December 2023

কলুষমুক্ত সমাজের সন্ধানে

মনোজ দেব

ধনতন্ত্রের নিষ্ঠুর শোষনে ও শাসনে মানুষের সমাজ ও সভ্যতা আজ বিপর্যস্ত৷ প্রতিমুহুর্তে পরিলক্ষিত হচ্ছে মনুষ্যত্বহীন মানুষের পাশবিক রূপ৷ এক একটা নক্কার জনক ঘটনা ঘটছে, অপরাধ দমনে কঠোর আইন প্রয়োগের দাবীতে সরব হচ্ছে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ৷ কিন্তু আইন করে কি এই অপরাধ দমন  করা যাবে আইন হয়েছে, প্রয়োগও হয়েছে তবু সমাজে নারী–নিগ্রহ, নারী–ধর্ষণ, খুন প্রভৃতি  সমানে চলেছে৷ কয়েক বছর আগে দিল্লীর এক গণধর্ষণের পর সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়, ধর্ষণ আটকাতে কড়া আইন তৈরী করতে হবে৷ সেই আইন আনা হ’ল৷ কিন্তু তাতেও কোনও পরিবর্তন দেখা গেল না৷ 

শিশু অপুষ্টি ক্ষুধায় প্রতিবেশীর পিছনে ভারত অপুষ্টির বিরুদ্ধে যুদ্ধের ডাক প্রাউটিষ্টদের

জিডিপি নির্ভর আর্থিক বৃদ্ধি নিয়ে সরকার যতই ঢাক পেটাক সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক সমীক্ষার প্রতিবেদনে প্রকাশ পায় শিশু অপুষ্টিতে ভারত বিশ্বে শীর্ষস্থানে আছে৷ ভারতের প্রায় ১৯ শতাংশ শিশু পুষ্টিকর খাদ্য থেকে বঞ্চিত৷ এই ধরণের প্রতিবেদন তৈরী হয় চারটি মানদণ্ডের ওপর ---অপুষ্টি, ৫ বছরের কম বয়সি শিশুদের উচ্চতার তুলনায় ওজন কম, বয়সের তুলনায় উচ্চতা কম ও শিশু মৃত্যুর হার৷ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে প্রায় ১৭ শতাংশ দেশবাসী অপুষ্টির  শিকার৷ সরকার অবশ্য পদ্ধতিগত ত্রুটির কথা বলে এই প্রতিবেদন অস্বীকার করেছে৷ বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ১২৫টি দেশের মধ্যে নেপাল, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানকে পিছনে ফেলে ভারতের স্থান ১১১

১৭–২১শে ডিসেম্বর মেদিনীপুরে প্রাউট প্রশিক্ষণ শিবির

প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্সালের দিল্লী সেক্টরের মুখ্যসচিব আচার্য সুপ্রভানন্দ অবধূত জানান– আগামী ১৭–২১শে ডিসেম্বর, মেদিনীপুর কেরানীটোলা আনন্দমার্গ স্কুলে এক প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রাউটিষ্ট কর্মীদের  বর্তমান সামাজিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন করতে ও বর্তমান সমস্যার সমাধানে প্রাউট তথা প্রগতিশীল উপযোগ তত্ত্বের বাস্তবায়ন বিষয়ে প্রশিক্ষন দিতে৷

ব্যাকটেরিয়া সম্পর্কে  বিস্ময়কর তথ্য দিলেন বাঙালী বিজ্ঞানী

ব্যাকটেরিয়ারও স্মৃতি শক্তি আছে৷ এই স্মৃতিশক্তির সাহায্যে সে নিজেকে অভিযোজিত করে নেয় ও অ্যান্টিবায়োটিককে প্রতিরোধ করে মানব শরীরে আক্রমণ করে৷ আমেরিকার টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের মলিকিউলার বায়োসায়েন্স বিভাগের বাঙালী বিজ্ঞানী সৌভিক ভট্টাচার্য ও তাঁর দলের গবেষণালব্ধ এই তথ্য বিশ্বের অন্যতম সেরা বিজ্ঞান পত্রিকা প্রসিডিংস অব দ্য  ন্যাশনাল এ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস-এ প্রকাশিত হয়েছে৷

এই গবেষণায় প্রকাশ পেয়েছে ব্যাকটেরিয়ারও স্মৃতিশক্তি আছে৷ স্মৃতিশক্তির সাহায্যে নিজেকে অভিযোজিত করে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিহত করে৷

বাস্তবমুখী অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ও অর্ন্তমুখী জীবনের অনুশীলন ভারতের সংহতি সুদৃঢ় করবে

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

বেকারত্বের হারবৃদ্ধি, ক্ষুধাসূচক, শিশু অপুষ্টিতে ভারতের করুণ অবস্থা৷ বিভিন্ন আর্থিক সংস্থার প্রতিবেদন ভারতবাসীর কাছে মোটেই সুখকর নয়৷ এই আর্থিক বিপর্যয়ের কারণ অর্থনৈতিক অসন্তুলন, সামাজিক ভেদ, বিভেদ, বিদ্বেষ৷

একথা রূঢ় বাস্তব---ভারতবর্ষের অভ্যন্তরেই আজ বিচ্ছিন্নতার সুর৷ তাই রাষ্ট্রের কর্ণধারদের সংহতির কথা চিন্তা করতেই হবে৷ ঐক্যের পথ খুঁজে বের করতেই হবে৷ কিন্তু শুধু রোগ জানলেই হবে না৷রোগের কারণও জানতে হবে৷ নতুবা ভুল ঔষধ প্রয়োগে হিতে বিপরীত হবে৷

অণুজীবের জন্মসিদ্ধ অধিকার

সর্বাজীবে সর্বসংস্থে ৰৃহন্তে তস্মিন্ হংসো ভ্রাম্যতে ব্রহ্মচক্রে৷

পৃথগাত্মানং প্রেরিতারঞ্চ মত্বা জুষ্টস্ততস্তেনামৃতত্৷৷*

তোমরা জান বিশ্বের সবাই পরমপুরুষের সন্তান৷ তিনিই এই বিশ্ব সৃষ্টি করেছেন৷ তিনিই সৃষ্টি করেছেন এই জগৎকে, সৃষ্টি করেছেন এই সমস্ত জীবিত প্রাণীকুলকে৷

সামাজিক-অর্থনৈতিক বিকেন্দ্রীকরণ

গন্ধহারিণূঙীষ্ ঞ্চগন্ধহারিণী৷ সভ্যতার উন্মেষের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মনে জেগেছিল শিল্প সৃষ্টির এষণা ও প্রেষণা৷ এষণাই প্রেষণাকে ডেকে আনে৷ সভ্যতার প্রথম ধাপে শিল্পমাত্রই ছিল কুটির শিল্প৷ নারী–পুরুষ–বালক–ব্ নির্বিশেষে সবাই শিল্প রচনায় হাত লাগাত৷ পরে দেখা গেল কিছু  শিল্প গ্রামে গ্রামে করা যায় না.....করতে হয় কিছু সংখ্যক গ্রাম নিয়ে৷ তা না হলে তাদের একদিকে যেমন বাজারের ঘাটতি পড়ে, অন্যদিকে তেমনি শিল্পীর সংখ্যাতেও অভাব দেখা দেয়৷ তখন মানুষ প্রথম শিল্পায়োগ বা কারখানায়* যেতে শুরু করল৷ এখানে প্রসঙ্গতঃ একটা কথা বলে’ রাখি৷ শিল্প যত বেশী কুটীর–শিল্প হয়, শিল্প যত বিকেন্দ্রীকৃত হয় মানুষের সুবিধা তত বেশী৷ এতে য

রাজনৈতিক সংঘাত ও বিভাজনের রাজনীতি

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

২০২৪ সালে দেশের ১৮তম লোকসভা নির্বাচন৷ শাসক ও বিরোধী শিবিরে শুরু হয়েছে যোগ-বিয়োগের, শিবির বদলের  বিভাজনের রাজনীতি৷ কোথা কোন সম্প্রদায়ের প্রার্থী দিতে হবে, কোথায় কোন জাতের প্রার্থী দিলে জেতার সম্ভাবনা বেশী হবে তাই নিয়ে শুরু হয়েছে চুলচেরা বিচার বিশ্লেষণ৷ প্রার্থীর নৈতিকমান, দলীয় নীতি, আদর্শ বিচার বিশ্লেষণ করে সংসদে প্রতিনিধি নির্বাচন করার শিক্ষা চেতনা দেশের অধিকাংশ মানুষ এখনও অর্জন করেনি৷

সার্বিক শোষণ মুক্তির আন্দোলনই হলো বাঁচার একমাত্র পথ

প্রভাত খাঁ

এটাকে  কী কেউ অস্বীকার করতে পারে যে পৃথিবীর  প্রতিটি নারী ও শিশুরাই হলো সেই মহান স্রষ্টার সবচেয়ে প্রিয় সন্তান মানুষ৷ কারণ এদের তিনি সৃষ্টি করেছেন, দায় দায়িত্ব দিয়েছে, বিবেকও বুদ্ধি দিয়েছেন যাতে তাঁর সৃষ্টিকে কল্যাণধর্মী মানসিকতা নিয়ে ভোগ করবে ও তাদের রক্ষা করবে, কিন্তু নিষ্ঠুরভাবে ধবংস করবে না৷ তাই সকল দেশেই যাঁরা চিন্তাশীল ও  বিবেক সম্পন্ন মানুষও বলে গেছেন যাঁরা মানুষকে সেবা দিচ্ছে তাঁদের প্রতি সর্বদাই সেবা দেবে ও রক্ষা করে যাবে৷ কিন্তু আজকের অত্যাধুনিক (?) যুগে তো দেখা যাচ্ছে সেই মানুষগুলোই নির্মমভাবে লোভী ও ভোগসর্বস্ব হয়ে সবকিছুকে ধবংস করেই সুন্দর বসুন্ধরাকে শ্মশানেই পরিণত করে চলেছে সেই

‘প্রাউট’ প্রতিষ্ঠায় মাইক্রোবাইটাম তত্ত্বের ‘সর্বাধিক উপযোগ’ প্রসঙ্গে

সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

‘প্রাউট’ চায়--- প্রগতিশীল সমাজ তন্ত্রের প্রতিষ্ঠা৷ মহান দার্শনিক  শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার ‘প্রাউট’-এর সমাজ দর্শনের  মৌল সিদ্ধান্তগুলিকে ‘আনন্দসূত্রম’-এর পঞ্চম অধ্যায়ের শেষ পাঁচটি সূত্রে লিপিবদ্ধ ক’রে গিয়েছেন৷ এই পাঁচটি মৌল সিদ্ধান্ত হ’ল---

১)‘‘সমাজ দেশেন বিনা ধন সঞ্চয়ঃ অকর্তব্যঃ’’,২) ‘‘স্থূল  সূক্ষ্মকারণেষু চরমোপযোগঃ প্রকর্তব্যঃ বিচারসমর্থিতং বন্টনঞ্চ৷’’ ৩)‘‘ব্যষ্টি সমষ্টি শারীরমানসাধ্যাত্মিক সম্ভাবনায়াং চরমোহপযোগশ্চ৷’’ ৪)‘‘স্থূলসূক্ষ্মকারণোহপ্ সুসন্তুলিতাঃ বিধেয়াঃ৷’’ ৫)‘‘দেশ কাল পাত্রৈঃ উপযোগাঃ পরিবর্ত্তন্তে তে উপযোগাঃ প্রগতিশীলাঃ ভবেয়ুঃ৷’’