স্বাস্থ্য বিজ্ঞান

তুলসী ঃ শ্বাসযন্ত্র সংক্রান্ত ও অন্যান্য রোগ নিরাময়ে এর উপকারিতা

পরিচয় ও প্রজাতি ঃ বিশ্বে এক শতাধিক প্রজাতির তুলসী বা Basil বর্গীয় গাছ রয়েছে৷ সমগ্র তুলসী বর্গীয় গাছের একটা নিজস্ব বর্ণ–গন্ধ আছে৷ যদিও সকল রকম স্বভাবের তুলসীর ৰীজ অনেকটা এক ধরনের ও তুলসী বর্গের মূল গন্ধ সবাইতে আছে, তবুও সবাইকারই স্বকীয় বৈশিষ্ট্য হিসেবে নিজস্ব গন্ধও আছে৷ যে কয়েক প্রজাতির তুলসী ৰাংলার একেবারে স্থানীয় অর্থাৎ ব্যাঞ্জালাইটিস বর্গীয়, তাদের মধ্যে রাধাতুলসী ও বাবুইতুলসী অন্যতম৷ কৃষ্ণতুলসী এসেছে উত্তর ভারত থেকে৷ যে তুলসীর পাতা সবুজ ও একটু বড় আকারের কিন্তু গাছও খুব ৰড় হয় না, তাকে রাধাতুলসী বলে৷ রাধাতুলসী মুখ্যতঃ দু’টি প্রজাতির হয়, তাদের গন্ধেরও তারতম্য আছে৷ পাতার আকার প্রকারেও অল্পসল্

হূদ্রোগীদের জন্যে গাজর

প্রতিদিন গাজর খেলে হূদরোগের ভয় কমে যায়৷ দীর্ঘ গবেষণার পর জানা গেছে যে গাজরের খাদ্য মূল্য অত্যন্ত অধিক৷ গাজরে আছে বিটা–ক্যারোটিন যা হূদরোগের আক্রমণ থেকে অনেকাংশে বাঁচায়৷ একটি সমীক্ষায় জানা গেছে যাঁরা নিয়মিত গাজর তরকারি করে খান তাঁদের হূদরোগের সম্ভাবনা ৬৮ শতাংশ কমে যায়৷ সুতরাং প্রতিদিন একটি করে গাজর খেলে হূদরোগে ভয় অনেকটাই কমে যায়৷

 

মানসিক দুশ্চিন্তা দূর করতে নিম পাতা চিবিয়ে খান

নিম পাতা আমাদের বিশেষ উপকারী সে কথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না৷ তবে মানসিক দুশ্চিন্তা দূরে রাখতে নিম পাতা যে সাহায্য করে তা হয়ত অনেকেই জানেন না৷ দুশ্চিন্তা দূর করতে প্রতিদিন কয়েকটি তাজা নিম পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন৷ তাজা নিমপাতা চিবিয়ে খেলে চর্মরোগ দূরে পালিয়ে যায়, দাঁতের অসুখ সেরে যায়, রক্তে শর্করা ও উচ্চচাপ দূরে পালিয়ে যায়৷ এছাড়া নিদ্রাহীনতার রোগও পালিয়ে যায়৷ অম্বল হলে নিম গাছের ছাল এক কাপ গরম জলে ভিজিয়ে রেখে সকালে ছেঁকে খালি পেটে খেলে উপকার পাওয়া যায়৷ রোজ সকালে খালি পেটে নিমছাল ও নিমপাতা বেটে তার বড়ি করে খেলে কৃমি রোগ সেরে যায়৷

বকফুল, ডুমুর, ঘি–করলা, নটে শাক

বকফুল

পরিচয় ও প্রজাতি ঃ বকফুল (গাছের) অনেক প্রজাতি রয়েছে৷ তবে মুখ্যতঃ দু’টি প্রজাতি নজরে পড়ে৷ একটিকে বলতে পারি কিছুটা হ্রস্ব, অপরটি হচ্ছে দীর্ঘ৷ হ্রস্ব প্রজাতির বকফুল (মোটামুটি) উঁচু হয় আর দীর্ঘ প্রজাতিটি আট মানুষের চেয়েও বেশী উঁচু হয়৷ হ্রস্ব–দীর্ঘ নির্বিশেষে বকফুল গাছ ৰাড়ে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে৷ ফুলের আকার ও আকৃতির বিচারে বকফুল শাদা, গোলাপী, লাল ও পঞ্চমুখী জাতের হয়ে থাকে৷

অর্শ

কারণ ঃ যকৃতের প্তন্লন্দ্বব্জগ্গ দোষজনিত কোষ্ঠকাঠিন্য এই রোগের প্রধান কারণ কিন্তু সাধারণতঃ কেবলমাত্র একটি কারণে কোন গুরুতর ব্যাধি আত্মপ্রকাশ করতে পারে না৷ অন্যান্য গুরুতর ব্যাধির মত অর্শও একটি সর্বদৈহিক ব্যাধি, তাই এরও আরও অনেকগুলি কারণ রয়েছে৷ তার মধ্যে প্রধান হ’ল শারীরিক পরিশ্রমের অভাব ও দ্বিতীয় হ’ল অতিরিক্ত সহবাস৷ মলত্যাগকালে কোঁধ দেবার অভ্যাসও অনেক সময় এ রোগকে চাগিয়ে তোলে৷ মনে রাখা দরকার যকৃতের দোষের সঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্য না থাকলে অর্শ রোগ কিছুতেই দেখা দিতে পারে না৷

চিকিৎসা ঃ (আসন ও মুদ্রা)

পালং শাক, টমেটো, কাঁটাল, কলা

পালং শাক

শাক বা পত্রশাকেদের মধ্যে পালং একটি উত্তম মানের শাক৷ অতি মাত্রায় ভক্ষণ করলে শ্লেষ্মাৰৃদ্ধি ঘটে৷ অন্যথায় এই শাক গুণেরই আকর৷ শাকটি খেতে মিষ্টি মিষ্টি, সুস্বাদু, শরীরের পক্ষে হিতকর প্রভাব–সম্পন্ন, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, হূদ্রোগের ঔষধ (পালং শাকের ক্কাথ), শ্বাসরোগের ঔষধ (পালং শাকের রস), লিবারের ক্ষতের ঔষধ ও বিষক্রিয়া–নাশক৷ বিটামিনে পরিপূর্ণ এই শাকটি গুণের তুলনায় খুবই সস্তা৷ ভাজা না করে ঘন্ট বা চচ্চড়িতে ব্যবহার করাই বেশী ভাল৷ ভাজা খেতে গেলে কম তেলে ভাজতে হবে৷

ব্রাহ্মী শাক, কলমী শাক, শুশুনি শাক, গীমা শাক

ব্রাহ্মী ও তারই প্রজাতিবিশেষ থানকুনি ও থুন্কুড়ি (ভোজপুরীতে পাতাল নিম) প্রভৃতি শাকেরা স্নায়ুরোগের পুষ্টি বিধায়ক, স্মরণশক্তি ৰর্দ্ধক ও শুক্ররোগের ঔষধ৷ ব্রাহ্মী ও থানকুনি উভয়েরই পাতা ঔষধ হিসেবে ব্যবহূত হয়৷ স্নায়ুদৌর্বল্য রোগেও এটা উত্তম ঔষধ৷ সকল প্রকারের স্নায়বিক রোগ ও মানসিক ভারসাম্যহীনতা রোগে এর ব্যবহার আছে৷ ব্রাহ্মীঘৃত (অথবা ব্রাহ্মী সিরাপ) পরীক্ষার্থীদের বিশেষ সহায়ক৷ ব্রাহ্মী ও থানকুনি উভয়েই লতানে উদ্ভিদ৷

পেটের অসুখে থানকুনি ঃ থানকুনি পাতার রস চীনী সহ খেলে পেটের অসুখে ভাল ফল দেয়৷

কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে সাবধান

(সংগ্রহকর্তা---আচার্য সর্বানন্দ অবধূত)
  • সকালে খালি পেটে জল খাওয়া উচিত৷ l রোজ প্রাতরাশে ও লাঞ্চে কিছু ফল খাওয়া ভালো৷l খাওয়ার শেষে একটু টক দই বা ঘোল খাওয়া শরীরের পক্ষে উপকারী৷l
  • সকাল ও বিকালে কমপক্ষে আধঘণ্টা হাঁটা উচিত৷l রাত্রে খাওয়ার পর কিছুক্ষণ হাঁটা ভালো৷l
  • রান্নাতে বেশী তেল ও মশলা ব্যবহার না করা ভালো৷l সারা দিনে কমপক্ষে পাঁচ লিটার জল খাওয়া উচিত৷l
  • পারতপক্ষে হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করা, মানসিক চাপ ও টেনশন থেকে মুক্ত থাকার চেষ্টা করা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো৷l
  • প্রত্যেকদিন শরীর-চর্চা ও ব্যায়াম করা একান্ত প্রয়োজন৷l যাঁরা বসে বসে কাজ করেন তাঁদের জন্য প্রত্যহ কিছু শারীরিক পরিশ্রম করা একান্ত প্রয়ো

পোস্ত

পরিচয় ঃ ‘পপি’ নামে এক রকমের ছোট ফুলের গাছ ইয়ূরোপ থেকে এদেশে এসেছিল৷ এটি শীতকালের মরশুমী ফুল৷ ভারতে এখন শখের ফুল হিসেবে অনেকেই বাগানে চাষ করেন৷ ফুলের রঙ নানান ধরনের–লাল, শাদা, হলদে, ৰেগনে৷ এটি নির্দোষ বা নির্বিষ বর্গীয়৷ ফুল ঝরে যাবার পর এর গাছে যে ৰীজকোরক আসে সেটা ছোট ও লম্বাটে৷ তার গা চিরে দিলে যে রস বের হয় তা নির্দোষ৷ ৰীজকোরকে যে ৰীজ হয় তা কালচে রঙের৷ এই পপির যে প্রজাতিটি ওপিয়াম পপি নামে পরিচিত, তা কিন্তু ভারতে বিদেশ থেকে আসেনি৷ সেটা এদেশেরই ফুল৷ সাধারণ পপি ও ওপিয়াম–পপির মধ্যে তফাৎ হ’ল, সাধারণ পপির চেয়ে এর পাতা ৰড়, মোটা, পুষ্ট ও সতেজ ও একটু বেশী রকমের জোরালো সবুজ৷ সাধারণতঃ