April 2023

নারীনির্যাতন ও কিছু কথা

শ্রীপার্থ

দিকে দিকে নারী নির্যাতন, নারীর শ্লীলতাহানি, যৌন হয়রানি, ধর্ষণ ও খুনের বিরুদ্ধে সর্বত্রই প্রতিবাদ আন্দোলন সংঘটিত হচ্ছে৷ সাধারণ মানুষ থেকে বুদ্ধিজীবী সকলেই এসব ঘটনার বিরুদ্ধে সরব৷ মৌন মিছিল, মোমবাতি মিছিল থেকে রাষ্ট্রপতির কাছে দরবার সবই হচ্ছে৷ এসব পাশবিক ঘটনার প্রতিবাদে পাশবিকতার বিরুদ্ধে জনসাধারণের এই স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ নিঃসন্দেহে একটা ভালো দিক৷ মানূুষের এই শুভ উদ্যোগের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি কেউই কিন্তু এই ধরণের জঘন্যতম অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পেছনে যে মূল কারণগুলি নিহিত আছে সেগুলির ব্যাপারে বিশেষ আলোকপাত করতে চাইছেন না বা করছেন না৷ আর এখানেই রয়ে যাচ্ছে ত্রুটি৷ অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পর অপরাধীর

নববর্ষ

কৌশিক খাটুয়া

নববর্ষের প্রথম প্রভাত আলো,

ধুয়ে মুছে দিক অতীতের গ্লানি

হৃদয়ে প্রদীপ জ্বালো৷

সুখ-দুঃখের ঘটনা প্রবাহে

ভরে যাবে এই মন,

প্রভুর বরণে, রবির কিরণে

উজ্জীবিত ত্রিভুবন৷

মিলন মেলায় মিলেছে মানুষ

বিভেদকে ফেলে দুরে৷

প্রীতি-বন্ধনে, অভিনন্দনে

সংহতি গীতি সুরে৷

আজ বর্ষের প্রথম সূর্র্যেদয়ে,

সব সংশয় দূর করে হব

স্পন্দিত বরাভয়ে৷

 

সন্ন্যাসী দিব্যানন্দ স্মরণে

সাক্ষীগোপাল দেব

আত্মাহুতির আগুনে জ্বালালে

আত্মত্যাগের শিখা,

অমর শহীদ দিব্যানন্দ

রইবে গো তা লিখা৷

লক্ষ কোটি সাধক মোরা

করছি শপথ আজ,

মানবমুক্তির তরে মোরা

ত্যাজব ঘৃণা লাজ৷

তোমার ত্যাগের শিখায় মোরা

জ্বলব একে একে,

লক্ষ ত্যাগের বহ্ণি আলোয়

ফেলব আকাশ ঢেকে৷

আঁধার ভরা এই ধরণীর

ঘুচবে সকল কালো,

লক্ষ আত্মত্যাগের শিখায়

বিশ্ব হবে আলো৷..

 

পূর্ণত্বের পথে

আচার্য গুরুদত্তানন্দ অবধূত

একই সত্ত্বা বিরাজ করে

প্রাণে প্রাণে সকল স্থানে,

ধরি তাহাই মনের কোনে

অনুধ্যানে অভিধ্যানে৷

একই রাগের ধারা বেয়ে

নাচে সবাই তানে তানে,

ফুটলে কুসুম আসে প্রভাত

কজনই বা বোঝে মানে?

চাঁদনী রাতে জোয়ার জলে

বিরহীরা মাতে স্নানে,

অসীম অপার ভাবস্রোতে

চলছি মোরা একই পানে!

শ্রাদ্ধে চ ভুরিভোজনম্

সংস্কৃতে শ্রৎ  ধা  অণ্ ঞ্চ শ্রাদ্ধ৷ ‘শ্রৎ’ শব্দের অর্থ হ’ল যা সত্য ও তৎসহ যা সত্য রূপে স্বীকৃতি পেয়েছে৷ ‘‘শ্রদ্ধা’’ শব্দের অর্থ হ’ল সত্যরূপে যাকে স্বীকৃতি দিয়ে তার প্রতি নিষ্ঠা সহকারে যে চলছে বুঝতে হবে সে শ্রদ্ধাকে জাগিয়ে তুলেছে৷ শ্রদ্ধয়া ক্রিয়তে অথবা শ্রদ্ধয়া দীয়তে ইত্যর্থে ‘শ্রাদ্ধ’৷ যে বস্তু শ্রদ্ধার সঙ্গে  দেওয়া হয় অথবা যে বস্তু শ্রদ্ধার সঙ্গে করা হয় তা–ই ‘‘শ্রাদ্ধ’’৷ প্রাচীনকালে মানুষ বিদেহী আত্মার উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধার সঙ্গে তাঁর জন্যে ভোজ্য ও ব্যবহার্য অন্যান্য বস্তু নিবেদন করত৷ জিনিসটাকে তারা বলত ‘শ্রাদ্ধ’৷ তারা ভাবত ওই সকল স্থূল বস্তু মৃতের ব্যবহারে লাগবে যদিও ধারণাটা ছিল ভুল, কারণ তা

আইএস.এলের পর এবার সুপার কাপ অভিযানে মোহনবাগান

গত মার্চ মাসে প্রথম বার আই এস.এল জিতেছে মোহনবাগান৷ এরপরই সুপার কাপ অভিযানে যাত্রা শুরু মোহনবাগানের৷ গত শনিবার সকালে পুরোদমে অনুশীলন করেছে দল৷  গোকুলমে একটি ম্যাচ সোমবারে হয়েও গেছে৷ ১৪ই এপ্রিল ও ১৮ই এপ্রিল দুটি ম্যাচ হবে৷ মোহনবাগানের মতে তিনটি ম্যাচই ফাইনাল ম্যাচ৷

ব্রেন্ডন হ্যামিল ছাড়া সব ফুটবলারকেই সুপার কাপে পাওয়া যাবে৷ পুরোপুরি চোটমুক্ত তিনি৷ মাত্র আট দিনের অনুশীলনের পর সুপার কাপে খেলতে গেছে মোহনবাগান৷ তাতে অবশ্য কোন সমস্যা হবে বলে মনে করছেন না কোচ ফেরান্দো৷

আপ্তবাক্য

পত্রিকা প্রতিনিধি

‘‘...গরীবের পেটে জ্বালা না থাকলে ধনীর  বিলাসের উপকরণ জুটৰে কি করে? গরীবের মেয়েরা চিরকাল গোবর কুড়িয়ে বেড়াক আর তাদের ছেলেরা পুরুষানুক্রমে ধনীর গৃহে চাকরের কাজ করুক এই ব্যবস্থাটাই বেশ ভাল না! গরীবের উচ্চাশা! ছি-ছি-ছি---সেটা একটা দুরাশা!

পৃথিবীর কোন দুটো জিনিস সমান নয়৷ তাই সব কিছুকে এক ছাঁচে ঢেলে সাজানোর কথা আমি বলছি না৷ তবু মানবতার খাতিরে, সুবিচারের খাতিরে বিশ্বের সম্পদ সকল মানুষের মধ্যেই সমভাবে বন্টিত হওয়া দরকার আর জাগতিক সম্পদের সমান মালিকানা পাওয়া প্রতিটি মানুষের জন্মসিদ্ধ অধিকার৷’’

   -শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার (কঃপ্রাঃ-১ম খণ্ড)

স্মরণিকা

পত্রিকা প্রতিনিধি

* হিংসা কোথায়? হিংসা আঘাতের দুঃখে৷ আঘাত কোথায়? আঘাত বঞ্চনায়---আঘাত অপমানে---আঘাত অভাব পীড়নে৷ বঞ্চনা অপমান অভাব কোথায় বৈষম্য৷ বৈষম্য কোথায়? বৈষম্যের মূল আশ্রয় বস্তুগত সম্পদে৷ বস্তুগত সম্পদের প্রথম ও শ্রেষ্ঠ সম্পদ ভূমি৷ তারপর অন্য সব৷ সেই কারণেই সমাজতন্ত্রের প্রথম পন্থা ভূমি জাতীয়করণ৷ রক্তাক্ত বিপ্লবের পথে, আইনের দ্বারা৷ কিন্তু হিংসা প্রশ্রয় পায়৷

এমন কি আইনের দ্বারা জাতীয়করণের মধ্যে পরোক্ষভাবে শক্তির প্রয়োগ আছে৷ সুতরাং প্রেমের পথে হোক জাতীয়করণ৷ স্বেচ্ছায় অধিকার বর্জনের পথে--- ত্যাগের পথে৷ আলো-বাতাস-জল-ভূমিতে সবার সমান অধিকার৷ পৃথিবী সবার, সুতরাং ভূমি সকলজনের৷

পয়লা বৈশাখ উপলক্ষ্যে তিলজলা আনন্দমার্গ আশ্রমে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান উদ্‌যাপন

গত ১লা বৈশাখ কলকাতার তিলজলাস্থিত আনন্দমার্গের কেন্দ্রীয় আশ্রমে নববর্ষবরণ অনুষ্ঠান উদ্‌যাপন হয়৷ সকাল ৬.৪৫ থেকে প্রভাত সঙ্গীত৷ ৭টা থেকে ১০ পর্যন্ত অখণ্ড কীর্ত্তন ও তারপর মিলিত সাধনা গুরুপূজা৷ শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী প্রণীত ‘আনন্দবচনামৃতম’ থেকে বাঙলা নববর্ষের উপর স্বাধ্যায় পাঠ করেন আচার্য নিত্যসত্যানন্দ অবধূত৷ অতঃপর প্রাউট প্রবক্তার প্রতিকৃতিতে মাল্যদান পর্ব শেষ হলে স্বাগত ভাষন দেন সমাজের কেন্দ্রীয় সচিব জ্যোতিবিকাশ সিন্‌হা৷ তার বক্তব্যের পরেই প্রখ্যাত প্রভাত সঙ্গীত শিল্পী আচার্য প্রিয়শিবানন্দ অবধূতের পরিবেশিত ‘বৎসর নব বৎসর, তুমি কল্যাণ এনো চারিদিকে’ ও ‘বাঙলা আমার দেশ’ প্রভাত সঙ্গীতের মধ্যে দিয়

বাঙালীরা মনিপুরে বঞ্চনার শিকার

২০১৯ সালে মনিপুরে যাওয়ার  জন্য যে ইনার লাইন পারমিট চালু (আই.এল.পি.) করা হয়েছে তাকে চ্যালেঞ্জ করে আমরা বাঙালী দলের পক্ষ থেকে সুপ্রীম কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে৷ মনিপুর সরকার সেই মামলার জন্য আরও চার সপ্তাহ সময় চাইল৷

সুপ্রীম কোর্ট এই মামলায় মনিপুর সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারকে জবাব দিহির জন্য নোটিশ জারি করে৷ গত ১৮ই  এপ্রিল এই মামলার শুনানীর দিন ধার্য করা হয়েছিল৷ আমরা বাঙালী দলের পক্ষ থেকে  জানানো হয়েছে মনিপুর সরকার দীর্ঘদিন কোন উত্তর না দিয়ে সুপ্রীম কোর্টের রেজিষ্টারের কাছে চিঠি দিয়ে আরও চার সপ্তাহ সময় চেয়েছে৷