June 2022

তের পার্বণ

প্রণবকান্তি  দাশগুপ্ত

অম্বুবাচির কটা দিন হচ্ছে মাতা বসুন্ধরার ঋতুপর্ব৷ লোকের বিশ্বাস, এই সময় বসুন্ধরা ঋতুমতী অবস্থায় থাকেন৷ সারা ভারত জুড়ে এই পার্বণ পালিত হয়৷ বিধবা নারীরা সাধারণত এই পার্বণ পালন করে থাকেন৷ যেহেতু এইসময় জননী বসুন্ধরা ঋতুমতী হন সেহেতু এই সময় আগুনে রান্না করা কোন জিনিস তারা খান না৷ আগুন জ্বালেন না৷ এমন কি রান্নাও করেন না৷ মাটি খোঁড়েন না---পাছে পৃথিবীর অঙ্গে কোন আঘাত লাগে৷ সূর্যের উত্তর থেকে দক্ষিণে গমন অর্থাৎ দক্ষিণায়নের দিন থেকে  (৭ই থেকে ১০ই আষাঢ়ের মধ্যে) তিন দিন এই পার্বণ পালিত হয়৷ এই অম্বুবাচির দিন থেকেই বর্ষা শুরু হয়৷ পৃথিবী জলসিক্তা হয় বলেই এর নাম অম্বুবাচি৷ বহু প্রাচীনকাল থেকে পৃথিবী নারীরূপ

একই সঙ্গে দু’টি ভারতীয় দল তৈরি করবে বোর্ড

একই সময়  দুটি আলাদা দেশে যাবে ভারতীয় ক্রিকেট দল এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বোর্ড৷  ইংল্যাণ্ড সফরে যাবে বিরাট কোহলী, রোহিত শর্মাদের নিয়ে যাবে রাহুল দ্রাবিড়৷ সেই একই সময় ভারতের তরুণ ক্রিকেট দল টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে যাবে  আয়ারল্যাণ্ডে আর তাদের নিয়ে যাবে ভিভিএস লক্ষ্মণ৷

ডার্বি দিয়ে ডুরান্ড

ইষ্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ডার্বি দিয়ে দিয়েই এই মরসুমে শুরু হতে পারে ঐতিহ্যশালী ডুরান্ড কাপ৷ সোমবার নবমহাকরণে ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস কলকাতার তিনপ্রধান ও ডুরাণ্ড কমিটির সদস্যদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন৷ জানা গিয়েছে, প্রতিযোগিতার আয়োজকরা চেয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল বনাম মহামেডান ম্যাচ দিয়ে ডুরাণ্ড শুরু করতে৷ কিন্তু পরে প্রস্তাব দেওয়া হয়, লাল-হলুদ বনাম সবুজ-মেরুনের দ্বৈরথের মাধ্যমে ১৬ অগাষ্ট থেকে এই প্রতিযোগিতা শুরু করার৷ ইষ্টবেঙ্গল, মোহনবাগান ও মহমেডান মাঠ ছাড়াও কিশোর ভারতী ও যুবভারতী ও যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ডুরাণ্ড কাপের ম্যাচ হবে৷ ফাইনাল হতে পারে ২৪ অগাষ্ট৷

ভারতীয় ফুটবলার সুনীলের অবসরের ইঙ্গিত

কলকাতায় এএফসি এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্ব শুরু হওয়ার কয়েকদিন আগেই বছর ৩৭ বয়সি সুনীল ছেত্রীর অবসরের ইঙ্গিত তিনি দিয়েছিলেন৷ হংকংয়ের বিরুদ্ধে  ম্যাচের আগের দিন সোমবার দুপুরে যুবভারতীতে এক সাংবাদিক বৈঠকে  অধিনায়ককে পাশে বসিয়েই ইগর বলেছিলেন  ‘আন্তজাতিক ম্যাচে ১০০তম গোল করার আগে আমি সুনীলকে কোন মতেই অবসর নিতে দেব না৷ ওর যা মানসিকতা, তাতে ও নিজেও এই লক্ষ্যপূরণ না করে ফুটবলকে বিদায় জানাবে বলে আমি  মনে করি না৷ অবসর নিয়ে ওঁকে যেন আর প্রশ্ণ করা না হয়’৷ এরপরেই যোগ করেন, ‘‘ফুটবলের প্রতি সুনীলের যা দায়বদ্ধতাৃ তার কোনও তুলনাই হয় না৷ তাছাড়া ওর শারীরিক সক্ষমতাও দুর্দান্ত৷ পাশাপাশি পরিবারের যে সমর্থন ও প

প্রাউটের দৃষ্টিকোন থেকে সাম্প্রদায়িকতার ভয়াবহতা

ভারত সরকারের সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গীর উদাহরণ হিসেবে ৰাঙলার দৃষ্টান্তটা নাও৷ সেই সময়ে প্রাদেশিক স্বায়ত্ত্বশাসনে ৰাঙলার বিধানসভায় সৃষ্ট হয়েছিল ২৫০টি আসন৷ এই ২৫০টি আসনের মধ্যে মুসলমানদের জন্য সংরক্ষিত ছিল ১২০টি আসন, অ–মুসলমানদের জন্য ৮০টি আসন, ২৫টি আসন ছিল ব্রিটিশ বণিকদের জন্যে (কলকাতার ব্রিটিশ বণিকদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা জন্যে), কিছু আসন ছিল জমিদারদের জন্যে, কিছু বিশ্ববিদ্যালয়গুলির জন্যে আর কিছু ছিল শ্রমিক নেতাদের জন্যে৷ সব মিলে ২৫০টি আসন৷ সেই সময়ে ৰাঙলার ৪৫% অধিবাসী ছিল মুসলমান আর বাকী ৫৫% ছিল অ–মুসলমান৷ অর্থাৎ কিনা ৰাঙলার শুধু দেশটারই বিভাজন হ’ল না৷ মানসিক বিভাজনও হ’ল যার পরিণাম

প্রাউটিষ্টদের অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে অর্থনৈতিক বৈষম্য দূরতে চাই সমাজ আন্দোলন

প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রী প্রভাত খাঁ গত ২২শে জুন শ্রীরামপুরে এক আলোচনায় চার বছরের চুক্তিতে সেনা নিয়োগের বিরুদ্ধে আন্দোলন প্রসঙ্গে বলেন---পুঁজিবাদী শাসন ব্যবস্থার অঙ্গ এই আন্দোলন আন্দোলন খেলা৷ এই আন্দোলনের শেষ পরিণতি কিছু প্রাণহাণি ও রাষ্ট্রের সম্পদ হানি৷ ফ্যাসিষ্ট শোষক ও তাদের তাঁবেদার রাজনৈতিক দলগুলো জনগণকে প্রকৃত আন্দোলন থেকে দূরে রাখতে এই সব আন্দোলনের উৎস তৈরী  করে৷ কয়েকদিন আগে কেন্দ্রীয় শাসকদলে  এক নেত্রীর ধর্মীয় উস্কানিমূলক মন্তব্য নিয়ে দেশে ও দেশের বাইরে আন্দোলনের ঝড় বয়ে গেল৷ ট্রেন বাস পুড়লো৷ সেই আন্দোলনের রেশ থামার আগেই সরকার সেনাবাহিনীতে চার বছরের চুক্তিতে নিয়োগের কথা ঘোষণা করে বস

আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালন

গত ২১শে জুন আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের কর্মী ও সদস্যরা বিশ্বের সর্বত্র আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালন করেন৷ ঐ দিন মূল অনুষ্ঠান হয় আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের কলিকাতা কেন্দ্রীয় আশ্রম তিলজলা ভি.আই.পি নগরে৷ এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিরূপে উপস্থিত ছিলেন কলিকাতা সাহিত্য একাডেমীর আঞ্চলিক সম্পাদক ডঃ দেবেন্দ্রকুমার দেবেশ৷ প্রধান অতিথির ভাষনের মূল বিষয় ছিল যোগ সাধনা ও শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী বহুবিধ অবদান৷

আমরা বাঙালীর কর্মী সম্মেলন

গত ১৯শে জুন ২০২২, উত্তর ২৪ পরগণার বিরাটিতে ‘‘আমরা বাঙালী’’ কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয় কর্মী প্রশিক্ষণ শিবির ও কেন্দ্রীয় বার্ষিক সাধারণ সভা৷

উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট প্রাউটিষ্ট শ্রী সুবোধ কর, প্রধান অতিথি হিসেবে আসন আলোকিত করেন শ্রী অসিত দত্ত৷ এছাড়া মঞ্চে ছিলেন কেন্দ্রীয় সচিব জ্যোতিবিকাশ সিন্‌হা সহ সচিব বিকাশ বিশ্বাস, সাংঘটনিক সচিব জয়ন্ত দাশ, কেন্দ্রীয় যুব সমাজ সচিব তপোময় বিশ্বাস,  কেন্দ্রীয় বাঙালী মহিলা সমাজ সচিব প্রণতি পাল প্রমুখ নেতৃবৃন্দ৷

আর কত দিন---এই আন্দোলন আন্দোলন খেলা!

মনোজ দেব

গণতন্ত্রের জন্য প্রচলিত প্রবাদ---জনগণের জন্য, জনগণের দ্বারা, জনগণের সরকার৷ এটাকে ব্যাঙ্গাত্মক করে বলা হয় বোকাদের জন্য, বোকাদের দ্বারা,বোকাদের সরকার৷ ব্যাঙ্গাত্মক হলেও এটাই নির্মম সত্য৷ স্বাধীনতার ৭৫ বছরে  সরকার যখন দেশজুড়ে স্বাধীনতার অমৃত মহা-উৎসবে মেতে উঠেছে তখন দেশের সেই সাধারণ মানুষ স্বাধীনতার অমৃতের কতটুকু আস্বাদন করতে পেরেছেন?

জীবের প্রকৃত বন্ধু কে?

‘‘এক এব সুহূদ্ধর্ম নিধনেহপ্যনুযাতি যঃ’’৷ ধর্মই তোমার একমাত্র সুহৃদ (এক ধরণের বন্ধু যা মৃত্যুর পরেও মানুষের সঙ্গে থেকে যায়)৷ সংস্কৃতে ‘বন্ধু’ শব্দের কয়েকটিই প্রতিশব্দ রয়েছে৷

‘‘অত্যাগসহনো বন্ধুঃ সদৈবানুমতঃ সুহৃদ৷

একক্রিয়ং ভবেন্মিত্রং সমপ্রাণাঃ সখা স্মৃতঃ৷৷’’

‘‘অত্যাগসহনো বন্ধুঃ’’৷ যে বিচ্ছেদ–বেদনা সহ্য করতে পারে না সে–ই বন্ধু৷ যার সঙ্গে তোমার ভালবাসার সম্পর্ক এতই দৃঢ় যে তোমার বিচ্ছেদ তার কাছে অসহনীয় বলে মনে হচ্ছে তাকেই বলব বন্ধু৷ পারস্পরিক স্নেহ–ভালবাসার এই বন্ধন এতই দৃঢ় যে সে তোমার কাছ থেকে দূরে থাকতে পারে না–তোমার সঙ্গে বিচ্ছেদ সহ্য করতে পারে না৷