July 2017

অসতো মা সদ্গমো …..

আজ প্রশ্ণোত্তরের মাধ্যমে কিছু আলোচনা করব৷ অনেক সময় এমনি আলোচনার পরিবর্তে প্রশ্ণোত্তরের মাধ্যমে আলোচনা ভাল হয়৷

সংসৃক্তে একটা সূক্ত আছে৷ ঋক্বেদের শ্লোকগুলোকে শ্লোক না বলে বলা হয় ‘সূক্ত’৷ ‘সু’+ ‘উক্ত’= সূক্ত৷ ‘সু’ অর্থাৎ সুন্দর ভাবে, ‘বচ’ ধাতুর উত্তর ‘ক্ত’ প্রত্যয় যোগে নিষ্পন্ন হয় ‘উক্ত’ অর্থাৎ যা বলা হয়েছে৷ এমনি একটা সূক্ত হ’ল ঃ

‘‘অসতো মা সদ্গময়ো তমসো মা জ্যোতির্গময়ো

মৃত্যোর্মা অমৃতংগময়ো আবিরাবিঃ ময়ৈধি৷৷

রুদ্র যত্তে দক্ষিণং মুখম্ তেন মাং পাহি নিতাম্৷৷’’

প্রাউট প্রসঙ্গে প্রবচন (১)

জ্ঞান দুই ধরনের –– ৰুদ্ধি সঞ্জাত জ্ঞান ও ঐশ্বরীয় অনুভূতি সঞ্জাত জ্ঞান৷ ক্ষৌদ্ধিক জ্ঞান যেহেতু অভিজ্ঞতা সঞ্জাত সেহেতু তা আপেক্ষিকতার দোষে দুষ্ট৷ সেইজন্যেই ক্ষৌদ্ধিক জ্ঞানকে চরম জ্ঞানের দাবীদার বলা চলে না৷ ঐশ্বরীয় অনুভূতি সঞ্জাত জ্ঞানই চেতনাসম্পৃক্ত৷ এই জ্ঞানই সমস্ত কিছুকে চুলচেরা বিশ্লেষণ করতে সমর্থ –– তাই ঐশ্বরীয় অনুভূতি সঞ্জাত জ্ঞানই চরমজ্ঞান৷

প্রতি বছর ৫০ লাখ লোক মারা যায় ধূমপানের কারণে

ওয়ার্ল্ড হেলথ্ অর্গানাইজেশনের মতে নিকোটিন গ্রহণের কারণে সারা বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ৫০ লাখ লোক মারা যায়৷ ডব্লিউ–এইচ–ও–র মতে ধূমপান বন্ধের ব্যাপারে কোন দেশের সরকার তেমন কড়াকড়ি করে না৷ মৃত্যুহারের মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে৷ সারা বিশ্বের মোট ধূমপায়ীর প্রায় ৯৫ শতাংশই কোন নিয়ম কানুনের ধার ধারে না৷ ধূমপান করে৷ এ পরিস্থিতি চলতে থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যে এই মৃত্যুহার গিয়ে দাঁড়াবে ৮০ লাখে৷ তাদের তথ্য থেকে আরো জানা যায়, সেকেণ্ড হ্যাণ্ড ধূমপান অর্থাৎ ধূমপানের ধোঁয়া থেকে আক্রান্ত হয়ে প্রতি বছর মারা যায় প্রায় ৬ লাখ লোক৷ ধূমপানের ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর জন্যে ডব্লিউ–এইচ–ও ২০০৩ থেকে সারা বিশ্বের প্রায় ১৭০

বৃষ্টি বৃষ্টি

শুভ্র ড্যানিয়েল

ঝম্ঝম্ ঝমাঝম্              

লাগাতার বৃষ্টি   

সারাদিন সারারাত

একী অনাসৃষ্টি৷

মা রেগে গজ্গজ্

বাবা রেগে কাঁই–

‘কতদিন দেবো আর

অফিস কামাই৷’

ভরে গেছে নর্দমা

ভরে গেছে ঝিল

ভরে গেছে নদীনালা

যতো খাল বিল৷

ময়ূর ময়ূরী খুশি

শোনা যায় কেকা–

ডাহুক ডাহুকি খুশি

খুশি খুকু খোকা৷

হাফ–ছুটি ফুল–ছুটি

প্রায় প্রতিদিন

খুকু নাচে খোকা নাচে

ধিন্তা ধিধিন৷

সারারাত ধরে চলে ব্যাঙেদের গান

দাদু জেগে বসে থাকে

চেপে ধরে কান৷

দুপুরে ঘুমোয় দাদু

চলো যাই

কল্যাণী ঘোষ

চলো কোথা চলে যাই       যে দেশে দ্বন্দ্ব নাই৷

নেই কোন যুদ্ধবাজ            যেথা নেই লুঠতরাজ

শুধু ভালবাসা ভরা           শ্যামলিমা মনোহরা

হাতে–হাত কাঁধে–কাঁধ   কাজ করে, প্রাণপাত

মিলে মিশে হাসি গান       ঈশ্বর প্রণিধান

নেশা ছাড়াতে ভাই যোগ সাধনা চাই

শিবরাম চক্রবর্ত্তী

সবই নেশা সর্বনাশা

                নেশাকে রদ করো

নেশা ছেড়ে তেড়ে–ফুড়ে

                যোগের নেশা ধরো৷

সবই নেশা রোগের বাসা

                হাটার নেশায় হাটো,

দেখবে তখন রোগকে কেমন

                সে করে দেয় খাটো৷

সব নেশারই একই পেশা

                দেহে সে বিষ ঢালে

যোগসাধনায় মন দৃৃতায়

                নেশারে মেরে ফেলে৷

সব নেশাই মরণ পাশা

                খেলাতে সদাই সঙ্গ চায়,

সৎ সংঘ নেশা ভঙ্গ

                করতে যোগের শিক্ষা দেয়৷

নাম নিতে নাই

ভূতকে ভয় পেয়ে সন্ধের পরে কেউ কেউ বলেন–উনি......তিনি.......তাঁরা হাওয়ায় ভর দিয়ে চলেন–সেই যে নাম নিতে নেই......দেখে এখনই গা ছমছম করছে......ওই শ্যাওড়া গাছটির দিকে একদম তাকিও না৷

যাঁরা এমন বলেন তাঁরা ভূত–প্রেতকে উপদেবতা বলেন৷ দেখনি, সাপের ভয়েতে রাত্রিতে লোকে সাপকে ‘লতা’ বলে৷ দিনের আলোয় সাপকে সহজেই দেখা যায়৷ তাই কিছুটা সতর্ক থাকাও যায়৷ রাতে ভাল করে দেখা যায় না তো, তাই রাতে ভূতের ভয়ের মত সাপের ভয়ও ক্ষেশী৷ তাই দিনের বেলায় যাঁরা ভূতকে ভূত বলেন, রাত্রে তাঁরা বলেন, উনি......তিনি......ইত্যাদি৷ আবার রাত্রে তাঁরা সাপকে বলেন ‘লতা’৷ বসন্ত হলে বলেন, ‘মায়ের দয়া হয়েছে’৷

মদালসা ও গন্ধর্ববিবাহ

‘গন্ধর্ব’ শব্দটি যদি পুংলিঙ্গে ব্যবহূত হয় (গন্ধর্বঃ) তার মানে হয় গন্ধর্ব অর্থাৎ নৃত্যে গীতে বাদ্যে দক্ষ এক প্রকারের দেবযোনি যা’ তেজ, মরুৎ আর ব্যোম এই তিনটি তত্ত্বে তৈরী অর্থাৎ যাতে ক্ষিতি ও অপ্ তত্ত্ব নেই, আর ক্ষিতি ও অপ্ তত্ত্ব না থাকায় সাধারণভাবে তা’ পরিদৃশ্য নয়৷ গন্ধর্ব–প্রেষিত ধ্বনি, রাগাত্মিকা অভিব্যক্তি শ্রুতিগ্রাহ্য, অনুভব্য কিন্তু স্বাভাবিক অবস্থায় দৃশ্য নয়৷ মনকে নিজের ক্ষিতি, অপ্ তত্ত্ব থেকে বিচ্যুত করে সম্পূর্ণতঃ ঔর্ধ্বদৈহিক ভাবে নিষিক্ত করতে পারলে তবেই তা’ মানসলোকে দৃশ্য৷

গন্ধর্ব একটি দেবযোনি যা’ কতকটা অপ্সরা পর্যায়ভুক্ত৷

কলা

যদিও সাধারণ অর্থে ‘কদলী’ ৰলতে সব কলাকেই ৰোঝায়, তবু বিশেষ অর্থে ‘কদলী’ অর্থে কাঁচকলা আর ‘রম্ভা’ মানে পাকা কলা৷ এখানে কাঁচকলা বলতে আমরা সেই কলাকে ৰোঝাচ্ছি যা কাঁচা অবস্থায় তরকারী রেঁধে খাওয়া হয়, আর পাকা অবস্থায় সাধারণতঃ খাওয়া হয় না৷ কলা সমস্ত গ্রীষ্মপ্রধান দেশেই জন্মায়৷ তবে কলার আদি নিবাস পূর্ব ভারতীয় -East Indies Archipellago— অর্থাৎ মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপিন্স প্রভৃতি দেশ৷ ভারতও অন্যতম কলা–উৎপাদনকারী দেশ৷ কেবল ভারতেই শতাধিক প্রজাতির গাছ রয়েছে৷ ভারত ও বহির্ভারত নিয়ে সমগ্র বিশ্বে কলার প্রজাতির সংখ্যা দেড় হাজারের মত৷ ভারতের কেরলেই সবচেয়ে বেশী প্রজাতির কলা পাওয়া যায়৷ ৰাংলায় সবচেয়ে বেশী কল