September 2024

সাহিত্য

বিশ্বে আজ সাহিত্য নামে যে জিনিসটি চলছে তার অধিকাংশই সাহিত্য নয়,---রচনা মাত্র৷ সাহিত্যিককে তার কলমের প্রতিটি আঁচড়েই বিরাট দায়িত্বৰোধের পরিচয় দিতে হবে৷ তাই সত্যিকারের সাহিত্যিক হতে গেলে কেবল ভাষা বা ভাব থাকলেই চলৰে না, তার চাইতে বেশী আরও কিছু চাই, প্রতিটি বস্তুর ভেতরে প্রবেশ করবার শক্তি---মন দিয়ে প্রতিটি মনকে নিজের মনে মিলিয়ে’ ফেলবার সাধনা৷ সোজা কথায় বলতে গেলে তাকে তত্ত্বদর্শী হতেই হৰে৷ জীবন সম্বন্ধে সামান্য ভাসা-ভাসা জ্ঞান নিয়ে ভাষার তুবড়ি ছুটিয়ে’ সাহিত্য তৈরী করা যায় না৷ বৈদিক ভাষায় সাহিত্যিককে কবি ৰলা হত৷ কারণ ‘কবি’ শব্দের অর্থ তত্ত্বদ্রষ্টা৷

মানসিক ভারসাম্য

আসলে মানুষ সুখও চায় না, দুঃখও চায় না....মানুষ চায় মানসিক শান্তি, মানসিক স্বস্তি৷ প্রাত্যহিক জীবনে মানুষ কত শত লোকের সংস্পর্শে আসে৷ মাঝে মাঝে কারো কারো সঙ্গে তার সংঘর্ষও বেধে যায়৷ তাহলে মানসিক শান্তি বা স্বস্তি সে পাবে কী করে

যারা অন্যের প্রতি অবিচার করে তাদের অন্যের কাছ থেকে অবিচার সইতেও হয়৷ যারা অবিচার করে তারা সংগ্রামকালে মানসিক ভারসাম্য খুইয়ে বসে৷ যারা অন্যের প্রতি অবিচার করে না তারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রামে মানসিক সন্তুলন বজায় রাখতে সক্ষম হয়৷ যারা মানসিক শান্তির অধিকারী তাদের এটা একটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য৷

নারী-অধিকার

নারী ও পুরুষ---উভয়েই একই পরম পিতার সন্তান৷ উভয়েই যেহেতু পরম পিতার সন্তান জীবনের অভিব্যক্তি ও স্বাধিকারের ক্ষেত্রে উভয়েরই সমান অধিকার৷ অস্তিত্ব মানে কেবল বেঁচে থাকাই নয়৷ পশুরাও তো ৰেঁচে থাকে! কিন্তু আমাদের কাছে জীবনের তাৎপর্য অনেক---অনেক ৰেশী৷

আমাদের কাছে জীবন হ’ল একটা মহৎ উদ্দেশ্য সাধনের জন্যে জীবনধারণ৷ শারীরিক, মানসিক, আধ্যাত্মিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রের সমস্ত সম্ভাবনা বিকাশের যে স্বাধীনতা তা অর্জনের প্রয়াসের মধ্যেই নিহিত রয়েছে জীবনের তাৎপর্য৷ কেবল ভালমন্দ কোন কিছু করার ছাড়পত্রকে প্রকৃত স্বাধীনতা ৰলে না৷

রোগ ও চিকিৎসা

মানুষের ও জীবের ঔষধের সন্ধান শুধু উপবাস, সূর্য্যালোক, জল, বায়ু বা মৃত্তিকাতে সীমিত থাকেনি৷ প্রাথমিক স্তরে মানুষ যে ঔষধের আবিষ্কার করেছিল তা ছিল বিভিন্ন গাছ–গাছড়া ও তাদের ছাল–মূলের বহিঃপ্রয়োগ৷ সেকালের মানুষ ওই সৰ জিনিসকে দাঁতে চিৰিয়ে রোগাক্রান্ত স্থানে প্রলেপ দিত বা ঘষত৷ এই প্রলেপ ছিল মানুষের আবিষ্কৃত প্রথম ঔষধ৷

ভেষজ দ্রব্যের অভ্যন্তরীণ প্রয়োগ ঃ এই প্রলেপ যেখানে বাইরে কাজ করত না, তখন তাকে শরীরের ভেতরে নিয়ে যাওয়ার দরকার হ’ত৷ মানুষ তা চর্বন করে বা গলাধঃকরণ করে ঔষধরূপে ব্যবহার করত৷ এটাই ছিল মানুষের ইতিহাসে ঔষধ ব্যবহারের দ্বিতীয় চরণ৷

ডম/ডোম

 ‘ডম্‌’ ধাতু+ অচ্‌ প্রত্যয় করে ‘ডম’ শব্দ নিষ্পন্ন হচ্ছে৷ ‘ডম’ শব্দটি ব্যুৎপত্তিগত স্বীকৃতি পাচ্ছে কিন্তু ‘ডোম’ শব্দটি সে স্বীকৃতি না পেলেও বৈবহারিক স্বীকৃতি পাচ্ছে৷ তাই সংস্কৃতে ডম/ডোম দুই-ই শুদ্ধ৷ ‘ডম্‌’ ধাতুর অর্থ বাদ্যযন্ত্রে ধবনি সঞ্চার করা৷ প্রাচীনকালে যারা ৰাঁশ কেটে ৰাঁশী তৈরী করত, ‘ধবনিসৃষ্টিকারী’ এই অর্থে তাদের ‘ডম’ বা ‘ডোম’ ৰলা হত৷ ডোম-রমণীরা বাঁশের ট্যাচারি দিয়ে নবজাত শিশুর নাড়ি কেটে দিতেন৷ ৰাঁশের সঙ্গে ডোমেদের ছিল এক অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক৷ এখনও লোকে ৰলে থাকে ‘বাঁশ’ ৰনে ডোম কাণা৷ প্রাচীন ৰাংলায় ডোমের জন্যে ‘ডোম্ব’ (পুং) ও ‘ডোম্বী’ (স্ত্রী) শব্দের ব্যবহার ছিল৷

কবরেজ মশায় ৰাঁচিয়ে দিলেন

সত্যিকারের ক্লান্তিচ্ছেদ করতে গেলে খুব সতর্ক হয়ে কথা ৰলতে হয়৷ মনে করো কোন একটি ছেলে পরীক্ষায় ফেল করেছে৷ কারও সঙ্গে কথা ৰলছে না৷ তিন মুণ্ডু এক করে ৰসে আছে (দু’হাটু আর মুণ্ডু তিনে নিয়ে তিন মুণ্ডু) খেতে চাইছে না, শুতে চাইছে না৷ ৰাড়ীর লোকের ভয় ছেলেটা হয়তো পুকুরে ডুবৰে .....হয়ত বা রেলে গলা দেৰে৷ গ্রামের ৰুড়ো কবরেজ মশায় খবর শুণে ছুটে এলেন৷ আহা!

ধনতান্ত্রিক রাষ্ট্র কাঠামোর স্তম্ভ অপরাধী - সমাজ অপরাধ মুক্ত হয় না

প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রীপ্রভাত খাঁ বলেন---এ কেমন স্বাধীন দেশের নাগরিক আমরা! যেখানে মাতৃজাতির নিরাপত্তা থাকে না, সম্মান থাকে না৷ আর.জি.কর ঘটনা প্রসঙ্গে শ্রী খাঁ বলেন যেখানে নিয়োগ পদ্ধতি থেকে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা সবকিছুই ত্রুটিপূর্ণ৷ হাসপাতালের একটা গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যেখানে রাতে মহিলা ডাক্তার বিশ্রাম নেয়, সেখানে মহিলা নিরাপত্তা কর্মী রাখা উচিত ছিল৷

জিডিপির পূর্বাভাস মেলেনি-আর্থিক বৃদ্ধি ১৫ মাসে সর্বনিম্ন

২০২৪-২৫ আর্থিক বর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিক পরিসংখ্যানে আর্থিক বৃদ্ধির যে পূর্বাভাস রিজার্ভ ব্যাঙ্ক দিয়েছিল, যা নিয়ে বিজেপি নেতা-মন্ত্রীরা আর্থিক বৃদ্ধির বড়াই করছিলেন তা যে অসার প্রথম ত্রৈমাসিক আর্থিক পরিসংখ্যান প্রকাশ করে কেন্দ্রই জানিয়ে দিল৷ গত পাঁচটি ত্রৈমাসিকে এটাই সর্বনিম্ন জিডিপি বৃদ্ধির হার৷ আগের ত্রৈমাসিকে আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল ৭.৮ শতাংশ ২০২৪-২৫-এর প্রথম তিন মাসে আর্থিক বৃদ্ধি ৭.২ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক৷ কিন্তু রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পূর্বাভাসকে ভুল প্রমান করে প্রথম ত্রৈমাসিকের আর্থিক বৃদ্ধি ৬.৭ শতাংশ৷

চুঁচুঁড়ায় আনন্দমার্গ দর্শনের উপর মনোজ্ঞ আলোচনা

গত ৮ই সেপ্ঢেম্বর হুগলী জেলার চুঁচুড়া আনন্দমার্গ স্কুলে আনন্দমার্গ দর্শনের উপর একটি মনোজ্ঞ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ সভায় জেলার বিভিন্ন প্রান্তের প্রায় পঞ্চাশজন মার্গী ভাইবোন আলোচনা সভায় যোগ দেন৷ সকাল ১০টায় সভার শুরুতে প্রভাত সঙ্গীত কীর্ত্তন ও মিলিত ঈশ্বর প্রণিধানের পর আলোচনা শুরু হয়৷ আনন্দমার্গ দর্শনের সামাজিক অর্থনৈতিক ও আধ্যাত্মিক বিষয়ের উপর আলোচনা করেন আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত৷ বিষয়গুলি ছিল ‘বৃহতের আকর্ষন ও সাধনা’ আন্তরিক শক্তির উৎস’ ‘প্রমা’ ও ‘অর্থনৈতিক গণতন্ত্র’৷

মার্গীয় বিধিতে অন্নপ্রাশন

কলকাতা বিধাননগর নিবাসী বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রী স্বপন সাহার কনিষ্ঠ পুত্র কৌশিক সাহা ও পুত্রবধূ শিল্পা সাহার প্রথম কন্যা সন্তানের অন্নপ্রাশন ও নামকরণ অনুষ্ঠান আনন্দমার্গে চর্যাচর্য বিধিমতে অনুষ্ঠিত হয়৷ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত ও অবধূতিকা আনন্দকরুণা আচার্যা৷ শিশুকন্যার নাম রাখা হয় তনুশ্রী৷ অনুষ্ঠান শেষে তণুশ্রীর মুখে প্রথম অন্ন তুলে দেন আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত৷