শিব, কৃষ্ণ ও রাম
পূর্ব প্রকাশিতের পর---
- Read more about শিব, কৃষ্ণ ও রাম
- Log in to post comments
পূর্ব প্রকাশিতের পর---
জাতীয় নমুনা সমীক্ষা সংস্থার সমীক্ষা ২০১৭-১৮ পর প্রতিবেদন কেন্দ্রীয় সরকার বাতিল করে দিল৷ গত প্রায় ৭০ বছর ধরে এই সংস্থাটি জাতীয় নমুনা সমীক্ষা প্রকাশ করে আসছে৷ ১৯৫০ সালে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় নমুনা সমীক্ষা সংস্থা স্বাধীনভাবেই কাজ করে৷ এই সংস্থানটি প্রতিষ্ঠিত হবার পর থেকেই প্রতিবছর জাতীয় নমুনা সমীক্ষা প্রকাশ করে৷ মোদী সরকারের আগে কোন সরকার এই সংস্থার সমীক্ষা রিপোর্ট খারিজ করেনি৷ কিন্তু মোদী সরকার এই সংস্থার ২০১৭-১৮-এর পরিবার ভিত্তিক ভোগ ব্যায় সার্ভে রিপোর্ট বাতিল করে দেয়৷
এই মুহূর্ত্তে সারা দেশে আলোড়িত হচ্ছে হায়দ্রাবাদে ঘটে যাওয়া একটি অমানবিক আচরণের প্রতিবাদে, বিক্ষোভ আছড়ে পড়ছে হায়দ্রাবাদ ছাড়িয়ে সারা দেশে৷ বাদ যায়নি রাজধানী শহর দিল্লীও৷ দিল্লীর নির্ভয়া কাণ্ডের পর হায়দ্রাবাদ, মাঝের সময়গুলিতে এতটা তোলপাড় না হলেও এই ধরণের ঘটনা কিন্তু ঘটেছে, ভবিষ্যতেও ঘটবে৷ বিক্ষোভ আন্দোলনও চলবে৷ এটা যেন একটা রেবাজ হয়ে গেছে৷ নির্ভয়া কাণ্ডের মত ঘটনা ঘটবে৷ মানুষ ক্ষোভে পথে নামবে৷ রাজপথে মোমবাতি জ্বলবে৷ অপরাধীর কঠোর সাজার দাবী উঠবে৷ জনপ্রতিনিধিরা গণতন্ত্রের দেবালয় সংসদে দাঁড়িয়ে হুঙ্কার দেবে, তারপর যথাপূর্বম্....৷
বর্তমানে সমগ্র ভারতীয়দের বিশেষ করে বাঙলার বাঙালী সমাজে সর্ব প্রথম জানা উচিত অতীতের ত্রিভুজাকৃতির ভারতবর্ষের সাংস্কৃতিক,অর্থনৈতিক রাজনৈতিক , সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গী কেমন ছিল, তার সঙ্গে দীর্ঘ কয়েক শত বছরের বাহিরের শাসকদের আমলে সেই দৃষ্টিভঙ্গী কেমন পরিবর্তন হয়েছে, আর বর্তমানে এদেশের সাধারণ জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা কেমন ধরণের শাসনব্যবস্থা গ্রহণ করে দেশকে শাসন করছেন৷ যদি তুলনামূলক আলোচনা করার যায় তাহলে বর্তমান ও সামগ্রিক সমস্যাগুলির সমাধান করতে দেশীয় শাসকদের ও জনগণের অনেকখানি সুবিধা হবে৷
হায়দ্রাবাদে এক তরুণী পশু চিকিৎসককে বলাৎকার করে খুনের ঘটনায় সারাদেশ উত্তাল৷ উত্তাল সংসদও৷ ঘটনাটি ঘটেছে তেলেঙ্গানাতে৷ গত ২৮ শে নভেম্বর রাতে তেলেঙ্গানার শাদনগরে একটি কালভার্টের নীচে অর্দ্ধদগ্ধ ওই তরুণী চিকিৎসকের দেহ পুলিশ উদ্ধার করে৷
অভিযুক্ত মহম্মদ ওরফে আরিফ, জল্লু শিবা, জল্লু নবীন ও চেন্না কেশাভুলু টোলপ্লাজা থেকে ওই তরুণীকে টানতে টানতে ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে তার ওপর গণ বলাৎকার করে তারপর খুন করে ও পরে ট্রাকে করে এক নির্জন কালভার্টের নীচে ফেলে দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল৷ এই চরম নৃশংস ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর সারা দেশ জুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে৷
আধুনিকতার নামে বর্তমানে শিশু, বালিকা, কিশোরী ও যুবতীদের বেশভূষায় যেভাবে পরিবর্ত্তন আনা হচ্ছে তা অতীব নিন্দনীয়৷ কিন্তু যাঁরা এই পরিবর্ত্তন আনছেন তাঁরা কি সত্যিই মানুষ পদবাচ্য? অর্থকরী দিকটাই তাঁরা ভেবে এ কাজে নেমেছেন, কিন্তু এর মন্দ প্রতিফলন সমাজের মানুষকে কতখানি অধোগতির পাঁকে নিমজ্জিত করছে সে খেয়াল তাঁদের আছে কি? তাঁরাও তো মানুষ? তাঁদেরও বিবেক চেতনা থাকা উচিত নয় কি? অর্থের হাতছানি দিয়ে কতকগুলো মানুষকে কতখানি পশুত্বে পর্যবসিত করতে পারে তার নজির এঁরা রেখেই চলেছেন.....৷ বেশভূষার ওপরে এক জন মানুষের মানসিকতার অনেকটাই নির্ভর করে৷ তাই নয় কি?
নিজস্ব সংবাদদাতা ঃ গত ২রা ও ৩রা নভেম্বর আনন্দনগরে কুর্মীডি গ্রামে ২৪ ঘণ্টা ব্যাপী অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ ‘বাবনাম কেবলম্’ এই অষ্টাক্ষরী মহানাম মন্ত্রে আনন্দনগর সংলগ্ণ মার্গী ভাই-বোনেরা ও স্থানীয় মানুষ উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে৷ পরমপুরুষকে কাছে পাওয়ার সবথেকে সহজতম উপায় হচ্ছে কীর্ত্তন৷ কুর্মীডি গ্রামে উপস্থিত ভক্তমণ্ডলী সেটা অনুভব করলেন ২৪ ঘণ্টা কীর্ত্তনে৷
কীর্ত্তন শেষে তত্ত্বসভা ও নারায়ণ সেবার আয়োজন করা হয়৷
আনন্দনগর সংলগ্ণ গ্রামগুলিতে মানুষের সামাজিক ও আধ্যাত্মিক চেতনার বিস্তার ঘটাতে আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের আনন্দনগর শাখার পক্ষ থেকে অখণ্ড কীর্ত্তন ও তত্ত্বসভার আয়োজন করা হয়৷ গত ৯ই নভেম্বর তিমাংডা গ্রামে, ১১ই নভেম্বর বালিয়া, ২৪শে নভেম্বর কোষাঙ্গি গ্রামেও ‘বাবানাম কেবলম্’ কীর্ত্তন ও তত্ত্বসভা অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তন ও তত্ত্বসভাগুলিতে দলমত নির্বিশেষে গ্রামের সমস্ত মানুষ যোগ দেয়৷ আচার্য নারায়ণানন্দ অবধূত, আচার্য মুক্তানন্দ অবধূত তত্ত্বসভাগুলিতে আনন্দমার্গ দর্শনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন৷
গত ৮ই নভেম্বর পতমজুরি গ্রামের রাকেশ মোদকের সঙ্গে রাঁচী নিবাসী নীলিমা মোদকের বিবাহ অনুষ্ঠিত হয় আনন্দমার্গের সমাজশাস্ত্র বিধি অনুযায়ী৷ এই বিবাহ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন পাত্রপক্ষে আচার্য মুক্তানন্দ অবধূত ও পাত্রীপক্ষে অবধূতিকা আনন্দ তপশীলা আচার্যা৷
আনন্দমার্গের বৌদ্ধিক শাখা রেণেশাঁ ইয়ূনিবার্সালের উদ্যোগে একটি মনোজ্ঞ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় গত ১৭ই নভেম্বর আনন্দনগরে অবস্থিত রোটাণ্ডা অডিটোরিয়ামে৷ সাহিত্য, অর্থনীতি, শিক্ষা প্রভৃতি আনন্দমার্গ দর্শনের বিষয়গুলির ওপর আলোচনা হয়৷ আলোচনার মুখ্য বিষয় অর্থনৈতিক গণতন্ত্র, মানুষের শিল্প সাহিত্য, নব্যমানবতাবাদী শিক্ষা প্রভৃতির ওপর বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক সমীররঞ্জন অধিকারী, ডঃ বিশ্বজিৎ ভৌমিক, ডঃ সুনন্দিতা ভৌমিক ও আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের প্রকাশন সচিব আচার্য মন্ত্রেশ্বরানন্দ অবধূত প্রমুখ৷ আনন্দনগরের রেক্টর মাষ্টার আচার্য নারায়ণানন্দ অবধূত ও আচার্য শুভপ্রসন্নানন্দ অবধূত এই অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেন৷