December 2019

বিক্রমের ধবংসাবশেষ

অবশেষে বিক্রমের খোঁজ পাওয়া গেল নাসার ছবি থেকে৷ তিন মাস আগে বিক্রম নিয়ে দেশে বিপুল আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল৷ স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও রাত জেগে বসেছিলেন চন্দ্রপৃষ্ঠে বিক্রমের সফল অবতরণ দেখতে৷ কিন্তু চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের আগেই বিক্রমের সঙ্গে পৃথিবীর সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়৷ গত ৩রা ডিসেম্বর ২০১৯ নাসা জানায় বিক্রমের ধবংসাবশেষ পাওয়া গেছে চন্দ্রপৃষ্ঠে৷ নাসায় প্রকাশিত ছবি থেকে বিক্রমের ধবংসাবশেষ চিহ্ণিত করেন এক ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ৷ তামিলনাড়ুর মাদুরাইয়ের তেত্রিশ বছরের ওই যুবকের নাম সম্মুগ সুব্রহ্মনম্৷

আর্থিক  অধোগতি  অব্যাহত :  অর্থনীতির  করুণ চিত্র দেশে ঘনিয়ে আসছে অর্থনৈতিক  দুর্যোগ

ঠুনকো দেশপ্রেম আর ধর্মীয় উন্মাদনা জাগিয়ে ভোটে জেতা যায়, কিন্তু অর্থনীতির হাল ফেরান  যায় না৷  কেন্দ্রীয়  পরিসংখ্যান দপ্তর  প্রকাশিত ত্রৈমাসিক আর্থিক বৃদ্ধির  হার থেকে জানা যাচ্ছে গত ছয়  বছরে  বৃদ্ধির  হার সব থেকে  কম জুলাই-সেপ্ঢেম্বরে৷  যা পাঁচ শতাংশের নীচে নেবে গেছে৷ অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের  আশঙ্কা আর্থিক বৃদ্ধির  এই অধোগতি অব্যাহত থাকলে দেশে  আর্থিক  দুর্যোগ  ঘনিয়ে আসবে৷

ত্রিপুরার জেলায় জেলায় আমরা বাঙালীর অবস্থান

গত ৪ঠা ডিসেম্বর ত্রিপুরার প্রতিটি জেলার সদরে আমরা বাঙালীর কর্মী সমর্থকরা এন আর সি-র অজুহাতে বাঙালীকে রাষ্ট্রহীন করার চক্রান্তের প্রতিবাদে ১২ দফা দাবী নিয়ে গণ অবস্থান, পথসভা, বিক্ষোভ মিছিল করেন৷

উত্তর ত্রিপুরা জেলার ধর্মনগরে গণ অবস্থানে বক্তব্য রাখেন গোপাল কৃষ্ণ দেব, বিভাস দাস, দানেশ পাল, শেখর সরকার, জ্যোতিষ নাথ, সাত্তার মিঞা প্রমুখ৷

ঊণকোটি জেলার কুমারঘাটে অবস্থানে বক্তব্য রাখেন সুবল দেব, কেশব মজুমদার, শীতল দেবনাথ, রুপন বড়ুয়া প্রমুখ৷

ধলাই জেলার আমবাসাতে বক্তব্য রাখেন তন্ময় নাথ, প্রেমতোষ দেব, সুভাষ দেবনাথ, রঞ্জিত বিশ্বাস, মণিলাল শর্মা প্রমুখ৷

নীতিহীন রাজনীতির আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

 গত ২৬শে নভেম্বর সংসদের সেন্ট্রাল হলে সংবিধান দিবস পালিত হয়৷ ১৯৪৯ সালের ২৬ শে নবেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন ভারতের সংবিধান পরিষদ কর্তৃক আমাদের  এই সংবিধান গৃহীত হয়েছিল৷ আর ১৯৫০ সালের ২৬শে জানুয়ারী  এই সংবিধানকে  কার্যকরী করা হয়েছিল৷ তাই প্রতিবছর ২৬ শে নভেম্বর দিনটিকে আমাদের দেশে সংবিধান দিবস হিসেবে পালন করা হয়৷ এদিন সংসদের সেন্ট্রাল হলে সংবিধান দিবস পালন উপলক্ষ্যে প্রদত্ত ভাষণে  রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ  বলেন,  আমাদের সকলের উচিত, বিশেষ করে বিভিন্ন সাংবিধানিক পদে যারা রয়েছেন, জনপ্রতিনিধি  ও সাধারণ  নাগরিক সকলেরই উচিত  সংবিধানের নৈতিকতার দিকটা মেনে চলা৷

আচরণাৎ ধর্ম

ধর্ম বৈবহারিক, সৈদ্ধান্তিক নয়৷ কে ধার্মিক,  কে ধার্মিক নয়–তা তার বিদ্যা, বুদ্ধি বা পদমর্যাদা থেকে প্রমাণিত হয় না৷ কে ধার্মিক তা প্রমাণিত হয় তার আচরণ থেকে৷ কে অধার্মিক তাও প্রমাণিত হয় তার আচরণ থেকে৷ যে ধার্মিক হতে চায়, তাকে তার আচরণ ঠিক করতে হবে৷

সমবায়ই একমাত্র সমাধান

সমবায় সম্পর্কে অনেকের মনে প্রশ্ণ জাগতে পারে৷ কারণ আজ বেশীর ভাগ দেশেই সমবায় অসফল হয়েছে৷ এই উদাহরণের ওপর ভিত্তি করে’ সমবায়কে দোষারোপ করা বুদ্ধিমত্তার পরিচয় হবে না৷ কারণ সমবায়ের সাফল্যের যে অপরিহার্য তত্ত্ব তা বেশীর ভাগ দেশ সৃষ্টি করতে পারেনি৷ সমবায়ের সাফল্য নির্ভর করে মূলতঃ তিনটি তত্ত্বের ওপর–নীতিবাদ, কড়া তত্ত্বাবধান (Supervision) ও জনগণের হদয় দিয়ে সমবায়কে গ্রহণ৷ এ তিন তত্ত্বের মধ্যে যেখানে যতটুকু রয়েছে সেখানে সমবায় ততটুকুই সাফল্য অর্জন করেছে৷ যেমন, ইজরায়েল চতুর্দিকে শত্রু বেষ্টিত হবার জন্যে ওখানকার জনগণের মধ্যে এক স্বয়ং–নির্ভরশীলতা চেতনা গড়ে’ উঠেছে–কারণ জনগণ মন–প্রাণ দিয়ে তাদের অর্থনীতিকে মজ

এন.আর.সি ঃ বিজেপি’র কাছে অশনি সংকেত

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে  বিজেপি’র বিপুল জয়, বিশেষ  করে পশ্চিম বাঙলায়  বিজেপি’র  দ্রুত বিপুল উত্থানের  পর সম্প্রতি  এ রাজ্যের  ৩টি  উপনির্বাচনেই বিজেপি’র চিৎপাত  হয়ে উল্টে পড়ার দশা দেখে অনেকেই  কিছুটা বিস্মিত  হয়েছেন৷

হঠাৎ কী এমন  হ’ল যে বিজেপি’র এভাবে ‘পপাত ধরণীতলে’ দশাপ্রাপ্তি? গত লোকসভা নির্বাচনে তূণমূল যেখানে আশা করেছিল ৪২-এর ৪২টা আসন, অন্ততঃ ২/৪টি বাদ দিয়ে  সমস্ত  আসন কিন্তু কার্যতঃ নির্বাচনের  ফলাফল প্রকাশের পর দেখা গেল বিজেপি’র  আশাতীতভাবে দ্রুত উত্থান হয়েছে৷ এক লাফে ১৮ টি আসন লাভ৷ ২৩টি জেলার মধ্যে ১৩টিজেলায় বিজেপি  তৃণমূলের চেয়ে বেশি বোট পেয়েছে৷

ক্ষুদার্থ ভারতে জোর-জবরদস্তিমূলক নীতির বদল ও এর যথার্থ সমাধান

শ্রী রঞ্জিত বিশ্বাস

ভাত দেবার মুরোদ নাই কিল মারার গোঁসাই’---ঠিক এমনই নিদারুণ শাসন ব্যবস্থা চলছে বর্তমান ভারতে৷ একদিকে কর্মচারীদের ছাঁটাই, কর্মসংস্থান বন্ধ, সারা বিশ্বের মধ্যে বেকারত্বের দিক থেকে ভারতের শীর্ষ স্থান লাভ৷ ক্ষুধার্ত ভারত হিসেবে সারা বিশ্বের মধ্যে ১০২ নম্বরে স্থান পাওয়া এবং সর্বোপরি বর্তমানে যে ভয়ঙ্কর অর্থনৈতিক মন্দা ভারতে নেমে এসেছে সেই দিশাহীন পরিস্থিতিতে জন্মনিয়ন্ত্রণ করতে যে জবরদস্তিমূলক নীতির ফরমান ভারত সরকার চালু করছে তা এই দেশের অন্তিম যাত্রাকেই ত্বরান্বিত করছে তাতে কোন ধরণের সন্দেহ নেই৷

বর্তমান অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচার একমাত্র পথ ‘প্রাউট’

সত্য দেব 

অষ্টাদশ শতাব্দীতে ইউরোপের বুকে ঝড় উঠেছিল, রাজতন্ত্র ও অভিজাততন্ত্র থেকে মুক্তি চাই৷ রুশো, ভলতেয়ার প্রভৃতি দার্শনিক ছিলেন এই ঝড়ের পুরোভাগে৷ তাঁদের সাথে এগিয়ে এলেন আরও একজন চিন্তানায়ক–তিনি হচ্ছে অ্যাডাম স্মিথ৷ তিনি দাবী তুললেন–মানুষকে অর্থনৈতিক জগতেও সমস্ত বিধিনিষেধের বন্ধন থেকে মুক্তি দিতে হবে৷ তাই এই দাবী–বিখ্যাত ‘Laissez faire’  স্লোগানের মধ্য দিয়ে মূর্ত্ত হয়ে উঠল৷ তিনি বললেন, মানুষ নিজের স্বার্থ (এখানে–অর্থনৈতিক স্বার্থের কথাই দ্রুত বলা হচ্ছে) নিজেই ভাল করে বোঝে, তাই এ ব্যাপারে তাকে পূর্ণ–স্বাধীনতা দিলে–সে যেমন দ্রুত নিজেকে আর্থিক উন্নতি করতে পারবে, তেমনি ব্যষ্টির আর্থিক উন্নতি সমাজেরও আর

কৃত্রিম হিন্দী ভাষা নয় সংস্কৃত ভাষা শিক্ষা বাধ্যতামূলক হোক

সুকুমার সরকার

‘হিন্দী, হিন্দু, হিন্দুস্তান’---এই শ্লোগান তুলে সংঘ পরিবার ও সংঘ পরিবারের বিজেপি সরকার ভারতীয় রাজ্য-রাজনীতির আকাশ তোলপাড় করে তুলেছেন৷  তখন বিজেপিরই একজন সাংসদ বালুরঘাটের সুকান্ত মজুমদার সংস্কৃত ভাষায় শপথ বাক্য পাঠ করে বলেছেন, ‘সংস্কৃত ভাষা নব্য ভারতীয় ভাষাগুলির জননী স্বরূপা৷ তারই দৃষ্টান্ত সকলের অনুসরণীয় হওয়া উচিত৷’