March 2021

চিকিৎসা শিবির

গত ৭ই মার্চ হুগলী জেলার মগরা মিলচিতা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আনন্দমার্গ ইয়ূনিবার্র্সল রিলিফ টিমের উদ্যোগে একটি স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল৷ শিবিরে অভিজ্ঞ ডাক্তার দিয়ে দুই শতাধিক মানুষের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় ও প্রয়োজনমত ঔষধ দেওয়া হয়৷

বারাসাতে অখণ্ড কীর্ত্তন

গত ৪ঠা মার্চ বারাসাতের  বিশিষ্ট আনন্দমার্গী দেবাশীষ বিশ্বাসের বাসগৃহে ছয়ঘন্টাব্যাপী অখণ্ড ‘বাবা নাম কেবলম্‌’ মহামন্ত্র কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ কীর্ত্তন উপলক্ষ্যে বহু মার্গী ভাইবোন ও সন্ন্যাসী দাদা-দিদিরা সমবেত হয়েছিলেন৷ কীর্ত্তন পরিবেশন করেন অবধূতিকা আনন্দ অভিষা আচার্যা, আচার্য বাসুদেবানন্দ অবধূত আচার্য সেবাব্রতানন্দ অবধূত, শ্রী শুভদীপ হাজারী প্রমুখ৷

অশোক

অশোক একটি ভারতীয় প্রজাতির (Indica) গাছ৷ অত্যুষ্ণ বা অতি শীতল অঞ্চল বাদে ভারতের সর্বত্রই অশোক গাছ জন্মায়৷ কেউ কেউ দেবদারু (ঢ়েউ খেলানো পাতা) গাছকে ভুল করে অশোক বলে থাকেন৷ না, দেবদারু ও অশোক এক গাছ নয়৷ দেবদারু (Indian Pine) পাইন বর্গীয় গাছ, অশোক তা নয়৷ অশোক ফুল অধিকাংশ ক্ষেত্রে লালচে রঙের৷ কিন্তু শাদা, সোণালী ও হলদে রঙের অশোক ফুলও হয় যদিও তারা দুষ্প্রাপ্য৷

অশোক ফুল, ছাল ও মূল নানান ধরনের ঔষধ প্রস্তুতিতে লাগে৷ বিশেষ করে বিভিন্ন স্ত্রী–ব্যাধিতে অশোকের ঔষধীয় গুণ সর্বজনস্বীকৃত৷ অশোকাসব, অশোকারিষ্ট, অশোকক্ষীর প্রভৃতি ঔষধগুলি এই অশোক থেকেই প্রস্তুত হয়৷

আমানি

রাত্রে ভাত রেঁধে তা মাটির হাঁড়িতে রেখে তার সঙ্গে যদি কিছুটা জল, তেঁতুলের রস, প্রয়োজনৰোধে অত্যল্প লবণ দিয়ে দেওয়া হয়, তবে তা পরের দিন সকালে গেঁজে গিয়ে যে বস্তুতে রূপান্তরিত হয়, তাকে যদি ভাল করে চট্কে কাপড়ে ছেঁকে নেওয়া হয়, তবে সেই তরল বস্তু ‘আমানি’ নামে অভিহিত হয়৷ এই আমানি এক ধরনের গেঁজানো সুরা৷ এতে অল্প পরিমাণ নেশা হয়৷ তবে এতে নেশার সঙ্গে সঙ্গে ঔষধীয় গুণও আছে৷ এ ঘুম আনিয়ে দেয়৷ বদহজম হলে হজমেও সাহায্য করে দেয়৷ (গরম কালে) ঘর থেকে বেরোবার সময় আমানি খেয়ে বেরোতে হয়, আর সর্দি–গর্মী হলে আমানি খেলে তাড়াতাড়ি ফল দিয়ে দেয়৷ কয়েকটি বিশেষ খাদ্য গ্রহণের ফলে উদরাময় বা অতি সার দেখা দিলে, আমানি তাতেও ঔষধ রূপে

ডালিম / বেদানা

সংস্কৃতে ‘দাড়িম্ব’ থেকে মৈথিলিতে ‘দাড়িম’, ৰাংলায় ‘ডালিম’ শব্দ এসেছে৷ এই দাড়িম্ব বা ডালিমের বৈজ্ঞানিক চর্চা করে প্রাচীনকালে বেদানার উদ্ভব হয়েছিল৷ ইংরেজীতে এই দু’টিকেই pomegranate বলা হয়৷ বেদানার ভাল নাম ‘দাড়িম্বী’৷ আকারে ডালিম ৰড়, মাঝারি ও ছোট নানান ধরনের হয়৷ বেদানা হয় মাঝারি আকারের৷ ডালিমের খোলার গাত্রবর্ণ কিছুটা লালচে, বেদানার গায়ের রঙ খয়ের বা কপিশ বর্ণ৷ ডালিমের দানা লাল৷ বেদানার দানা হালকা গোলাপী অথবা বেগ্নে মিশ্রিত গোলাপী৷ স্বাদে ডালিম টক অথবা টক–মিষ্টি মেশানো৷ বেদানা সাধারণতঃ মিষ্টি৷ খাদ্যগুণ ডালিম ও বেদানায় থাকলেও, বেদানায় বেশী রোগীদের পথ্য হিসেবে বেদানাই ব্যবহার্য৷ ডালিম একটি রক্ত–ৰর্

অপামার্গ / অপরাজিতা

অপামার্গের পর্যায়বাচক শব্দগুলি হ’ল ‘কোষাতকী’ ও ‘খরমঞ্জরী’৷ ভারতীয় অপামার্গ মুখ্যতঃ দুই প্রজাতির–শ্বেত অপামার্গ ও রক্ত অপামার্গ৷ কলকাতা অঞ্চলে আমরা অপামার্গকে কথ্য ভাষায় বলে থাকি অপাঙ বা আপাঙ৷ রাঢ়ে বলি চচ্চড়ে, অঙ্গিকা ভাষায় বলা হয় চিড়চিড়া৷ অপামার্গের শীষ কারো গায়ে ছুঁড়ে দিলে তা তার বস্ত্রে আটকে যায়৷

তুমি ধরা দিলে

কৌশিক খাটুয়া

তোমায় অসীমরূপে ধরিতে না পাই,

তাই তোমাতেই হারাই৷

মোহের ঘোরে অন্ধকারে

শুধু মনে হয় নাই নাই নাই৷

 

ক্লান্তি-বিহীন অবিশ্রান্ত

ঝঞ্ঝা ক্ষুদ্ধ রাতে,

কুয়াশায় ভরা প্রাতে,

সকল প্রয়াস হইয়াছে নাশ

শুধু তোমারে পেতে৷

 

যখন সময় গিয়েছে বৃথা,

স্ব-মহিমায় হৃদয় মাঝারে

বসিয়া পরমপিতা৷

 

পরম আদরে শুধালেন মোরে

‘কেন এত সংশয়’?

‘আমিতো রয়েছি সর্বদা সাথে

ঝড়-ঝঞ্ঝায়, অশনি নিপাতে

তবে কেন এত ভয়?

কেন ভয় পাই সে তো জানা নাই,

তোমায় ব্যতীত শঙ্কিত ঠাঁই৷

রঙিন মন

শর্মিলা রীত

শীতের আমেজ শেষের বেলায়

ফাগুন মাতল রঙের খেলায়৷

ফুলের গন্ধ বিকশিত

রক্তিম পলাশ প্রস্ফুটিত৷

কৃষ্ণচূড়ার রঙের আভা

প্রকৃতির কত অপরূপ শোভা৷

আবির খেলায় মাতল মন

বাউল গানে শান্তিনিকেতন

সবটুকু থাক হিয়ার মাঝে

নতুন বৃন্ত গাছে গাছে৷

সবার মনে লাগুক রঙ

বসন্ত এসে গেছে৷

ফাল্গুনে

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

গুনগুনিয়ে গান শুনিয়ে

মৌমাছিরা এলো,

ফুলের বনে জাগলো সাড়া ঃ

পাপড়ি সবাই মেলো৷

দখিন হাওয়ায় ভেসে ভেসে

প্রজাপতি কত

রঙ বেরঙের পাখ্‌না মেলে

খেলছে অবিরত৷

ফসল তোলা শেষ হয়েছে

ঘরে ঘরে তাই

মনের বাঁশী উঠছে বেজে---

খুশির সীমা নাই!

বনে বনে পলে পলে

লালের বাহার দেখে

কে জানে কোন্‌ আড়াল থেকে

উঠছে কোকিল ডেকে৷

একটি প্রশ্ণ

বিভাংশু মাইতি

জন্মের সময় গায়ে কোন নামাবলী ছিল না

হিন্দু-মুসলমানের বা বিজেপি-কংগ্রেসের৷

মরার পরেও নিদাগ দেহটা পড়েছিল

চিতায় ওঠার অপেক্ষায়.....

তবু, জীবনভর দুলতে থাকল

সম্প্রদায়ের দোলায়, ইচ্ছায় অনিচ্ছায়

মনের তরী ভাসতে ভাসতে ডুবে গেল

হিংসার ঘূর্ণাবর্ত্তে বিদ্বেষ সিন্ধুতে৷

সংকীর্ণ রাজনীতির যূপকাষ্ঠে

অবলীলায় বলি হবে আর কত

তরতাজা জীবন্ত যৌবন

আর কত কাল কেঁদে কাটাবে

তার অসহায় আত্মীয়স্বজন৷

গৃধ্র মানুষ! আর কতদিন

তোমার ভাইয়ের রক্ত দিয়ে

রাজনীতির তিলক কাটবে

আর কতদিন আমরা বুক বাঁধবো