November 2020

আনন্দমার্গীয় প্রথায় গৃহপ্রবেশ

গত ২৭শে জুলাই ২০২০ মুর্শিদাবাদ জেলার বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রী সাক্ষীগোপাল দেব এর জামাতা ও কন্যা যথাক্রমে শ্রী অমরনাথ  দেব ও শ্রীমতি শিবলী দেব এর বর্ধমান শহরের গোদাতে আনন্দমার্গের সমাজশাস্ত্র চর্যাচর্য অনুসারে নূতন বাসগৃহের শুভ গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠান সুসম্পন্ন হয়ে গেল৷ উক্ত অনুষ্ঠানে পৌরহিত্য করেন  বর্ধমান ডায়োসিস সচিব আচার্য নিত্যধ্যানানন্দ অবধূত ও আচার্য মহেশানন্দ অবধূত৷ প্রভাত সঙ্গীত, কীর্ত্তন ও মিলিত সাধনার শেষে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যাহ্ণ ভোজে আপ্যায়িত করেন সাক্ষীগোপাল দেবের কন্যা ও জামাতা৷ উপস্থিত অতিথিগণ আনন্দমার্গের সমাজ শাস্ত্র বিধির ভূয়সী প্রশংসা করেন৷

 

মার্গীয় বিধিতে  শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

শিলচরের বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রী পান্নালাল রায়ের পিতা ব্রজগোপাল রায় গত ৬ই অক্টোবর পরলোক গমন করেন৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বৎসর৷ বার্ধক্যজনিত কারণে তাঁর মৃত্যু হয়৷

গত ১৮ই অক্টোবর শ্রী রায়ের শিলচরের বাসভবনে ‘আনন্দমার্গে চর্যাচর্য’ বিধি অনুযায়ী ব্রজগোপাল রায়ের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান সম্পন্ন হয়৷ শিলচর শহরের মার্গী ভাই-বোন, আত্মীয়-পরিজন ও বহু  বিশিষ্ট মানুষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন৷

দালমালিপি–একটি নোতুন আবিষ্কার

সম্প্রতি সিংভূম জেলার পটমদা থানার ভূলা–পাবনপুর গ্রামে ও তার পাশেই কমলপুর থানার বাঙ্গুরদা গ্রামে ও তার দক্ষিণ–পশ্চিম দিকে চাণ্ডিল থানার জায়দা গ্রামে জৈন যুগের বেশ কিছু নিদর্শন পাওয়া গেছে৷ তার সঙ্গে পাওয়া গেছে সেই যুগের বেশ কিছু বাংলা লিপি৷ এই লিপি অবশ্যই ১৭০০ বছর বা তার চেয়েও কিছু অধিক পুরোনো কারণ ওই সময়টাতেই রাঢ়ে শৈবাশ্রয়ী জৈনধর্মের স্বর্ণযুগ গেছে৷ ভগ্ণ মূর্তিগুলিও সমস্তই দিগম্বর জৈন দেবতাদের৷ যে লিপিমালা পাওয়া গেছে তা শুশুনিয়া লিপির চেয়ে পুরোনো তো বটেই, হর্ষবর্দ্ধনের শীলমোহরে প্রাপ্ত শ্রীহর্ষ লিপির চেয়েও পুরোনো হতে পারে৷ এই লিপি শ্রীহর্ষ লিপির স্বগোত্রীয় কিন্তু শ্রীহর্ষের চেয়েও বেশ পুরোনো৷

কাণ্ডারী

রবীন্দ্র নাথ সেন

প্রভু যদি তোমার

কাজে লাগালে মোরে

বাঁধো আমায় শক্ত করে

যেন মন পালাতে না পারে৷

দাও গো তুমি এমন বোঝা

যেন চলে মন কেবল সোজা,

এদিক ওদিক করলে পরে দেবে

টান আচ্ছা করে৷

প্রভু তুমি মোর কাণ্ডারী, তবে

কেন কাজ লাগে ভারি?

কাজের বোঝা চাপলে মাথায়

তোমায় ডাকতে যে ভুল করি৷

তোমার কাজে কষ্ট কেন হবে

আমি রাজার কাজে

এসেছি যে ভবে

তোমার যখন ইচ্ছে হবে,

তুমি আমায় ডেকে নেবে৷

বলো প্রভু কাজ করে যাই

তোমার সুরে সুরে

দেখি এবার কেমন করে

রাখো আমায় দূরে৷

 

কবিতা

রামদাস বিশ্বাসের

আকাশটা পেরোলেই তোমাকে ধরা যাবে জানি৷

তুমি অধরা ত্রিভুবনে তব সম্মানে আমি মানি৷৷

তুমি না থাকলে কোনও কিছু থাকে না কোথাও

শূন্যও থাকত না হ’য়ে যেত কোথায় উধাও৷

তুমি আছ তাই আছি তোমার মাঝারে বাঁচি

তুমি আছ তাই মনে নেই কোন কালিমা গ্লানি৷৷

হে করুণাকর রত্নের আকর তুমি রত্নাকর

তুলনা রহিত তুমি ভুবনে জ্ঞানের অসীম সাগর

উদ্ভাস মহাকাশ সকলই তব বিকাশ

আমাতে তোমার ছায়া সঙ্গীতে তোমারই বাণী৷৷

 

সময়োচিত কিছু কথা

বিশ্বদেব মুখোপাধ্যায়

শারদ উৎসবের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই সকলকে বাঙালীর শ্রেষ্ঠ এই উৎসব যে ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে এবছর অনুষ্ঠিত হতে চলেছে, উৎসব প্রিয় বাঙালী আম জনতার উপরই নির্ভর করছে উৎসব শেষে পশ্চিম বাঙলার পরিস্থিতি কেমন দাঁড়াবে৷ চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্তা, সমাজকর্মী, প্রশাসনের কর্তা ব্যষ্টিগণ শুভবুদ্ধি সম্পন্ন সচেতন নাগরিকগণ আতঙ্কিত হয়ে আছেন৷ মাছ ব্যবহারসহ  শারিরীক দুরত্ব বজায় রাখার জন্য জনগণকে দীর্ঘদিন ধরে সতর্ক বার্র্ত দেওয়া হলেও তারা এব্যাপারে সচেতন হচ্ছেন না৷ এই অবস্থায় আমাদের ওপর  অর্র্থৎ সাধারণ মানুষের ওপর অনেকটা নির্ভর করছে  পূজা পরবর্তী অবস্থা কেমন দাঁড়াবে৷

খন্খন্ ঝন্ঝন্

গম্ভীর শব্দের অর্থ হ’ল জলের তলমাপক ভাব অর্থাৎ জলকে গম্ভীর বললে বুঝতে হবে সেটা অথই জল....অনেক তলা পর্যন্ত সেই জল গেছে৷ যদিও শব্দটি আদিতে জলপরিমাপক হিসেবেই ব্যবহূত হত কিন্তু পরবর্ত্তীকালে বিভিন্ন ধরণের অলঙ্কারে বিভিন্ন বস্তুর তলমাপকতায় এর ব্যবহার হয়ে এসেছে৷ ভারী আবাজ, ভারী মনমেজাজ, ভারী চাল–চলন, ভারী চলন–বলন, যার মধ্যে অনেক নীচ অবধি বা অনেক ভেতর পর্যন্ত মাপবার প্রশ্ণ ওঠে তার জন্যে ‘গম্ভীর’ শব্দ চলতে পারে৷ বাজখাঁই আবাজ বলতে চলে গম্ভীর আবাজ হাসিবিহীন মুখকে বলব গম্ভীর মুখ অভিব্যক্তিবিহীন আচরণকে বলব গম্ভীর আচরণ মেপে মেপে মাটিতে চাপ দিয়ে দিয়ে চলাকে বলব গম্ভীর চলন৷ তবে মনে রাখতে হবে মুখ্যতঃ এটি জলে

সিটি বড় লয়

সংস্কৃতে ‘কোষ’ শব্দের অর্থ হ’ল আবরণী৷ শব্দটা ‘বৃ’ (অন্তঃস্থ ‘ব’) ধাতু থেকে আসছে৷ ‘বৃ’ (বর্গীয় ‘ব’) ধাতুর মানে অন্য৷ তার মানে বরণ করা বা শ্রেষ্ঠ বলে স্বীকার করা৷ এই ‘বৃ’ ধাতু থেকে ‘বর’ শব্দটি আসছে৷ ‘বর’ মানে শ্রেষ্ঠ৷ ‘নৃপবর’ মানে নৃপশ্রেষ্ঠ৷ বিয়ে বাড়ীর বর মানে বিয়ে বাড়ীতে যে মানুষটিকে সেদিনকার মত শ্রেষ্ঠ বলে মনে করা হয়...সবাই যার দিকে তাকিয়ে আছে...সবাইকার দৃষ্টি যে মানুষটির প্রতি নিবদ্ধ, বিবাহ–আসরে তথা বিবাহবাসরে সে–ই বর৷ বিয়ের আগে আমরা বরকে যেখানে বসাই তাকে বলি আসর, আর বিয়ের পরে যেখানে বসাই তাকে বলি বাসর৷ ‘বাসর’ শব্দের অপর অর্থ হ’ল ‘বার’, যেমন রবিবারকে বলতে পারি রবিবাসর, তেমনি সোমবারকে বলতে

আই.লিগের ট্রফি উঠল মোহনবাগানের হাতে

করোনার জন্য এবারের আই.লিগ প্রায় মাঝপথেই থেমে গিয়েছিল বা থামিয়ে দেওয়া হয়েছিল৷ শেষের দিকে সব দলেবই প্রায় ৪-৫টি করে ম্যাচ বাকি ছিল৷ তখনও লিগ টেবিলে শীর্ষে ছিল মোহনবাগান, দ্বিতীয় স্থানে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গল৷ দুই ক্লাবই ১৬টি করে ম্যাচ খেয়েছিল৷ কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের থেকে ১৬ পয়েন্ট এ এগিয়ে ছিল মোহনবাগান৷  তাই শেষ পর্যন্ত  তাদেরই লিগ জয়ী ঘোষণা করা হয়৷ কিন্তু ট্রফি হাতে পায়নি মোহনবাগান৷