April 2019
মার্গীয় বিধিতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান
১) গত ১৫ই মার্চ হুগলি জেলার গোপীনগরে এখানকার বিশিষ্ট আনন্দমার্গী দিবাকর মিত্রের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান আনন্দমার্গীয় বিধিতে অনুষ্ঠিত হয়৷ গত ৫ই মার্চ তিনি পরলোক গমন করেছেন৷
২) ৫ই মার্চ শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে কীর্ত্তন ও প্রভাত সঙ্গীত পরিচালনা করেন আচার্য সেবাব্রতানন্দ অবধূত, শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন আচার্য অভিব্রতানন্দ অবধূত৷ শ্রাদ্ধকর্তা ছিলেন প্রভাত দিবাকর মিত্রের পুত্র অভীক মিত্র৷ শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের পর শ্রাদ্ধানুষ্ঠান ও আনন্দমার্গের সমাজশাস্ত্রের ওপর বক্তব্য রাখেন আচার্য সুতীর্থানন্দ অবধূত৷
লাউখোয়াতে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী শুভ পদার্পণ দিবস পালন
লামডিং, অসম ঃ ১৯৬৪ সালের ২৮শে মার্চ আনন্দমার্গের প্রতিষ্ঠাতা শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ধর্মমহাচক্র উপলক্ষ্যে আমবাগানে ও লাউখোয়া অভয়ারণ্যে (রূপহি ব্লক) এসেছিলেন ও এখানে এক আশ্চর্যজনক ঘটনাও ঘটেছিল–মার্গগুরুদেব এক গণ্ডারকে আশীর্বাদ করেছিলেন৷ গণ্ডারটিরও দু’চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ছিল৷ এই ঘটনাকে স্মরণ করে প্রতি বছরই লাউখোয়াতে অসমের বিভিন্ন জায়গা থেকে আনন্দমার্গীরা এসে এই দিনটিকে উদ্যাপন করেন৷ এ বছরও গত ২৮শে মার্চ এক বিশাল ভক্ত সমাবেশে মহাসমারোহে এই শুভদিনটিকে উদ্যাপন করা হয়৷ এই উপলক্ষ্যে এখানে ‘বাবা নাম কেবলম্’ মহামন্ত্রের অখণ্ড কীর্ত্তনের আয়োজন করা হয়৷ তেজপুর থেকে গরাজান পর্যন্ত এলাকা থেকে মার্গী ভাই
নদীয়ার নবরায়নগরে অখণ্ড বাবা নাম কীর্ত্তন
১৬ই মার্চ নবরায়নগরের প্রবীণা আনন্দমার্গী দিদি শ্রীমতী শিখা সরকারের গৃহে বেলা ৯টা থেকে ৩টে পর্যন্ত ছয় ঘণ্টা ব্যাপী মানবমুক্তির মহামন্ত্র বাবা নাম কেবলম্ অখণ্ড কীর্ত্তনের পর মিলিত সাধনা, গুরুপূজা হয়৷ স্বাধ্যায় করেন শ্রীমতী পলি সরকার৷ কীর্ত্তনে নদীয়া, ২৪ পরগণা, কলকাতা থেকে দেড় শতাধিক ভক্ত যোগদান করেন৷ কীর্ত্তনের মধুর ধবনিতে পার্শ্ববর্তী অঞ্চল মুখরিত হয়ে ওঠে৷ প্রভাত সঙ্গীত, অখণ্ড কীর্ত্তন পরিচালনা করেন রাজলক্ষ্মী বণিক, কাজল সরকার, বৃন্দাবন বিশ্বাস, কৌশিক সরকার সহ অনেকেই৷ কীর্ত্তন মহিমার ওপরে বক্তব্য রাখেন আনন্দমার্গ কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য তথা রাওয়া সেক্টোরয়াল সেক্রেটারী আচার্য কাশীশ্বরান
বরণবেড়িয়া গ্রামে আনন্দ নবদ্বীপ চক্রনেমীতে (মাষ্টার ইয়ূনিট) অখণ্ড কীর্ত্তন
২৪শে মার্চ ঃ নদীয়া জেলার বরণবেড়িয়ায় আনন্দ নবদ্বীপ চক্রনেমীর স্কুলে রেক্টর মাষ্টার তথা বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ আচার্য অনুপমানন্দ অবধূত-এর উদ্যোগে বিদ্যালয়ের কক্ষে সকাল ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা ব্যাপী মানবমুক্তির মহামন্ত্র বাবা নাম কেবলম্ অখণ্ড কর্ত্তিন অনুষ্ঠিত হয়৷ প্রভাত সঙ্গীত ও কীর্ত্তন পরিচালনা করেন শ্রী গোরাচাঁদ দত্ত, শ্রীমতী কাজল সরকার, শ্রীমতী রাজলক্ষ্মী বণিক, শ্রী কৌশিক সরকার ছাড়াও আরও অনেকে৷ মিলিত সাধনা, গুরুপূজা, স্বাধ্যায়ের পর বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিক্ষাব্রতী শ্রীমনোরঞ্জন বিশ্বাস ও রেক্টার মাষ্টার আচার্য অনুপমানন্দ অবধূত৷ প্রসাদ বিতরণের পরেই অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়৷
আচার্য অসীমানন্দজী স্মরণে ছটকা গ্রামে ২৪ ঘণ্টা ব্যাপী অখণ্ড কীর্ত্তন
আনন্দনগর ২রা এপ্রিল ঃ গত ১লা ও ২রা এপ্রিল ছটকা গ্রামে এখানকার বিশিষ্ট আনন্দমার্গী দুর্গা মণ্ডলের গৃহপ্রাঙ্গণে ২৪ ঘণ্টা ব্যাপী ‘বাবা নাম কেবলম্’ মহামন্ত্রের অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ এই কীর্ত্তনে প্রায় পাঁচ শতাধিক আনন্দমার্গী যোগ দিয়েছিলেন৷ ১লা এপ্রিল সকাল ১১টা থেকে ২রা এপ্রিল ১১টা পর্যন্ত কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তনের পর স্বাধ্যায় হিসাবে মার্গগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী পুস্তক থেকে তাঁর প্রবচন পাঠ করেন আচার্য দেবপ্রেমানন্দ অবধূত৷
২৪ ঘণ্টা ব্যাপী অখণ্ড নাম সংকীর্ত্তন
মেদিনীপুর ঃ গত ৪ ও ৫ই মার্চ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া ব্লকের রাজনারায়ণ চক্ ইয়ূনিটে ২৪ ঘণ্টা ব্যাপী অখণ্ড নাম সংকীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ ৪ তারিখ বিকাল ২টা ৩০ থেকে প্রভাত সঙ্গীত, সাধনা ও গুরুপূজার পর বিকাল ৩টা থেকে কীর্ত্তনের শুভারম্ভ হয়৷ ৫তারিখ সকালে নগর কীর্ত্তন হয়৷ দুপুরবেলা প্রায় ২০০০ জনের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হয়৷ বিকেল ৩-টায় কীর্ত্তন সমাপ্তির পরে সাধনা, গুরুপূজা ও স্বাধ্যায়ের পরে কীর্ত্তন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন জেলার ভুক্তিপ্রধান শ্রীসুভাষ প্রকাশ পাল ও আচার্য রাজেশ ব্রহ্মচারী৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন রাজনারায়ণ ইয়ূনিটের সদস্যবৃন্দ৷
আনন্দ নগরে ২৪ ঘন্টাব্যাপী অখণ্ড কীর্ত্তন
আনন্দনগর ঃ পুরুলিয়া জেলায় আনন্দনগরের সন্নিকটে চিতমু গ্রামে গত ৯ই মার্চ থেকে ১০ইমার্চ আনন্দমার্গের জাগৃতিভবনে (ধ্যানমন্দির) ২৪ঘন্টাব্যাপী অখণ্ডকীর্ত্তনের আয়োজন করা হয়৷ এই কীর্ত্তন পরিচালনা করেন আচার্য শিবব্রতানন্দ অবধূত, আচার্য শুভপ্রসন্নানন্দ অবধূত, আচার্য সুবোধানন্দ অবধূত ও আনন্দমার্গের স্থানীয় কমিটি৷
কীর্ত্তনের মিলিত সাধনান্তে আচার্য মোহনানন্দ অবধূত ও আচার্য নারায়ণানন্দ অবধূত আনন্দমার্গের সাধনা ও কীর্ত্তনমাহাত্ম্যের ওপর বক্তব্য রাখেন৷ তাঁরা বলেন, সাধনা ও কীর্ত্তন মানুষের মনকে পবিত্র করে, মানুষের মনকে শুভপথে পরিচালিত করে ও মানবজীবনকে সার্থক করে তোলে৷
পরলোকে শ্রীশঙ্কর ঘোষ - মার্গীয় বিধিতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান
গত ২২শে মার্চ কলকাতার বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রীশঙ্করনাথ ঘোষ পরলোক গমন করেন৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বৎসর৷ তিনি তাঁর দুই বিবাহিতা কন্যা (সুজাতা ও সুতপা), দুই জামাতা ও নাতি-নাতনীদের রেখে গেছেন৷ আনন্দমার্গীয় বিধিতে নিমতলা মহাশ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়৷
বড় শঙ্করদার স্মরণে
তোমার এ শূন্যগৃহে তোমারেই স্মরিতে
সবাই এসেছে হেথা শুধু তুমি নাই!
সংসারের সব কর্ম সাঙ্গ করি’
বিশ্রাম নিয়েছো বন্ধু পরলোকে ঠাঁই৷
তোমার ত্যাগ, নিষ্ঠা, ধৈর্য, সততা
সকলকে শিক্ষা দিয়ে গেছে প্রতিদিন৷
চরম সঙ্কট কালে মার্গের পাশে
ছিলে দুর্জয় প্রাচীর সম হয়ে ভয়হীন৷
ভক্তিমতী গায়কী সুযোগ্যা পত্নী কবি কল্যাণী
আলোকিত করেছিল গৃহাশ্রম তব হয়ে সার্থক ঘরণী৷
বরণীয় হয়ে রবে মার্গীয় সমাজে সার্থক
গৃহী রূপে একদিন হয়তো বা স্মরিবে ধরণী৷
প্রার্থনা জানাই বন্ধু, তোমার বিদেহী আত্মা
মিশে যাক শ্রীচরণ পদ্মে---পরমাত্মায়৷