March 2021

আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ‘আমরা বাঙালী’র ৫০ জন প্রার্থী দেবার সম্ভাবনা

গত ৪ঠা মার্চ ‘আমরা বাঙালী’র কেন্দ্রীয় সচিব বকুলচন্দ্র রায় এক প্রেস বিবৃতিতে বলেন ‘আমরা বাঙালী’ দলটি সম্পূর্ণ নীতিবাদী ও আদর্শবাদের উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত দল৷ এ ব্যাপারে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই৷ কারণ ‘আমরা বাঙালী’দলের মূলভিত্তিটাই হল মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের ‘প্রাউট’ দর্শন৷ যার মূল কথাই হল প্রার্থীদের সৎ, আদর্শবাদী, নীতিবাদী ও নিষ্ঠাবানকর্মী হতে হবে৷  শুধু তাই নয় অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোষহীন সংগ্রামের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে৷ তাই তিনি বলেন বিভিন্ন জেলা থেকে বাছাই করে প্রায় ৫০ জন প্রার্থী দেবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ জেলাগুলোর মধ্যে কলকাতা, উত্তর ২৪পরগণা, পুরুলিয়া, হাওড়

সুগভীর ষড়যন্ত্রের শিকার বাঙাল

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

দীর্ঘ ৭৩ বছরের স্বদেশী শাসনে বাঙলার সমাজ জীবনের সর্বস্তরে  তার ধর্ম সাধনায়, তার কর্ম সাধনায়, শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি সর্বস্তরে আজ বহিরাগত অশ্লীল অসংস্কৃতির অনুপ্রবেশ সমাজ জীবনে ও ব্যষ্টি জীবনে নিম্নমানের পরিবর্তন এনেছে৷ তার রুচিতে, তার চাল-চলনে, আচার-আচরণে তারই প্রকোপ দিন দিন বাড়ছে৷ আসলে স্বাধীনতার পরেই বাঙালীর জীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্র্ভগ্য৷ এই দুর্র্ভগ্য তার স্বরচিত নয়, দেশভাগ, লক্ষ লক্ষ উদ্বাস্তুর,তার অর্থনৈতিক বিপর্যয় , সামাজিক অস্থিরতা এর কোনটির জন্যেই বাঙালী দায়ী নয়৷ বাঙলাকে এইপথে আসতে বাধ্য করেছে বিদেশী-স্বদেশী বেনিয়াগোষ্ঠী ও তাদের অর্থে পালিত রাজনৈতিক দল ও নেতারা৷ যাদের লক্ষ্য বাঙাল

মনকে একাগ্র করার উপায়

আজ একজন সাধক মনকে একাগ্র করার পদ্ধতি সম্বন্ধে জানতে চেয়েছিল৷ তার প্রশ্ণ ছিল কীভাবে মন একাগ্রতার চরমাবস্থায় পৌঁছতে পারবে? এর উত্তর সব সাধকেরই জানা উচিত৷ ৰৌদ্ধিক বিচারে প্রতিটি জীবই তিন শ্রেণীভুক্ত–পশু, মানব ও দেবতা৷ আধ্যাত্মিক সাধনা হ’ল এক বিশেষ অভ্যাস যা পশুত্ব থেকে মানবত্বে ও মানবত্ব থেকে দেবত্বে প্রতিষ্ঠিত করে৷

বাংলা ভাষা ও তার উপভাষা

বাঙলা ভাষায় মুখ্যতঃ বারটি উপভাষা স্তুন্ত্রপ্তন্দ্বন্তুব্ধ রয়েছে৷ সেই উপভাষা ও তাদের ব্যবহারের ক্ষেত্রগুলি নিম্নরূপ–

(১) মধ্যরাঢ়ীয় বাংলা ঃ

(ক) নলহাটি, মুরারই বাদে বীরভূম জেলা

(খ) কান্দি মহকুমা

(গ) সাঁওতাল পরগণা জেলার দুমকা, জামতুড়া ও দেওঘর মহকুমা

(ঘ) বর্দ্ধমান জেলার দুর্গাপুর ও আসানসোল মহকুমা

(ঙ) ধানবাদ জেলা (পশ্চিমে পরেশনাথ পাহাড় পর্যন্ত)

(চ) পুরুলিয়া জেলা

(ছ) গিরিডি জেলার অংশবিশেষ

(জ) রাঁচী জেলার পূর্বাংশ–সিল্লি, সোণাহাতু, বুন্দু ও তমাড়

(ঝ) সিংভূম জেলার উত্তর–পূর্বাংশ

নিখাদ প্রতারণা

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

দেশের রাজনৈতিক দল ও গোষ্ঠীর সদস্যরা নির্বাচনের প্রাক্কালে নিজ নিজ দল বা গোষ্ঠীর পক্ষে ইস্তাহার প্রকাশ করে প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দিতে দেখা যায়৷ কিন্তু স্বীকার করতেই হয় এই সকল প্রতিশ্রুতির ভেতর এমন অনেক সদিচ্ছা থাকে যা সাধারণ ভোটারদের প্রলুব্ধ করে থাকে৷ অথচ নির্বাচন বৈতরণী পার হয়ে গেলে বিজয়ী দলের সাংসদ ও বিধায়করা প্রতিশ্রুতি পূরণের কথা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভুলে যান৷ বিগত ৭৩ বছর ধরেই এমনটা হচ্ছে৷ মাঝে মাঝে সরকার বদল হয়৷ কিন্তু নির্বাচনের পূর্বে দেওয়া প্রতিশ্রুতি নির্বাচন পরবর্তী সময়ে ভুলে যাওয়াটাই নেতামন্ত্রীদের রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে৷

বিজেপির শেষের সেদিন আসছে

এইচ.এন. মাহাত

 ‘‘একের স্পর্ধারে কভু নাহি দেয় স্থান দীর্ঘকাল নিখিলের বিরাট বিধান৷’’

প্রাকৃতিক নিয়মে অহংকারী দল বা নেতৃত্বের পতন খুব তাড়াতাড়ি হওয়াই উচিৎ৷ একটি প্রবাদে শুনতাম ‘‘অহংকার পতনের কারণ৷’’ এতে নাকি জনগণের কল্যাণ সাধিত হয়৷ বঙ্গদেশে সিপিএমের আমলে বঙ্গেশ্বর মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য মহাশয় ক্ষমতার গর্বে মদমত্ত হয়ে বলে ছিলেন--- রাজ্যটা আমরা চালাই, সিঙ্গুর নন্দীগ্রামে আমরা যা বলবো তাই হবে৷ উনি বলেছিলেন ওঁরা ৩৪ আমরা ২৩৪ আমাদের   কথাই শেষ কথা৷ আর এক বঙ্গেশ্বর মিষ্টার ‘বসু’ বলেছিলেন জনগণতো ভেড়ার পাল, আমরা যেভাবে চালাবো জনগণ সেইভাবে চলবে৷

নেতা অভিনেতা!

 অভিনেতাদের বাস্তব জীবনের দিকটা আমরা কেউ খোঁজ খবরই রাখি না৷ নেতাদের জীবনের শেষদিনের খবর সাধারণ মানুষের নখদর্পণে থাকে৷ তাদের পাপ পূর্ণ ভালো মন্দ শেষ বয়সে জনসাধারণ বিচার করেন৷ নেতা ও অভিনেতাদের বাস্তব জীবনে কিছু মিল আছে যেমন---এঁরা দুই জনই টাকা ছাড়া কিছু বোঝে না৷ জীবনটাকে উপভোগ করে ব্যষ্টিগতভাবে৷ তাই এদের স্থায়ীভাবে কোন আদর্শ থাকে না৷ বর্তমান নেতাদের জাতিসত্তা, দল বা দেশের প্রতি কোন দায়বদ্ধতা থাকে না৷ স্বার্থে ঘা লাগলে মান সন্মানের নামে বা অন্য কোনো অজুহাতে এক মুহূর্তে দল বদল করতে কুন্ঠাবোধ করে না৷ লেনদেনের বা ভাগ বাটোয়ারায় কম হলে বা অন্য দলের বড় টাকার অফার থাকলে বলতে থাকবে আমাকে সন্মানের সঙ্

কর্ষকদের আন্দোলন শোষণ মুক্তির জন্যে

হরিগোপাল দেবনাথ

ভারতে বিগত কয়েকমাস ধরে কর্ষক বিদ্রোহ এখন নোতুন একমাত্রা পেতে চলেছে৷ সম্প্রতি ভারতের সংসদের কোন কক্ষেই আলাপ-আলোচনা না করে জনগণ দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অভিমত জানারও কোনরকম তোয়াক্কা না রেখে, বর্তমানের মোদী শাহ জমানা দেশের ‘‘কৃষি ও কর্ষক-স্বার্থ বিরোধী’’ যে আইন তিনটে পাশ করিয়ে নিলেন, এ থেকেই প্রমাণ করিয়ে দিলেন যে, মোদিজীর ভারতে ‘গণতন্ত্র’-টা ‘বাৎকী বাৎ’ মাত্র৷ এছাড়া মানুষকেই বেওকুফ বানাবার এক সুচিন্তিত কৌশলমাত্র৷ বিশেষ করে মোদী শাহ জমানার এই পদক্ষেপ বিগত শতাব্দীর ‘ইন্দিরাজী জমানাকেও’ হার মানিয়েছে৷ কেননা ইন্দিরাজী ভারতের সংসদ ও কেবিনেটকে পাত্তা না দিয়ে ঘুমে রেখে দেশে আচম্‌কা ‘জরুরী অবস্থা’

বোটারগন সজাগ হোন দলীয় স্বার্থে পবিত্র নির্বাচনকে যেন আর কালিমালিপ্ত না করা হয়!

প্রভাত খাঁ

গণতন্ত্রে সকলেরই মতামত দান করার অধিকার আছে এটাই আইনসিদ্ধ৷ বর্ত্তমানে এই কথাটাই প্রবাদবাক্যের মতো হয়ে গেছে৷ ভারতের গণতান্ত্রিক অধিকারটির জন্য শুধু বর্ত্তমানে ১৮ বছর বয়স হলেই বোট দানের অধিকার পাওয়া যায়৷ তবে প্রার্থী হতে হলে আরো কিছু বছর অপেক্ষা করতে হয়৷ কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় দেশকে চিনতে জানতে ও জনসেবায় যুক্ত হতে হয় অর্থাৎ জনসংযোগ কিছুটা দরকার হয়৷ কারণ রাজনৈতিক নেতা আকাশ থেকে তো পড়ে না৷ তাই বাস্তবের মাটিতে যিনি নির্বাচনে দাঁড়াবেন তাঁকে কিছুটা জনগণের অভাব অভিযোগ জানতে হয় ও সেবার দ্বারা কিছু জনসেবা করে পরিচিত হতে হয়৷ অতীতের নেতাদের দেখা গেছে প্রচণ্ড জনসংযোগ ছিল নেতা ও কর্মীদের সঙ্গে মানুষের সঙ

অখণ্ড কীর্ত্তন

মেদিনীপুর শহরের বিশিষ্ট আনন্দমার্গী শ্রী দীপক সাউ-এর নূতন বাজারে নিজ বাসভবনে আজ ৭ই মার্চ সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত অখণ্ড ‘বাবা নাম কেবলম্‌’ কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তন শেষে মিলিত ঈশ্বর প্রণিধান ও স্বাধ্যায় করা হয়৷ এরপরে বক্তব্য রাখেন আচার্য সুদীপানন্দ অবধূত ও শ্রী রঞ্জিত কুমার ঘোষ৷ সবশেষে উপস্থিত সকলে প্রসাদ গ্রহণ করেন৷