প্রবন্ধ

আধ্যাত্মিকতা ছাড়া গতি নেই

একর্ষি

সমাজের প্রেক্ষাপটেই মানুষের  ও তার সমাজের সভ্যতার অগ্রগতি, বিবর্তন ও উদ্বর্তনা, কেননা মানুষ তো  সমাজবদ্ধ জীব৷ সমাজর্োধই যুর্থদ্ধ মানুষকে এগিয়ে চলার পাথেয় যুগিয়েছে৷ সহযোগিতা,একসঙ্গে চলার প্রেরণা, মানুষের প্রতি মানুষের পারস্পরিক নিঃশর্ত শ্রদ্ধা ভালবাসা, সর্র্বেপরি অহৈতুকী সামাজিক দায়বদ্ধতা মানুষকে মনুষ্যেতর  প্রাণী থেকে পৃথক করেছে, মানুষকে উন্নত থেকে উন্নতর সোপানে আরোহণে সাহায্য করেছে৷ নব নব আবিষ্কারের উদ্ভাবনের অলক্ষ্য সঞ্চালক শক্তি যেমন ব্যষ্টিমনের আনন্দের রসায়ন, তেমনি সমাজবোধ বা সামাজিক দায়বদ্ধতা৷ ওই বোধ-অনুভূতিগুলোর সন্তুলিত সামবায়িক নামই তো মনুষ্যত্ব বোধ৷ আর এর উন্মেষ, পুষ্টি ও বিস্তারে

সম্পাদকীয়

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

রাষ্ট্রপতি প্রার্থী মনোনয়নে অনৈতিক প্রবণতা

পরবর্তী রাষ্ট্রপতি পদের জন্যে কেন্দ্রের শাসক জোট  এনডি এ থেকে রামনাথ কোবিন্দকে মনোনীত  করা হয়েছে৷ কেন? তাঁর কোন্ গুণ দেখে? তিনি উত্তরপ্রদেশ থেকে দু’বার-রাজ্যসভায় বিজেপি’র সাংসদ ছিলেন---এই কারণে কি? তিনি একসময়ে কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছেন---তা-ই কি? এইসব কোনো গুণ দেখে কি? না--- তা মোটেই নয়৷ এটা বিজেপি’র নেতারাই প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন৷ রামনাথ কোবিন্দকে এই পদের জন্যে মনোনীত করা হয়েছে, কারণ তিনি দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ বলে৷ বাংলায় থাকে বলে ‘নীচু জাতে’র---সিডিউল কাষ্টের মানুষ বলে৷ উদ্দেশ্য কী?

সমগ্র বাঙালী জাতিকে বাঙলা ভাগের চক্রান্তের বিরুদ্ধে গর্জে উঠতে হবে

প্রবীর সরকার

দার্জিলিংয়ের গোর্খারা হ’ল নেপালের অধিবাসী৷ তারা নেপালী৷ নেপাল যেহেতু স্বাধীন রাষ্ট্র তাই তারা ‘নেপালল্যাণ্ড’ আন্দোলন করার দাবী না তুলে গোর্খাল্যাণ্ড গড়ার দাবী তুলছে দীর্ঘকাল ধরে৷ এই কাজে মদত দিয়ে আসছে বিশেষ করে কমিউনিষ্ট দল৷ কমিউনিষ্টরা বিচ্ছিন্নতাবাদী ও হিংসাশ্রয়ী আন্দোলনের মাধ্যমে ভারতে রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় অনেক দিন থেকেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷ তাই বাম শাসনকালে জ্যোতি বসুর আমলে এরা রাজ্য সরকারের মদতে সুবাস ঘিসিংকে নেতা বানিয়ে দার্জিলিং গোর্খা পার্বত্য পরিষদ গড়ে তোলে৷ সরকারী ভাবে গোর্খা পার্বত্য পরিষদ গঠন রুখতে আমরা বাঙালীর পক্ষ থেকে তীব্র বিরোধিতা করা হয় রাজভবনের সামনে৷ আমরা বাঙালীর

বোধোদয়

শ্রী সনৎকুমার দত্ত

সম্প্রতি ‘বর্ত্তমান’ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি সংবাদের প্রতি আমার দৃষ্টি আকৃষ্ট হ’ল৷ সংবাদটির সারমর্ম এই যে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ভূগর্ভ থেকে মানুষের যথেচ্ছভাবে জল তোলায় উদ্বিগ্ণ৷ এই যথেচ্ছভাবে ভূগর্ভ থেকে জল তোলা যাতে নিয়ন্ত্রণ করা যায় ও সেই সঙ্গে বৃষ্টির জল যাতে সংরক্ষিত হয় তার জন্য সরকার চিন্তা-ভাবনা করছেন৷

খবরটি পড়ে মনটা যেন কেমন করে উঠলো কেননা খবরটির সঙ্গে আমি অন্তরের টান অনুভব করছি৷

বহুবছর আগে, তা অন্ততঃ তিরিশ/পঁয়তিরিশ  বছর আগে,পরম শ্রদ্ধেয় মনীষী শ্রী প্রভাত রঞ্জন সরকার মহাশয় এ ব্যাপারে মানুষকে সতর্ক থাকতে বলেছিলেন৷

যম নিয়ম---যোগের প্রথম পাঠ

বিভাংশু মাইতি

সাম্প্রতিক কালে ‘যোগে’র প্রতি মানুষের উৎসাহ-উদ্দীপনা উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে৷ গ্রাম-গঞ্জ, শহর-বন্দর সর্বত্র৷ আনন্দের কথা৷ তবে একটু গভীর ভাবে চিন্তা করলে বোঝা যায় যোগের নিখাদ মর্মকথা এখনও আমরা ঠিকবাবে আত্মস্থ করে উঠতে পারিনি৷ যোগ বলতে আমরা সাধারণতঃ এখন যা বুঝি তা কিন্তু কিছু আসন-প্রাণায়াম বা শারীরিক ব্যায়ামেই সীমাবদ্ধ৷ এমন কি কেউ কেউ এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিকে তো কেবল প্রকাম্পিত কপালভাতি ও কুঞ্চিত নাসিকা প্রক্ষালনেই নামিয়ে এনেছেন৷

‘বিশ্ব যোগ দিবস’ উপলক্ষ্যে বিশেষ নিবন্ধ যোগ মানব সমাজের সুদৃঢ় ভিত্তিপ্রস্তর

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

যোগ মানব সমাজের সুদৃঢ় ভিত্তিপ্রস্তর৷ অনেকেই এই কথাটি শুণে হাসবেন৷ পাণ্ডিত্যের অহংকারে মত্ত হয়ে এই কথাটির মূল্যায়নের কোনো প্রয়াসই করবেন না৷ তাদেরও বলি, দয়া করে ধৈর্য্য ধরে এই বক্তব্যটির অন্তর্নিহিত অর্থ উপলব্ধি করার চেষ্টা করুন৷ কেন এতবড় কথা বেশ জোরের সঙ্গে বলছি, তাই আমি সংক্ষেপে ব্যক্ত করছি৷

‘সমাজ’ শব্দের তাৎপর্য হচ্ছে সবাইকে নিয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে এগিয়ে চলা৷  কবির ভাষার --- ‘সকলের তরে সকলে আমরা,/প্রত্যেকে মোর পরের তরে’৷

গোর্খাল্যাণ্ডের মত বিচ্ছিন্নতাবাদী হঠকারী আন্দোলন চিরকালের মত বন্ধ হোক

প্রভাত খাঁ

সবার ওপরে পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়ন৷ তার জন্যে চাই শান্তি  শৃঙ্খলা ও আইনের শাসন৷ অতীতের কথা বলে সময় নষ্ট করাটা ভালো নয়৷  বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ে শান্তি-শৃঙ্খলা ফেরাতে তো একধাপ এগিয়ে দার্জিলিংয়ে জিটিএ করেছিলেন প্রায় পাঁচ বছর আগে৷ পাঁচ বছরে দার্জিলিংয়ের উন্নতিকল্পে হাজার হাজার কোটি কোটি টাকা দিয়েছেন জিটিএ-কে৷ একমাস পরে পাঁচ বছর পূর্ণ হবে৷ বিমল গুরুংয়ের নতুন দল জনমুক্তি মোর্চা কোথায় কত টাকা খরচ করেছেন, তার হিসেব আজ পর্যন্ত দেননি৷ মুখ্যমন্ত্রী দার্জিলিংয়ে গেছেন মন্ত্রী পরিষদের সভা করতে৷ রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নের পর্যালোচনা করতে৷ এটাকে গ্রীষ্মকাল অধিবেশন বলা যায়৷ আগে সেই অধিবেশন হয়েছিল সিদ্ধার্থ শঙ

আমরা যোগ সাধনা করব কেন?

আনন্দমার্গী

একটি ফুলের কুঁড়ি থেকে সুন্দর একটি ফুল ফুটে ওঠে৷ ফুলের সৌন্দর্য নির্ভর করে তার সমস্ত পাপড়ি–গুলির সম্যক বিকাশের ওপর৷ মনে করা যাক, একটি ফুলের তিনটি পাপড়ি৷ এই তিনটি পাপড়ি যদি ঠিকমত ফুটে ওঠে, তবে ফুলটিকে সুন্দর দেখায়৷ তেমনি আমাদের জীবনপুষ্পের তিনটি পাপড়ি–দেহ, মন ও আত্মা৷ এই তিনেব যদি সুষ্ঠু বিকাশ না হয়, তাকে জীবনের সুষ্ঠু বিকাশ বলা চলে না বা তাকে জীবনের প্রকৃত উন্নতি বলা যায় না৷ আর তাই জীবনের যথার্থ উন্নতির জন্যে তথা জীবনকে যথার্থ আনন্দময় করে গড়ে তুলতে হলে দৈহিক, মানসিক ও আত্মিক–তিনেরই উন্নতি একান্ত প্রয়োজন৷ জীবনের এই ত্রিস্তরীয় উন্নতি সম্পর্কে–আমাদের যথার্থভাবে সচেতন হতে হবে৷ সেজন্যেই আনন্দমার্

শোষিত বাঙলা---বঞ্চিত বাংলা ও বাঙালী (২)

তারাপদ বিশ্বাস

(পূর্বে প্রকাশিতের পর)

১৬) কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তথা কেন্দ্রীয় সরকারী দপ্তর সমূহে, ত্রি-ভাষা সূত্র মেনে প্রতিটি সরকারী কাজে হিন্দি ও ইংরাজীর পাশাপাশি প্রাদেশিক ভাষাকেও সমান গুরুত্ব দেওয়াটাই আইনসিদ্ধ৷ ১৯৮৬ সালের জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী ত্রি-ভাষা সূত্র পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়, জওহর নবোদয় বিদ্যালয়, সৈনিক সূকল  এ্যটোমিক এনার্জী স্কুল, রেল ও অন্যান্য দপ্তর পরিচালিত বিদ্যালয়ে মানা হয় না৷