July 2018

ভারতের গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা ধনীর তোষণ আর গরিব শোষণেই সদাব্যস্ত!

প্রভাত খাঁ

আজ ভারতের চিন্তাশীল সকল নিরপেক্ষ নাগরিককে ভাবতে হচ্ছে দেশ কোন পথে এগুচ্ছে৷ দেশের ভবিষ্যৎ-ই বা কী? এদেশের স্বাধীনতা লাভের মধ্যেই ছিল বিরাট পরিহাস! বিদেশী শাসকদের শোষণের হাত থেকে দেশের স্বাধীনতা রক্ষায় যাঁরা আত্মত্যাগ করেন তাঁদের মধ্যে কেউই চিন্তা করেন নি যে লক্ষ লক্ষ নিরীহ নরনারী, শিশুর সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে অকাল মৃত্যুর বিনিময়ে জন্মভূমিকে বিভক্ত করে এক অশুভ রাজনৈতিক স্বাধীনতা দেশের জনগণ লাভ করবে!

বেদ ও তন্ত্রের মৌলিক পার্থক্য

তন্ত্রের সঙ্গে বেদের আদর্শগত তফাৎ বেশী বললে যথেষ্ট হবে না, বলা উচিত খুব বেশী৷ তন্ত্র হ’ল সম্পূর্ণ বৈবহারিক (Practical), তন্ত্র অস্বাভাবিক কোন কিছুকে সমর্থন করে না৷ ফলে তন্ত্রের মধ্যে স্বাভাবিরতা থাকায় সেটা সমাজে সহজেই গৃহীত ও সহজেই আদৃত হয়৷ মানুষ একে সহজেই নিজের জিনিস বলে মনে করতে পারে৷ যেমন বেদে একটা শ্লোকে আছে---‘উত্তিষ্ঠত জাগ্রত প্রাপ্য ররান্ নির্োধত’--- ওঠো, জাগো, উপযুক্ত আচার্যের নিকট সত্বর উপস্থিত হও ও সাধনা মার্গে চলতে শুরু করো৷ এতখানিতে বেদ ও তন্ত্রে মিল আছে৷

সভ্যতা, বিজ্ঞান ও আধ্যাত্মিক প্রগতি

আজকের আলোচনার বিষয় হ’ল, সভ্যতা, বিজ্ঞান ও আধ্যাত্মিক প্রগতি৷ মানুষের বিভিন্ন ভাবের অভিব্যক্তির সামূহিক নাম ‘কালচার’ বা ‘সংস্কৃতি’৷ শুরুতেই আমি তোমাদের লে রাখছি, গোটা মানুষ জাতির সংস্কৃতি একটাই৷

কর্ষককুলের স্থায়ী কল্যাণ একমাত্র সমবায়ের  মাধ্যমেই সম্ভব

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

দেশের বেশিরভাগ অধিবাসীই গ্রামাঞ্চলের মানুষ৷  আর তারা  মূলতঃ কৃষির  সঙ্গে জড়িত৷ তার সঙ্গে  সঙ্গে  ওই কর্ষক পরিবারের অধিকাংশের  আবার  কৃষিতে কর্মসংস্থানের সুযোগ নেই৷ তারা  হয় আংশিক, নয়তো পূর্ণ বেকার৷

এদিকে সরকারী পরিসংখ্যান  থেকেই  জানা যায়, প্রতিবছর গড়ে  ১২ হাজার  কৃষিজীবী আত্মহত্যা করে৷  দারিদ্র্য,  ঋণ করে ফসল ফলিয়ে  প্রাকৃতিক  দুর্র্যেগের  ফলে ফসল নষ্ট হওয়া বা ফসলের দাম না পাওয়া প্রভৃতি নানাবিধ  কারণে  হতাশার  কবলে পড়ে তারা  আত্মহত্যা করে৷ তার সঙ্গে  এখন চাষী নয়, কিন্তু  এককালে  কৃষির  সঙ্গে  যুক্ত  ছিল এমন পরিবারের মানুষও দারিদ্র্যে, অনাহারে  আত্মহত্যা করতে বাধ্য  হচ্ছে৷

যোগ- মানুষের বৈয়ষ্টিক ও সামূহিক জীবনের কল্যাণের চাবিকাঠি

আচার্য পরাবিদ্যানন্দ অবধূত

সারা পৃথিবীতে ‘যোগ’ এখন একটি বিশেষ জনপ্রিয় নাম৷ যদিও ‘যোগ’ শব্দটা হয়ে গেছে ‘যোগা’৷ এর উৎপত্তিস্থল প্রাচীন ভারতের মুনি-ঋষি তথা যোগীদের আশ্রম৷ কিন্তু বর্তমান পৃথিবীতে ‘যোগ’ থেকে জাত ‘যোগা’ শব্দটির দ্বারা আমরা যা বুঝি কেবলমাত্র বিশেষ রকমের শারীরিক কসরৎ অর্থাৎ exercise  অর্থাৎ মহর্ষি পতঞ্জলির অষ্টাঙ্গিক যোগ সাধনার কেবলমাত্র ‘আসন’৷ না, এই আসন মানে যোগ নয়৷ আবার যদি আসনটিও দেহের জন্য ঠিকভাবে দৈনিক করতে হয় তাহলেও তা ঠিক শিক্ষকের কাছ থেকে শিখতে হয়---যাঁর শরীর বিদ্যা ও চিকিৎসা বিদ্যা সম্বন্ধে জ্ঞান আছে৷ যদি তা না করা হয় তবে লাভের থেকে ক্ষতির সম্ভাবনা বেশী থাকবে৷ উদাহরণ স্বরূপ---শীর্ষাসন৷ শীর্ষাসন সবা

আমতায় আনন্দমার্গের সেমিনার

হাওড়া ঃ গত ৬,৭,৮ জুলাই  হাওড়া জেলার  আমতাতে স্থানীয় আমতা মিটিং ১আনন্দমার্গ সুকলে আনন্দমার্গের এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়৷  এই সেমিনারে  শ্রীশ্রীআন্দমূর্ত্তিজীর আধ্যাত্মিক দর্শন ও সমাজদর্শন---‘প্রাউট’-এর বিভিন্ন দিকের  ওপর আলোচনা  করেন আচার্য তন্ময়ানন্দ অবধূত ও  আচার্য সর্বজয়ানন্দ অবধূত৷ এই সেমিনারে হুগলি, হাওড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, দুমকা প্রভৃতি জেলা থেকে  প্রায় দুই শতাধিক আনন্দমার্গী যোগদান করেছিলেন৷

এ্যামার্টের পক্ষ থেকে নিউব্যারাকপুরে রক্তদান শিবির

রক্তদান শিবির ১গত ৮ই জুলাই  নিউব্যারাকপুর  আনন্দমার্গ আশ্রমে আনন্দমার্গ ইয়ূনিবার্র্সল  রিলিফ টিম (এ্যামার্ট)-এর পক্ষ থেকে এক রক্তদান শিবিরের আয়োজন  করা হয়৷  এই রক্তদান শিবিরে ৩৫ জন স্বেচ্ছায় রক্তদান  করেন৷ এই রক্তদান  শিবিরটি পরিচালনা করেন আনন্দমার্গের  উত্তর ২৪ পরগণা জেলার  ভুক্তি  কমিটি৷ ভুক্তিপ্রধান  শ্রী সন্তোষ বিশ্বাস এই শিবিরে  নানাভাবে  যাঁরা সহযোগিতা করেছেন সবাইকে ধন্যবাদ জানান৷

কালীবাবুর ঘাটের ইলেক্ট্রিক চুল্লীটি দীর্ঘকাল অকেজো হয়ে পড়ে আছে

হুগলী জেলার অন্তর্গত শ্রীরামপুর পৌরসভার  চাতরা অঞ্চলের বহু পুরাতন শ্মশান ঘাটের  ইলেকট্রিক চুল্লিটি  কয়েকমাস যাবৎ অকেজো হয়ে পড়ে থাকায়  হুগলী জেলার বিরাট এলাকার মানুষ গঙ্গার ধারের শ্মশান ঘাটটিতে  শবদাহ করতে না পারায় অত্যন্ত অসুবিধার মধ্যে পড়েছেন৷  এই বিখ্যাত শ্মাশান ঘাটে দুর-দুরান্ত থেকে হিন্দুরা মৃতদেহের সৎকার  করতে আসেন৷  শ্রীরামপুর পৌরসভা  অনেকমাস ধরে এই শবদাহের চুল্লিটিকে অকেজো অবস্থায় ফেলে রেখেছে৷  শত আবেদন নিবেদনেও কোনও কাজ হচ্ছে না৷  বর্তমানে কাঠে শবদাহ বন্ধ আছে গঙ্গা দূষণ রোধ করার জন্যে৷  কিন্তু মৃত দেহ সৎকার বন্ধ করা তো উচিত নয়৷ বেদনাহত মানুষজন তাই বড়ই অসুবিধায় পড়েছেন শবদাহের সুযোগ ন

অখণ্ড কীর্ত্তন

গত ৪ ও ৫ জুলাই ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহাড়ী ব্লকের অন্তর্গত শিলদায় স্থানীয় আনন্দমার্গ সুকলে ২৪ ঘণ্টা ব্যাপী অখণ্ড নাম সংকীর্ত্তনের আয়োজন করা হয়৷ ৪ঠা জুলাই দুপুর ৩টা থেকে ৫ই জুলাই দুপুর ৩টা পর্যন্ত ‘বাবা নাম কেবলম্’ মহাসংকীর্ত্তন চলে৷ এই অখণ্ড কীর্ত্তনে স্থানীয় জনসাধারণ, স্কুলের অভিভাবক-অভিভাবিকাবৃন্দ, পার্শ্ববর্তী এলাকার আনন্দমার্গীরা ও আনন্দমার্গের বহু সন্ন্যাসী-সন্ন্যাসিনী উপস্থিত ছিলেন৷ কীর্ত্তনের পর মিলিত সাধনা, গুরুপূজার পর স্বাধ্যায়-অনুষ্ঠানে মার্গগুরুদেবের পুস্তক থেকে তাঁর প্রবচন পাঠ করে শোণান আনন্দমার্গ সুকলের প্রধান শিক্ষক শ্রী সুনীল কুমার সাধু৷ এরপর আনন্দমার্গের আদর্শ ও কীর্ত্তন সম্পর