February 2024

২৩শে জানুয়ারীর  আশা

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

রাস্তাটা দিয়ে প্রায়ই যাই, কখনো  চোখে  পড়েনি, আজ পড়ল৷ মূর্তিট ার চারপাশে  বাঁশের  ভারা বাঁধা৷ হঠাৎ কেন? ভালোই তো ছিল---কাক শালিখের আশ্রয়স্থল!

সামনে ২৩শে জানুয়ারি৷ নেতাজি, তোমায় স্মরণ  করতে হবে না! সারা বছর তো কাক শালিখের....ভরা থাকে৷  এই একটা দিনের জন্যে একটু ঘসে মেজে ঝক ঝকে করে নিতে হবে৷ তারপর সারা বছর কে আর তোমায় মনে রাখে! কতোই তো খোঁজা  হলো, কোথায় গেলে! আজকাল  আবার সোসাল মিডিয়া---না কী বলে?...ফেক নামে ভেক নামে কতোই না লেখালেখি! তবু তুমি কোথায়--- কেউ জানে না৷

কলিকাতা উচ্চ আদালতে বাংলায় কথা বলে ক্ষমাপ্রার্থী আইনজীবী - বাংলায় সওয়ালের পক্ষে বিচারপতি

কলিকাতা উচ্চ-আদালতে বাংলা ভাষায় সওয়ালের  পক্ষে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন এলাহাবাদ উচ্চ আদালতে মামলা চলাকালীন আইনজীবী ও বিচারপতি উভয়েই তাদের মাতৃভাষা হিন্দিতে কথা বলেন৷ তাহলে এখানে কেন বাংলায় বলা যাবে না?

গত ১৫ই জানুয়ারী নিজের এজলাসে বসে কথা প্রসঙ্গে বলেন  তাঁর এজলাসে সওয়ালের সময় বাংলায় বলা যাবে৷ ব্রিটিশ রাজ শেষ হলেও আজও কোলকাতা উচ্চ আদালতে ব্রিটিশরাজ ভাষা ইংরেজীতেই যাবতীয় কাজ হয়৷ শ্রী গঙ্গোপাধ্যায় বলেন--- আমার সঙ্গে যে যে ভাষায় কথা বলবেন---ইংরাজীতে বললে আমিও ইংরাজীতে বলবো, বাংলায় বললে আমিও বাংলায় বলবো৷

সমবায় পদ্ধতির সাহায্যেই সর্বাঙ্গীন আর্থিক বিকাশ সম্ভব

প্রবীন প্রাউটিষ্ট নেতা শ্রীপ্রভাত খাঁ বলেন--- পুঁজিবাদ নির্ভর অর্থনৈতিক কাঠামোয় জনগণের সার্বিক বিকাশ সম্ভব নয়৷ সরকার যতই পাঁচলক্ষ অর্থনীতিতে পৌঁছাবার ঢাক-ঢোল পেটাক,জনগণের দুর্দশা তাতে দূর হবে না৷ যে অর্থনৈতিক পরিকাঠামোয় বসে অর্থনীতিবিদরা অর্থনীতির হিসাব কষে তার সঙ্গে সাধারণ মানুষের কোন সম্পর্ক নেই৷পুঁজিবাদ নির্ভর কেন্দ্রীত অর্থনৈতিক পরিকল্পনা কখনই সকল মানুষের সার্বিক কল্যাণের স্বার্থে তৈরী হয় না৷

শুরু হচ্ছে আনন্দমার্গের সেমিনার

নববর্ষের ধর্মমহাসম্মেলন শেষে মার্গের আদর্শের ব্যাপক প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে ও মার্গ কর্মীদের আনন্দমার্গ দর্শনে সুশিক্ষিত করতে শুরু হচ্ছে প্রথম স্তরীয় সেমিনার আগামী ২৬,২৭ ও ২৮শে জানুয়ারী৷ কলকাতা রিজিয়নে কলিকাতা সার্কেলে বাঁকুড়া দুর্লভপুর ও শিলং সার্কেলে আগরতলায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে সেমিনার৷ এছাড়া ভুবনেশ্বর সার্কেলের বারকোট, পটনা হাজিপুর, কানপুরের বারাণসী, ব্যাঙ্গালোর সার্কেলের শিমোগা, হায়দ্রাবাদ সার্কেলের হায়দ্রাবাদে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সেমিনার ২৬, ২৭ ও ২৮শে জানুয়ারী৷ আলোচ্য বিষয় থাকছে আদর্শ মানুষের জীবনচর্চা কেমন হওয়া উচিত, প্রত্যাহার যোগ ও পরমাগতি, বুদ্ধির মুক্তি ও পাপস্য কারণত্রয়ম্‌৷

নেতাজীর সেদিনের ভাবনা আজও প্রাসঙ্গিক

আজ থেকে প্রায় শতবর্ষ আগে আমাদের জাতীয় জীবনে অধঃপতনের যে কারণ সুভাষচন্দ্র ব্যক্ত করেছিলেন তাঁর তরণের স্বপ্ণ ও নোতুনের সন্ধানের গ্রন্থে তারই নির্বাচিত অংশ এখানে তুলে ধরা হল

অনন্ত আশা, অসীম উৎসাহ, অপরিমেয় তেজ ও অদম্য সাহস লইয়া আমরা আসিয়াছি–তাই আমাদের জীবনের স্রোতে কেহ রোধ করিতে পারিবে না৷ অবিশ্বাস ও নৈরাশ্যের পর্বতরাজি সম্মুখে আসিয়া দাঁড়াক অথবা সমবেত মনুষ্যজাতির প্রতিকূল শক্তি আমাদের আক্রমণ করুক,–আমাদের আনন্দময়ী গতি চিরকাল অক্ষুণ্ণই থাকিবে৷

বেদ ও তন্ত্রের মৌলিক পার্থক্য

তন্ত্রের সঙ্গে বেদের আদর্শগত তফাৎ বেশী বললে যথেষ্ট হবে না, বলা উচিত খুব বেশী৷ তন্ত্র হ’ল সম্পূর্ণ বৈবহারিক Practical), তন্ত্র অস্বাভাবিক কোন কিছুকে সমর্থন করে না৷ ফলে তন্ত্রের মধ্যে স্বাভাবিরতা থাকায় সেটা সমাজে সহজেই গৃহীত ও সহজেই আদৃত হয়৷ মানুষ একে সহজেই নিজের জিনিস বলে মনে করতে পারে৷ যেমন বেদে একটা শ্লোকে আছে---‘উত্তিষ্ঠত জাগ্রত প্রাপ্য ররান্‌ নিৰোধত’--- ওঠো, জাগো, উপযুক্ত আচার্যের নিকট সত্বর উপস্থিত হও ও সাধনা মার্গে চলতে শুরু করো৷ এতখানিতে বেদ ও তন্ত্রে মিল আছে৷

সুভাষচন্দ্রের ‘কৌলালিক’ ভূমিকা

‘কুলাল’–এর একটি অর্থ হচ্ছে শিল্পগত বা ভাবগত বা আদর্শগত ব্যাপারে যাঁর বৈদগ্ধ্যিক  স্বাতন্ত্র্য রয়েছে ও যিনি তদনুযায়ী পরিকল্পনা করে এগিয়ে চলেছেন৷ এই ধরণের স্বাতন্ত্র্য বা পরিকল্পনা–মুখরতা ভীত হয়ে অনেকেই–বিশেষ করে বিরুদ্ধবাদী মতবাদের বাহকেরা অনেক সময় অযথা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন ও কুলালের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেন৷ এ ব্যাপারে বিচারকের বা সমালোচকের তটস্থ ৰুদ্ধি নিয়েই গবেষণা চালাতে হৰে৷

আর্থিক মুক্তির পথ প্রাউট

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

কয়েক দিন পরেই আগামী ২৬ শে জানুয়ারী ঘটা করে কেন্দ্রীয় সরকার  ভারতের প্রজাতন্ত্র  দিবস পালন করবেন৷  ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগষ্ট ব্রিটিশরা  স্বাধীন ভারতবর্ষের প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা  হস্তান্তরের পর আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৫০ সালের ২৬শে জানুয়ারী ভারতের নিজস্ব সংবিধান কার্যকর করা হয় ও ভারতকে  গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র হিসেবে ঘোষণা করা  হয়৷ এই সংবিধানে প্রতিটি  মানুষের জীবনধারণের অধিকার, সমানাধিকার, স্বাধীনতার অধিকার প্রভৃতি মৌলিক অধিকার  স্বীকৃত  হয়৷

প্রাউটিষ্ট সর্ব  সমাজই পারে শোষনমুক্ত সমাজ গড়তে

প্রভাত খাঁ

পূর্বপ্রকাশিতের পর ,

দিল্লী সেক্টরের সামাজিক অর্থনৈতিক সমাজগুলির নাম প্রাউটের আলোকে

পূর্বভারতে সমাজ

১. আমরা বাঙালী সমাজ

২. অসমিয়া সমাজ

৩. বোরো সমাজ

৪. উৎকল সমাজ

৫. ভুটিয়া সমাজ

৬. লেপচা সমাজ

উত্তর ভারতে

৭. মিথিলা সমাজ

৮. অঙ্গীকা সমাজ

৯. মগহী সমাজ

১০. ভোজপুরী সমাজ

১১. নাগপুরিয়া সমাজ

১২. কোশল সমাজ

১৩. অবধি সমাজ

১৪. ব্রজ সমাজ

১৫. হরিয়াণভী সমাজ

১৬. গাঢ়ওয়ালী সমাজ

১৭. কুমায়নী সমাজ

পশ্চিম ভারতে

১৮. পঞ্জাবী সমাজ