সংবাদ দর্পণ

চক্ষু অপারেশন শিবির

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ১৮ই মার্চ বাঁকুড়া দুর্লভপুর আনন্দমার্গ স্কুলে দুঃস্থ মানুষদের জন্য একটি চক্ষু অপারেশন শিবিরের আয়োজন করেন স্কুলের অধ্যক্ষ আচার্য সত্যনিষ্ঠানন্দ অবধূত৷ অভিজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা পঞ্চাশজন মানুষের সফলভাবে অপারেশন করা হয়৷

উৎকল ইয়ূনিবার্সিটিতে আনন্দমার্গ দর্শন নিয়ে বিষয়ে আলোচনা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

গত ১৯শে মার্চ ওড়িশায় বাণীবিহার উৎকল ইয়ূনিবার্সিটিতে আনন্দমার্গ দর্শন বিষয়ে আলোচনাসভার আয়োজন করে আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের বিদ্বৎ শাখা রেনেসাঁ ইয়ূনিবার্সাল ও উৎকল ইয়ূনির্বার্সিটির সংস্কৃতি বিভাগ৷

সভায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন সংস্কৃতি বিভাগের প্রধান ডঃ মনোরঞ্জন সেনাপতি৷ বক্তব্য রাখেন অধ্যাপিকা সবিতা আচার্য, অধ্যাপিকা নবনীতা রথ প্রমুখ৷ আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের কেন্দ্রীয় জনসংযোগ সচিব আচার্য দিব্যচেতনানন্দ অবধূত আনন্দমার্গ দর্শনের আধ্যাত্মিক, নব্যমানবতাবাদ ও সামাজিক অর্থনৈতিক বিষয়ে মননশীল বক্তব্য রাখেন---আচার্য কৈলাশ সারেঙ্গী উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে সভা সমাপ্ত করেন৷

পরলোকে নীলকমল বিশ্বাস

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

উঃ২৪পরগণা জেলার বনগাঁ হরিদাস পুরের বিশিষ্ট আনন্দমার্গী ও বনগাঁ আনন্দমার্গ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক শ্রীনীলকমল বিশ্বাস গত ১৯শে মার্চ অপরাহ্ণ ৪-৩০ মিনিটে পরলোক গমন করেন৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর৷ তিনি বেশ কিছুদিন বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন৷ শ্রী নীলকমল বিশ্বাস একজন আদর্শ আনন্দমার্গী ও সংঘের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন৷ বনগাঁ আনন্দমার্গ স্কুলের দায়িত্বে থাকার সময় স্কুলের উন্নয়ণে ছাত্র-ছাত্রাদের সার্বিক বিকাশের দিকে যত্ন সহকারে লক্ষ্য রাখতেন৷ সংঘের অন্যান্ন বিভাগের কাজেও তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে দায়ীত্ব পালন করতেন৷ তিনি তিনপুত্র এক কন্যা, স্ত্রী পুত্রবধূ ও নাতনী রেখে গেছেন৷ তাঁর মৃত্যুতে সংঘ একজন একনিষ্ঠ কর্মীকে হারালো৷

টর্নেডোয় বিধবস্ত মধ্য আমেরিকা

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

টর্নেডোয় বিধবস্ত মধ্য আমেরিকা৷ শনিবারের এই ভয়ঙ্কর ঝড়ে প্রাণ হারিয়েছেন ২৭ জন৷ সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কানসাস, টেক্সাস, মিসৌরি৷ ঝড়ের দাপটে উড়ে গিয়েছে কয়েকশো বাড়ির চাল৷ উল্টে গিয়েছে বহু গাড়ি, এমনকি ট্রাকও৷ বহু এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ নেই৷ অন্ধকারে দিন কাটছে বাসিন্দাদের৷ এর মধ্যেই আবহাওয়া দফতর সপ্তাহান্তে আরও কয়েকটি টর্নেডোর পূর্বাভাস দিয়েছে৷

আমেরিকার কানসাসে টর্নেডোর বলি আট জন৷ ঝড়ের সময় ধুলোয় ঢেকে যায় আকাশ৷ দৃশ্যমানতা কমে যায়৷ সে কারণে বহু পথ দুর্ঘটনা হয়েছে৷ অন্তত ৫০টি গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে৷ তাতেই মৃত্যু হয়েছে ওই আট জনের৷ মিসৌরি স্টেটের জাতীয় সড়ক নজরদারি সংস্থা জানিয়েছে, সেখানে ঝড়ের বলি ১২ জন৷ পুলিশ জানিয়েছে, সেখানে ঝড়ের দাপটে বহু গাছ উপড়ে গিয়েছে৷ গাছ পড়ে ছিঁড়ে গিয়েছে বিদ্যুতের তার৷ অন্ধকারে বিস্তীর্ণ এলাকা৷ বহু লোকজনকে তাঁদের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় সরানো হয়েছে৷ বাড়ি ছেড়ে ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছে অ্যালিসিয়া উইলসন৷ তিনি বলেন, ‘‘এ রকম ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা আগে হয়নি কখনও৷ কান ফেটে যাচ্ছিল আওয়াজে৷’’

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মিসৌরির ওয়েন কাউন্টিতে ঝড়ের বলি ছ’জন৷ ওজার্কে মারা গিয়েছেন তিন জন৷ টেক্সাসে ঝড়ের সময় গাড়ি চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন চার জন৷ আরকানসাস স্টেটে ঝড়ের জেরে বিভিন্ন দুর্ঘটনার কারণে প্রাণ হারিয়েছেন তিন জন৷ আহত হয়েছেন ২৯ জন৷ সেখানে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন গভর্নর সারাহ্‌ হাকাবি স্যান্ডার্স৷ প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত পর্যন্ত বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে অন্ধকারে ডুবে ছিল মধ্য আমেরিকার প্রায় দু’ লক্ষ বাড়ি৷

তবে উদ্বেগ এখনই কাটছে না মধ্য আমেরিকায়৷ আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মিসিসিপি, টেনিসি-সহ মধ্য উপসাগর উপকূলবর্তী স্টেটগুলিতে আরও বেশ কয়েকটি টর্নেডো হতে পারে৷ প্রসঙ্গত, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে মধ্য আমেরিকার টেক্সাস, ওকলাহোমা, কানসাসে মাঝেমধ্যেই আছড়ে পড়ে টর্নেডো৷ মূলত মে থেকে জুনের মধ্যেই হয় এই ঝড়৷ প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালে আমেরিকায় টর্নেডোর বলি হয়েছিলেন ৫৪ জন৷

 স্টারলিঙ্কের নামে ভারতীয়দের পকেট কাটবেন মাস্ক? ১০ গুণ খরচ বাড়বে ইন্টারনেটের!

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

ভারতে উচ্চ গতির ইন্টারনেট চালু করতে ইলন মাস্কের সংস্থা স্টারলিঙ্কের সঙ্গে চুক্তি সেরে ফেলেছে ভারতী এয়ারটেল এবং জিয়ো৷ এটি চালু হলে ১০ থেকে ১৪ গুণ বাড়বে ইন্টারনেটের খরচ, অনুমান বিশ্লেষকেরা৷

ইন্টারনেট পরিষেবায় বিপ্লবের সন্দিক্ষণে দাঁড়িয়ে ভারত৷ এ দেশের বাজারে পা রাখাতে চলেছে বিশ্বের অন্যতম ধনকুবের তথা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘কিচেন ক্যাবিনেট’-এর সদস্য ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেসএক্সের স্টারলিঙ্ক৷ ইতিমধ্যেই ইন্টারনেট এবং মোবাইল ফোন পরিষেবা প্রদানকারী দু’টি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি সেরে ফেলেছে তাঁর এই কোম্পানি৷ ভারতীয় সংস্থা দু’টি হল ভারতী এয়ারটেল এবং জিয়ো৷

মাস্কের সংস্থা এ দেশে পরিষেবা প্রদানের অনুমতি পেলে ভারতে ইন্টারনেটের গতি যে কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না৷ তবে স্টারলিঙ্ক সেই সুযোগ পাবে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়৷ কারণ, এ ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি কেন্দ্রের টেলিকম মন্ত্রক৷ পাশাপাশি, আরও একটি প্রশ্ণ ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে৷ সেটা হল, মাস্কের সংস্থা পরিষেবা দেওয়া শুরু করলে কতটা বাড়বে ইন্টারনেটের খরচ?

স্টারলিঙ্ক এখনও এ ব্যাপারে কোনও ঘোষণা করেনি৷ প্রতিবেশী দেশ ভুটানে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা দিচ্ছে মাস্কের সংস্থা৷ সেখানকার মডেল থেকে খরচ সংক্রান্ত একটি আন্দাজ পাওয়া যেতে পারে৷ হিমালয়ের কোলের দেশটিতে স্টারলিঙ্কের মূলত দু’টি প্রকল্প চালু রয়েছে৷ সেগুলি হল, আবাসিক লাইট প্ল্যান এবং স্ট্যান্ডার্ড আবাসিক পরিকল্পনা৷

এর মধ্যে প্রথম মডেলটি পছন্দ করলে গ্রাহকের প্রতি মাসে ইন্টারনেট বাবদ খরচ দাঁড়াচ্ছে তিন হাজার টাকা৷ এ ক্ষেত্রে ২৩ থেকে ১০০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট পাচ্ছেন তাঁরা৷ দৈনিক ব্রাউজিং, সমাজ মাধ্যম ব্যবহার এবং ভিডিয়ো স্ট্রিমিঙের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্ল্যানটি বেশ লাভজনক হবে বলে প্রচারে জানিয়েছে স্টারলিঙ্ক৷

অন্যদিকে স্ট্যান্ডার্ড আবাসিক পরিকল্পনার খরচ কিছুটা বেশি৷ একে গ্রাহকে মাসে দিতে হচ্ছে ৪,২০০ টাকা৷ বিনিময়ে ২৫ থেকে ১১০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ দেবে স্টারলিঙ্ক৷ এই প্ল্যানে সীমাহীন ডেটা ব্যবহার করতে পারছেন গ্রাহক৷ নিরবিচ্ছিন্নভাবে চলবে গেমিং, এইচডি ভিডিয়ো স্ট্রিমিং এবং ভিডিয়ো কনফারেন্স৷

ভারতে ইন্টারনেট পরিষেবা ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে স্টারলিঙ্ক একই ধরনের দু’টি প্রকল্প চালু রাখবে, এ কথা জোর দিয়ে বলা সম্ভব নয়৷ কারণ ভুটানের চেয়ে এ দেশে অনেক বেশি গ্রাহক পাবেন মাস্কের সংস্থা৷ আবার অন্যান্য স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড পরিষেবাগুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামতে হবে তাদের৷ উপরন্তু, বিদেশি ডিজিটাল পরিষেবার উপর ৩০ শতাংশ কর নিয়ে থাকে কেন্দ্র৷ সবমিলিয়ে স্টারলিঙ্কের আবাসিক ইন্টারনেট প্ল্যানের জন্য প্রতি মাসে ৩,৫০০ থেকে ৪,৫০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে বলে, মত বিশেষজ্ঞদের৷

দেশে জাল ওষুধের রমরমা বাড়ছে

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে গিয়েই ওষুধের উপরে ছাড় দিচ্ছেন বহু ব্যবসায়ী৷ আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দেশ তথা রাজ্যে জাল ওষুধের রমরমা ক্রমশ বাড়ছে৷ কিন্তু জাল ওষুধ চেনার উপায় ঠিক মতো জানা নেই সাধারণ মানুষ তো বটেই, এমনকি ওষুধ ব্যবসায়ীদেরও৷ গত শুক্রবার এমনই কথা স্বীকার করল ‘বেঙ্গল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্টস অ্যাসোসিয়েশন’ (বিসিডিএ)৷গুণগত মানের পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ ওষুধ ব্যবহার বন্ধ করতে বৃহস্পতিবার রাতেই নির্দেশিকা জারি করেছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম৷ বলা হয়েছে, পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ ব্যাচের ওষুধের তালিকা ও তথ্য সমস্ত সরকারি হাসপাতাল, সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোর, পাইকারি বিক্রেতা এবং ডিস্ট্রিবিউটরদের নির্দেশিকা দিয়ে জানাতে হবে রাজ্য ড্রাগ কন্েন্টালকে৷ যাতে কোথাও ওই সব ওষুধ ব্যবহার না হয়৷

‘সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্েন্টাল অর্গানাইজেশন’ (সিডিএসসিও) সূত্রের খবর, গত তিন মাসে প্রায় ৩০০টি ওষুধ গুণমানের পরীক্ষায় ফেল করেছে৷ যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক সংস্থার তৈরি ওষুধও রয়েছে৷ বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ণ রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরও৷ নির্দেশ হয়েছে, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, হাসপাতাল থেকে শুরু করে দোকানেও প্রকাশ্যে ঝোলাতে হবে অনুত্তীর্ণ সব ওষুধের তালিকা৷ তা রাখতে হবে স্বাস্থ্য দফতরের ওয়েবসাইটেও৷ এর পরেও কোথাও ওই সব ওষুধ বেচাকেনা হচ্ছে কিনা, তাতে নজরদারি চালাতে দোকানে আচমকা পরিদর্শন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য ড্রাগ কন্টোলকে৷ গাফিলতি ধরা পড়লে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে৷ রাজ্যের যে সমস্ত ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার তৈরি ওষুধ অনুত্তীর্ণের তালিকায় রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যসচিব৷

বিসিডিএ-এর মুখপাত্র শঙ্খ রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘জাল বা ভুয়ো ওষুধের সমস্যা গুরুতর৷ যা দেশের জনগণের স্বাস্থ্য এবং ওষুধ ব্যবসা, দু’টিরই ক্ষতি করছে৷ দ্রুত এর বিরুদ্ধে সরকারের পদক্ষেপ করা প্রয়োজন৷’’ তাঁদের অভিযোগ, ৩৫ শতাংশ জাল ওষুধ তৈরি হয় এ দেশে৷ মিশর এবং চিনেও জাল ওষুধ তৈরির রমরমা কারবার চলে৷

১৯শে মার্চ নয়, ১৬ই মার্চ-এ ফিরছেন সুনিতারা---জানিয়েছে নাসা

সংবাদদাতা
পি.এন.এ.
সময়

নাসা বলছে, চলতি মাসেই পৃথিবীতে ফিরছেন সুনীতা এবং বুচ৷ প্রথমে নাসার তরফে ১৯ মার্চ দিনটিকে বাছা হলেও সেই দিন এগিয়ে আনা হয়েছে৷ পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আগামী ১৬ মার্চ ফিরবেন দুই নভশ্চর৷

অবসান হতে চলেছে দীর্ঘ ন’মাসের অপেক্ষার৷ অবশেষে পৃথিবীতে ফিরতে চলেছেন মার্কিন মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোর৷ সাংবাদিক বৈঠকে সুনীতাদের ফেরার তারিখ ঘোষণা করেছে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা৷ কী ভাবে, কোন মহাকাশযানে চড়ে তাঁরা ফিরবেন, প্রকাশ্যে আনা হয়েছে সেই নীল-নকশাও৷

নাসা বলছে, চলতি মাসেই পৃথিবীতে ফিরছেন সুনীতা এবং বুচ৷ প্রথমে নাসার তরফে ১৯ মার্চ দিনটিকে বাছা হলেও সেই দিন এগিয়ে আনা হয়েছে৷ পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আগামী ১৬ মার্চ ফিরবেন দুই নভশ্চর৷ নাসার আইএসএস প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডানা ওয়েইগেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন৷

গত মাসে সুনীতাদের ফেরানোর জন্য নির্ধারিত মহাকাশযান ক্রিউ-১০-এর উৎক্ষেপণের তারিখ জানিয়েছিল নাসা৷ জানানো হয়েছিল, ১২ মার্চ সুনীতাদের আনতে মহাকাশে পাড়ি দেবে ওই মহাকাশযান৷ তাতে থাকবেন আরও চার নভশ্চর৷ নাসার তরফে অ্যান ম্যাক্লেন এবং নিকোল আয়ার্স, জাপানের তরফে তাকুয়া ওনিশি এবং রাশিয়ার তরফে কিরিল পেসকভ ক্রিউ ১০-এ চড়ে মহাকাশে যাবেন৷ তাঁদের গবেষণার কাজ বুঝিয়ে দিয়ে একই মহাকাশযানে পৃথিবীতে ফিরবেন সুনীতারা৷

গত বছরের ৫ জুন মহাকাশে গিয়েছিলেন সুনীতা এবং বুচ৷ মাত্র আট দিন পরেই তাঁদের ফিরে আসার কথা ছিল পৃথিবীতে৷ কিন্তু আট দিনের সফর যে ১০ মাসেরও বেশি দীর্ঘায়িত হবে, তা কেউই ভাবতে পারেননি৷ যে বোয়িং স্টারলাইনারে চড়ে সুনীতারা মহাকাশে গিয়েছিলেন, উৎক্ষেপণের কয়েক দিনের মাথায় তাতে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে৷ তাই ওই মহাকাশযানে তাঁদের ফেরানোর ঝুঁকি নেয়নি আমেরিকার সংস্থা৷ ফলে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনেই আটকে পড়েন দুই নভশ্চর৷ পরে সুনীতাদের ফেরানোর জন্য ইলনের সংস্থা স্পেসএক্সের সাহায্য নিয়েছে নাসা৷

যদিও ইলনের দ্বারস্থ হওয়ার পরেও বেশ কয়েক বার পিছিয়ে গিয়েছে সুনীতাদের ঘরে ফেরার দিন! প্রথমে কথা ছিল, ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁদের নিয়ে স্পেসএক্সের মহাকাশযান পৃথিবীতে ফিরবে৷ পরে জানা যায়, মার্চ মাসের আগে তাঁদের ফেরা হচ্ছে না৷ ঠিক হয়, মার্চ মাসের শেষের দিকে চার সদস্যের ক্রিউ-১০ মিশন মহাকাশের উদ্দেশে পাড়ি দেবে৷ তাতেই পৃথিবীতে ফিরবেন সুনীতা এবং বুচ৷ সেই আবহে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সুনীতাদের ফিরিয়ে আনার বিষয়টি দ্রুত খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেন স্পেসএক্সের কর্ণধার ইলন মাস্ককে৷ তার পরেই তড়িঘড়ি এগিয়ে আনা হয় ক্রিউ-১০-এর উৎক্ষেপণের দিন৷ উল্লেখ্য, সুনীতাদের ফেরাতে গত সেপ্ঢেম্বরে স্পেসএক্সের ক্রিউ-৯ মিশনে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন নাসার আরও দুই মহাকাশচারী নিক হেগ এবং আলেকজান্ডার গর্বুনভ৷ সুনীতাদের সঙ্গে পৃথিবীতে ফিরবেন তাঁরাও৷

ধনিক শ্রেণীর বিকাশ সাফল্যের মাপকাঠি নয় মানুষের চাই আর্থিক স্বনির্ভরতা, সামাজিক নিরাপত্তা

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

 

নিজস্ব সংবাদদাতা ঃ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিভিন্ন সভা সমিতিতে বড় গলা করে ভারতের সাফল্যের কথা তুলে ধরেন৷ তিনি দাবী করেন দেশ এখন বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি৷ খুব দ্রুত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে৷

এই প্রসঙ্গে প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রীপ্রভাত খাঁ বলেন--- তৃতীয় বৃহত্তম, পঞ্চম বৃহত্তম-এসব অর্থনীতির অসার তত্ত্ব কথা৷ এসব শুকনো কথায় চিঁড়ে ভেজেনা৷ গত দশ বছরে বিজেপি শাসনে দেশে শুধু ধনিক শ্রেণীর বিকাশ হয়েছে৷ নোটবন্দি জি.এস.টি করোনাকালে গরীব মানুষের আর্থিক অবস্থার হাল খারাপ হয়েছে৷ অথচ ওই বিপর্যয়কালেই ধনকুবেররা তাদের সম্পদ বাড়িয়ে নিয়েছে৷ কিসের ভিত্তিতে পঞ্চম বৃহত্তম, তৃতীয় বৃহত্তম নির্ধারণ করা হয় সে বিষয়ে সরকার জনগণের সামনে মুখ খোলে না৷

শ্রী খাঁ বলেন---জনগণ ওসব অর্থনীতির তত্ত্ব কথার কচকচানি শুনতে চায় না৷ সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক বিষয়ে অচেতন সাধারণ মানুষের চাই অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা ও সামাজিক নিরাপত্তা৷ দুটোই আজ বিপন্ন৷ অর্থনৈতিক বৈষম্য দিন দিন বাড়ছে ধনীর সম্পদ ফুলে ফেঁপে উঠছে আর গরীব মানুষ আরও গরীব হচ্ছে৷ দারিদ্রতাই সামাজিক অস্থিরতার প্রধান কারণ৷ মানুষের অভাবই সমাজকে কলুষিত করছে৷ শ্রী খাঁর কথায় আজকের ভারতবর্ষে শাসন ব্যবস্থা, অর্থনৈতিক ব্যবস্থা, সমাজ ব্যবস্থা, রাজনীতি সবকিছু পুঁজিবাদের নিয়ন্ত্রণে৷ দেশের সাধারণ নাগরিককে আর্থিক স্বনির্ভরতার আওতায় আনতে হলে আর্থিক ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনতে হবে৷ পুঁজিবাদ নিয়ন্ত্রিত কেন্দ্রীত অর্থনীতিকে বাতিল করে প্রাউটের বিকেন্দ্রিত আর্থিক ব্যবস্থায় ব্লকভিত্তিক অর্থনৈতিক পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করতে হবে৷ প্রাউটের ব্লকভিত্তিক পরিকল্পনায় প্রতিটি ব্লকের স্থানীয় মানুষের ব্যবস্থানায় কৃষি ও শিল্পের সমন্বয়ে গড়ে উঠবে এক সুসন্তুলিত আর্থিক ব্যবস্থা---যেখানে ১০০শতাংশ মানুষের কর্মসংস্থান হবে৷ পুঁজিবাদী শোষনের হাত থেকে সাধারণ মানুষকে মুক্ত করার এটাই একমাত্র পথ৷

তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর পদে বরাকের প্রার্থীদের প্রতি বৈষম্য নিয়ে সরব হল আমরা বাঙালী দল

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

কর্মসংস্থানের অভাব বরাক উপত্যকার এক জ্বলন্ত সমস্যা৷ অথচ এরপরও বরাকের বিভিন্ন সরকারি অফিসে স্থানীয় প্রার্থীদের বঞ্চিত করে ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা থেকে নিযুক্তি দিয়ে পাঠানো হচ্ছে৷ বরাকের প্রার্থীদের প্রতি বৈষম্যের প্রতিবাদে এবার সরব হল ‘আমরা বাঙালি’ দল৷

এক প্রেস বার্তায় আমরা বাঙালী দলের আসাম রাজ্য সচিব সাধন পুরকায়স্থ বলেন যে বিজেপি দল হিন্দু দরদী বলে সর্বদা নিজেদের জাহির করে৷ বরাকের চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে বহু বাঙালী হিন্দু রয়েছেন৷ তাঁরাও বঞ্চিত হচ্ছেন৷ তার প্রশ্ণ তাহলে বাঙালী হিন্দুদের কি হিন্দু বলে মনে করেনা আসামের বিজেপি সরকার?

সাধনবাবু এদিন বলেন বিগত যে একলক্ষ নিয়োগ হয়েছে তাঁতে বরাক থেকে নিয়োগপ্রাপ্তদের সংখ্যা খুবই সীমিত বলে অভিযোগ রয়েছে৷ এমনকি সম্প্রতি এডিআরই লিখিত পরীক্ষার যে ফল ঘোষিত হয়েছে তাতেও বরাক বঞ্চিত হয়েছে বলে তাদের জানিয়েছেন অনেক প্রার্থী৷ তিনি বলেন বরাকে মেধার অভাব নেই৷ যদি সত্যিই মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হয়ে থাকে তবে প্রাপ্ত নম্বর সহ জেলাভিত্তিক তালিকা প্রকাশ করে নিজেদের স্বচ্ছতা প্রমাণ করুক সরকার৷ সাধন পুরকায়স্থ এদিন আরো বলেন যে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর পদ জেলাভিত্তিক সংরক্ষণের ব্যাপারে কোন আইনি বাধা নেই৷ এই মর্মে একটি প্রস্তাব আসাম বিধানসভায় গৃহীতও হয়েছিল৷ তাই মুখ্যমন্ত্রী বরাকের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর পদ স্থানীয়দের জন্য সংরক্ষিত হবে বলে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা পালন করে তার বিশ্বাসযোগ্যতার প্রমান রাখুন৷ তিনি বলেন বরাকের রেজিস্ট্রিকৃত বেকারের সংখ্যা ছয় লক্ষ ছাড়িয়েছে৷ কাজেই সর্বাবস্থায় সরকারের সদর্থক ভূমিকা কাম্য৷ অন্যথা বিকল্প ভাবনা ছাড়া আর কোন পথ নেই বলে এদিন মন্তব্য করেন তিনি৷

সাধন পুরকায়স্থ এদিন বলেন যে কর্মসংস্থানের অভাবে উচ্চ শিক্ষিতরা এখানেই রিক্সা চালাতে বাধ্য হচ্ছেন৷ স্বল্পশিক্ষিতরা সামান্য আয়ের জন্য বেঙ্গালুরু, দিল্লি, মুম্বাইতে পাড়ি জমাচ্ছেন৷ তিনি বলেন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি না হলে এই উপত্যকার অর্থনৈতিক অগ্রগতি সম্ভব নয়৷ তিনি বলেন পাঁচ গ্রামে মিথানল উৎপাদন কেন্দ্র তৈরির যে প্রস্তাব এসেছে তা অনতিবিলম্বে বাস্তবায়নের জন্য উদ্যোগ নিক সরকার৷ এছাড়াও সরকারি ও বেসরকারি স্তরে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির জন্য একটি কমিটি গঠন করে সমীক্ষা চালানো প্রয়োজন৷ নবগঠিত বরাক উন্নয়ন বিভাগকে এদিন এই ব্যাপারে উদ্যোগী হবার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি৷

গালর্স প্রাউটিষ্টের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন

সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সময়

কলকাতা ঃ গত ৮ই মার্চ বিশ্বনারী দিবস উপলক্ষে গার্লস প্রাউটিষ্টের সদস্যাবৃন্দ ভি.আই.পি নগর কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে একটি শোভাযাত্রা রুবি, রাসবিহারী, যতিনদাস পার্ক হয়ে ধর্মতায় সমবেত হয়৷ সেখান থেকে নারী জাতির সমস্যা সমাধানের নানা দাবী সহ রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন৷ উপস্থিত ছিলেন অবধূতিকা আনন্দরেখা আচার্যা, অবধূতিকা আনন্দগতিময়া আচার্র্য ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ৷

দুর্গাপুর ঃ গার্লস প্রাউটিষ্ট দুর্গাপুর শাখার আহ্বানে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত হয় মহিষ্কাপুর ফ্রেন্ডস ক্লাবে৷ এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘ আসানশোল ইয়ূনিটের সর্বত্যাগী সন্ন্যাসিনী অবধূতিকা আনন্দমুক্তিপ্রাণা আচার্যা, আমরা বাঙালীর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জয়ন্ত দাস, মহিষ্কাপুর ফ্রেন্ডস ক্লাব সব পেয়েছি আসর,শ্রুতি, স্বরলীপি, স্বরসপ্তক, শিল্প, সাহিত্য, কাব্যকথা সুরঝঙ্কার উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মীবৃন্দ লায়ন্স ক্লাবের প্রেসিডেন্ট৷

অনুষ্ঠানের শুরুতেই গার্লস প্রাউটিষ্ট দুর্গাপুর ইয়ূনিটের সম্পাদিকা পাপিয়া ধীবর মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন৷ অবধূতিকা আনন্দমুক্তিপ্রাণা আচার্যা প্রদীপ প্রজ্জ্বোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন৷ মঞ্চে চেয়ারপার্সন হিসেবে অবধূতিকা আনন্দ মুক্তিপ্রাণা আচার্যাকে বরণ করা হয়৷ এরপর আমরা বাঙালী কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জয়ন্ত দাস, পাপিয়া ধীবর লায়ন্স ক্লাবের প্রেসিডেন্ট বাসুদেব ব্যানার্জী,সুনীল কুমার মাহাত, তপন কুমারসহ বিভিন্ন ব্যষ্টিবর্গকেও বরণ করে নেওয়া হয়৷ এরপর বিভিন্ন সংঘটনের শিল্পীবৃন্দ নৃত্য, কবিতা আবৃত্তৃি সঙ্গীত পরিবেশন করেন৷ এই অনুষ্ঠানে প্রভাতসঙ্গীত, রবীন্দ্র সঙ্গীত, নজরুল গীতি পরিবেশিত হয়৷ উপস্থিত সমস্ত শিল্পীদের গার্লস প্রাউটিষ্টদের পক্ষ থেকে উত্তরীয় শংসাপত্র, মেডেল মেমেন্টো ইত্যাদি দিয়ে সম্মাননা জ্ঞাপন করা হয়৷ উক্ত সভায় বক্তব্য রাখেন অবধূতিকা আনন্দ মুক্তিপ্রাণা আচার্যা, জয়ন্ত দাস, পাপিয়া ধীবর, অরূপ মজুমদার সুশীল জানা, পরমা মণ্ডল৷ সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাপি চ্যাটার্জী৷