‘ছাত্র’ শব্দটির মানে শিক্ষার্থী বা বিদ্যার্থী৷ (আরবী ‘তালিব্-উল-ইলম’ ও ফার্সী ‘তালিব্-এ ইলম্’ মানে ও শিক্ষার্থী)৷ ‘ছাত্র’ শব্দটি এসেছে অন্য সূত্র থেকে৷ তোমরা কুম্ভমেলা বা অন্য কোন ড় ধরণের মেলায় গেলে আজও হয়তো দেখতে পার্ে মোহান্ত ধরণের এক একজন ড় সাধু একটি বিরাট ছাতার নীচেই বসে আছেন ও তাঁর শিষ্য ও সহকারীরা তাঁকে ঘিরে ওই ছাতার নীচেই বসে আছেন৷ ওই বড় বড় ছাতাগুলি (সং-ছত্র> ছত্ত> ছত্তা> ছাতা) একদিকে যেমন তাঁদের বৈশিষ্ট্যের পরিচায়ক অন্যদিকে তেমনি তারা রোদ ও অল্প বৃষ্টিপাত থেকে তাঁদের চিয়েও থাকে৷ প্রাচীনকালে তপের্ানে গুরুরা ওই ধরণের ছাতার নীচেই বসতেন আর শিষ্যরা তাঁদের ঘিরে ওই ছাতার নীচে বসে অধ্যয়ন করতেন৷ গুরুর ছাতার নীচে যাঁরা বসে আছেন--- এই অর্থে ‘ছত্র’ শব্দের উত্তর তদ্ধিতার্থে অপত্যসূচক ‘ষ্ণ’ প্রত্যয় করে ছত্র+ষ্ণ = ছাত্র শব্দটি নিষ্পন্ন হয়েছে৷ এর স্ত্রীলিঙ্গরূপে প্রাচীনকালে ‘আপ’ প্রত্যয় করে ‘ছাত্রা’ ব্যবহৃত হ’ত৷ বর্তমানে ছাত্রা/ছাত্রী দু’ই চলতে পারে৷
---শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের লঘুনিরক্ত গ্রন্থ থেকে