একটি বৈঠকী বার্তা

লেখক
মনোরঞ্জন বিশ্বাস

নমস্কার, আলোচনার শুরুতে একটা কথা বলে নেওয়া ভাল -- যে তর্ক করে নিজেদের শ্রেষ্ঠ প্রতিপন্ন করা বা পান্ডিত্য জাহির করাটা এই আলোচনার উদ্দেশ্যে নয়৷ পারস্পরিক মত বিনিময়ের মধ্যে দিয়ে একটা সহজ সত্যে পৌছে যাওয়াটাই আমাদের লক্ষ্য৷ এই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের ভূমিকা কী বা দায়বদ্ধতাটাই কী?

প্রথম কথা হল কাউকে দোষারোপ বা কারো সমালোচনা করে লাভ নেই ৷ এটা কোন সমাধানের পথও নয়, সমস্যার মূল শিখরটা খুঁজতে হবে৷ মূল জায়গার ত্রুটি /গন্ডগোল/ঘাটতিটা বের হলে সমাধান সহজ ও স্বাভাবিক হবে৷

 আমরা বাঙলা-ভারতবর্ষ তথা সমগ্র পৃথিবীর ভাষা-সাংস্কৃতিক , আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে---নৈতিক দেওলিয়াপনা বহু সমস্যাকে আদর করে টেনে এনেছে ৷ উন্নত-অনুন্নত, স্বল্পুন্নত-উন্নতিকামী সব দেশেরই রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি৷ নেতা থেকে সাধারণ মানুষ, রাজা থেকে প্রজা সকলেই দুর্নীতি নীতিহীনতার শিকার৷ ব্যষ্টিগত ভাবে কোন সাধারণ মানুষ দুর্নীতিগ্রস্থ হলে মানুষের বা সমাজের যত না ক্ষতি হয়, তার চেয়ে লক্ষগুণ ক্ষতি হয় রাজা বা শাসক /প্রশাসক /সমাজপতি বা নেতা যদি নীতিহীন হয়, এদের থেকে বেরিয়ে আসাটা কঠিন হয়ে যায় ৷  তবে এ প্রসঙ্গে আলোচনার প্রেক্ষাপটটা অবশ্যই স্বরণে রাখতে হবে যে, ত্রয়ী সত্তবিশিষ্ট সমাজবদ্ধ জীব মানুষ ও মানুষের সমাজ নিয়ে আলোচনা আর তার আধার হল পৃথিবী যার নির্দিষ্ট আয়তন আছে৷ তাই পৃথিবীটা সীমাহীন নয়৷ ফলে পার্থিব সম্পদ সীমিত৷ সম্পদ একজন কুক্ষিগত করলে অন্যেরা হয় ভাগে কম পাবে, নয়তো বা পাবে না৷  মানুষের চারিপাশে তার পরিবেশ , মনুষোত্তর প্রাণী, উদ্ভিদজগৎ, জড়পিন্ডরাজি৷ নীতির দৃঢ়বন্ধই পৃথিবীটাকে স্বর্গীয় মহিমায় ভরিয়ে দিতে পারে৷ 

কথাটা ঠিক না বেঠিক সেটা বোঝা যাবে পরে৷ আগে একটা স্পষ্ট ধারণা দরকার৷ নীতি-নীতিবাদ ব্যাপারটা কী, সবাই তো আমরা প্রায়ই নীতি , নীতিবাজ, নীতিবাদ কথাগুলো বলে থাকি৷ ব্যাপার কী ? ‘‘নীতি শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হল যার মধ্যে নিয়ে যাবার ভাবনা রয়েছে৷’’ ক্ষুদ্র থেকে বৃহতের দিকে অপূর্ণতা থেকে পূর্ণতার দিকে, পশুত্ব থেকে দেবত্বের দিকে যা নিয়ে যায় তাই নীতি৷ আসলে ‘‘নৈতিকতা জিনিসটা হচ্ছে একটা সামঞ্জস্যপূর্ণ জীবনযাপনের প্রচেষ্টা৷’’ ‘‘নীতিবাদ সৎনাগরিকের লক্ষণ আবার সাধনার (আধ্যাত্মিকতার) ভিত্তিভূমি হল নৈতিকতা৷’’ ক্ষুদ্র স্বার্থবোধ-মুক্ত মানসিকতা তথা নিঃস্বার্থ বিশ্বৈক্য ভাবই নৈতিকতা৷ দার্শনিক পরিভাষায় ‘ক্ষেমার্থে নিয়মানা ইত্যর্থে নীতি’ অর্থাৎ কল্যাণের ভাবনা নিয়ে এগিয়ে চলাই নীতি ৷ আর এইভাবে এগিয়ে চলার ভাবাত্মক সন্তুলিত গতিই নৈতিকতা ৷ লৌকিক জীবনে চলার পথে ব্যষ্টি তথা সমষ্টিগত পরিচয়ে ব্যাপারটাকে আমরা বলে থাকি এইভাবে -চুরি না করা মিথ্যে কথা না বলা, কাউকে না ঠকানো , উপযুক্ত মূল্য না দিয়ে কারো কাছ থেকে কিছু না নেওয়া , ঘুষ দেওয়া নেওয়া না করা, অন্যায় না করা ও অন্যায়কে প্রশ্রয় না দেওয়া, অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হওয়াও আপোষহীন মনোভাব থাকা ইত্যাদি৷ এই বিষয় গুলোর যে সামবায়িক জৈবমানসিক অবস্থা ও অভিপ্রকাশ তারই নাম নীতিবাদ৷ এটা না থাকাই আজকের পৃথিবীর সমাজের মৌলিক সমস্যা৷ আসল সমস্যা পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান সঞ্চালকের পরিবর্তন এর আকাশচুম্বী প্রত্যাশা জাগিয়ে জনমানস জয় করেছিল৷ কিন্তু নৈতিকতাকে বিসর্জন দেওয়ায় প্রত্যাশার ফানুস চুপসে যেতে দেরী হয়নি ৷ ভারতবর্ষের কেন্দ্রীয় সরকারেও তথৈবচ অবস্থা৷ সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থানধিকারী ছোট্ট দেশ ক্রোয়েশিয়ার ফুটবলপ্রেমী দর্শকদের জবানীতে ফুটবল নিয়ে অভাবনীয় গৌরবছটা ছড়িয়ে পড়লেও  তাদের আর্থ-সামাজিক দুর্দশার কথা বের হয়ে এসেছে৷ ভয়াবহ দুর্নীতি সব গ্রাস করেছে৷ নীতিহীনতা রন্ধ্রে রন্ধ্রে সমাজের ক্ষুদ্রতম একক পরিবার থেকে রাষ্ট্র- সর্বত্রই তার কানাগলি৷ কাজেই ব্যাষ্টি থেকে সমষ্টি জীবনে নীতিবাদের পুনঃপ্রতিষ্ঠা ছাড়া মানুষের কল্যাণ কী সম্ভব? সম্ভব নয়৷ জঙ্গলের পশুরাও প্রকৃতিগত ভাবে  কতগুলো নিয়ম মেনে চলে ৷ তারা প্রয়োজনের অতিরিক্ত গ্রহণ করে না ৷ একজনের উদ্বৃত্তে অনেকে বেঁচে থাকে, যুথচারীরা একে অন্যের সাহায্যে এগিয়ে আসে৷ মানুষের প্রকৃত কল্যাণ যদি করতেই হয় তাহলে মানুষকে আধ্যাত্মিকতায় প্রতিষ্ঠিত হতে হবে৷ কেননা আধ্যাত্মিকতার ভিত্তিভূমিই হল নৈতিকতা৷ আধ্যাত্মিকতায় প্রবেশের প্রথম মুহূর্তেই যে মানসিক সামঞ্জস্যের প্রয়োজন হয়, তার পাঠ নিতে হয় ও তার চর্চা করতে হয়, তার নাম নৈতিকতা৷ দার্শনিক পরিভাষায় একে বলে যম-নিয়মে প্রতিষ্ঠিত হওয়া ৷ নেতাজী সুভাষচন্দ্র বলেছেন জীবন বেদ৷ বলা বাহুল্য সমাজ/দেশ হিতৈষী ও হিতকামী উভয়েরই মানসভূমি আধ্যাত্মিকতার কেন্দ্রভূমিতে স্থিরীগত না হলে কল্যাণ আসেনা, আসতে পারে না৷ বিশ্বের দিকে দিকে চোখ রাখলে একথা বলার অপেক্ষা রাখে না৷

দ্বিতীয় কথা হ’ল---দায়বদ্ধতার অভাব৷ আজকের বাঙলা তথা গোটা ভারতবর্ষে ‘দায়বদ্ধতা’ একটা অভিধানিক শব্দ মাত্র৷ নীতিহীনতার সঙ্গে দায়বদ্ধতার অভাবে সমাজে চূড়ান্ত ভোগসর্বস্ব আত্মকেন্দ্রীকতার জঙ্গলরাজ চলছে৷ পারস্পরিক দায়বদ্ধতার রসায়নেই সমাজ এর সংরচনা যুথচারিতায় জীবন সংগ্রামে টিঁকে থাকা, উদ্ধতনায় এগিয়ে চলা বা পূর্ণতার পথে চলা সবেতেই দায়বদ্ধতাই মূল চালিকা শক্তি৷ দার্শনিক পরিভাষায় একে বলা যায় ‘সমানম এজতে’---সকলকে নিয়ে একসঙ্গে চলা৷ লক্ষ্যণীয় দায়বদ্ধতার মধ্যে চারটে জিনিস থেকে যাচ্ছে---এক, ব্যষ্টির সঙ্গে সমষ্টির কল্যাণ ভাবনা৷ দুই যার যাদের নিজের নিজের ক্ষেত্রে নিজের সেরাটা দেওয়া৷ তিন, সামবায়িক চেতনা৷ চার কর্মৈষনা বা গতিশীলতা৷ শিল্পীর সেরাটা কল্যাণ ভাবনায় সিক্ত না হলে শিল্পের শ্রেষ্ঠত্ব ভূষিত হয় না৷ দায়বদ্ধতার অভাবে যৌথ পরিবার ভেঙ্গে নিউক্লিয়ার ফ্যামিলির আবির্ভাব৷ আবার নিউক্লিয়ার ফ্যামিলি গুলো অস্তিত্বহীনতার উদ্বেগে ধঁুকছে৷ বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদ৷ বিচারালয়ে যত মামলা হয় তার সিংহভাগই বিবাহবিচ্ছেদের মামলা৷ দায়বদ্ধতার অভাবে ধুঁকছে উৎপাদন ক্ষেত্রগুলি৷ ক্ষেতে-খামারে, কল-কলকারখানায় শ্রমিক মালিক অসন্তোষ থেকে শুরু করে শিক্ষায়তনের বিশৃঙ্খলা, রাজনৈতিক মঞ্চের দেউলিয়াপনার পিছনে অন্যান্য কারণের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হ’ল দায়বদ্ধতার অভাব৷ বৃহত্তর স্বার্থ কে পিষে দিয়েছে ক্ষুদ্র হীন স্বার্থ৷ কল্যাণের ভাবনাটা গবেষণার বিষয়৷ স্টেজে মেকাপ এই দায়সারা ভাবটা সবকিছুকে গ্রাস করছে৷ আর সবাইকে নিয়ে চলার সামবায়িক ভাবটাও উধাও৷ সমাজের মানুষগুলো সীমাহীন সাগরের বুকে এক একটা বিচ্ছিন্ন দ্বীপ যেন৷ তাই ক্ষমতালোভী নেতারা আখের গোছাতে ব্যস্ত, দেশে কর্মসংস্কৃতি নেই, ‘আসি যাই মাইনে পাই’ সরকারী অফিসে কাজ নেই৷ ‘‘সবাই ফাঁকিবাজ’’, ‘‘এখানে কাউকে বিশ্বাস নেই’’৷ এসব বলে লাভ কী? আইন করে কড়া দাওয়াই দিয়ে নীতিবান বা দায়বদ্ধ করা যাবে না৷ রোগটা রক্ত-মজ্জায়-মনে৷ জীবন-সংস্কৃতি না পাল্টালে কোন সুরাহা নেই৷ আধ্যাত্মিকতাই এর একমাত্র কাণ্ডারী৷

দীর্ঘ দিনের শীলন, প্রকৃত জীবন ও চর্যা, শিক্ষা ও অনুশীলনের ফল রাশিয়ায় সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী জাপানী খেলোয়ার ও দর্শকরা ষ্টেডিয়াম ও সাজঘর পরিস্কার করে এক স্বচ্ছ-পরিচ্ছন্ন সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতার এক অনন্য নজির সৃষ্টি করেছে ৷ তথাকথিত উন্নত উন্নাসিত সভ্য ইউরোপীয়দের নাকে ঝামা ঘষে দিয়েছে৷ প্রাত্যহিক জীবনচর্র্যয় এ দায়বদ্ধতা জাপানীদের মজ্জাগত হয়েছে৷ ষ্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ বা রাশিয়ান সরকার তো ওদের পরিষ্কার করতে বাধ্য করেনি৷ দায়বদ্ধতার স্বতঃস্ফূর্ত তাগিদেই করেছে৷ আমাদের সেই স্বতঃস্ফূর্ত তাগিদটাই জাগাতে হবে৷ আধ্যাত্মিক মূল্যবোধ ভিত্তিক জীবন চর্যাই একমাত্র এই কাজটা করতে পারে৷

এখন প্রশ্ণ হ’ল এই আধ্যাত্মিকতা বা আধ্যাত্মিক মূল্যবোধ ব্যাপারটা কী? ‘‘আধ্যাত্মিকতা হ’ল মনকে বিস্তার করার অনুশীলন’’ সেটা কেমন, না ভক্তের পরমপুরুষের সঙ্গে মিলনের বা ছোট আমিকে বড় আমি’র সঙ্গে মিশিয়ে দেবার বা ক্ষুদ্রের সঙ্গে বৃহতের মিলনের বা সীমার সঙ্গে অসীমের মিলনের অন্তহীন প্রয়াসই হলো আধ্যাত্মিকতা৷ এই প্রয়াস কেন না মানুষ ব্যাপ্তি চায়৷ বৃহৎকে পেতে চায়, পেতে চায় আত্মসুখের জন্যে, আত্মরক্ষার জন্যে, আনন্দ প্রাপ্তির জন্যে৷ এটাই মানুষের মৌল স্বভাব ধর্ম৷ আর ক্রিয়াটা চলে একই তরঙ্গের সমান্তরালে৷ মানবজাতির স্বার্থে ভূলণ্ঠিত মানবতার স্বার্থে,পরমপুরুষের তৃপ্তার্থে ও প্রীত্যর্থ্যে ‘আত্মমোক্ষাথং জগদ্ধিতায় চঃ’৷ এই প্রয়াসটাই ‘সাধনা’৷ এটা না থাকলে মানুষ প্রকৃত সমাজ সেবা করতে পারে না৷ দায়বদ্ধতারও প্রকৃত স্ফূরণ ঘটে না৷

তৃতীয় সামবায়িক চেতনা---এ সম্পর্কে কিছু বলার আগে দুটো বিষয় ধ্রুবক হিসাবে মনে রাখতে হবে৷ (১) মানুষ শরীর, মন ও আত্মা সমন্বিত সামাজিক জীব৷ এই মানুষ চায় ব্যাপ্তি৷ অর্থাৎ বৃহতের প্রতি এষণাই মানুষের স্বভাব ধর্ম৷ মানুষ যা চায় অনন্ত ভাবে চায়৷ অর্থাৎ নাল্পে সুখমস্তি, ভূমৈব সুখম৷ ২) মানুষের ওই এষণার প্রেক্ষাপট হ’ল নির্দিষ্ট আয়তনে সীমায়িত পৃথিবী৷ তাহলে সীমার মাঝে অসীমের ক্ষুধা মিটবে কী করে৷ কেউ একজন বা কিছু সংখ্যক মানুষ পার্থিব সম্পদের মধ্যে অনন্ত চাহিদা পূরণে তৎপর তাহলে তো অন্যেরা ফাঁকে পড়বে, মানুষের ওপর শোষণের-বঞ্চণার-দুর্দশার-অত্যচারের সীমা থাকবে না৷ এই পরিস্থিতিতে ব্যষ্টির সাথে সমষ্টির স্বার্থের সামঞ্জস্য বিধান করে সকলেরই কল্যাণ করতে গেলে পার্থিব সম্পদের জন্যে ব্যষ্টির লাগাম ছাড়া চাহিদায় তো লাগাম তো পড়তেই হবে৷ তা না হয় হ’ল, ওই অনন্তক্ষুধা তো মানুষকে ছাড়বে না৷ সে তো পূর্ত্তির বহিঃপ্রকাশের পথ খঁুজবে৷

এদিকে মানুষ আবার সামাজিক জীব৷ যার অর্থ হ’ল সবাইকে নিয়ে মিলেমিশে চলা৷ মানুষের মনের মধ্যে একসঙ্গে চলার আভোগটাই যদি তৈরী না হয়, তবে একসঙ্গে চলবে কী করে? সামবায়িক চেতনাই সেই সঞ্চালক শক্তি যা সকল মানুষকে একসঙ্গে নিয়ে অসীমের লক্ষ্যপথে এগিয়ে চলে৷ দুর্ভাগ্যের বিষয় বাঙলা তথা ভারত জুড়ে সামবায়িক চেতনা তলানিতে এসে পৌঁছিয়েছে৷

পরের কথা হ’ল---কর্মৈষণা/গতিশীলতা৷ ভালো কিছু করার জন্যে তাগিদও বাস্তবে করার ব্যাপারটা আজ নেই৷ কেমন একটা জরত্ব জনমানসকে গ্রাস করেছে৷ ‘‘আমাকে/আমাদের কিছু করতে হবে বসে থাকলে চলবে না৷’’কর্মৈষণার বড়ই অভাব৷ বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধবে কে?

এইবার বলুন এই পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে কোন ধর্মীয় দল, রাজনৈতিক দল, সাংস্কৃতিক মঞ্চ, বুদ্ধিজীবী, কবি-সাহিত্যিককে কেউ সমস্যার মূলের কথা ভাবছে? তাদের বক্তব্যটাই বা কী? এবার আসুন কাজের কথায়৷ ওই অসম্ভবকে সম্ভব করতে দরকার নোতুন মানুষ , নোতুন ভাবনা৷