July 2022

ইষ্ট ও আদর্শের মধ্যে কী সম্পর্ক?

ইষ্ট ও আদর্শের মধ্যে কী সম্পর্ক? ইষ্ট ব্যতিরেকে মানুষ নিজেকে আদর্শে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে না৷ তেমনই আদর্শ ছাড়া ইষ্টে প্রতিষ্ঠিত হওয়া অসম্ভব৷ দৃষ্টান্ত দিয়ে ৰলতে গেলে নীচের উদাহরণটি উল্লেখ করা যেতে পারে৷ প্রায় পঁয়ত্রিশ বছর আগে, কোন দুই দেশের মধ্যে লড়াই চলছিল যাদের ধর্মমত (ৰৌদ্ধ) একই ছিল৷ সৈনিকেরা যখন যুদ্ধে যেত তখন তাদের মায়েরা নিজ নিজ সন্তানদের জীবনের সুরক্ষার জন্যে ভগবান ৰুদ্ধের কাছে প্রার্থনা করত৷ ভগবান ৰুদ্ধ কী করৰেন? এদের ৰাঁচাৰেন না ওদের ৰাঁচাৰেন?

বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার ছায়া প্রাউটের বাস্তবায়নই পরিত্রাণের পথ

প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রীপ্রভাত খাঁ বলেন সারা বিশ্বের অর্থনীতিকে স্থবিরতা গ্রাস করেছে৷ ধনীর আয় দিন দিন ফুলে ফেঁপে উঠছে, গরীব আরও গরীব হচ্ছে৷ মুষ্টিমেয় ধনকুবেরের হাতে দেশের সিংহভাগ সম্পদ দখল হয়ে আছে৷ অর্থনৈতিক বৈসম্য আকাশ ছোঁয়া৷ গ্যাস পেট্রল সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি গৃহস্থের সংসারে হাহাকার ফেলেছে৷ সমাজ সংসার জীবন জীবিকা স্তব্ধ হয়ে যাচ্ছে৷ যদিও রাষ্ট্রের শাসকবর্গ অর্থনীতির এই দুরাবস্থার জন্যে কোভিড-১৯কে দায়ী করেছে, কিন্তু শ্রী খাঁ বলেন অর্থনীতিতে এই গতিহীন রোগ দু-এক বছরের নয়৷ আজ সারা পৃথিবীতে সামাজিক অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যে মন্দার করাল ছায়া তা দু-এক বছরের নয়৷ পুঁজিবাদী আগ্রাসন,

দিকে দিকে আনন্দমার্গের সেমিনার

গত ৮ই, ৯ ও ১০ই জুলাই আন্দামানে আনন্দমার্গ ধ্যানমন্দিরে তিনদিনের সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়৷ তিনদিনের এই সেমিনারে প্রশিক্ষক ছিলেন আচার্য তন্ময়ানন্দ অবধূত৷ তিনি আনন্দমার্গ দর্শনের আধ্যাত্মিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক দর্শনের ওপর আলোচনা করেন৷ আলোচ্য বিষয় ছিল ইষ্ট ও আদর্শ, জীবন মৃত্যু ও সংস্কার, মানব সমাজ এক ও অবিভাজ্য ও অর্থনীতিতে গতিতত্ত্ব৷

নেপালে আনন্দমার্গের ব্যাপক প্রচার

গত ৮ই জুলাই নেপাল কাঠমাণ্ডুতে ভ্যালিভিউ হাইস্কুলে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ এখানে আনন্দমার্গের বরিষ্ঠ সন্ন্যাসী আচার্য বীতমোহানন্দ অবধূত ছাত্র-ছাত্রাদের যোগসাধনার প্রয়োজন ও আনন্দমার্গ দর্শনের আধ্যাত্মিক বিষয়ে আলোচনা করেন৷ আলোচনায় অনুপ্রাণিত হয়ে বহু ছাত্র আনন্দমার্গের আদর্শে দীক্ষিত হয়৷ 

সংহতি ও সমৃদ্ধির ভারতl

এইচ.এন.মাহাত

ভারতীয় বলতে আমরা বুঝি কোন একটি জাতিগত সাদৃশ্য বা কোন একটি ধর্মীয় মতবাদের ওপর প্রতিষ্ঠিত জনগোষ্ঠী নয়৷ ভাষাগত ও সাংস্কৃতিকগত ভাবে ৪৪টি জনগোষ্ঠীর সমন্বয়ে গঠিত একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ভারত ভূমি৷

জীবনের মূল মন্ত্র

জীবনের গতি সর্বদা পরম লক্ষ্যের দিকে কিন্তু জড় প্রকৃতি তাকে সবসময় নিজের দিকে আকর্ষণ করার চেষ্টা করতে থাকে৷ নিজের সঙ্গে লড়াই করতে করতে মানুষের শক্তি যখন আর কিছুই করতে পারে না, সেই সময়ের যে অবস্থা তাকে বলে মৃত্যু৷ এমনিতে শরীর থেকে প্রাণশক্তি যখন বেরিয়ে যায়, সেই সময়ের যে পরিস্থিতি তাকে মৃত্যু বলা হয়---এটা স্বাভাবিক তথা গৌণ মৃত্যু৷ কিন্তু মানুষের আবার অকাল মৃত্যুও হয়৷ আসলে প্রকৃতির এই আসুরী শক্তির সঙ্গে সংগ্রাম করে নিজেকে চরম লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার যে প্রয়াস তাকেই জীবন বলে৷ তমোগুণী বৃত্তিগুলো সমাজের সর্বত্র ব্যাপ্ত থেকে মানুসের চরম লক্ষ্যপ্রাপ্তির পথে বাধা সৃষ্টি করছে৷ যে এই আসুরী বৃত্ত

গণ–অর্থনীতি ও মানস–অর্থনীতি

আজকের অধিকাংশ অর্থনীতিবিদই মানস–অর্থনীতি আর গণ–অর্থনীতির সঙ্গে সম্পূর্ণ অপরিচিত–আর তাই তাঁদের বর্ত্তমান অর্থনৈতিক ধ্যান–ধারণায় অর্থনীতির এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ শাখাই কোন স্থান পায়নি৷

কোনো অর্থনীতিকে উন্নত অর্থনীতি Developed Economy অভিধায় অভিহিত করতে গেলে তাতে থাকবে চারটি মুখ্য ধারা–

প্ত গণ–অর্থনীতি (People’s Economy)

প্ত সাধারণ অর্থনীতি (Psycho-Economy)

প্ত মানসভৌম–র্থনীতি (Psycho-Economy)

প্ত বাণিজ্যিক–র্থনীতি (Commercial Economy)

ভাইরাস আক্রান্ত পৃথিবী

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

করোনার চতুর্থ ঢেউ আছড়ে পড়ছে৷ স্বাস্থ্য অধিকর্র্ত ও  ডাক্তারদের আশ্বাস আগের মতো ভয়ানক হবে না চতুর্থ ঢেউ৷ তবুও দিন দিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে৷

চাই বলিষ্ঠ অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ও অর্ন্তমুখী জীবনের অনুশীলন

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

একথা রূঢ় বাস্তব---ভারতবর্ষের অভ্যন্তরেই আজ বিচ্ছিন্নতার সুর৷ তাই রাষ্ট্রের কর্ণধারদের সংহতির কথা চিন্তা করতেই হবে৷ ঐক্যের পথ খুঁজে বের করতেই হবে৷ কিন্তু শুধু রোগ জানলেই হবে না৷রোগের কারণও জানতে হবে৷ নতুবা ভুল ঔষধ প্রয়োগে হিতে বিপরীত হবে৷

ভারতবর্ষ একটি যুক্তরাষ্ট্র৷ এই যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় নানা ভাষাভাষীর জনগোষ্ঠী আছে৷ তাদের আচার-আচরণ, পোষাক-আষাক, চাল-চলনে অনেক পার্থক্য আছে৷ এই পার্থক্যই ভারতবর্ষকে এক নতুন বৈশিষ্ট্য দিয়েছে৷ তাই বলা হয়ে থাকে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য৷ তাই রাষ্ট্র নেতাদের এই বৈচিত্র্যের পৃথক বৈশিষ্ট্য বজায় রেখেই ঐক্যের পথ খুঁজতে হবে৷ পৃথক বৈশিষ্ট্যের বিনাশ ঘটিয়ে নয়৷