March 2024

ঠাকুরনগরে ইউবিপি সম্মেলন

গত ৩রা মার্চ ঠাকুরনগর আনন্দমার্গ স্কুলে অনুষ্ঠিত হ’ল ইউবিপি ও ইউনিট সেক্রেটারীর সম্মেলন৷ জেলার বিভিন্ন ব্লকের উপভুক্তি প্রমুখ ও ইউনিট সেক্রেটারীরা সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন৷ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন আচার্য প্রিয়কৃষ্ণানন্দ অবধূত৷ তিনি প্রত্যেকের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে অবহিত করানোর পাশাপাশি কী করে কার্য সম্পাদনে সাফল্য পাওয়া যায় সেটা বিস্তৃতভাবে ব্যাখ্যা করেন৷ তিনি সকলকে মিলিতভাবে বাবার কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আহবান জানালেন৷ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভুক্তির কো-অর্ডিনেটর আচার্য প্রমথেশানন্দ অবধূত, আর এস-আচার্য ব্রহ্মদেবানন্দ অবধূত, সি এস সেবাদল - আচার্য চিরাগতানন্দ অবধ

সন্ত্রাসবাদ

শ্রী রত্নেন্দু দাস

সন্ত্রাসবাদের সমস্যা আজ এক বিরাট সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে গোটা বিশ্বে এবং তা ধবংস করার কথাও অনেকে বলেন, কিন্তু প্রশ্ণ হচ্ছে এর কারণ কি বা কেনই বা মানুষ এ পথ বেছে নেয়? যদি আমরা গভীর দৃষ্টিকোণ দিয়ে দেখি তবে দেখতে পাই এর প্রধান কারণ যেমন রয়েছে পুঁজিবাদ ঠিক তেমনি বেকার সমস্যাও৷ এখন কথা হচ্ছে যেহেতু অনেকেই বলেন সন্ত্রাসবাদের কোন ধর্ম হয় না, প্রশ্ণ হচ্ছে তাও কি ঠিক? না তা ঠিক কেন কেননা সন্ত্রাসবাদের আরেকটি কারণ হচ্ছে ভাবজড়তাবাদী দর্শন বাdogmatic philosophy.

নারীর মর্যাদা বলিষ্ঠ ত্রুটিমুক্ত সমাজ চাই

নারী কল্যাণ

সমাজে নারীর অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়, একান্তই দুর্বিসহ৷ সংঘের যারা ‘তাত্ত্বিক’, তাদের কর্ত্তব্য হ’ল অনগ্রসর মহিলাদের মধ্যে কল্যাণমূলক কাজ করা, তাদের কুসংস্কার–নিরক্ষর দূর করা, ধর্মচক্রের বন্দোবস্ত করা ও তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা৷ দেখা যায়, স্বামীর মৃত্যুর পর নারীরা আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হন৷ তাই তাঁরা যাতে স্বাধীনভাবে জীবিকার্জন করতে পারেন সে ধরণের সুযোগ তৈরী করতে হবে৷

কী খাচ্ছেন ভেবে দেখুন!

ডাক্তারবাবু

সমগ্র বাংলায় সস্তার খাবারের দোকান চলছে বিষাক্ত রাসায়নিক ব্যবহার৷ অথচ মানুষ আগে–পিছে বিবেচনা না করে এই বিষই প্রতিদিন তৃপ্তি সহকারে খেয়ে চলেছে৷ কিন্তু লক্ষ্যণীয় বিষয় এই যে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর এই মারণ রাসায়নিক মিশ্রিত খাদ্য প্রতিরোধের দায় দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে চুপ কতে বসে আছে৷ এই চুপ করে বসে থাকার অর্থ নির্বোধ মানুষদেরকে তিলে তিলে মৃত্যু পথে ঠেলে দেওয়া৷ যেমন ফুটপাত বা ছোট খাট খাবার হোটেল কাম দোকানে দেখবেন, আমিষ ঝোলতো বটেই, এমনকি আলুর দম রান্না করে ছোট আলমারিতে সামনে সাজিয়ে রেখেছে৷ এই সকল তরকারীর অতি সুন্দর লাল রং দেখে মানুষ সহজেই আকৃষ্ট হয়৷ কিন্তু এই খাবার যে মানব তথা প্রাণীর দেহের জন্যে ক্ষত

তোমার প্রতীক্ষা

কেয়া সরকার

সূর্য থেকে যে আলো আসে পৃথিবীতে---

তার প্রতিটি কিরণে আছো তুমি,

চাঁদ যে জ্যোৎস্না ঢালে আমার ধরণীতে---

তার প্রতিটি পরতে আছো তুমি,

 

তোমার ভাবনায় দিন হয় রাত,

কালচক্র বয়ে চলে---

আঁধার রাত্রি আবার প্রভাত হবে,

বলে সে বলে চলে---

 

মনে মনে খুঁজেছি তাকে,

মনের মাঝে পেয়েছি,

মনের বাগানের ফুল দিয়ে

তাঁর তরে মালা আমি গেঁথেছি৷

 

পূজার বেলা সাঙ্গ হলে,

মন আমার একলা রবে

হৃদয়েরই সাধন আমার---

আবার দেখা হবেই হবে৷

 

দধীচি দিবস

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

দধীচি দধীচি দধীচি দধীচি

দধীচি---পঞ্চবীর,

মার্চের আজ পঞ্চম দিনে

শ্রদ্ধায় নত শির৷

মানব-সেবার মহানযজ্ঞে

তোমরা হয়েছো সমিধ,

ধর্মসংস্থাপনার্থে

রক্ত-সিক্ত শহীদ৷

নরাধম যত দানবের দল

নৃশংস নির্মম,

কেড়ে নিয়েছিল কল্যাণকাজে

সকল উদ্যম৷

তোমাদের সেই প্রাণের প্রদীপ

আজও অনির্বাণ,

সেই আনন্দনগর যে আজ

মোদের তীর্থস্থান৷

প্রপঞ্চময় জগতে তোমরা

পঞ্চপ্রদীপ সম,

গুরুর চরণে জীবনাঞ্জলি---

তোমাদের নমো নমো৷

পঞ্চ দধীচি স্মরণে

কৌশিক খাটুয়া

সেদিনও হয়েছিল সূর্যোদয়,

নির্মেঘ বসন্তের গগন৷

ঈশান কোণে অপ্রত্যাশিত মেঘ

বুঝতে পারেনি আসন্ন মহারণ৷

পাঁচই মার্চ, মহাবেদনার স্মৃতি,

বিক্ষত করে নিবিড় ভ্রাতৃ-প্রীতি৷

ধর্মের তরে পঞ্চ দধীচি যারা

আজও অম্লান প্রাতঃস্মরনীয় তারা৷

 

দূরাচারীর অস্ত্র যখন

নিঠুর খেলায় মাতে,

সাধুজনের পরিত্রাণে আসেন পরমপিতা সাথে৷

জড়বাদী মন মানেনা কখনো তাই পাপাচারে লিপ্ত,

কোন বিরোধীতা শুনিতে নারাজ

শুনিলেই হয় ক্ষিপ্ত৷

নিজ সঙ্কল্প রূপায়ণে দধীচিরা আসে ভূবনে,

হাসিমুখে তাঁদের মরণ বরণ

একজ/একজন্মিন্‌ ঃ শব্দটির কয়েকটিই অর্থ হয়৷ একটি মানে হচ্ছে---‘একই পিতামাতার সন্তান’ দ্বিতীয় মানে ‘যে একলা জন্মগ্রহণ করেছে’, তৃতীয় মানে ‘শূদ্র’, চতুর্থ মানে ‘যে সকল জীব ডিম্বের মাধ্যমে জন্মগ্রহণ না করে সোজাসুজি মাতৃগর্ভ থেকে জন্মগ্রহণ করে’৷ যে সব জীব অণ্ডের মাধ্যমে জন্মগ্রহণ করে তাদের ৰলা হয় ‘দ্বিজ’৷ দাঁত দু’বার গজায়৷ তাই দাঁতের একটি নাম ‘দ্বিজ’৷ শূদ্র ৰাদে ৰাকি মানুষেরা অর্থাৎ যাদের উপনয়ন সংস্কার সেকালে হত (বিপ্র, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য) তাদেরও ৰলা হত ‘দ্বিজ’৷ তাদের প্রথম জন্ম হত মাতৃগর্ভ হতে স্বাভাবিক মানুষের মত৷ দ্বিতীয়বার উপনয়ন সংস্কারের সময়-ধর্মীয় জন্ম ৷

নির্বাচকদের কথার অবাধ্য হওয়ায় বিসিসিআইয়ের চুক্তি থেকে বাদ পড়েছেন ঈশান

কোচ রাহুল দ্রাবিড় এবং নির্বাচকদের কথা না শোনায় বিসিসিআইয়ের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়েছেন ঈশান কিশন৷ টেস্ট দল থেকে চলে আসা এবং ঘরোয়া ক্রিকেটকে উপেক্ষা করার শাস্তি দেওয়া হয়েছে বলে মত অনেকের৷ এ বার জানা গেল, সেই ‘অবাধ্য’ ক্রিকেটারকে ইংল্যান্ড সিরিজের মাঝেও ডেকেছিল বোর্ড৷ সেই ডাকও প্রত্যাখ্যান করেন ঈশান৷ ফলে চুক্তি থেকে বাদ পড়া নিশ্চিত হয়ে যায়৷