October 2018

মুক্তির অধিকারী

আত্মজ্ঞানই হ’ল মুক্তির লক্ষণ, আর এই আত্মজ্ঞান মানুষ তখনই পায় যখন সে নিজ সুকর্মের ফলে মানুষের শরীর লাভ করে৷ মানবদেহ লাভ করলে তবে আত্মজ্ঞান হয়৷ দেখ, পশুজীবন ও মানবজীবন এই দু’য়ের মধ্যে মুখ্য পার্থক্য কী? দুই–ই পরমাত্মার সন্তান৷ একটি কুকুর, একটি বিড়াল আর একজন মানুষ–সবই পরমাত্মার সন্তান৷ কিন্তু দু’য়ের মধ্যে পার্থক্যটা এই যে, মানুষের বুদ্ধি উন্নত৷ মানুষ বোঝে যে শ্রেয় ও প্রেয়ের মধ্যে পার্থক্য কোথায়?

প্রদমন, অবদমন ও দমন

কম্যুনিষ্ট রাষ্ট্রগুলিতে তোমরা প্রদমন, অবদমন ও দমনের একটা ত্রিভুজ পুরোপুরি কার্যকরী দেখতে পাবে৷ এই তিনটি ত্রুটির ওপর কম্যুনিজম আধারিত৷ কিন্তু এই তিনটি ত্রুটির মধ্যে সব চাইতে বেশি ঘটেছে দমন, তারপর ঘটেছে অবদমন ও সব চাইতে কম ঘটেছে প্রদমন৷ এই প্রদমন, অবদমন ও দমনের ফলে সৃষ্ট শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণা থেকে জনসাধারণকে অবশ্যই মুক্তি দিতে হবে৷ এই তিনটি মানসিক পীড়ন মানুষের মনকে ভেঙ্গে চুরে তছনছ করে দিয়েছে৷

সমাজের অবাধ অর্থনৈতিক বৈষম্যের অবসান হওয়া উচিত

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

সম্প্রতি খবরে প্রকাশ বিশ্বে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে৷ ২০০১ সালে যেখানে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা ছিল ৮০৪.৪ মিলিয়ন, ২০১৭ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৮২১ মিলিয়ন৷ অর্থাৎ ৮১ কোটি ১০ লক্ষ৷ রাষ্ট্রসংঘের বিভিন্ন শাখার সমীক্ষা অনুসারে এই চিত্র পাওয়া গেছে৷

ভারতবর্ষেও ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা গত ৫ বছরে ১১ কোটি থেকে বেড়ে হয়েছে ১৯ কোটি অথচ এদেশে ২০১৭ সালের হিসেবে ১০০ কোটি ডলার ছাপিয়ে যাওয়া ধনী মানুষ রয়েছে ১০১ জন৷ এ হ’ল বিশ্ব বিখ্যাত ফোর্বস ম্যাগাজিনের খবর৷

অর্থাৎ একদিকে বিপুল সম্পদ সঞ্চিত হচ্ছে কারও কারও জিম্মায়, অন্যদিকে অনাহারে অভাবে কুঁকড়ে কঁুকরে মরছে কোটি কোটি মানুষ৷

একটি বৈঠকী বার্তা

মনোরঞ্জন বিশ্বাস

নমস্কার, আলোচনার শুরুতে একটা কথা বলে নেওয়া ভাল -- যে তর্ক করে নিজেদের শ্রেষ্ঠ প্রতিপন্ন করা বা পান্ডিত্য জাহির করাটা এই আলোচনার উদ্দেশ্যে নয়৷ পারস্পরিক মত বিনিময়ের মধ্যে দিয়ে একটা সহজ সত্যে পৌছে যাওয়াটাই আমাদের লক্ষ্য৷ এই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের ভূমিকা কী বা দায়বদ্ধতাটাই কী?

প্রথম কথা হল কাউকে দোষারোপ বা কারো সমালোচনা করে লাভ নেই ৷ এটা কোন সমাধানের পথও নয়, সমস্যার মূল শিখরটা খুঁজতে হবে৷ মূল জায়গার ত্রুটি /গন্ডগোল/ঘাটতিটা বের হলে সমাধান সহজ ও স্বাভাবিক হবে৷

অনন্য প্রাউট

জিজ্ঞাসু

অতি দ্রুত ভারতের প্রতি রাজ্য সমৃৃদ্ধিতে ভরে যেতে পারে৷ এমন কি সেই ভারতীয় মডেলে সমস্ত পৃথিবীর দুঃখ দূর হতে পারে৷ স্থানীয় ভাষায় কথা বলা মানুষের, ভাষাভিত্তিক সমাজ বানিয়ে নেবেন৷ নিজের মাতৃভাষা ভিত্তিক অঞ্চলে মানুষটিকে পেশার জীবন, উন্নততর বাসস্থান, নিরন্তর সমৃদ্ধি স্বাস্থ্য-গতি নিপুণতা, পরিচ্ছন্নতা, গভীর সংযোগ ব্যবস্থা, তার সাথে মানসিক জগতে ঋদ্ধি ও আধ্যাত্মিক জগতে একত্ব, সংশ্লেষণ, সমবায় ও পূর্ণতার বোধ, সার্বিক সামাজিক সুরক্ষার আঞ্চলিক পরিকাঠামো দিতে হবে৷ কে দেবে ?

এ রাজ্যে বর্তমান দুর্দিনে সকলে মিলে তিক্ততা ভুলে জাতীয় সম্পদগুলিকে রক্ষার কাজে হাত লাগান

প্রভাত খাঁ

বর্তমানে এই বাঙলার দুটি বিষয়ে সংবাদপত্র, রাজনৈতিক দলগুলি, সরকার, তার সাথে সাথে জনগণ খুবই মুখর হয়েছেন ও সারা রাজ্য এ ব্যাপারে সকলেই দুশ্চিন্তায় মগ্ণ৷ যে ব্যাপারে সবাই উদ্বিগ্ণ তা হলো বাঙলার অধিকাংশ সেতুই বিপজ্জনক৷  আর বাজারগুলিতে, যেগুলি বিখ্যাত, প্রায় আগুন লাগায় কোটি কোটি টাকার নিত্যপ্রয়োজনীয় মালপত্র আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যাওয়াতে পূজার মরশুমে রাজ্যবাসী সকলে বিমর্ষ ও দুঃখিত!

হাওড়া জেলা সমাচার

হাওড়া ঃ গত ৯ই সেপ্টেম্বর হাওড়া জেলার রাণীহাটি আনন্দমার্গ চিল্ড্রেন্স হোমে  এস.ডি.এমের ভুত্তিপ্রধান শ্রী জয়ন্ত শীলের উদ্যোগে তাণ্ডব ও কৌশিকী নৃত্যের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়৷ জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু প্রতিযোগী এই প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করেন৷ অনুষ্ঠানের প্রথমে পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে শুভ সূচনা করা হয়৷ এরপর প্রভাত সঙ্গীত ও কীর্ত্তনানুষ্ঠান হয়৷ তারপরেই মূল প্রতিযোগিতা পর্ব শুরু হয়৷ প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারীকে পুরস্কৃত করা হয়৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন অমিয় পাত্র ও ভুক্তিপ্রধান সুব্রত সাহা৷

গার্লস্ প্রাউটিষ্টের পক্ষ থেকে প্রাউট পরিক্রমা

গত ১৯শে সেপ্টেম্বর হাওড়া জেলার গালর্স প্রাউটিষ্টের উদ্যোগে জেলার বিভিন্ন ব্লকে প্রাউটের প্রচারের উদ্দেশ্যে ‘প্রাউট পরিক্রমা’ করা হয়৷ পাঁচলা, তারপর সাঁকরাইল, ডোমজুর ব্লকের বিভিন্ন প্রান্তে পথসভার আয়োজন করা হয়৷ পথসভাগুলিতে বক্তব্য রাখেন অবধূতিকা আনন্দগতিময়া আচার্যা, অবধূতিকা আনন্দ রেখা আচার্যা, বিজলী মণ্ডল, গোপা শীল প্রমুখ নেত্রীবৃন্দ৷

তত্ত্বসভা

পাঁশকুড়া ঃ গত ৩০শে সেপ্টেম্বর পাঁশকুড়ার জগন্নাথপুর গ্রামে বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রীবাসুদেব বেরার পুত্র কৌশিক বেরার জন্মদিন উপলক্ষ্যে প্রভাত সঙ্গীত, কীর্ত্তন ও সাধনার পরে একটি তত্ত্বসভার আয়োজন করা হয়৷ তত্ত্বসভায় আনন্দমার্গ দর্শনের ওপর বক্তব্য রাখেন আচার্য রাজেশ ব্রহ্মচারী ও কীর্ত্তন মহিমা সম্পর্কে শ্রীসুভাষ প্রকাশ পাল বক্তব্য পেশ করেন৷ প্রায় শতাধিক মার্গী ভাই-বোনেদের উপস্থিতিতে তত্ত্বসভাটি সাফল্যমণ্ডিত হয়৷