May 2019
বোটের পর বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ
চতুর্থ দফার বোটের পর বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে সংঘর্ষ বাধে রাজ্যের শাসক দল ও বিরোধীদের মধ্যে৷ সংঘর্ষ হয় পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের বিভিন্ন জায়গায়৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দু-এক জায়গায় পুলিশকে লাঠিচার্জও করতে হয়৷
মঙ্গলকোর্টের জালদাপাড়ায় পথ অবরোধ করে বিজেপি সমর্থকরা৷ শাসকদলের সমর্থকরা চড়াও হয়ে তাদের ওপর হামলা করার প্রতিবাদে বর্ধমান সিউড়ি রোড অবরোধ করে বিজেপি সমর্থকরা৷ পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে৷ পরে অবরোধ উঠে যায়৷
ময়ূরেশ্বর,সিউড়ি প্রভৃতি এলাকা থেকে সংঘর্ষের খবর আসে৷ অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে উত্তেজনা ছড়ায় নিমা, কাঁসপাই গ্রামে৷
ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ সংলগ্ণ পশ্চিম রাঢ়ে ‘আমরা বাঙালী’র জোর প্রচার
ঝাড়খণ্ড ঃ ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গ সংলগ্ণ পশ্চিম রাঢ়ের চার কেন্দ্রে ‘আমরা বাঙালী’ প্রার্থীর সমর্থনে দলীয় কর্মীরা ব্যাপক প্রচার শুরু করেছে৷ পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রে আমরা বাঙালী প্রার্থী শ্রী লক্ষ্মীকান্ত মাহাত বলেন--- বনজ সম্পদ, খনিজ সম্পদ, জলজ সম্পদ, কৃষি সম্পদে ভরপুর রাঢ় বাঙলা৷ রাঢ়ের মানুষেরই খাবার জোটে না৷ ব্রিটিশ চলে গেলেও ঔপনিবেশিক শোষণ আজও বন্ধ হয়নি৷ রাঢ়ের মানুষ আজও শোষিত, বঞ্চিত, অবহেলিত৷ দেশে স্বাধীন হলেও শোষণ বন্ধ হয়নি৷ শুধু শোষণের চেহারা পাল্টেছে৷ শ্রীমাহাত বলেন রাঢ়ের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে ‘আমরা বাঙালী’র পাশে দাঁড়ালে আমরা প্রতিটি মানুষের ঘরে পৌঁছে দেব শিক্ষার আলো, ক্ষুধার অন্ন, পরণের বস্ত
‘এ গান থামিবে না, এ দাবি দমিবে না’
মহাকালের অনাদি থেকে অনন্তের যাত্রাপথে বিশেষ কিছু বিন্দু সৃষ্টি হয় যা বিশ্বের ইতিহাসে এক একটা মাইল ফলক হিসেবে চিহ্ণিত হয়ে থাকে, বিশেষ কিছু মুহূর্ত বা ঘটনা মানব চেতনার গভীরে মোটা দাগ এঁকে দিয়ে যায়৷ ১৯৮২ সালের ৩০শে এপ্রিল এমনই একটা দিন যা পৃথিবীর ইতিহাসে মানবতার চরমতম লাঞ্ছনার অন্যতম একটি কলঙ্কময় অধ্যায় হিসেবেই পরিচিত হয়ে থাকবে৷ আমরা আরও একটি ৩০শে এপ্রিল পেরিয়ে এলাম, যে দিনটাকে বিশ্বের সকল আনন্দমার্গী ভাই-বোন ‘‘মানবতা বাঁচাও দিবস’’রূপে পালন করে আসছেন৷ আনন্দমার্গের অনুগামী ও বিশ্বের সমস্ত শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষদের কাছে এই দিনটা প্রচণ্ড যন্ত্রণাবিদ্ধ হওয়ার দিন, হৃদয়ের সমস্ত সুকুমার বৃত্তিগুলোক
- Read more about ‘এ গান থামিবে না, এ দাবি দমিবে না’
- Log in to post comments
কেন এই আক্রমণ?
১৯৮২ সালের ৩০শে এপ্রিল৷ গত কয়েক শতাব্দীর ইতিহাসে বোধকরি সবচেয়ে পৈশাচিকতম ঘটনা ঘটে গেল আজকের সভ্যতার পীঠভূমি কলকাতার বিজন সেতু ও বণ্ডেল গেটের মত জনাকীর্ণ এলাকায়৷ প্রকাশ্য দিবালোকে৷ আনন্দমার্গের ১৬জন সন্ন্যাসী ও ১জন সন্ন্যাসিনীকে বর্ণনার অতীত নৃশংসতম ভাবে খুন করল তৎকালীন শাসকদল সিপিএম’এর গুণ্ডাবাহিনী৷ পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করল৷ স্পষ্টই বোঝা যায় এই হত্যার ষড়যন্ত্র একেবারে ওপর মহল থেকেই করা হয়েছিল৷
- Read more about কেন এই আক্রমণ?
- Log in to post comments
গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও ভারতের জাতীয় নেতৃবৃন্দের আসল চরিত্র
বর্তমান মানুষের জীবনযাত্রা প্রযুক্তি নির্ভর৷ তা জীবনে গতি ও স্বাচ্ছন্দ্য এনে দিয়েছে৷ একে প্রগতির দ্যোতক হিসেবেই গণ্য করা হয়৷ তবে কিছু কিছু ব্যষ্টি বা গোষ্ঠী তাৎক্ষণিক লাভের স্বার্থে বিশেষ কোনো প্রযুক্তির পরিবর্তন ঘটিয়ে সেকেলে পুরোনো ধ্যানধারণার প্রতিষ্ঠার মতো প্রতিক্রিয়াশীল দাবীও করে থাকেন৷ নির্বাচন কমিশনে ইবিএম EVM) ব্যবহারে কিছু রাজনৈতিক দলের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ আলোচনা৷ বিশেষ কোন প্রমাণ ছাড়াই অনেকে ইবিএম - এর কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে সময়সাপেক্ষ ব্যালটে বোট Vote) গ্রহণের দাবী তুলেছিলেন৷ বোটপর্বকে স্বচ্ছ ও যথার্থ করতে নির্বাচন কমিশন ইবিএম-এর সাথে ব
৩রা মে
লোকটা আবার সভাপতি হতে চাইছেন৷ প্রথমবার সভাপতি হয়েই কী সব আবোল-তাবোল বকছে৷ বলে কি না ‘দেশীয় পুঁজিপতিদের সাহায্যে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য বিস্তারে শক্তি অর্জন করেছে৷ মানুষকে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা দিতে হবে৷’ এমন লোক দলে থাকলে তো ব্যবসা ছেড়ে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে রাস্তায় দাঁড়াতে হবে৷ গত এক বছর ধরে চেষ্টা চলছে লোকটাকে দল থেকে তাড়াবার জন্যে৷ আর লোকটা আবার সভাপতি হতে চাইছে৷ এ কী পাগল নাকি!
- Read more about ৩রা মে
- Log in to post comments
বিজন সেতুর পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে
পূর্ব প্রকাশিতের পর
এই ধরণের স্বৈরাচারী আক্রমণের সম্মুখীন যে শুধু আনন্দমার্গ হ’ল তাই নয়, যারাই এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করে সক্রিয়ভাবে কিছু করতে সচেষ্ট হয়েছিল, তাদের ওপরেই নেমে এসেছিল ওই আক্রমণ৷ কলকাতার বুদ্ধিজীবীরা এই ঘটনায় মর্মাহত হয়েছিলেন৷ তারা উপলব্ধি করেছিলেন ৩০ এপ্রিলের ওই বীভৎস ঘটনা তাঁদের রবীন্দ্রজয়ন্তী পালনের অধিকার কেড়ে নিয়েছে৷ তাই তাঁরা সমস্ত শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষকে ডাক দিয়ে বলেছিলেন---‘‘এবারের ২৫শে বৈশাখ হোক অনুশোচনার ও প্রায়শ্চিত্তের ২৫শে বৈশাখ৷’’
- Read more about বিজন সেতুর পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে
- Log in to post comments
ভারতীয় রাজনীতির এই কদর্য রূপ নোতুন নয়
‘আমি কারো প্রতিচ্ছবি নই, প্রতিধবনি নই, কারো Prototype নই--I am myself’৷ কথাগুলি বলেছিলেন সুভাষচন্দ্র৷ ১৯৩৯ সালে গান্ধী মনোনীত প্রার্থী পট্টভি সীতারামাইয়াকে পরাজিত করে সুভাষচন্দ্র দ্বিতীয়বার কংগ্রেস সভাপতি হবার পর গান্ধীজী ও তাঁর লবির নেতাদের পক্ষে সেটা মেনে নেওয়া সম্ভব হয়নি৷ আসলে গণতান্ত্রিক কাঠামোয় কংগ্রেসে যেটা চালু ছিল তা হ’ল পুঁজিবাদী একনায়কতন্ত্র৷ গান্ধীজী ছিলেন সেই পুঁজিপতিদেরই প্রতিনিধি৷ তাই কংগ্রেসে গান্ধীর কথাই শেষ৷ গান্ধীবাদী নেতা শেঠ গোবিন্দদাস সে কথা স্বীকারও করেন৷ তিনি বলেন---‘ফ্যাসিস্টদের মধ্যে মুসোলিনী, নাৎসীদের মধ্যে হিটলার ও কমিউনিষ্টদের মধ্যে স্ট্যালিনের যে স্থান কংগ্রেস স
- Read more about ভারতীয় রাজনীতির এই কদর্য রূপ নোতুন নয়
- Log in to post comments
আজ দেশ নিছক দলবাজিতেই ডুবতে বসেছে
এই বাঙলার তরুণ বিদ্রোহী কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য বলেছেন–‘‘ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়, পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি৷’’ যার ক্ষুণ্ণিবৃত্তি হয় সে ওই চাঁদকে দেখে সুন্দর ও অনেক কিছুই ভাবতে পারে কিন্তু যার পেটে খাদ্য নেই, ক্ষুধার জ্বালায় যে ছট্ফট করে তার চোখে খাদ্য বস্তু ছাড়া অন্য কোন কিছুই আসে না৷ এটা বাস্তব সত্য৷ তাই তো মানবতাবাদীরা এমনকি আধ্যাত্মিক পথের যাঁরা পথ প্রদর্শক তাঁরা বলেন–খালি পেটে ধর্ম হয় না৷ তাঁরা উপদেশ দেন যে অন্নহীনকে প্রথমে অন্ন দান কর তারপর ধর্মের কথা, আদর্শের কথা বল৷
- Read more about আজ দেশ নিছক দলবাজিতেই ডুবতে বসেছে
- Log in to post comments