April 2023

বাঙলার নববর্ষ

এই পৃথিবীতে নিষ্ফল কোনো কিছুই নয়–সব কিছুই  ফলবান৷ একটা মানুষ চলতে চলতে হোঁচট খেয়ে পড়লো৷ তাও অর্থহীন নয়৷ একটা মানুষ হেসে উঠলো, সেটাও অর্থহীন নয়৷ ‘ইতি হসতি ইত্যর্থে ইতিহাসঃ’৷ এইভাবেই হাসি–কান্নার ভেতর দিয়ে মানুষ এগিয়ে চলেছিলো–এই কথাটা যে বলে তার নাম ইতিহাস৷

‘‘ধর্মার্থকামমোক্ষার্থ নীতিবাক্যসমন্বিতং৷

পুরাবৃত্তকথাযুক্তং ইতিহাসঃ প্রচক্ষ্যতে৷৷’’

শুভ হোক ১৪৩০

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

নববর্ষের নবীন সূর্য উদিত হয়েছে পূর্ব দিগন্তে৷ আরও একটি বৎসরকে পিছনে ফেলে এগিয়ে এসেছে নূতন বছর৷ নূতন বৎসর নিয়ে এসেছে নবজীবনের বারতা৷ বাঙালীর প্রাণে প্রাণে নূতনের আবাহন৷ ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে শহর ও গ্রামে সবখানে জেগেছে বিপুল প্রাণের স্পন্দন৷ আশা ও আশঙ্কার দোলাচল, তবু বাঙালীর আত্মার আবাহন এসো হে বৈশাখ৷ দুঃখ–গ্লানি, বেদনা–ব্যর্থতা পিছনে ফেলে নূতন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনের আশায় গভীর আবেগে উদ্বেল বাঙালী৷ বাঙলা নববর্ষের সাথে বাঙালীর সম্পর্ক পরম আত্মীয়তার, এ সম্পর্ক নাড়ির৷ আজও নাগরিক জীবনের ও সরকারী কাজের সবকিছু ইংরেজী ক্যালেণ্ডার মেনে চললেও বাঙালীর মন জুড়ে আসন পেতে রেখেছে বাঙলা নববর্ষ৷ বাঙলার কর্ষ

এবার তরুণ–তরুণীদের মোহমুক্ত হয়ে কিছু করার সময়

প্রভাত খাঁ

অনেক ভাবনা চিন্তা করে সুভাষচন্দ্র একটি রবীন্দ্রনাথের সঙ্গীতকে নির্বাচিত করেছিলেন ভারতের জাতীয়                 সঙ্গীত হিসেবে৷ সত্যই অনবদ্য সঙ্গীতটি৷ ‘জনগণমন অধিনায়ক জয় হে, জয় হে, জয় হে’৷ সত্যই সকল মনের যিনি নিয়ন্ত্রক ও কর্ত্তা সেই তিনি তো ভাগ্যবিধাতা৷

কত বড়ো যে কবির চিন্তা ও ভাবনা তা আমাদের মতো সাধারণ মানুষের চিন্তার বাইরে৷

আমরা ভাগ্যবান, এ বিষয়ে নিঃসন্দেহ৷ তবে মুখোশের আড়ালে যে বুদ্ধিজীবীরা সেই সৎচিৎ আনন্দমের বিরাটত্বকে পদে পদে অস্বীকার ও অপমানিত করছে তা বড় বেদনার৷ অসহায় আমরা বুঝেও কিছু করতে পারছি না৷

শ্রীরামকৃষ্ণ-সান্নিধ্যে শিবনাথ শাস্ত্রী

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁর সমকালের বহু জ্ঞানীগুনী সাহিত্যিক পণ্ডিত ভক্ত আর ধর্মানুরাগী ব্যষ্টিদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করেছিলেন৷ নামী দামী ব্যষ্টিরা ও তাঁর কাছে এসেছিলেন ধর্ম বিষয়ে আলোচনা করতে৷

শিবনাথ শাস্ত্রী শুধু ব্রাহ্মই ছিলেন না৷ তিনি ব্রাহ্মধর্ম প্রচারে ও নিযুক্ত ছিলেন৷ আর ব্রাহ্মসমাজের নানাবিধ ধর্মীয় ও  সামাজিক আন্দোলনের  তিনি ছিলেন অন্যতম নেতা৷ তাঁর মতো নিরাকার ব্রহ্মবিশ্বাসী মানুষ কি করে যে একজন পূজারী ব্রাহ্মণের প্রতি আকৃষ্ট হলেন তা সত্যি আশ্চর্যের বিষয়৷

সময়োচিত কিছু কথা

বিশ্বদেব মুখোপাধ্যায়

দিদি আনন্দ অরুন্ধুতী আমাকে জানিয়েছিলেন আমাদের দেশে ফলের গাছ বেশি করে লাগালে দেশের বাচ্চারা নানান ধরনের প্যাকেটজাত খাবার ছেড়ে অধিক পরিমানে ফল খাবে ও এতে তাদের পুষ্টি হবে৷ তিনি আমাকে এই বিষয়টা জানিয়েছিলেন আম্ফান ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় কী কী ধরনের গাছ লাগানো  উচিত, এ সম্বন্ধে আমার পূর্বেকার  লেখার পরিপ্রেক্ষিতে৷ দিদির এই প্রস্তাবে আমি সম্পূর্ণ সহমত পোষণ করি৷ আমাদের দেশে শিশু থেকে বৃদ্ধ -এক বিরাট সংখ্যক মানুষ অপুষ্টির শিকার৷ ফল থেকে বেশিরভাগই শতহস্ত দূরে৷ তার অন্যতম একটা প্রধান কারণ  হল ফলের অতিরিক্ত মূল্য৷ কৃষিপ্রধান আমাদের এই রাজ্য তথা দেশের মাটি এতটাই উর্বর যে এখানে নানান ধরণের ফল ও ফসল সহজে

আকাশ তরঙ্গ

যুগ যুগ ধরে 'লং-হর্ন মিয়াও'

নৃগোষ্ঠীর জনগণ.....মৃত ব্যক্তির  চুল দিয়ে  তৈরি  হ্যাট মাথায় পরেন।  জাতিগোষ্ঠী ভেদে সংস্কৃতির পার্থক্য কিংবা বৈচিত্র্য থাকবে এটাই স্বাভাবিক। পৃথিবীতে এমন কিছু জাতিগোষ্ঠী রয়েছে যারা ভিন্নধর্মী রীতি পালনে অভ্যস্ত। এমনই একটি অদ্ভূত সংস্কৃতি পালন করে লং-হর্ন মিয়াও নৃগোষ্ঠীর জনগণ। মিয়াও উপজাতির কয়েকটি ভাগের মধ্যে লং-হর্ন অন্যতম। এই নৃগোষ্ঠীর নারীরা তাদের বংশের ঊর্ধ্বতন নারীর মাথার চুল দ্বারা তৈরি এক ধরনের বিশেষ হ্যাট মাথায় পরে। তাদের এই ঐতিহ্য যুগ যুগ ধরে পালিত হয়ে আসছে।

‘বাদ্য বীথিকা’ শোণাবে লুপ্ত প্রায় দেশীয় বাদ্যযন্ত্রের আওয়াজ

আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ প্রায় শতবর্ষ আগে একধরনের বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে নিজেদের বৈঠক ডাকতেন৷ এটা একধরনের বিরাট আকারের ঢোল৷ এই ঢোল বাজিয়েই নিজেদের মধ্যে বার্র্তর আদান প্রদান করত৷ বিভিন্ন রাজ্যের বিভিন্ন ধরণের পুরোনো বাদ্যযন্ত্রের সংগ্রহ নিয়ে শুরু হয়েছে সল্টলেকের পূর্বাঞ্চল আঞ্চলিক কেন্দ্র ‘বাদ্য বীথিকা’ মিউজিয়ামে৷

হিমালয়ে ২০ বছরে ৫৭ কোটি হাতির ওজনের সমান হিমবাহ গলেছে

বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে গত ২০ বছরে ৫৭ কোটি হাতির ওজনের সমান হিমবাহ গলেছে হিমালয়ে৷ এর জেরে পাহাড়ী অঞ্চলের বহুগুন মাত্রায় ধসের পরিমান বেড়ে গিয়েছে৷ গত সপ্তাহে সিকিমের গ্যাংটক-নাথুলা জে এন.এম রোডে ছাঙ্গুর কাছে তুষার ধসে প্রাণ হারান সাতজন৷ বিপর্যস্ত জনজীবন৷ এই বিপুল পরিমান হিমবাহ গলার খবর প্রকাশ্যে এল৷ নেচার জিও সায়েন্স জানালে প্রকাশিত একটি গবেষণা পত্রে এই তথ্য উল্লেখ হয়েছে৷ গঙ্গোত্রীর মতো বিশাল হিমবাহগুলি প্রায় প্রত্যেকটি গলে গিয়ে তৈরী  হয়েছে বরফগলা জলের হ্রদ যা পার্শ্ববর্তী এলাকায়  বন্যার আশঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছে৷ মধ্য হিমালয়ে বরফ গলার পরিমান সবচেয়ে বেশী৷ এই অঞ্চলে হ্রদের পরিমানও বেশী৷ এই তথ্য সামনে আ

ক্যান্সার প্রতিরোধে বাঙালী বিজ্ঞানীদের অবদান

কলকাতার চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের একদল গবেষক এমন একটি উপায় আবিষ্কার করলেন যার দ্বারা সংশ্লিষ্ট ক্যান্সার আক্রান্তের শরীরে এ্যান্টি-পিডি১ ইমিউনোথেরাপী কাজ করবে কি না তা সহজেই বোঝা যাবে৷ শুধু তাই নয় যাদের শরীরে তা কাজ করবে না, তাদের ক্ষেত্রেও একটি বিকল্প চিকিৎসা পথের উপায় দিয়েছেন ওই গবেষকরা৷ তাদের সেই কাজ সম্প্রতি গবেষনাপত্রের আকারে প্রকাশিত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত বিজ্ঞান পত্রিকা ক্যান্সার রিসার্চ জার্নালে৷ এই খবরে সাড়া পড়ে গিয়েছে পৃথিবীর তাবড় বিজ্ঞানী মহলে৷ কারণ, গবেসকদের দেখানো পথ অনুসরণ একদিকে যেমন বেশ কয়েক ধরনের ক্যান্সার থেকে নিরাময়ের আশা থাকে আবার তেমনি অর

স্নায়ুরোগ–মস্তিষ্ক বিকৃতি–স্মরণ শক্তি ৰৃদ্ধি–মানসিক রোগ

গুড়ুচি–গুলঞ্চ ঃ Tinospora cordifolia  Miers.ঃ

পরিচয় ঃ যে আয়ুর্বেদীয় ওষুধটির নাম গুড়ুচি তাও মুথা বা কন্দের সাহায্যে চাষ করা হয়৷ তাই তাকে গুলঞ্চকন্দ বা গুড়ুচিকন্দ বলা হয়৷ কথ্য ৰাংলায় গুড়ুচি শব্দের ব্যবহার কম, গুলঞ্চ শব্দের ব্যবহার বেশী৷ হিন্দীতে গুড়ুচী বা গুরুচি দু’টি শব্দই চলে৷