সম্পাদকীয়

ভারতের সংবিধান ঃ  নীতিও প্রয়োগের বিরোধ

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

১৯৪৭ সালের ১৫ই আগষ্ট ভারত ব্রিটিশের  কবল থেকে মুক্ত হয়৷ এরপর ভারতের রাষ্ট্রনীতি কী হবে, কীভাবে আমাদের দেশের শাসন ব্যবস্থা চলবে তা নির্ধারণের জন্যে ডঃ বি.আর. আম্বেদকরের নেতৃত্বে এক কমিটি তৈরী করা হয়, তার ওপর ভারতের সংবিধান  লেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়৷ সংবিধান হল সেই নির্দেশক পুস্তক যাতে রাষ্টের আচরণ বিধি, আইন ও আদর্শ লিপিবদ্ধ থাকবে৷ যথারীতি ওই কমিটি তাদের লিখিত সংবিধান তৈরী করে ও ১৯৫০ সালের ২৬শে জানুয়ারী আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয়৷

মোবাইল যন্ত্রণা

বিজ্ঞানের এই চরম উৎকর্ষতার যুগে মোবাইল ফোন হচ্ছে মানুষের যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম৷ এটি ছাড়া মানুষ এক মুহূর্তও কল্পনা করতে পারে না৷ চাকুরীজীবী, ডাক্তার ও অন্যান্য পেশাজীবীর পাশাপাশি স্কুল কলেজের ছেলেমেয়েরাও মোবাইল ফোনের একনিষ্ঠ ভক্ত হয়ে উঠেছে৷ কিন্তু প্রতিটি বিজ্ঞানের আবিষ্কারের যেমন সুফল রয়েছে তেমনি এর কুফল বা আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে করে বিড়ম্বিত৷ মোবাইল ফোনও বিজ্ঞানের তেমনি একটি উন্নত প্রযুক্তি, যার ভাল খারাপ দুটি দিকই রয়েছে৷  বিজ্ঞানীরা নানা পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে দেখেছেন এর থেকে যে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন বের হয় তার জন্যে শরীরে অনেক রকম উপসর্গ দেখা দিতে পারে৷ মোবাইলের ক্ষতিকার

আত্মোন্নয়নই প্রকৃত উন্নয়ন

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

আজকে দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হ’ল নৈতিকতার সমস্যা৷ সৎ, নীতিবাদী, কর্তব্য সচেতনতার অভাব৷ আজকের মানব সমাজের আর যত সমস্যা তার মূল কিন্তু এইটাই৷

এই সমস্যার কথা দেশের প্রায় সমস্ত বুদ্ধিজীবীরাই বলছেন৷ সমাজের সমস্ত নেতৃস্থানীয় ব্যষ্টিও এটা হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করছেন৷ এই সমস্যা সমাধানের যথার্থ পথ সবাই হাতড়ে বেড়াচ্ছেন৷

আনন্দপূর্ণিমার পুণ্য তিথি স্মরণে সর্বাঙ্গসুন্দর আদর্শ সমাজ গড়ার সংকল্প নিন

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

আগামী ৫ই মে, বৈশাখী পূর্ণিমা, প্রাউট–প্রবক্তা শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের, যিনি ধর্মগুরু মহাসম্ভূতি শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী নামে বিশ্ববাসীর কাছে সমধিক পরিচিত–তাঁর শুভ ১০২ তম আবির্ভাব তিথি৷ সারা বিশ্বের আনন্দমার্গীদের কাছে এই বৈশাখী পূর্ণিমা আনন্দপূর্ণিমা রূপে পরিচিত৷ এই পুণ্য তিথিতে মহাসমারোহে সর্বত্র মার্গগুরুদেবের ১০২ তম জন্ম জয়ন্তী পালন করা হচ্ছে৷

শিব কে ছিলেন?

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

সারা দেশজুড়ে ‘শিবচতুর্দশী’ তথা শিবরাত্রি কিছুদিন আগে পালিত হ’ল৷ আর এই উপলক্ষ্যে সর্বত্রই শিবপূজা, শিবের নামে ব্রত, মোটকথা শিবকে কেন্দ্র করে সারা দেশের প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষ, সবশ্রেণীর মানুষই, ‘শিব’ বা সদাশিবে’র প্রতি তাদের অন্তরের ভক্তি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করল৷

শুভ হোক ১৪৩০

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

নববর্ষের নবীন সূর্য উদিত হয়েছে পূর্ব দিগন্তে৷ আরও একটি বৎসরকে পিছনে ফেলে এগিয়ে এসেছে নূতন বছর৷ নূতন বৎসর নিয়ে এসেছে নবজীবনের বারতা৷ বাঙালীর প্রাণে প্রাণে নূতনের আবাহন৷ ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে শহর ও গ্রামে সবখানে জেগেছে বিপুল প্রাণের স্পন্দন৷ আশা ও আশঙ্কার দোলাচল, তবু বাঙালীর আত্মার আবাহন এসো হে বৈশাখ৷ দুঃখ–গ্লানি, বেদনা–ব্যর্থতা পিছনে ফেলে নূতন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনের আশায় গভীর আবেগে উদ্বেল বাঙালী৷ বাঙলা নববর্ষের সাথে বাঙালীর সম্পর্ক পরম আত্মীয়তার, এ সম্পর্ক নাড়ির৷ আজও নাগরিক জীবনের ও সরকারী কাজের সবকিছু ইংরেজী ক্যালেণ্ডার মেনে চললেও বাঙালীর মন জুড়ে আসন পেতে রেখেছে বাঙলা নববর্ষ৷ বাঙলার কর্ষ

ভয়াবহ জলসংকট ঃ সমাধান কোন্‌ পথে

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

আমরা ছেলেবেলা থেকেই শুনে আসছি জলের অপর নাম জীবন, কিন্তু এটা শুধু কথার কথা বলে আমাদের মনে হ’ত কারণ জল এত সহজপ্রাপ্য যে এর অভাব আমরা অতটা বুুঝিনি৷ যেমন বাতাস ছাড়া আমরা বাঁচতে পারব না, কিন্তু বাতাসের অভাবও কোনদিন হয়নি৷ তাই বাতাসের অভাব আমাদের জীবন সংকটের কারণ হবে সেটা উপলব্ধি করার মত পরিস্থিতি আসেনি৷ কিন্তু জলের অভাব যে কতটা বাস্তব ও ভয়ঙ্কর হতে পারে, সেটা অন্তত ভারতে প্রায় দশটি রাজ্যের মানুষ উপলব্ধি করছে৷

কিন্তু কেন এই ভয়ঙ্কর জল সংকট? এই পরিস্থিতি এ রাজ্যেও হতে পারে৷ হতে পারে কেন, যেভাবে পরিস্থিতি পাল্টাচ্ছে তাতে খুব শীঘ্রই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়া মোটেই অস্বাভাবিক নয়৷

ত্রিস্তরীয় উন্নতিই প্রকৃত উন্নতি

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

মানুষের অস্তিত্ব ত্রিস্তরীয়---শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক৷ মানুষের উন্নতি মানে এই ত্রিস্তরীয় সামঞ্জস্যপূর্ণ উন্নতি৷ এই সামঞ্জস্যপূর্ণ উন্নতি যদি না থাকে তাহলে উন্নতির পরিবর্তে অবনতি হবে৷ বর্তমানে বিজ্ঞান-প্রযুক্তির হাত ধরে বা আধুনিকতার ছাপ মেরে যে বিপুল উন্নতির বড়াই আমরা করি এই তথাকথিত উন্নতি যে অনেক জটিল প্রশ্ণের সম্মুখে আমাদের দাঁড় করিয়ে দিয়েছে, তা আজ কেউ অস্বীকার করতে পারবেন না৷

বসন্তোৎসব

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

বসন্তোৎসব সারা ভারতের উৎসব–উত্তর ভারতে ‘হোলি’, বিহার অঞ্চলে ‘ফাগুয়া’ ও বাংলায় ‘দোলযাত্রা’৷ আদিতে এই উৎসব ছিল মূলতঃ আর্যদের৷ প্রাচীন আর্যদের বাসভূমি ছিল মধ্য এশিয়ায়৷ এই অঞ্চলটা ছিল ভীষণ ঠাণ্ডা৷ সারা শীতকাল কেবল বরফ পড়তো, এটা ছিল আর্যদের দুঃসহ কষ্টের কাল৷ নিদারুণ ঠাণ্ডায় মানুষ জবু–থবু হয়ে মরার মত পড়ে থাকতো, কোন কাজকর্ম করতে পারতো না৷ এই শীতকালটা যখন বিদায় নিত, আর্যরা তখন আনন্দে উৎসবে মেতে উঠতো৷ ‘উৎ’ মানে আনন্দে লাফিয়ে ওঠা আর ‘সব’ মানে ‘জন্মগ্রহণ করা’৷ আক্ষরিক অর্থেই বসন্তের আগমনে আর্যরা প্রাণচঞ্চল হয়ে উঠতো, হৈ–হুল্লোড়, ও কর্মচাঞ্চল্যে মেতে উঠতো৷

অর্থনৈতিক গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাই প্রকৃত উন্নয়নের মাপকাঠি

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

জিডিপি (গ্রস ডোমেস্টিক প্রডাক্ট) করে উন্নয়নের ঢাক পেটাচ্ছেন নেতামন্ত্রীরা৷ কিন্তু জিডিপির সঙ্গে আমজনতার সম্পর্ক কতটুকু৷ জিডিপি কমা, বাড়ার সঙ্গে দেশের সার্বিক বিকাশ নির্ভর করে কি? পুঁজিবাদী দুনিয়ায় যেখানে সম্পদের সিংহভাগ দখল করে বসে থাকে  মুষ্টিমেয় কয়েকজন সেখানে জিডিপি দেখিয়ে উন্নয়নের দাবী চরম মিথ্যাচারিতা৷