সংবাদ দর্পণ

ভয়াবহ দাবানল দক্ষিণ কোরিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

গত মঙ্গলবার সেই আগুন ভয়ঙ্কর রূপ নেয়৷ সরকারি ভাবে ২৪ জনের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আনা হয়েছে৷ ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক৷

দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে বড় দাবানল বলে জানিয়েছেন দেশের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হান ডাক-সু৷ জারি করা হয়েছে জরুরী অবস্থা৷ চেয়োঙ্গসং-গান কাউন্টির চারটি জেল থেকে ২৬০০ কয়েদি-সহ ২৭ হাজার মানুষকে ওই এলাকা থেকে সরানো হয়েছে বলে সরকারি সূত্রের খবর৷ বহু এলাকায় বিদ্যুৎ ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ রাখা হয়েছে৷ বেশ কিছু রাস্তাও বন্ধ রাখা হয়েছে৷

দাবানলে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল হেরিটেজ সাইটের আওতাধীন ১৩০০ বছরের পুরনো একটি বৌদ্ধ মন্দির এবং হাহয়ে ফোক নামে একটি গ্রাম৷

২১ মার্চ রাজধানী সোল থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত গিয়ংসাং প্রদেশের সানচেং-এ প্রথম আগুনের সূত্রপাত হয়৷ পরে সেই দাবানল ছড়িয়ে পড়ে একাধিক এলাকায়৷ দাবানল মোকাবিলায় দমকলের পাশাপাশি নামানো হয় শতাধিক হেলিকপ্ঢারও৷ কেন্দ্রীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর জানায়, দাবানলে প্রায় ৪৩ হাজার একর জমি পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে৷ মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই স্থানীয়৷ তাঁদের মধ্যে তিন জন দমকলকর্মী এবং এক জন অগ্ণিনির্বাপক হেলিকপ্ঢারের পাইলটও রয়েছেন৷

রক্ষকই ভক্ষক

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

১৮ই মার্চ রাত্রি প্রায় ২টার সময় বাগুইআটি চিনার পার্কের এক ব্যবসায়ী প্রয়াত বিনোদ কুমার সিং-এর বাড়ীতে হানা দেয় আয়কর দপ্তরের আধিকারিকরা৷ সাদা কাগজে সিজার লিস্ট বানিয়ে প্রচুর গয়না ও নগদ তিন লক্ষ টাকা নিয়ে যায়৷ যাওয়ার সময়ে ওই আয়কর আধিকারিকরা বিনোদ সিং-এর কন্যা বিনীতাকে দিয়ে সাদা কাগজের সিজার লিস্টে সই করিয়ে নেয়৷ যাওয়ার সময় বলে যায়, তোমাকে আয়কর দপ্তরে যোগাযোগ করার প্রয়োজন নেই৷ আয়কর দপ্তরই তোমার সঙ্গে যোগাযোগ করবে৷

সকালে বিনোদ সিং-এর মেয়ে বিনীতা সিং আয়কর দপ্তরে গিয়ে জানতে পারেন আয়কর দপ্তর কোন তল্লাশি করতে যায়নি৷ বিনীতা সিং সেখান থেকেই চলে যান বাগুইআটি থানায়৷ সেখানে অভিযোগ দায়ের করার সময় তিনি পুলিশকে জানায় হানা দাররা বিনীতার সৎমা আরতি সিং-এর গয়না টাকা পয়সায় হাত দেয়নি৷

পুলিশের সন্দেহ হয় আরতি সিং-এর ওপর৷ বাগুইআটি থানার আইসি অমিত কুমার মিত্র তদন্ত করে আরতি সিং ও পাঁচ সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স - (সি আই এস এফ)-এর পাঁচ জওয়ানকে গ্রেপ্তার করে৷ ধৃতদের মধ্যে সি.আই.এস.এফ-এর এক মহিলা কনস্টেবল আছে যিনি কিছুদিন আগেও আর জি কর হাসপাতালে পোষ্টিং ছিলেন৷ ওই মহিলা ছাড়াও ছিলেন সি আই এস এফের একজন ইন্সপেক্টর একজন হেড কনস্টেবল ও বাকী দুজন কনস্টেবল৷ সি আই এফ এফের পক্ষ থেকে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে৷ পাঁচ জওয়ানকে সাসপেন্ড করা হয়েছে৷

সি.আই.এস.এফ কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন৷ সাধারণ মানুষের প্রশ্ণ যাদের হাতে মানুষকে নিরাপত্তা দেবার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে তারাই যদি এই ধরণের জঘন্য কাজে লিপ্ত হয়, রক্ষকই যদি ভক্ষক হয় সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়?

পুলিশ জানিয়েছে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরেই সৎমা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে, তাঁর এক আত্মীয়ের মাধ্যমে সি.আই.এস.এফের সঙ্গে যোগাযোগ করে৷

চিকিৎসা গবেষনায় সেরা কলকাতা মেডিকেল

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

চিকিৎসা ও গবেষনায় দেশের সর্বোচ্চ সংস্থা আই,সি,এম, আর (ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ) কলকাতা মেডিকেল কলেজেকে পূর্ব ভারতে চিকিৎসা গবেষনায় সেরার স্বীকৃতি দিয়েছে৷ দ্বিতীয় স্থানে কলকাতার পিজি হাসপাতাল৷ গোটা দেশের ৮০টি মেডিকেল কলেজে মাল্টি ডিসিপ্লিনারি রিসার্চ ইয়ূনিট আছে৷ আই সি এম আর এই কাজে তত্ত্বাবধান করে ও সেই অনুযায়ী আর্থিক অনুদান দেয়৷ এই ৮০টি কলেজের মধ্যে বিশেষ স্কোরিং পদ্ধতিতে সেরা বাছাই করা হয়৷

১০-এর মধ্যে যারা ৮ বা তার বেশী পেয়েছে, এই রকম ১২টি কলেজ নির্বাচিত হয়৷ এই ১২টির মধ্যে পূর্ব ভারতের একমাত্র কলিকাতা মেডিকেল কলেজ আছে৷ পূর্ব ভারতে চিকিৎসা গবেষনার কাজে দ্বিতীয় স্থানে আছে পিজি হাসপাতাল৷

মোদি সরকারের আমলে অবহেলিত মধ্যবিত্ত আয়ের অঙ্কে ২০০ বছর পিছিয়ে গেছে ভারত

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

২০৪৭ সালে ভারত উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে৷ অর্থনীতিতে ভারত এখনই তিন নম্বরে চলে আসবে৷ মোদি সরকারের আমলা, মন্ত্রী ও দলীয় অনুগামীদের ঢাক-ঢোল পিটিয়ে এই সব প্রচারের মাঝে বিভিন্ন আর্থিক সংস্থা তাদের প্রতিবেদনে দেশের আর্থিক অবস্থার প্রকৃত চিত্রটি তুলে ধরছে৷ সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল লেবার অরগানাইজেশন (আই.এল.ও) তাদের প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখিয়েছে মোদির আমলে ২০২৩ সালে ভারতের মধ্যবিত্ত শ্রেণী আয়ের অঙ্কে ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর আমলে পিছিয়ে গেছে৷ আই.এল.ওর ওয়ার্ল্ড ইনইকুয়ালিটি ডেটার প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে ২০০৬ সালে বেতন বৃদ্ধির হার ছিল ৯.৩ শতাংশ,২০২৩ সালে কমে হয়েছে ০.১ শতাংশ মাত্র৷ ভারতীয় শ্রমিকরা ঘন্টা পিছু গড় আয়ে নীচের দিকে ৫ম স্থানে৷ প্রতিবেদনে দেখান হয়েছে ১৮২০ সালে দেশের জাতীয় আয়ের ১০.৮ শতাংশ আসত দরিদ্রতম মানুষের হাতে যা দেশের জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ৷ মধ্যবিত্ত এক তৃতীয়াংশের ১৫ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ১৪.৯ শতাংশ৷ ১৮২০ সালে জাতীয় আয়ের ৭৩.২ শতাংশ ধনিক শ্রেণীর হাতে ছিল৷ ২০২৩ সালে সেটাই বেড়ে হয়েছে ৭৭.৮ শতাংশ৷ এই পরিসংখ্যান স্পষ্ট করছে মোদির আমলে দেশে ধনি মধ্যবিত্তের আয় বৈষম্য বাড়ছে৷ আই এল ওর পরিসংখানে দেশে মধ্যবিত্তের গড় আয় ২লক্ষ ৬০হাজার টাকা৷ যার মাসিক আয় একটা সাধারণ মানের আইফোনের থেকে অনেক কম৷

আমরা বাঙালীর কেন্দ্রীয় সচিব জ্যোতিবিকাশ সিনহা বলেন--- আর্থিক অব্যবস্থার বোঝা বইতে হচ্ছে মধ্যবিত্ত শ্রেণীকে আর ধনী আরও ফুলে ফেঁপে উঠছে৷ মোদি দেশবাসীকে স্বপ্ণ দেখাচ্ছে পর্বত চূড়ায় ওঠায়, কিন্তু মোদির অর্থনীতি ছুটছে সাগর পানে স্বখ্যাত সলিলে৷ শ্রীসিন্‌হা অভিযোগ করেন স্বাধীনতার প্রথম দিন থেকেই মধ্যবিত্ত গরিব মানুষকে অবহেলা করা হচ্ছে৷ মোদি আমলে সেটা ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে৷

শ্রী সিন্‌হা বলেন--- প্রাউটের বিকেন্দ্রিত অর্থনৈতিক পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ছাড়া সাধারণ মানুষের পরিত্রাণের অন্যপথ নেই৷ দেশে ধনীক শ্রেণীর এই নির্দয় শোষন থেকে সাধারণ মানুষকে মুক্ত করতে অবিলম্বে সামাজিক অর্থনৈতিক আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে ৷ তিনি বলেন প্রাউট জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল শোষিত জনগণের অনুকুলে আর্থিক ব্যবস্থার পরিকল্পনা দিয়েছে৷ তাই সকল শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের উচিত প্রাউটের আর্থিক ব্যবস্থা বাস্তবায়নের দাবীতে গণআন্দোলনে সামিল হওয়া৷

বনগাঁয় সেমিনার

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ২২ ও ২৩ শে মার্চ উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ ডিটের সেমিনার বনগাঁ আনন্দমার্গ স্কুলে অনুষ্ঠিত হয়৷ উক্ত সেমিনারে আনন্দমার্গ দর্শনের সামাজিক অর্থনৈতিক ও আধ্যাত্মিক বিষয়ে আলোচনা করেন প্রশিক্ষক আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত৷ দু’দিনের এই সেমিনারের আয়োজন করেন কৃষ্ণনগর ডায়োসিস সচিব আচার্য পরাজ্ঞানানন্দ অবধূত৷ তাঁকে সহযোগিতা করে বনগাঁ স্কুলের শিক্ষক জীবেশ মণ্ডল, গৌতম বিশ্বাস প্রমুখ ও স্থানীয় ইয়ূনিটের কর্মীবৃন্দ৷

বনগাঁয় অখণ্ড কীর্ত্তন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ১৬ই মার্চ উত্তর২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ হরিদাসপুর ও সিমুলতলায় অখণ্ড বাবা নাম কেবলম্‌ অষ্টাক্ষরী মহানামমন্ত্র কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ হরিদাসপুরের বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রী শৈলেন বিশ্বাস তার নবনির্মিত গৃহে গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে তিনঘন্টা অখণ্ড কীর্ত্তনের আয়োজন করেন৷ স্থানীয় মার্গী ভাইবোন ছাড়াও শৈলেন বিশ্বাসের আত্মীয় পরিজন ও বহু সাধারণ মানুষ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন৷ কীর্ত্তনশেষে মিলিত সাধনার পর স্বাধ্যায় করেন আচার্য বোধিসত্ত্বানন্দ অবধূত৷ এরপর আনন্দমার্গ দর্শন ও কীর্ত্তন বিষয়ে বক্তব্য রাখেন আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত৷ গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন শ্রী অসীম বিশ্বাস৷

ওইদিন পার্শ্ববর্তী শিমুলতলা গ্রামে স্থানীয় আনন্দমার্গী শ্রীমরকৃষ্ণ বিশ্বাসের নবনির্মিত বাসভবনের গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠান আনন্দমার্গে চর্যাচর্য বিধিমতে অনুষ্ঠিত হয়৷ এখানেও তিনঘন্টা অখণ্ড বাবা নাম কেবলম্‌ কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আচার্য কাশীশ্বরানন্দ অবধূত৷

চক্ষু অপারেশন শিবির

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ১৮ই মার্চ বাঁকুড়া দুর্লভপুর আনন্দমার্গ স্কুলে দুঃস্থ মানুষদের জন্য একটি চক্ষু অপারেশন শিবিরের আয়োজন করেন স্কুলের অধ্যক্ষ আচার্য সত্যনিষ্ঠানন্দ অবধূত৷ অভিজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা পঞ্চাশজন মানুষের সফলভাবে অপারেশন করা হয়৷

উৎকল ইয়ূনিবার্সিটিতে আনন্দমার্গ দর্শন নিয়ে বিষয়ে আলোচনা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ১৯শে মার্চ ওড়িশায় বাণীবিহার উৎকল ইয়ূনিবার্সিটিতে আনন্দমার্গ দর্শন বিষয়ে আলোচনাসভার আয়োজন করে আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের বিদ্বৎ শাখা রেনেসাঁ ইয়ূনিবার্সাল ও উৎকল ইয়ূনির্বার্সিটির সংস্কৃতি বিভাগ৷

সভায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন সংস্কৃতি বিভাগের প্রধান ডঃ মনোরঞ্জন সেনাপতি৷ বক্তব্য রাখেন অধ্যাপিকা সবিতা আচার্য, অধ্যাপিকা নবনীতা রথ প্রমুখ৷ আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের কেন্দ্রীয় জনসংযোগ সচিব আচার্য দিব্যচেতনানন্দ অবধূত আনন্দমার্গ দর্শনের আধ্যাত্মিক, নব্যমানবতাবাদ ও সামাজিক অর্থনৈতিক বিষয়ে মননশীল বক্তব্য রাখেন---আচার্য কৈলাশ সারেঙ্গী উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে সভা সমাপ্ত করেন৷

পরলোকে নীলকমল বিশ্বাস

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

উঃ২৪পরগণা জেলার বনগাঁ হরিদাস পুরের বিশিষ্ট আনন্দমার্গী ও বনগাঁ আনন্দমার্গ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক শ্রীনীলকমল বিশ্বাস গত ১৯শে মার্চ অপরাহ্ণ ৪-৩০ মিনিটে পরলোক গমন করেন৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর৷ তিনি বেশ কিছুদিন বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন৷ শ্রী নীলকমল বিশ্বাস একজন আদর্শ আনন্দমার্গী ও সংঘের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন৷ বনগাঁ আনন্দমার্গ স্কুলের দায়িত্বে থাকার সময় স্কুলের উন্নয়ণে ছাত্র-ছাত্রাদের সার্বিক বিকাশের দিকে যত্ন সহকারে লক্ষ্য রাখতেন৷ সংঘের অন্যান্ন বিভাগের কাজেও তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে দায়ীত্ব পালন করতেন৷ তিনি তিনপুত্র এক কন্যা, স্ত্রী পুত্রবধূ ও নাতনী রেখে গেছেন৷ তাঁর মৃত্যুতে সংঘ একজন একনিষ্ঠ কর্মীকে হারালো৷

টর্নেডোয় বিধবস্ত মধ্য আমেরিকা

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

টর্নেডোয় বিধবস্ত মধ্য আমেরিকা৷ শনিবারের এই ভয়ঙ্কর ঝড়ে প্রাণ হারিয়েছেন ২৭ জন৷ সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কানসাস, টেক্সাস, মিসৌরি৷ ঝড়ের দাপটে উড়ে গিয়েছে কয়েকশো বাড়ির চাল৷ উল্টে গিয়েছে বহু গাড়ি, এমনকি ট্রাকও৷ বহু এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ নেই৷ অন্ধকারে দিন কাটছে বাসিন্দাদের৷ এর মধ্যেই আবহাওয়া দফতর সপ্তাহান্তে আরও কয়েকটি টর্নেডোর পূর্বাভাস দিয়েছে৷

আমেরিকার কানসাসে টর্নেডোর বলি আট জন৷ ঝড়ের সময় ধুলোয় ঢেকে যায় আকাশ৷ দৃশ্যমানতা কমে যায়৷ সে কারণে বহু পথ দুর্ঘটনা হয়েছে৷ অন্তত ৫০টি গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে৷ তাতেই মৃত্যু হয়েছে ওই আট জনের৷ মিসৌরি স্টেটের জাতীয় সড়ক নজরদারি সংস্থা জানিয়েছে, সেখানে ঝড়ের বলি ১২ জন৷ পুলিশ জানিয়েছে, সেখানে ঝড়ের দাপটে বহু গাছ উপড়ে গিয়েছে৷ গাছ পড়ে ছিঁড়ে গিয়েছে বিদ্যুতের তার৷ অন্ধকারে বিস্তীর্ণ এলাকা৷ বহু লোকজনকে তাঁদের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় সরানো হয়েছে৷ বাড়ি ছেড়ে ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছে অ্যালিসিয়া উইলসন৷ তিনি বলেন, ‘‘এ রকম ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা আগে হয়নি কখনও৷ কান ফেটে যাচ্ছিল আওয়াজে৷’’

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মিসৌরির ওয়েন কাউন্টিতে ঝড়ের বলি ছ’জন৷ ওজার্কে মারা গিয়েছেন তিন জন৷ টেক্সাসে ঝড়ের সময় গাড়ি চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন চার জন৷ আরকানসাস স্টেটে ঝড়ের জেরে বিভিন্ন দুর্ঘটনার কারণে প্রাণ হারিয়েছেন তিন জন৷ আহত হয়েছেন ২৯ জন৷ সেখানে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন গভর্নর সারাহ্‌ হাকাবি স্যান্ডার্স৷ প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত পর্যন্ত বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে অন্ধকারে ডুবে ছিল মধ্য আমেরিকার প্রায় দু’ লক্ষ বাড়ি৷

তবে উদ্বেগ এখনই কাটছে না মধ্য আমেরিকায়৷ আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মিসিসিপি, টেনিসি-সহ মধ্য উপসাগর উপকূলবর্তী স্টেটগুলিতে আরও বেশ কয়েকটি টর্নেডো হতে পারে৷ প্রসঙ্গত, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে মধ্য আমেরিকার টেক্সাস, ওকলাহোমা, কানসাসে মাঝেমধ্যেই আছড়ে পড়ে টর্নেডো৷ মূলত মে থেকে জুনের মধ্যেই হয় এই ঝড়৷ প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালে আমেরিকায় টর্নেডোর বলি হয়েছিলেন ৫৪ জন৷