January 2023

প্রাউটের দৃষ্টিকোন থেকে তিন প্রকারের জীবিকা

মানুষের রয়েছে তিন ধরনের জীবিকা –– শারীরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক জীবিকা৷ কিন্তু পশুদের জীবিকা হ’ল কেবল একটি –– শারীরিক জীবিকা৷ তাই পশুদের যদি খাবার জুটে গেল তো তারা দিব্যি খুশীতে দিন কাটিয়ে দেয়৷ কিন্তু মানুষের তেমনটি হয় না, মানুষ কেবল দু’মুঠো খাবার পেলে অর্থাৎ তার দৈহিক জীবিকার পূর্ত্তি ঘটলেই সে তৃপ্ত হতে পারে না৷ মানুষ চায় তার মনের জীবিকা পূরণ করতে, আধ্যাত্মিক ক্ষুধার আত্যন্তিকী নিবৃত্তি বা আত্মিক জীবিকারও পূর্ত্তি ঘটাতে৷ মানসিক জীবিকা বলতে এখানে কি ৰোঝান হচ্ছে?

বাঙালী বিজ্ঞানীর বিস্ময়কর সাফল্য সাগরের নোনা জল থেকে ইউরেনিয়াম

অফুরন্ত সম্পদের ভাণ্ডার সমুদ্র৷ তার অতলান্ত জলরাশির গভীরতায় জৈব উপাদানের পাশাপাশি রয়েছে অত্যন্ত মূল্যবান খনিজ সম্পদও৷ কে জানত সমুদ্রের নোনা জলের ঢেউয়ের  মধ্যেও পাওয়া যেতে পারে মহার্ঘ সম্পদ?

ত্রিপুরার জম্পুই পাহাড়ে মিজো-ভাষার সাথে বাংলা ভাষা চালু করে সম্প্রীতির বার্তা

শান্তি, সম্প্রীতি ও  বাঙালী-পাহাড়ী ঐক্যের শ্লোগান দিয়ে ভোট ব্যাঙ্ক বাড়াতে রাজনৈতিক দলগুলি সর্বদা কুটকৌশল অবলম্বন করে থাকে  এরফলে লাভ কিছুই হয় না৷ কিছু সুবিধাবাদী রাজনৈতিক নেতা নেত্রীদের কারণে রাজ্যের পাহাড় ও সমতলে প্রায় সময়ই একটা বিভেদের দেওয়াল তৈরী করা হয় বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীর মধ্যে৷ বর্তমানে সারাদেশে জাত-পাতের রাজনীতি নিয়ে অস্থির পরিস্থিতি বিরাজ করছে কিন্তু অসৎ রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির বাইরে গিয়েও মানুষ নিজেরাই একে অপরকে আপন করে নিয়েছে৷ এই উদাহরণ সম্প্রীতি দেখা গেল জম্পুই পাহাড়ে৷ এখানে জাতি-উপজাতি ভেদাভেদের কোন প্রশ্ণই নেই৷ রাজ্যের শৈল শহর হিসেবে পরিচিত জম্পুই পাহাড়ে যেন তৈরী হয়েছে বাঙালী-পাহ

কৈবর্ত বিদ্রোহ ঃ পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম সুসংগঠিত গণবিদ্রোহ

সুকুমার সরকার

সৃষ্টির আদি থেকেই মানুষকে প্রতিকূল পরিবেশ পরিস্থিতির সঙ্গে সংগ্রাম করতে করতে এগিয়ে আসতে হয়েছে৷ কখনো এককভাবে বিচ্ছিন্ন কখনো সংঘবদ্ধভাবে৷ সেসব সংঘবদ্ধ সংগ্রাম কীভাবে সংঘটিত হতো তার একটি অনুমান আমরা করতে পারি৷ কিন্তু ঐতিহাসিক সূত্র উল্লেখ করে নির্দিষ্টভাবে বলতে পারি না, অমুক সংগ্রাম বা অমুক বিদ্রোহ অমুক সময়ে, অমুক, অমুকের নেতৃত্বে সংঘটিত হয়েছিল৷ বিশেষ করে মানুষের সমাজে রাষ্ট্র ও রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পর রাজার বিরুদ্ধে সাধারণ গণমানুষের গণ-বিদ্রোহের কথা৷ এ ব্যাপারে পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম যে গণ-বিদ্রোহের কথা  জানতে পারা যায় সেটা হলো ‘‘কৈবর্ত বিদ্রোহ’’৷ একক কারও নেতৃত্বে প্রজাদেরকে সুসংগঠিত করে কোনো

সমতাভাব

আমি নানান স্থানে, নানান অনুষ্ঠানে একটা কথা বলেছি–মানসিক সাম্য অথবা মানসিক সাম্যাবস্থা৷ ভগবান শিবের একটি উক্তি আছে, জীবনে সম্পূর্ণ সফল হওয়ার পিছনে চতুর্থ তত্ত্বটি হ’ল ‘সমতাভাব’, অর্থাৎ মানসিক সাম্য, মানসিক ভারসাম্য৷ মনে কোন রকম কম্প্লেক্স রাখলে চলবে না৷ না মহামান্যতা ৰোধ, না হীনমন্যতা ৰোধ৷

বিশ্বায়নের লক্ষ্যে আঞ্চলিক শ্রীবৃদ্ধি

বর্তমানে ছোট ছোট রাষ্ট্র অস্তিত্ব রক্ষার জন্যে সংগ্রাম করে’ চলেছে৷ মানুষ ছোট ছোট রাষ্ট্র অপেক্ষা বড় বড় সামাজিক–অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে’ তুলে সকলের কল্যাণ নিশ্চিত করতে আগ্রহী৷ সংকীর্ণ সেণ্টিমেণ্ট ধীরে ধীরে সরে’ যাচ্ছে৷ মানুষের মনে বিশ্বৈকতাবাদী ভাবধারার উদয় হচ্ছে৷ যে সমস্ত অন্ধ বিশ্বাস ও ভাবজড়তা এতদিন সমাজের অনেকের শ্বাসরুদ্ধ করে’ রেখেছিল আজ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিদ্যার বিকাশ তাদের মুখোশ খুলে দিয়েছে৷ যুক্তি–বিচার ও ‘সর্বজনহিতায়’ ভাবনাকে মানবতা এখন গুরুত্ব দিতে শুরু করেছে৷ তাই প্রাউট বর্তমান পৃথিবীর সামাজিক–অর্থনৈতিক প্রবণতা অনুসারে সর্বত্র স্বয়ং–সম্পূর্ণ অঞ্চল (unit) গড়ে

দুর্নীতির করালগ্রাসে রাষ্ট্র

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

দুর্নীতির করালগ্রাসে দেশ৷ যদিও কেন্দ্রের শাসকদল বেছে বেছে বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধেই প্রশাসনকে সক্রিয় হতে নির্দেশ দিচ্ছে৷ এর অর্থ এই নয় যে শাসক দলের নেতা মন্ত্রীরা সব ধোয়া তুলসী পাতা৷ আসলে ভারত স্বাধীন হয়েছে মধ্যরাতের অন্ধকারে দুর্নীতির আঁতুড় ঘরে৷

শিক্ষক দিবসের গুরুত্ব

জ্যোতিবিকাশ সিন্‌হা

প্রতি বছর ৫ সেপ্ঢেম্বর দিনটি আমাদের দেশে ‘শিক্ষক দিবস’ হিসেবে পালিত হয়৷ বস্তুত এই ‘শিক্ষক দিবস’ পালনের তাৎপর্য্য অত্যন্ত ব্যাপক৷ শিক্ষককুলের প্রতি যথোচিত সম্মান প্রদর্শন ও ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কের মেলবন্ধনই এই দিবসের প্রধান উপজীব্য৷ অতি প্রাচীন কাল থেকেই গুরুশিষ্য পরম্পরা এক অচ্ছেদ্য বন্ধনে আবদ্ধ৷ পূর্বে গুরুগৃহে শিষ্যরা অবস্থান করে বিদ্যাভ্যাস ও অন্যান্য শিক্ষা লাভ করতো৷ পরবর্তীকালে তাঁরা সেই শিক্ষার সুফল বৈয়ষ্টিক জীবনে ও সামাজিক জীবনে প্রতিফলিত করার প্রয়াসী হতেন৷ এমনকি রাজপরিবারের সন্তান-সন্ততিরাও এই একই ব্যবস্থাপনার মধ্যেই শিক্ষিত ও প্রতিপালিত হ’ত৷ গুরুর কাছে শিষ্য ছিলেন অতি প্রিয় সন্তানসম

শতবর্ষে গীতিকার ও সুরকার শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার

খগেনচন্দ্র দাস

শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৯২১ সনের বৈশাখী পূর্ণিমার পুণ্য প্রভাতে৷ অর্থাৎ বর্তমান সময় থেকে এক শতাব্দী আগে৷ জন্মশতবর্ষে দাঁড়িয়ে বিরল ও বহুমুখী প্রতিভার  এক অনন্য উদাহরণ এই ব্যষ্টিত্বের কর্মমূখর জীবনের এক অতি সংক্ষিপ্ত  চিত্র তুলে ধরার অপূর্ণ ও অক্ষম প্রয়াস এই নিবন্ধে৷ তিনি একাধারে দার্শনিক, গীতিকার, সুরকার সমাজবিদ, ভাষাবিদ, অর্থনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, কৃষিবিদ, প্রগতিশীল উপযোগ তত্ত্ব বা প্রাউট দর্শনের প্রণেতা, সর্র্বেপরি নব্যমানবতাবাদের উদগাতা৷ আজ আমরা এই বহুধাপল্লবিত ব্যষ্টিত্বের শুধু সঙ্গীত  সৃষ্টি নিয়ে আলোকপাতের প্রয়াস করব৷ তাই আশা করি  সঙ্গীতের গুরুত্ব সম্পর্কে সামান্য ভূমিকা