প্রাউটের নব্যমানবতাবাদের আলোকে ভারতের সার্বিক সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিকাশের পথের সন্ধান
বর্ত্তমান ভারতে প্রায় ১১৬৫২১০ টি গ্রাম, ১১৬৫২১টি পঞ্চায়েত, ব্লক এর সংখ্যা প্রায় ৬৮৮৪টির বর্ত্তমানে কিছু বেশী হতে পারে৷ যেহেতু লোক সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে৷
বর্ত্তমান ভারতে প্রায় ১১৬৫২১০ টি গ্রাম, ১১৬৫২১টি পঞ্চায়েত, ব্লক এর সংখ্যা প্রায় ৬৮৮৪টির বর্ত্তমানে কিছু বেশী হতে পারে৷ যেহেতু লোক সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে৷
শেওড়াফুলি ঃ গত ১৭ই মার্চ শ্রীরামপুর আনন্দমার্গ প্রাইমারী স্কুলের সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হয়৷ এই অনুষ্ঠানে শ্রী প্রভাত খাঁ সভাপতিত্ব করেন৷ প্রবীণ আনন্দমার্গী কৃষ্ণচন্দ্র ভড় প্রধান অতিথি, গোঁরাচাদ শেঠ, (কমিশনার বৈদ্যবাটী পৌরসভা) বিশেষ অতিথি পদ অলঙ্কৃত করেন৷ এছাড়াও অশোক চক্রবর্ত্তী (স্কুলের চেয়্যারম্যান), কৃষ্ণচন্দ্র সোম (প্রাক্তন শিক্ষক, আনন্দমার্গ স্কুল), জ্যোতিবিকাশ সিন্হা (সদস্য স্কুল কমিটি) সভা অলঙ্কৃত করেন৷ অনুষ্ঠানটির সূচনা হয় আনন্দমার্গের প্রাণপুরুষ শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে৷ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রাগণের সংগচ্ছধবং মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে সাং
প্রাক্–মহাভারতীয় যুগে মেয়ের বিয়ে দেওয়া তেমন কোন বোঝা ছিল না৷ তাই মেয়ের জন্যে আদর একটুও টোল খেত না৷ সেকালে গোরুর দুধ দোয়া মেয়েদের কাজ ছিল৷ ওই কাজকে পবিত্র কাজ বলে মনে করা হ’ত৷ তাই দুহ্+ তৃচ্+ টা করে ‘দুহিতা’ শব্দটি মেয়েদের জন্যে ব্যবহার করা হ’ত৷ দুহিতা> জুহিআ> ঝি> ঝি – ভাশুরঝি, বোনঝি, দেওরঝি, ভাইঝি ইত্যাদি৷ ওড়িয়ায় ‘ঝি’ শব্দ এখনও চলছে৷ ‘দুহিতারুকী’ শব্দসঞ্জাত ‘ঝিউড়ী’ শব্দটিও প্রাচীন বাংলায় ভালভাবে চলত৷ গ্রাম–বাঙলার বর্ণনার দিতে গিয়ে মধ্য বাঙলার বর্ণনায় বলা হয়েছে – ‘‘কত বহু ঝিউড়ী সারি সারি জলে ভেসে যায়’’৷ মহাভারতীয় যুগে মেয়ের কদর কমে এল বিয়েতেও খরচ হতে শুরু হ’ল৷ তবে লোকে ‘দুহিতা’ শব্দ
দিকে দিকে নারী নির্যাতন, নারীর শ্লীলতাহানি, যৌন হয়রানি, ধর্ষণ ও খুনের বিরুদ্ধে সর্বত্রই প্রতিবাদ আন্দোলন সংঘটিত হচ্ছে৷ সাধারণ মানুষ থেকে বুদ্ধিজীবী সকলেই এসব ঘটনার বিরুদ্ধে সরব৷ মৌন মিছিল, মোমবাতি মিছিল থেকে রাষ্ট্রপতির কাছে দরবার সবই হচ্ছে৷ এসব পাশবিক ঘটনার প্রতিবাদে পাশবিকতার বিরুদ্ধে জনসাধারণের এই স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ নিঃসন্দেহে একটা ভালো দিক৷ মানূুষের এই শুভ উদ্যোগের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি কেউই কিন্তু এই ধরণের জঘন্যতম অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পেছনে যে মূল কারণগুলি নিহিত আছে সেগুলির ব্যাপারে বিশেষ আলোকপাত করতে চাইছেন না বা করছেন না৷ আর এখানেই রয়ে যাচ্ছে ত্রুটি৷ অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পর অপরাধীর
বসন্ত ঋতু বিদায় নিয়ে এই বাঙলায় গ্রীষ্ম আসছে৷ গ্রীষ্মকাল মানেই গরমকাল৷ গরমে শারীরিক অস্বস্তি ও নানান রোগ–ব্যাধি দেখা দেয়৷ বলতে গেলে ছয় ঋতুর প্রভাব এই পশ্চিমবঙ্গে দেখা যায়৷ আর প্রতিটি ঋতুর আগমনই আমাদের কাছে আনন্দদায়ক৷ তবে প্রতিটি ঋতুর মত গ্রীষ্মেরও ভাল ও মন্দ দু’দিক রয়েছে৷ একটু সচেতন থাকলে গ্রীষ্মের এই মন্দ অর্থাৎ রোগ–ব্যাধি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব বলে চিকিৎসকদের অভিমত৷ এই গরমে চলতে ফিরতে সকলের অসুবিধা হয় ও আমরা সবাই কম বেশী শারীরিক ও মানসিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ি৷ সময়মত সচেতন না হলে অনেক সময় তা মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে৷ সাধারণত অতিরিক্ত গরমে যে সব সমস্যা দেখা দিতে পারে, সেগুলির কারণ ও প্রতি
ধ্যান বা মেডিটেশন শুধুমাত্র যাঁরা আধ্যাত্মিক চর্চা করেন বা অধ্যাত্ম নিয়ে যাঁরা ব্যস্ত থাকেন তাঁদেরই জন্যে–এই ধারণা সম্পূর্ণ ভ্রান্ত৷ দেশে–বিদেশে সাম্প্রতিক বেশ কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছে যে কোন রোগ মুক্তির ক্ষেত্রে ধ্যান বিশেষ ভাবে কাজ করে৷ সাধারণভাবে ধ্যান মানুষের মনকে এক জায়গায় স্থির করে একটি টেনশনমুক্ত মনের জায়গায় নিয়ে আসে৷ ঠিক এই মনের এক জায়গায় স্থিরকরণেরই ফলেই রোগমুক্তির প্রথম ধাপে পা দেওয়া শুরু৷ প্রখ্যাত অনেক গবেষকের ধারণা যে বয়স্ক্দের যে স্মৃতিভ্রংশজনিত সমস্যা তা অনেকটাই মুক্ত করতে পারে ধ্যান বা মেডিটেশন৷ যে মানুষটা কিশোর বা যৌবনে তাঁর নিজস্ব কাজে কর্মে যথেষ্ট চৌখস তথা দক্ষ ছিলেন
তুমি মানুষের সন্তান
তুমি বিধাতার সেরা দান৷
বুদ্ধি–বোধিতে তুমি
ছঁুয়েছ যে আসমান৷
হূদয়েতে তাঁকে রেখে
মানুষকে ভালোবাসো
ভালোবাসো তরুলতা
পশুপাখি ভালোবাসো৷
আকাশ বাতাস মাটি
গিরি নদী ভালোবাসো
অপ্রাণিন্ যত আছে
সব কিছু ভালোবাসো৷
তোমার বুদ্ধি–শক্তি
হূদয়–গভীরে ভক্তি
মন প্রাণ দিয়ে
সব প্রাণী নিয়ে
এক পরিবার গড়ো –
তাতে আনন্দ ভরো৷
এ এক তত্ত্ব অভিনব
মানবতাবাদ – নব৷৷
আমি একটি ছোট্ট পাখি,
মনে অনেক আশা রাখি৷
বড় হব জয় করব,
পুরো বিশ্বখানি৷
উড়ে যাব আকাশপানে
ফিরব আবার ঘরের কোণে
সবারে আপন বলে জানি
গড়বো আবার নোতুন করে
সোনার বিশ্বখানি৷
অঙ্ক কষা তো হ’ল অনেক, বন্ধু,
অদৃশ্য খাতায়, জাগতিক নিয়মে
তবু কেন মেলে না জীবনের হিসাব---
যত করি গণিতের সূত্র প্রয়োগ
ততই যেন ঘুরে মরি রহস্যের গোলকধাঁধায়৷
উত্তর ও দক্ষিণ মেরু পরস্পর বিপরীত
তবে কেন তারা টানে উভয়কেই
ভিন্নমুখী নদীগুলি কেন মেশে মোহনায়?
কেন আলো ঝলমলে অট্টালিকার নীচে
ঝুপড়িতে জ্বলে টিমটিমে টিনের প্রদীপ
দুইখাতে বয়ে যাওয়া দু’টি মন
কেন জীবন বীণায় সুর তোলে একসাথে
সুখের সংসার গড়ার প্রয়াসে?
এই বিশাল ধরিত্রীর জঙ্গম মানুষ
চাওয়া-পাওয়া, দেনা-পাওনার বেড়া ডিঙ্গিয়ে