February 2018

টীম ইণ্ডিয়ার বিশ্বকাপ জয় - বিশ্বকাপ জয়ে একক কৃতিত্ব কারোই নেই ঃ দ্রাবিঢ়

ভারতীয় ক্রিকেট দলের যুব বিশ্বকাপ জয়কে অভাবনীয় বললেও তরুণ ক্রিকেটারদের আরও ভাল খেলার পরামর্শ দিয়েছেন দলের হেডস্যার রাহুল দ্রাবিঢ়৷ তাঁর বক্তব্য প্রতিযোগিতায় আগাগোড়া ভারত বিপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টি করে খেলতে পেরেছে৷ পারফরমেন্সের বিচারে ব্যষ্টিগতভাবে কেউ কেউ অকল্পনীয়ভাবে সহ খেলোয়াড়দের ভুলত্রুটিকে সামলে নিয়ে দলের জয়কে অব্যাহত রেখেছে৷ তার মানে এই নয় কোন একজন বা কয়েকজনের জন্যে ভারত বিশ্বকাপ জয় করেছে৷ এই বিশ্বকাপ জয়ের কৃতিত্ব দলের প্রতিটি সদস্যের৷

যুদ্ধায় কৃত নিশ্চয়

জগতে যেসব বস্ তুকে আমরা নিত্য বলে মানি তাদের নিত্যতাপ্রদানকারীও  পরমপুরুষ৷ বস্ তু হ’ল প্রতিফলিত সত্তা–রিফ্লেক্টেড এণ্ঢিটি৷ চেতন বস্ তুর মনঃশক্তিও তাঁর থেকেই এসেছে৷ তিনি সকলের প্রয়োজনের পূর্তি ঘটান–পিঁপড়ে থেকে হাতী পর্যন্ত, ছোট ছোট জীব থেকে সমুদ্রের বড় বড় জানোয়ার পর্যন্ত সকলের৷ এতই উদার তিনি৷ সেইজন্যেই তিনি জগতের কর্তা, অধিকর্তা, প্রভু৷ এই রকম উদারতা লাভ করতে পারলে তুমিও তিনি হয়ে যাবে৷

সংবিধান সংশোধন

আজকের পৃথিবীতে সকল দেশের সংবিধানেরই কম–বেশী সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে৷ সংবিধান প্রসঙ্গে কতকগুলো বিশেষ বিশেষ সংশোধনের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে৷

নীলকণ্ঠ দিবস

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

১২ই ফেব্রুয়ারী ‘নীলকণ্ঠ’ দিবস৷ আনন্দমার্গের ইতিহাসে এক স্মরণীয় দিন৷ আজ থেকে ৪৫ বছর আগে ১৯৭৩ সালের ঘটনা৷ পটনার বাঁকিপুর সেন্ড্রাল জেলে মিথ্যা অভিযোগে বন্দী মার্গগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূত্তিজীক্ হত্যার উদ্দেশ্যে ওষুধের নামে প্রাণঘাতী মারাত্মক বিষ প্রয়োগ করা হয়৷ কিন্তু মার্গগুরুদেব সেই বিষকে আত্মস্থ করে তাঁর প্রতিক্রিয়া নষ্ট করে দেন৷

মার্গগুরুদেব এই বিষ প্রয়োগের বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবী করেন৷ সরকার তাঁর দাবীতে কর্ণপাত করেনি৷ এরপর ১লা এপ্রিল (১৯৭৩) তিনি এই দাবীতে অমরণ অনশন শুরু করেন৷ এই ঐতিহাসিক অনশন চলেছিল পাঁচ বছর চার মাস দুই দিন৷

মধু

আয়ুর্বেদাচার্য

হৃদরোগের চিকিৎসায় মধু

দুর্বল হৃৎপিণ্ডের পক্ষে মধু এক বল দানকারী উৎকৃষ্ট পানীয়৷ মধু প্রয়োগের ফলে শরীর বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করে দেখেছেন হৃৎপিণ্ডের মাংসপেশী অধিক সবল ও সাবলীল ভাবে কাজ করতে পারে৷ মধু খেলে রক্ত বাড়ে ও নাড়ীগুলির প্রসারণ ঘটে, তাতে রক্ত সঞ্চালন সহজতর হওয়ায় হৃৎপিণ্ডের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে না৷ হৃদ্রোগীরা স্বস্তি অনুভব করেন৷ এছাড়া সহজে পাচ্য গ্লুকোজ যথেষ্ট পরিমাণে মধুতে রয়েছে যা দ্রুত রক্তের সঙ্গে মিশে যেতে পারে আর সর্বক্ষণ কর্মব্যস্ত হৃদযন্ত্রের ক্লান্ত মাংস পেশীকে সবল করে তুলতে পারে৷

পরিপাকক্রিয়া বৃদ্ধির সহায়ক

বেদ রচনার কাল

ঋগ্বেদ অনেক প্রাচীনকালের৷ তবে জৈনযুগের বেশকিছু পূর্বের কৃষ্ণদ্বৈপায়ণ ব্যাস বেদের প্রাচীনতম অংশ, মধ্যযুগীয় অংশ ও শেষ যুগের  অংশকে তিনটি পৃথক ভাগে বিভক্ত করে দেন৷ আমি এখানে ‘জৈনযুগের বেশকিছু পূর্বেই’ ব্যবহার করলুম কারণ প্রাকৃত ভাষায় রচিত জৈনশাস্ত্রে বেদগুলির উল্লেখ রয়েছে৷ বেদগুলি রচিত সংসৃক্ত ভাষার প্রাচীন রূপে, জৈন শাস্ত্রগুলি রচিত সংসৃক্তজ প্রাকৃত ভাষায়৷ জৈনধর্মের প্রবক্তা বর্দ্ধমান মহাবীরের জন্ম হয়েছিল আজ থেকে আড়াই হাজার বছরের কিছু পূর্বে আর প্রাকৃত ভাষার জন্ম হয়েছিল আজ থেকে আনুমানিক চার হাজার বছর থেকে পাঁচ হাজার বছর পূর্বে৷ তাই বেদের যে অংশ যত অর্বাচীন রূপেই গণ্য হোক না কেন, তা অবশ্যই পাঁ

দাদাঠাকুরের চিঠি

সাধনা

ছোট্ট ভাইবোনেরা, তোমরা সবাই ছাত্র–ছাত্রা, প্রতিদিন তোমাদের বিদ্যালয়ের পাঠ শিখতে পড়তে হয়৷ তোমরা কোন একটা পাঠ বার বার পড়, আবার কিছুক্ষণ পরে ভুলে যাও, তাই না? বিদ্যালয়ের পড়া সহজে তোমাদের মনে থাকতে চায় না৷ অথচ যখন টেলিবিসনে কোনও কাহিনী দেখ বা কোনও গল্প শোন বা পড় তখন সেটা তোমাদের অনেকদিন মনে থাকে৷ কেন এমন হয় বলতে পার কি? না, এর কারণ হলো তোমার মনের একাগ্রতা৷ যখন তুমি কোন কিছু মনোযোগের সঙ্গে পড়ো বা শোনো বা দেখো তখন সেটা তোমার মনে থাকে৷ কিন্তু যখন চঞ্চল মনে কোন কিছু পড়ো, দেখো বা শোনো তখন তা আর মনে থাকে না৷

‘মধুর চেয়েও আরও মধুর আমার বাংলা ভাষা’ প্রভাতসঙ্গীত

২১শে ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বাংলা ভাষা–শহীদদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করব ৷ সেই সঙ্গে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করব শিলচরের ১১ জন বাংলা ভাষা–শহীদকেও (১৯৬১–১৯শে মে)

মানব ধর্ম

বৃক্ষলতার কিছু বিশেষ গুণ আছে৷ যেমন, মাটির নীচে থেকে রস টেনে নেওয়া৷ মানুষ নিতে পারে না৷ জন্তু–জানোয়াররাও নিতে পারে না৷ কিন্তু বৃক্ষলতারা মাটির থেকে রস টেনে নিতে পারে৷ বাতাস থেকেও এরা কিছু খাদ্য নেয়৷ যদিও জীবজন্তু, মানুষও কিছুটা তা করে, কিন্তু উদ্ভিদের মত অতটা নয়৷ একে আমরা বলতে পারি উদ্ভিদ–ধর্ম৷ বৃক্ষলতা পায়ের সাহায্যে খাদ্যগ্রহণ করে৷ তোমরা জান কি না?

প্রগতিশীল সমাজতন্ত্র

এ পৃথিবীতে পুরোপুরি স্ব–নির্ভর কেউ নয়৷ প্রত্যেকেই কোন না কোন ভাবে অন্যের ওপর নির্ভরশীল৷ প্রত্যেকেই নিজের অপূর্ণতা অন্যের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে পূরণ করে’ নেয়৷ যখনই কোন বিরাট জনগোষ্ঠী এইভাবে পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে নিজেদের অপূর্ণতা পূর্ণ করার চেষ্টা করে, তখনই তাকে আমরা ‘সমাজ’ বলে’ থাকি৷ সামবায়িক প্রচেষ্টার দ্বারা সমস্ত সমস্যার সমাধানের মধ্যেই যথার্থ সমাজ প্রতিষ্ঠার তাৎপর্য্য৷