২১শে ফেব্রুয়ারীর শপথ
১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারী বাঙলার ইতিহাসে–এখন আর শুধু বাঙলার ইতিহাসে নয় পৃথিবীর ইতিহাসেই এক স্মরণীয় দিন৷
- Read more about ২১শে ফেব্রুয়ারীর শপথ
- Log in to post comments
১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারী বাঙলার ইতিহাসে–এখন আর শুধু বাঙলার ইতিহাসে নয় পৃথিবীর ইতিহাসেই এক স্মরণীয় দিন৷
লক্ষণ ঃ আক্রান্ত স্থানে কাটা–ছেঁড়ার মত যন্ত্রণা, অতিরিক্ত অসহিষ্ণুতা বোধ, স্পর্শকাতরতা, দুর্বলতা, বমনেচ্ছা প্রভৃতি এই ব্যাধির প্রধান লক্ষণ৷ রোগটির প্রথম অবস্থায় রোগী বিশেষ কোন যন্ত্রণা অনুভব করে না, তাই প্রথমের দিকে রোগটি প্রায়শই উপেক্ষিত হয়৷
বাংলা আমার দেশ, বাংলাকে ভালবাসি
বাংলার দুঃখে কাঁদি বাংলার সুখে হাসি৷
বাংলার ভাইবোনেরা মোর খেলারই সাথী
বাঙালীর হিয়া অমরা ঢেলে যায় প্রীতিনীতি
বাংলার ফুল ফল জল প্রভাতের স্মিত শত দল৷
যুগান্তরের নিরাশার কুযাশা দিক নাশি
বাঙলীর যত আশা বাঙালীর প্রিয় ভাষা
বিশ্বৈকতাবাদে ফিরে পাক প্রত্যাশা
বাঙালীর ছেলেমেয়েরা বাঙালীর বোধি পসরা
সার্থক হোক হে প্রভু মহতের ভাবে মিশি৷
একুশের এই ফেব্রুয়ারী
আমি কি ভুলতে পারি?
এই দিনেতেই ডাকার (ঢাকা) বুকে
যুদ্ধ হয় যে জারি৷
রফিক, জব্বর, বরকত মিলে
বাংলা ভাষা রক্ষায়,
খান সেনাদের বুলেট খেয়ে
অমর হয়ে যায়৷
আজকের এই মহান দিনে
শপথ নেওয়া চাই,
বাংলা ও বাঙালীর মোরা
দুঃখ যেন ঘুচাই৷
মতদ্বন্দ্ব যতই থাকনা
তারে শিকেয় তুলে,
বাঙালীর ভাব–ভাষার টানে
যাই যেন সব ভুলে৷
আর চাই সৎ রাজনীতি
প্রশাসনের স্বচ্ছতা
তা হলেই দুই বাঙলাই
পাবে বেশি মান্যতা৷
মরুবুকে হারায়েছে নদী
শ্যামলিমা গেছে সব মুছে
কাঁদিয়াছি কত যুগ ধরে
মানুষ সরে গেছে দূরে৷
পাখীরা দল বেঁধে এসে
বলে গেছে যাবে ব্যথা সরে
কৃপাবারি আসিয়াছে নামি
প্লাবন জাগিয়াছে বুকে৷
কতকাল অপেক্ষার পরে
আসিয়াছে ফিরে সেই তান
যে তান করেছে মহান
এ ধরার প্রাণে বারে বারে
মাটির কাছাকাছি আছে যারা
তারাই কী শুধু শাস্তি পাবে?
বন্যায়, রোগে, প্রাকৃতিক দুর্যোগে
শিকার হবে কী শুধু বার বার
রেমো, শ্যেমো যারা?
আকাশের পুষ্পরথে চড়ে
নির্মম ধবংসের কাণ্ড দেখে
ছিটে–ফোঁটা আর্তের ত্রাণে
দায়সারা নেতাদের কাজে
কখনো বাঁচে না তারা
মানবতা পথে পড়ে কাঁদে
সভ্যতার নামে এটা নিষ্ঠুর পরিহাস৷
কোটি কোটি মানুষের ন্যায্য সম্পদ
কুক্ষিগত করে রাখে যারা
তাদের দুয়ারে আজ পরোয়ানা জারি
হয়ে গেছে রক্ষা কেহ
পাবে নাকো আর৷
যে আইন যে শাসন
‘‘যত্র বিদ্বজ্জনো নাস্তি শ্লাঘ্যস্তত্রাল্পধীরপ্৷
নিরস্তে পাদপে দেশে এরণ্ডোহপি দ্রুমায়তে৷৷’’
যেখানে সত্যিকারের বিদ্বান নেই সেখানে অল্পজ্ঞ ব্যষ্টিও শ্লাঘ্য অর্থাৎ বরণীয় রূপে গণ্য হন৷ যেমন যেদেশে বৃক্ষ নেই সেদেশে এরণ্ড (রেড়ির গাছ) বৃক্ষ রূপে সম্বোধিত হয়ে থাকে৷ ওপরের কথাটির কী জুৎসই বাংলা হবে একদিন আমি তা ভাবছিলুম৷ ভাবতে ভাবতে চলেছি হুগলী জেলার বেলুন গ্রামের পাশ দিয়ে৷ সবে সন্ধে হয়েছে৷ হঠাৎ দেখি দীর্ঘকায় দুই নারী নাকী সুরে চীৎকার করছে–একজনের হাতে আঁশবঁটি, অন্যের হাতে মুড়োঝাঁটা৷ তাদের নাকী সুরে বুঝলুম তারা মানবী নয়–পেত্নী৷ কথা শুনে মনে হল তারা দুই জা৷
আগরতলা ঃ ত্রিপুরায় আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ‘আমরা বাঙালী’ দলের পক্ষ থেকে ২৪টি কেন্দ্রে প্রার্থী দেওয়া হয়েছে৷ ‘আমরা বাঙালী’ দলের বক্তারা বিভিন্ন সভাতে তাদের বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেছেন, ত্রিপুরার সার্বিক উন্নতি চাইলে বর্তমান সি.পি.এম শাসিত বামফ্রন্ট সরকারকে অবিলম্বে ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে৷ কারণ গত ৩৫ বছরে বর্তমানে শাসকদল ত্রিপুরার কোনো সমস্যারই সমাধান করতে পারিনি৷ উপরন্তু সিপি.এমের সন্ত্রাস খুন, বিভিন্ন বিরোধী দলের ওপর নির্যাতন, হেনস্থা ও বিরোধীদলের নেতাদের ওপর লাগাতার আক্রমণ, শিশুহত্যা, নারী-হত্যা, নারী-নির্যাতন ইত্যাদি সবরকম অপকর্ম ত্রিপুরার একটা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ তাই
মনীষীরা বলেছেন, মাতৃভাষা মাতৃদুগ্ধের সমান৷ অথচ স্বাধীনতার ৭১ বৎসর পরে স্বাধীন ভারতের কোটি কোটি বাঙালী স্বভূমিতে মাতৃভাষা থেকে বঞ্চিত৷ সাম্রাজ্যবাদী তথা শোষক শ্রেণীর চক্রান্তে স্বাধীন ভারতে বাঙলাকে ছিন্ন ভিন্ন করে অসম, ত্রিপুরা, ঝাড়খণ্ড বিহার ও ওড়িশার সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে৷ ভারত স্বাধীন হওয়ার পর গণপরিষদে ভাষাভিত্তিক রাজ্য তৈরীর প্রস্তাব করা হয়৷ অন্যভাষার ক্ষেত্রে এই প্রস্তাব কার্য্যান্বিত করা হলেও বাংলার ক্ষেত্রে কিন্তু তা করা হ’ল না৷ পরন্তু প্রথমতঃ সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ শাসক ও ক্ষমতালোভী তৎকালীন কংগ্রেস নেতৃত্বের চক্রান্তে বাঙলার বৃহদংশকে পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত করা হল৷ আগে থেকে
গত ১২ই ফেব্রুয়ারী দিনটিকে দেশে বিদেশে সর্বত্র আনন্দমার্গীরা ‘‘নীলকন্ঠ দিবস’’ হিসেবে পালন করেন৷ কারণ, ১৯৭৩ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারী তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকার সিবিআই-এর মাধ্যমে সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগে আনন্দমার্গের প্রতিষ্ঠাতা শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীকে গ্রেফতার করে তাঁকে হত্যা করার জন্যে তাঁর ওপর বিষপ্রয়োগ করা হয়েছিল৷ অবশ্য শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী তাঁর ঐশী শক্তিবলে পাপশক্তির ষড়যন্ত্রকে ব্যর্থ করে ওই বিষকে আত্মসাৎ করে নিয়েছিলেন৷