নে

চেয়ে থাকি পথপানে

ভাবি, এই বুঝি তুমি এলে৷

তুমি আসবে তাই,

সীমাহীন খুশির দোলায়

আজ হৃদয় আমার দোলে৷৷

 

ঝরাপাতার শীতের পরে

যেন ফাগুন-হাওয়া আমার ঘরে

ঋতু-পরাগের সুবাস ঢালে৷

মনোবীণার গোপন তারে

অচেনা সুরের ঝংকারে

অনন্ত সুখের অমিয় ধারায়

                আমায় তুমি ভাসালে৷৷

 

আকাশ জল সবই ভাল

মধুর প্রীতি ধারা

সোহাগ মেশা সুর ও লয়

করে মাতোয়ারা৷

তোমার কথা ভাবতে গেলে

সাক্ষী গোপাল দেব

তোমার কথা ভাবতে গেলে

                হারাই আমি নিজে

তোমার কথা ফুরায় নাকো

                বলব আমি কি যে৷৷

তুমি অরূপ রূপের মাঝে

                ছড়িয়ে আছো মোহন সাজে

আমার আঁখি রূপে বিভোর

                তোমার মনসিজে৷৷

তোমার রূপের জ্যোতিঃ রাশি

                মনের যত তম নাশি

দেয় ভরিয়ে আলোর বিভায়

                সকল বিশ্ববীজে৷৷

সোহাগ আদর

আচার্য গুরুদত্তানন্দ অবধূত

আদর খেতে ভালবাসি

তাতেই ফোটে হাসি

চারিধারে প্রীতির মেলা

যেন রাশি রাশি৷

মায়ের বুকে অতিসুখে

করি আমি খেলা

ভাই বোনেরা ঘিরে থাকে

ফুরায় নাক বেলা৷

পিতার শাসন প্রিয় অতি,

আশীষ কান মলা

কতভাবে তালিম সে যে

যায়না সে বলা৷

গুরুজনের  স্নেহ সে যে

যোগায় মনে বল

জীবন জ্যোতি প্রিয় অতি

নাশে হলাহল৷

জলটান

সংস্কৃত ‘মদ’ ধাতুর একটি অর্থ হল যা শুষে আরাম পাওয়া যায় (ভাবারূঢ়ার্থ), যোগারূঢ়ার্থে জল, সরবৎ, পানা, ফলের রস ও যে কোন তরল বস্তু যা পানীয় পর্র্যয়ভুক্ত৷ উপরি-উক্ত যে বস্তু খেলে জলটান হয় অর্র্থৎ যে আহার গ্রহণের পর বার্রার  জলতেষ্টা পায় সেই বস্তুকে ম+ড= ‘ম’ নামে আখ্যাত করা হয়ে থাকে৷ যেমন কম জলে  ছাতু গুলে খেলেও বার বার জলতেষ্টা পায়৷ এই ধরনের জলতেষ্টাকে ‘জলটান’ লা হয়৷

তোমরা সেই লা গড়ের ব্রজবল্লভ সাকের জলটানের  গল্প শুনেছ তো! যদি না শুনে থাক তো একবার লি৷ ব্রজবল্লভ সাক থাকতেন লাগড়ে--- তাঁর পৈতৃক ভদ্রাসনে*৷

অসীমানন্দ স্মৃতি ফুটবল প্রতিযোগিতা

গত ১২ নভেম্বর আচার্য্য অসীমানন্দ স্মৃতি ফুটবল প্রতিযোগিতা (এক দিবসীয়) আনন্দনগর এস.এস.এ.সি এর পরিচালনায় নিজস্ব ফুটবল মাঠে অনুষ্ঠিত হল৷ এই খেলায় ১ম স্থান  অধিকার করে ফুটবল দল৷ দ্বিতীয় স্থান অধিকার করল  আনন্দনগর এস.এস.এ.সি দল৷  খেলাটি খুবই  আকষণীয় হয়েছিল৷ এই খেলায় তরুণ ফুটবলারদের  উৎসাহ দিতে উপস্থিত ছিলেন আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের সাধারণ সম্পাদক আচার্য্য বীতমোহানন্দ অবধূত, আচার্য নারায়ণানন্দ অবধূত ও অন্যান্য সন্ন্যাসীবৃন্দ উপস্থিত৷ কয়েক হাজার দর্শক এই খেলাটি উপভোগ করেন৷

 

খেলোর ধকল থেকে বিশ্রাম চান বিরাট

এই মুহূর্ত্তে ভারতীয় ক্রিকেটের সবচেয়ে ফিট ক্রিকেটার বলে যাঁকে বলা হবে সেই বিরাট কোহলি এখন ক্রিকেট থেকে একটু বিশ্রাম চাইছেন৷ এ বছর তিনি সাতটি টেস্ট ম্যাচ, ২৬টি একদিনের আন্তর্জাতিক, ১০টি টি-টোয়েণ্টি ম্যাচে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন৷ এছাড়া আই পি এল-এ ১০টি ম্যাচও তিনি খেলেছেন৷ স্বভাবতঃই খেলার ধকল থেকে খানিকটা মুক্ত হতে তিনি বিশ্রামের কথা চিন্তা করেছেন৷ ভারত অধিনায়কের কথায় মাঠে দীর্ঘক্ষণ ব্যাটিং করে আবার ফিল্ডিং করা, কিংবা দীর্ঘক্ষণ ফিল্ডিং করার পর আবার ব্যাট হাতে বড় ইনিংস খেলা ক্রিকেটের অঙ্গ৷ সেটা তো ফাঁকি দিলে চলবে না৷ কিন্তু শরীর নামক যন্ত্রটির বিশ্রাম প্রয়োজন৷ সেই কারণে কিছুটা সময় বিশ্র

আগামী বিশ্বকাপ ফুটবলের মূলপর্বে নেই ইতালি

৬০ বছরে এই প্রথম বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারল না ইতালি৷ চারবার বিশ্বকাপ জয়ী ইতালিকে ছিটকে দিয়ে মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা ছিনিয়ে নিল সুইডেন৷ ইতালি দলের কোচ গিয়ান পিয়েরো ভেঞ্চুরা এই ব্যর্থতার ভার নিজের কাঁধে নিয়েছেন৷ তিনি দেশবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন৷ উল্লেখ্য ১৯৫৮ সালে বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলার যোগ্যতামান পার হতে পারেনি ইতালি৷

কোন রান না দিয়ে ১০ উইকেট!

অবিশ্বাস্য, অভাবনীয়! জয়পুরে একটি টি-২০ ম্যাচে আকাশ চৌধুরী নামে এক পনেরো বছরের ক্রিকেটার বিপক্ষের ১০ উইকেট তো নিয়েছেনই, তার সঙ্গে তিনি একটিও রান করতে দেননি বিপক্ষের ব্যাটস্ম্যানদের৷ ক্রিকেটে এই রকম বিরল ঘটনা সম্ভবতঃ এই প্রথম৷ সাবাশ আকাশ৷

 

ধারাভাষ্যকার রূপে আশীষ নেহরা

ভারতের প্রখ্যাত ক্রিকেট তারকা পেস বোলার আশীষ নেহরা দেশের হয়ে আর ক্রিকেট মাঠে খেলতে নামবেন না৷ তবে ক্রিকেট মাঠে তাঁকে অন্য রূপে দেখা যাবে৷ চলতি ভারত-শ্রীলঙ্কা টেস্ট সিরিজে আশীষ ধারাভাষ্যকার হিসেবে কাজ করবেন৷ তাঁর পাশে থাকবেন তাঁরই সতীর্থ বীরেন্দ্র সেহবাগ৷ জানা গেছে ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে যে তিনটি টেস্ট হবে তার সবকটিতেই নেহরা ধারাভাষ্যকার হিসেবে খেলার বিশ্লেষণ করবেন৷ জাহির খানের সমসাময়িক এই পেসার জানিয়েছেন নতুন  ভূমিকায় ক্রিকেটকে উপভোগ করার ইচ্ছা ছিল আগেই থেকেই৷ সেটা বাস্তবায়িত হচ্ছে জেনে নেহেরা খুব খুশী৷

প্রাউট–প্রবক্তা প্রভাতরঞ্জনের সাহিত্য চেতনা

ডঃ গোবিন্দ সরকার,  প্রাক্তন অধ্যাপক, নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন আবাসিক মহাবিদ্যালয়

পূর্ব প্রকাশিতের পর