June 2019

প্রাউট চায় সর্বসাধারণের কল্যাণ

সত্যসন্ধ দেব

প্রাউটের মূল পঞ্চনীতির প্রথম নীতি হ’ল ঃ সমাজের তথা সমবায়িক সংস্থার সুস্পষ্ট অনুমোদন ছাড়া কাউকে কোন প্রকার জাগতিক সম্পদ সঞ্চয় করতে দেওয়া হবে না৷ স্পষ্টতঃই এই নীতি আজকের পুঁজিবাদী ব্যবস্থার অভিশাপ থেকে সমাজকে বাঁচাতে চায়৷ জগতের স্থূল সম্পদ (এক্ষেত্রে মানসিক ও আধ্যাত্মিক সম্পদের কথা বলা হচ্ছে না) সীমিত বলেই, কেউ যদি অতিরিক্ত সম্পদ সঞ্চয় করে রাখে, তাহলে অন্যত্র অভাব দেখা দেবেই৷ তাই অবাধ সঞ্চয় নীতিতে প্রাউট বিশ্বাসী নয়৷ মানুষ সঞ্চয় করে চারটি কারণে (১) দৈনন্দিন ব্যষ্টিগত ও পারিবারিক প্রয়োজনে৷ (২) বিশেষ বিশেষ পারিবারিক তথা সামাজিক দায়–দায়িত্বের জন্যে৷ ৩) অনন্ত সুখের এষণা, (৪) মানসিক ব্যাধি৷ প্রথম

মনের একাগ্রতা ও মনের ওপর নিয়ন্ত্রণ

অবধূতিকা আনন্দরসধারা আচার্যা

কথায় বলে যে যন্ত্র যত বেশী সূক্ষ্ম তার শক্তিও ততোধিক৷ মন শরীর থেকে অনেক অনেক বেশী সূক্ষ্ম, তাই তা অধিকতর শক্তিসম্পন্ন৷ সেই জন্যেই প্রত্যেকটি কাজ শরীর থেকেই শুরু করতে হয়৷

‘‘গুরুকৃপা, মোক্ষপ্রাপ্তি ও মাইক্রোবাইটাম’’

শ্রী সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

কোন মানুষ যদি তার মনকে সূচাগ্র করতে চায়  তবে ওই মানুষটিকে  গুরুচক্রে মনকে রেখে ইষ্টের  ধ্যান করতে হবে৷ কিন্তু প্রশ্ণ  হ’ল গুরুচক্র কোথায় অবস্থিত  ও গুরুচক্রে মন রাখতে হবে কেন? আসলে গুরুচক্র সহস্রার চক্রের ঠিক নীচে  অবস্থিত৷ এখন, গুরুচক্র হ’ল মানব মহিমার  সর্বোচ্চ চক্র বা বিন্দু৷ মানব দেহে পরমপুরুষের  এটাই হ’ল অবস্থান  কেন্দ্র৷ তাই এই সর্বোচ্চ বিন্দুতে  মানুষ মন রেখে  ধ্যান করবে৷ মানুষ তার মনের সমস্ত শক্তিকে এই বিন্দুতে  যদি সংহত করতে  পারে তবেই  মানুষ একাগ্রতা লাভ করে ও সর্বজ্ঞ হ’য়ে উঠবে৷

‘আমরা বাঙালী’র তরফ থেকে প্রাউট-প্রবক্তার জন্মদিবস পালন

গত ১৮ই মে হাওড়া জেলার মাশিলায় ‘আমরা বাঙালী’ কার্য্যালয়ে প্রাউট-প্রবক্তা শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের জন্মতিথি উৎসব পালিত হয়৷ অনুষ্ঠানের প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন ‘আমরা বাঙালী’র সচিব রামচন্দ্র মান্না৷ প্রাউট-প্রবক্তা শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার ও প্রাউট দর্শন সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন  সুব্রত সাহা, অমিয় পাত্র , গোপাশীল, অর্ণব কুন্ডু প্রমুখ৷  অনুষ্ঠানে অচেতা শীল ‘প্রভাত সঙ্গীত’ অবলম্বনে একটি নৃত্য পরিবেশন করে সবাইকে মুগ্দ করে দেন৷

১৯শে মে-র  বাঙলা ভাষা শহীদদের উদেশ্যে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন

গত ১৯শে মে  হাওড়া  ডি.এম. বাংলোর কাছে  শিলচরে ১১ জন বাংলাভাষা শহীদের  স্মৃতিতে  বাঙলা ভাষা ঐক্যমঞ্চের পক্ষ থেকে এক পথ সভার আয়োজন করা হয়৷ ওই পথসভায় ‘আমরা বাঙালী’ দলের পক্ষ থেকে অর্ণব কুণ্ডু, গোপা শীল প্রমুখ ভাষা শহীদদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন ও অসম, পশ্চিমবঙ্গ , ঝাড়খণ্ড , ত্রিপুরা প্রভৃতি বাঙলা ভাষী এলাকায় সমস্ত সরকারী ও বেসরকারী কাজ কর্ম  বাঙলা ভাষায় করার দাবী রাখেন৷

 

আনন্দনগরে চাষীদের মধ্যে ধান্য বীজ বিতরণ

গত ২রা জূন আনন্দমার্গের পক্ষ থেকে আনন্দনগর এলাকার বিভিন্ন গ্রামের ২০০ জন অত্যন্ত দরিদ্র চাষীর মধ্যে প্রত্যেককে ১০ কেজি করে উচ্চ ফলনশীল ধানের বীজ বিতরণ করা হচ্ছে৷

জগৎগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ৯৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আনন্দনগরে আনন্দমার্গের ধর্মমহাসম্মেলন

আনন্দনগর ঃ গত ২৪,২৫, ২৬শে মে জগদ্গুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ৯৮তম জন্মবার্ষিকী  উৎসব উপলক্ষ্যে আনন্দনগরে তিনদিন ব্যাপী ধর্মমহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হ’ল৷ এই ধর্ম মহাসম্মেলনে দেশ বিদেশ থেকে দলে দলে আনন্দমার্গীরা যোগদান করেন৷ ধমহাসম্মেলনে আনন্দমার্গের পুরোধা প্রমুখ আচার্য কিংশুকরঞ্জন সরকার মার্গগুরুর প্রতিনিধি হিসেবে আধ্যাত্মিক প্রবচন দেন৷ তিনদিন ব্যাপী তাঁর প্রবচনে তিনি কীভাবে প্রতিটি মানুষ সাধনা ও সেবার মাধ্যমে জীবনের সার্থকতা অর্জন করতে পারে তা বিশদভাবে ব্যাখ্যা করেন৷ তৃতীয় দিন সন্ধ্যায় ধর্ম মহাসম্মেলনের মূল প্রবচনে তিনি যা বলেন তার সার সংক্ষেপ নিম্নে প্রদত্ত হ’ল---

প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

ধর্মমহাসম্মেলনে তিন দিন ধরে আনন্দমার্গের সাংস্কৃতিক প্রকোষ্ঠ ‘রাওয়া’র শিল্পীরা প্রভাত সঙ্গীত, প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে নৃত্য, গীতি আলেখ্য, গীতিনাট্য প্রভৃতি পরিবেশন করে ধর্মমহাসম্মেলন প্যাণ্ডেলটিতে এক স্বর্গীয় আনন্দময় পরিবেশ রচনা করেন৷

দীঘায় অখণ্ড কীর্ত্তন

গত ৪, ৫ মে দীঘায় অবস্থিত মার্গগুরু ভবনে ২৪ ঘণ্টা ব্যাপী ‘বাবা নাম কেবলম্’ অখণ্ড নাম সংকীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ ৪ তারিখ ২টা থেকে ৫ তারিখ দুপুর ২টা পর্যন্ত অখণ্ড কীর্ত্তন হয়৷ এই অখণ্ড কীর্ত্তন পরিচালনা করেন সাধারণ ভুক্তিপ্রধান মানস কালসার ও সেবাধর্ম ভুক্তিপ্রধান পার্থসারথী পাল৷ কীর্ত্তনের পর শুভেন্দু ঘোষ, নিত্যতীর্থানন্দ অবধূত ও আচার্য বোধিসত্বানন্দ অবধূত কীর্ত্তন মাহাত্ম্য ও আনন্দমার্গের সাধনা ও আদর্শের ওপর বক্তভ্য রাখেন৷ দুই মেদিনীপুর জেলার প্রতি মাসের ৪, ৫ তারিখে ২৪ ঘণ্টা ব্যাপী অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷

আনন্দমার্গীয়  বিধিতে বৈপ্লবিক  বিবাহ

গত ১লা জুন আনন্দমার্গের সমাজশাস্ত্র চর্র্যচর্য বিধি অনুযায়ী হুগলী জেলার কামারকুণ্ডু গ্রাম নিবাসী শ্রী গোপাল দাস ও শ্রীমতী শেলী দাসের পুত্র শ্রীমান কৃষ্ণেন্দু দাসের সহিত হুগলী জেলারই তারকেশ্বর পদ্মপুকুর গ্রাম নিবাসী শ্রী দেবেন্দ্রনাথ মণ্ডল ও শ্রীমতী কবিতা মণ্ডলের কন্যা শ্রীমতী রিয়া মণ্ডলের শুভবিবাহ তারকেশ্বর আনন্দমার্গ স্কুল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়৷