July 2022

যে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে মহান আদালতের নির্দ্দেশ সরকার মানে না সে সরকার কখনো জনগণের নয়

প্রভাত খাঁ

এই প্রতিবেদনটি লিখতে বসে প্রথমেই বলি যে শাসক বিচার বা আদালত ও আইন এই বিভাগ যদি সংবিধান না মেনে চলে তা হলে দেশের সর্বনাশ৷ বিচার বা আদালত আজও নিরপেক্ষ হয়ে আছে তাই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে মানুষ কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে৷ কথায় আছে যে যায় লঙ্কার অর্থাৎ শাসনে সেই হয় বারণ অর্থাৎ শোষক৷ আজ এদেশের গণতন্ত্র তাই হচ্ছে অধিকাংশ ক্ষেত্রে৷ বিচার বিভাগ সরাসরি শাসন বিভাগের হস্তাক্ষেপ করে না, তবে যদি জনগণ আদালতের কাছে বিচার প্রার্থনা করে আবেদন করে তা হলে তাকে বিচার করতে হয়৷ অনেক সময় যে টি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা হয়ে দাঁড়ায়৷

জাতীয় প্রতীক নিয়ে বিতর্ক

গত ১১ই জুলাই নয়া দিল্লীতে নূতন সংসদ ভবনের মাথায় জাতীয় প্রতীক অশোক স্তম্ভের  বিশাল প্রতিকৃতির উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদী৷ গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ভুলে ওই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিরোধীদের না ডাকা নিয়ে বিতর্ক আগেই শুরু হয়েছিল৷ এবার জাতীয় প্রতীক বিকৃত করার অভিযোগ উঠল মোদি সরকারের বিরুদ্ধে৷ ছবিতে সারনাথের অশোক স্তম্ভ ও নূতন সাংসদ ভবনের মাথায় প্রতিষ্ঠিত নবনির্মিত অশোকস্তম্ভের প্রতিকৃতি দেখলেই পার্থক্য বোঝা যায়৷

ঠাকুর নগরে মার্গী সম্মেলন

গত ১০ই জুলাই উঃ২৪পরগনার ঠাকুর নগর আনন্দমার্গ স্কুলে মার্গী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়৷ সকাল ৯টা থেকে বিকাল  ৫টা পর্যন্ত এই সম্মেলন চলে৷ জেলার প্রায় শতাধিক মার্গী ভাইবোন এই সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছিলেন৷ সম্মেলনে আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষে আচার্য অভিব্রতানন্দ অবধূত, আচার্য সুধাক্ষরানন্দ অবধূত, আচার্য বোধিসত্ত্বানন্দ অবধূত ও আচার্য প্রমথেশানন্দ অবধূত৷ তাঁরা সম্মেলনে উপস্থিত মার্গী ভাইবোনদের বর্তমান সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে আনন্দমার্গের আদর্শের বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয়তা ও আনন্দমার্গের ব্যাপক প্রচার প্রসারের কাজের গুরুত্বের কথা বলেন৷ সমস্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন জেলার ভুক্তিপ্রধান সন্

পি.এম কেয়ার্স নিয়ে কেন্দ্রকে দিল্লী হাইকোর্টের ভৎর্সনা

পি.এম কেয়ার্স নিয়ে এবার দিল্লী হাইকোর্ট কেন্দ্রকে ভৎর্সনা করলেন৷ ২০২০ সালে করোনা কালে এই ডেডিকেটেড ন্যাশনাল ফাণ্ড তৈরী করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার৷ কিন্তু গত বছর একটি মামলায় কেন্দ্রীয় সরকার দাবী করেন পিএম কেয়ার্স সরকারী তহবিল নয়৷ তাই এটি তথ্যের অধিকার আইনের বাইরে৷ কিন্তু তহবিল প্রধানমন্ত্রীর নামে, প্রধানমন্ত্রী চেয়ারম্যান যোগাযোগের ঠিকানা সাউথ ব্লকের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, বিজ্ঞাপণের খরচাও সরকার বহন করেছে৷ তাহলে এটা সরকারের নয় কেন৷ প্রধানমন্ত্রী কি সরকারের বাইরে৷ এই তহবিলকে সংবিধানের ১২ নং ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় ঘোষণার দাবী জানিয়ে দিল্লী হাইকোর্টে মামলা করেন আইনজীবী সম্যক গাঙ্গোয়াল৷ ওই মামলায় প্র

বাঙলা ভাগের বিরুদ্ধে শিলিগুড়িতে বিক্ষোভের ডাক আমরা বাঙালীর

আগামী ১৮ই জুলাই গোর্র্খ চুক্তির প্রতিবাদে ও জি.টি.এ বাতিলের দাবীতে আমরা বাঙালী ও বাঙালী ছাত্রযুব সমাজ শিলিগুড়িতে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছে৷ যুব সমাজের সচিব শ্রী তপোময় বিশ্বাস বলেন---কোনমতেই আর বাঙলা ভাগ হতে দেওয়া হবে না৷ তিনি বলেন হিন্দি সাম্রাজ্যবাদী শক্তির চক্রান্তে বার বার বাঙলা ভাগের আওয়াজ তোলে বিজেপি দলের কিছু সাংসদ ও বিধায়ক৷ এরাই ভোটের আগে সোনার বাঙলা গড়ার স্বপ্ণ দেখিয়েছিল৷ কিন্তু পরাজয়ের পর বিজেপির আসল চেহারা ধরা পড়ে৷ তিনি জানান আগামী ১৮ই জুলাই শিলিগুড়িতে ছাত্রযুব সমাজ  এক বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করেছে৷ এখান থেকেই বাঙলা ভাগের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হবে৷

 

বাঙলা ঘুরে গেলেন এন.ডি.এ রাষ্ট্রপতি পদের প্রার্থী

রাষ্ট্রপতিপদের নির্বাচনে এন.ডি.এর প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু পশ্চিমবঙ্গে প্রচার করে গেলেন৷ তিনি প্রথমে উত্তরবঙ্গে উত্তরপূর্ব ভারতের বিজেপি নেতাদের সঙ্গে ও রাজ্যের উত্তরবঙ্গের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন৷ এরপর কলকাতার রাজারহাটে বিলাসবহুল হোটেলে রাজ্য নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন৷

রাজ্য নেতারা অবশ্য দ্রৌপদীর আদিবাসী পরিচয় তুলে ধরে শাসকদলে ভাঙ্গন ধরাতে চাইলেও শাসকদলের আদিবাসী নেতারা বলেন ব্যষ্টি অপেক্ষা দল অনেক বড়৷ তাই দলের সমর্থিত প্রার্থীকে তারা ভোট দেবেন৷

 

আমের সাতকাহন

সংস্কৃত আম্রঞ্ছপ্রাকৃতে, আম্ব/অম্বা৷ এর থেকে ৰাংলায় ‘আঁৰ’ শব্দটি এসেছে৷ উত্তর ভারতের অধিকাংশ ভাষাতেই এই ‘আম্ব’ বা ‘অম্বা’–জাত ‘আঁৰ’ শব্দটিই প্রচলিত৷ ওড়িষ্যায় আঁৰ (আঁৰ্–), মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানের অংশবিশেষে আঁৰা, গুজরাতীতে অম্বো, মারাঠীতে আম্বা (‘পিকলে আম্বে’ মানে পাকা আঁৰ), পঞ্জাৰীতে আম্ব্ (আম্ব্ দ্য অচার), হিন্দীতে ও ৰাঙলার কোন কোন অংশে প্রচলিত ‘আম’ শব্দটি থেকেই ‘আঁৰ’ শব্দটি এসেছে৷ ব্যুৎপত্তিগত বিবর্ত্তনের বিচারে আমের চেয়ে আঁৰ বেশী শুদ্ধ৷ তবে একটি বিবর্ত্তিত শব্দ হিসেৰে আমকেও অশুদ্ধ ৰলা চলৰে না৷ ৰাঙলার মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলী, কলিকাতা, ২৪ পরগণা, খুলনা ও যশোরের অংশবিশেষে ‘আঁৰ’ শব্দই প্রচলিত৷

দ্বিজেন্দ্রলাল (জন্ম---১৯সে জুলাই)

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

ভারত মাতার বন্দনা গানে

তুলেছিলে আলোড়ন৷

স্বাদেশিকতার  অপূর্ব বেগ

মুক্তির স্পন্দন!

ঠাট্টা-তামাসা-হাসি উপহাসে

হানিয়া তীক্ষ্মবান

আত্মচেতনা দিয়েছিলে, যারা

আছিল মূহ্যমান৷

আমাদের তুমি ‘মানুষ’ বলেছো

বল নাই কভু ‘মেষ’৷

তুমিই বলেছো জগতের মাঝে

ভারত শ্রেষ্ট দেশ৷

বীরত্ব আর পৌরুষে সদা

দিয়ে গেছে সম্মান,

ব্রিটিশের সাথে সন্ধি---যে কভু

পায়নি মনেতে স্থান৷

চন্দ্রগুপ্ত রাণা প্রতাপের

বীরত্ব প্রেরণায়

তারাবাই আর দুর্গাদাসের

চরিত্র রচনায়---

কৌতুক

প্রতিনিধি

শিক্ষক ঃ বলতে পারো মানুষ ও গাধার মধ্যে তফাৎ কি?

ছাত্র ঃ    একটি মানুষকে গাধা বলে ডাকা যায়, কিন্তু একটা গাধাকে মানুষ বলে ডাকা যায় না৷

 l  l  l

 

দীপক ঃ দাদু, দাদু আপনার চুলগুলো সাদা হয়ে গেছে কিন্তু গোঁফটা এখনও কালো কেন?

দাদু ঃ    আরে বাবা, চুলগুলো তো গোঁফের থেকে কুড়ি বছরের বড়৷

 l  l  l

 

প্রদীপ ঃ আচ্ছা বরেন, একটি ডাকাত ও একজন মন্ত্রীর মধ্যে তফাৎ কী তা বলতে পারো?

বরেন ঃ আজ্ঞে হ্যাঁ, ডাকাতের পেছনে পুলিশ থাকে, আর মন্ত্রীর সামনে ও পেছনে দুই জায়গাতেই পুলিশ থাকে৷

l  l  l

প্ত  প্ত  প্ত

দানও নিলেন, দক্ষিণাও নিলেন

একটি প্রাচীন ৰাংলা গানে ‘কোদণ্ড’ শব্দটি কোদাল অর্থে ব্যবহূত হয়েছিল৷ গানটি রচনা করেছিলেন সুবিখ্যাত পাঁচালী গায়ক দাশরথি রায়–সংক্ষেপে দাশু রায়৷ ৰাংলার এই জন্মসিদ্ধ প্রতিভা দাশু রায় কবিতায় কথা বলতে পারতেন......পারতেন গানেও কথা বলতে৷ সংস্কৃত শাস্ত্রেও ছিল তাঁর প্রচণ্ড দখল......আর প্রচণ্ড দখল ছিল যেমন ৰাংলায় তেমনি সংস্কৃতেও৷ তার সঙ্গে তিনি ছিলেন মজলিশী মেজাজের মানুষ৷ লোককে হাসাতে পারতেন দারুণ৷