March 2018

আন্তর্জাতিক নারী দিবসে বাঙালী মহিলা সমাজের মিছিল  ও স্মারকলিপি  প্রদান

শিলিগুড়ি ঃ গত ৮ই মার্চ বাঙালী মহিলা সমাজের  পক্ষ থেকে শিলিগুড়িতে  বিভিন্ন কর্মসূচীর  মাধ্যমে  আন্তর্জাতিক  নারী  দিবস পালিত হয়৷  পণপ্রথা, নারী নির্র্যতন, নারীদের ওপর পাশবিক অত্যাচার প্রভৃতির প্রতিবাদে বাঙালী মহিলা সমাজের  পক্ষ থেকে এক  মিছিলের  আয়োজন  করা হয়৷ ওই মিছিলটি শহর পরিক্রমা করে মহকুমা শাসকের দফতরে এলে  মহকুমা শাসক মারফৎ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর  নিকট বিভিন্ন দাবীতে এক স্মারকলিপি প্রদান করা হয়৷ এই স্মারকলিপি  প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন বাঙালী মহিলা সমাজের  জেলা সচিব জয়া সাহা, কার্যালয় সচিব কমলা সাহা, রাণু সাহা, শুক্লা সাহা ও আরও অনেকে৷ স্মারকলিপি প্রদানের পরে মহকুমা শাসকের দফতরের

আধার কার্ডের সময়সীমা বাড়ল

সম্প্রতি সংবাদে প্রকাশ যে, ৩১শে মার্চের মধ্যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউণ্টে প্যান কার্ড বা সিম কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড সংযুক্তিকরণ না করলেও চলবে৷ সম্প্রতি আধার মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে রয়েছে৷ সুপ্রিম কোর্টের রায় দানের সময় পর্যন্ত আধার কার্ডের সংযুক্তিকরণের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে৷

প্রকাশ থাকে যে নতুন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউণ্ট খুলতে তৎকাল পাসপোর্টের আবেদনে আধার লাগবে৷ আধার না থাকলে আধার কার্ডের আবেদন করার আবেদন পত্রের সংখ্যা দিলেই হবে৷

গোড্ডায় আনন্দমার্গের ধর্ম মহাসম্মেলন

গত ১০ ও ১১ই মার্চ ঝাড়খন্ডের গোড্ডা শহরের স্থানীয় টাউনহলে  আনন্দমার্গের ধর্মমহাসম্মেলনে আনন্দমার্গের  পুরোধা প্রমুখ  আচার্য কিংশুকরঞ্জন সরকার  আধ্যাত্মিক প্রবচন দান করে,সমবেত ভক্তমন্ডলীকে আধ্যাত্মিক  সাধনায় উদ্বুদ্ধ করেন৷ তিনি বলেন, যে কাজের দ্বারা মানুষের প্রগতি সূচিত হয় তাই প্রকৃত  ‘কর্ম-পদবাচ্য’৷ মানবজীবনের অবশ্যকরণীয় নিত্যকর্ম হ’ল আহার, স্নান, বিশ্রাম আর আধ্যাত্মিক সাধনা৷ আহার, স্নান, বিশ্রাম মানুষের  অস্তিত্ব রক্ষার  জন্যে অবশ্য করণীয়৷ কেননা, মানুষের  অস্তিত্ব রক্ষা না হলে  তার প্রগতির  প্রশ্ণ  ওঠে না৷ তাই  এগুলো নিত্যকর্মের  মধ্যে পড়ে৷ আর, মানবজীবনের  প্রকৃত প্রগতি হয় আধ্যাত্মিক সাধনার

পরমপুরুষের অনেক নাম

গোপাল ঃ পরমপুরুষের একটি নাম হ’ল গোপাল৷  সংস্কৃতে ‘গো’ অর্থে কর্মেন্দ্রিয় ও জ্ঞানেন্দ্রিয় উভয়কেই  বোঝায়, আর  ‘পাল’ মানে  যিনি পালন  করেন৷

ধর, একটা মানুষ৷ এখন তার কেবল শরীরটাই রয়েছে, মন নেই আত্মা  নেই কিংবা চিতিশক্তি বা ভূমাচৈতন্যও অবর্ত্তমান ৷ তাহলে সেই  মানুষটা সমস্ত ইন্দ্রিয় থাকা সত্ত্বেও  কাজ করতে পারবে না৷ গোপাল মানে হ’ল জীবাত্মা.....অণুচৈতন্য৷

গোবিন্দ ঃ সংস্কৃতে ‘গো’ মানে হ’ল কর্মেন্দ্রিয় ও জ্ঞানেন্দ্রিয়  সমূহ৷ আর ‘বিন্দ’ মানে যিনি কোনো  সত্তা  বিশেষের বৈশিষ্ট্যকে স্ফূর্ত্তি ও প্রগতির  ব্যাপারে  সহায়তা করেন৷ তাই ‘গোবিন্দ’ মানেও  দাঁড়াচ্ছে অণুচৈতন্য ৷

পৃথিবীর জলসম্পদের সংরক্ষণ

শুরুতে পৃথিবী গ্রহে বিরাজ করত চরম নীরবতা–কোনো জীবিত সত্তাতো ছিলই না, এমনকি গাছপালাও জন্মায়নি৷ লক্ষ কোটি বছর ধরে এই অবস্থা চলেছিল৷ তারপর পৃথিবী অনেক ভূতাত্ত্বিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে চলে উপযুক্ত ভাবে তৈরী হ’ল৷ এরপরে এক স্তরে পৃথিবীর বুকে নেবে এল বৃষ্টিধারা, শুরু হ’ল ঝড়ঝঞ্ঝা৷ এইভাবে ক্রম–পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে জীবনের উদ্ভব হ’ল৷ বৃষ্টির ফলেই কার্বণ পরমাণুতে প্রাণশক্তি সঞ্চারিত হ’ল৷ কার্বণ পরমাণু–সমন্বিত প্রোটোপ্লাজমিক সংঘর্ষ–সমিতি জন্ম দিল এই প্রাণ শক্তির৷

শিক্ষাব্যবস্থার আমূল সংস্কার দরকার

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

এ বছর মাধ্যমিক  পরীক্ষা দিচ্ছে ১১ লক্ষাধিক  ছাত্র-ছাত্রা৷ নিঃসন্দেহে  এদের বৃহদংশ মাধ্যমিকের গন্ডী ছেড়ে, মাধ্যমিক পাশ করে  বেরিয়ে আসবে ৷  এদের একটা বড় অংশ উচ্চমাধ্যমিক বা অন্য কোনো  শিক্ষাক্ষেত্রে প্রবেশ করবে৷ এমনিভাবে উচ্চমাধ্যমিকেও লক্ষ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রা পাশ করে  বেরুবে৷ এমনি করে  কলেজ  বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে  লক্ষ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রা পাশ করে বেরুবে৷ এইভাবে প্রতিবছরই  লক্ষ লক্ষ  ছাত্রছাত্রা কৈশোরের আনন্দময়  জীবনের  গন্ডী ছাড়িয়ে সংসারের রণক্ষেত্রে প্রবেশ করছে৷ দুরুহ জীবন সংগ্রামে তাদের  নামতে হচ্ছে৷ এদের  ভবিষ্যৎ কী? 

গণতন্ত্রের স্বার্থেই লোকপাল  নিয়োগ আবশ্যিক

প্রভাত খাঁ

গত ৭০ বছর আগে  মহান দেশ ভারতবর্ষকে সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে ভাগ  করে নিছক রাজনৈতিক স্বাধীনতা পেতে সাম্রাজ্যবাদী  শক্তি সাহায্য করায় আমরা রক্তাক্ত দেশ জননীকে পাই৷ এতোদিন ধরে  বিভিন্ন রাজনৈতিক দল দেশকে শাসন করে আসছে ৷ তারমধ্যে কত যে ঘটনা ঘটে গেছে হিসাব নেই৷  এদেশের বহুদলীয় গণতন্ত্রের দলগুলির যে কত রূপ দেখেছি তাও এক  বিস্ময়কর৷ রাজনৈতিক ক্ষমতা লাভের জন্য কতো দল ঢং করে বিরোধী দলে  ঢুকে বন্ধু সেজেছে তাও এক মহাভারত৷  কংগ্রেসের মিলিজুলি সরকার গত ২০১৩ সালে শেষের মূহূর্তে লোকপাল ও লোকায়ুক্ত আইন পাশ করে  কিন্তু  এখনও  পর্য্যন্ত লোকপাল গঠন হয় নি৷ গত ২০১৭তে উল্টে মোদি সরকার  বিজেপি শাসিত এই আইন সংশোধনের

মানব এক বহমান নদী

যে নদীর সাক্ষী সে নিজে, তার ‘আমি’ বোধ৷ বহু কাল পূর্বে গ্রীক দার্শনিক হেরাক্লিটাস এর বিখ্যাত উক্তি, তুমি এক নদীতে দুর্বার নাইতে পার না : কারণ প্রতি ক্ষণে বহমান নদী স্থান বদলায়, যে জল তোমাকে এক লহমায় ছুঁয়ে গেল, চিরতরেই গেল, কোনদিন সেই ছঁুয়ে যাওয়া জলকে তুমি ফিরে পাবে না৷ নদী থাকবে, জল তরঙ্গও থাকবে কিন্তু অতীতের সেই জলকণা যারা তোমাকে ছঁুয়ে গেছিল, তারাতখন হারিয়ে গেছে৷ আছে শুধু নোতুন নদীর নোতুন জল, এক নিমেষের  জন্য৷ আধুনিক দেহবিজ্ঞান মতে  দেহ, মন ও অন্তর নদীর মতই বহমান৷ কিছু আগে যা ছিলনা, এখন তো আছে, আবার এখন যা আছে অল্প  পরে তা থাকবে না৷ কিন্তু কোন স্থান তো শূন্য থাকবে না, অন্য কিছু  সেই শূন্যস্

জনগণ সাবধান!!

পি. এন. এ.

ইন্দো আমেরিকান হসপিটাল I.A.H) ও দক্ষিণ ডানকোটা (ইউ এস এ) -এর চেয়ারম্যান ও  সি. এম. ও ডঃ অঞ্জলি মাথুর সহ একদল গবেষক ডাক্তার মিলে জনস্বার্থে নিম্নলিখিত এই তথ্যটি প্রচার করেছেন৷

নদীয়া জেলার মদনপুরে আনন্দমার্গ সমাজশাস্ত্র অনুসারে  শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

মদনপুর, নদীয়া ৪ঠা মার্চ ঃ নদীয়া জেলার মদনপুরে প্রবীণ আনন্দমার্গী শ্রী প্রীতিভূষণ সরকারের সহধর্মিনী ও পিণ্টু সরকারের মাতৃদেবী পবিত্রা সরকার গত ২৫শে ফেব্রুয়ারী পরলোকগমন করেন৷ গত ৪ঠা মার্চ প্রীতিভূষণ সরকারের বাসগৃহে শতাধিক আত্মীয়-পরিজন ও আনন্দমার্গের সদস্যবৃন্দের উপস্থিতিতে আনন্দমার্গের সমাজশাস্ত্র অনুসারে তাঁর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়৷ শুরুতে প্রভাত সঙ্গীত, মানবমুক্তির মহামন্ত্র বাবা নাম কেবলম্ পরিবেশন করেন কৌশিক সরকার, রাজলক্ষ্মী বণিক, অবধূতিকা আনন্দ বিভূকণা আচার্যা, তনুকা সরকার প্রমুখ৷ মিলিত সাধনা, গুরুপূজা ও স্বাধ্যায়ের পরে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়৷ শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন আচার্য বা