‘চাঁচর’ শব্দটি এসেছে সংসৃকত ‘চর্চরী’ শব্দ থেকে৷ চাঁচর এক ধরনের অগ্ণ্যুৎসব৷ দোলের আগের দিন অনুষ্ঠিত হয়৷ খড় বাঁশ, শরপাতা, তালপাতা, ইত্যাদি যেখানে যা সহজপ্রাপ্য তাই দিয়ে পুকুর পাড়ে বাড়ি, পশু অথবা নরমূর্ত্তি তৈরী করা হয়৷ অনেক সময় পিঠালীর ভেড়া বানিয়ে ঘরের মধ্যে রাখা হয়৷ এই ভেড়াকে বলে মেণ্ঢাসুর৷ তারপর সন্ধ্যার সময় ছেলেমেয়ের বিপুল উল্লাসধবনি সহযোগে তাতে আগুন ধরানো হয়৷ এই হর্ষধবনির জন্যই উৎসবের নাম হয়েছে চর্চরী বা চাঁচর৷ কারণ, চর্চরী শব্দের অর্থ হর্ষধবনি৷ আর মেন্ঢাকে অসুর কল্পনা করা হয়েছে৷ কারণ কোন অসুর যেন সূর্যের উত্তরায়ণ গতিতে বিঘ্ন ঘঠাচ্ছে৷ তাকে দগ্দ করতে পারলেই পৃথিবীতে রোদ উঠবে এবং দিন বড় হবে৷
এককালে জ্যান্ত ভেড়া বা মেড়া পোড়ানোর রেওয়াজ ছিল৷ বর্তমানে কলাগাছ কিংবা ভেরেণ্ডা গাছ পোড়ানো হয়৷ দাহ করার আগে পূজার প্রথা আছে৷
এই উৎসব বাংলার বাইরেও পালিত হয়৷ মাদ্রাজ বোম্বাইতে এই চাঁচর খুব প্রসিদ্ধ উৎসব৷ বাংলাদেশে চাঁচাড়ি এবং বাঁশের ঘর বানিয়ে তার ভেতর খড়ের ভেড়া রেখে আগুন দেওয়া হয়৷
- Log in to post comments