ডঃ ইয়ূনুস সাহেব শিক্ষার মর্যাদা দিয়ে সোজা পথে চলে দ্রুত নির্র্বচনের ব্যবস্থা করুন

লেখক
প্রভাত খাঁ

বাংলাদেশের অন্তবর্ত্তী সরকারের প্রধান মিঃ ইয়ূনুস খান এসেছিলেন একমাত্র সাধারণ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতেই৷ কিন্তু সেদিকে পা না বাড়িয়ে শান্তিরনামে নোবেল জয়ী ইয়ূনুস দীর্ঘকাল গদীতে বসে পাকিস্তানী প্রেমকে গলার হার করে বাংলাদেশের জনগণকে কি বিপথে ঠেলে দিচ্ছেন না? মনে হয় বাংলাদেশে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামকে ইচ্ছাকৃতভাবেই অস্বীকার করে কুৎসিত ব্যষ্টিতান্ত্রিক কূটনীতির আশ্রয় নিয়ে, দেশটাকে ডোবাবার মৎলব করেছে৷ ইংরেজ দেশ ছেড়ে যাওয়ার আগে সাম্প্রদায়িকতাকে আশ্রয় করে ভারতবর্ষকে স্বাধীনতা দিয়ে ধবংস করতেই এ কাজ করে৷ হিন্দু ও মুসলমান সম্প্রদায়কে সামনে রেখে দেশটাকে ধবংস করেছে কংগ্রেস দল ও ইংরেজ এর সৃষ্টি মুসলীমলীগ আর সেই জওহরলাল আর জিন্না সাহেব৷ সেই সাম্প্রদায়িকতাকে জিয়িয়ে রেখে দাদাগিরি করতে সীমান্তে অনন্তকালই যুদ্ধ বাধিয়ে রাখার পরিস্থিতি তৈরী করাই ইয়ূনুসের মতলব৷

আমেরিকা শান্তি স্থাপনে যে টাকা বাংলাদেশকে দিয়েছিল সেই টাকার হদিশ না পেয়েই কট্টর ইসলামপন্থী জামাত দল খাঁন সাহেবের উপর চাপ সৃষ্টি করছে ভিতরে ভিতরে৷ এদিকে উত্তেজনা বাড়াতে সীমান্তে কাঁটা তারের বেড়া নিয়ে অশান্তি সৃষ্টি করছে ইয়ূনুস৷ হাসিনার আমলে যে জঙ্গীদের কারাগারে বাংলাদেশ সরকার রাখে তাদের কয়েকশকে মুক্তি দিয়ে সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢোকার ব্যবস্থা করে যাতে ভারতে তারা অশান্তি সৃষ্টি করতে পারে৷ তাদের কয়েকজন ভারতের সীমান্তে ধরা পড়ে৷

এছাড়া নিজের উদ্দেশ্য সিদ্ধি করতেই সকলের অলক্ষ্যে উচ্চপদস্থ অফিসারদের গোপনে পাকিস্তানে পাঠায় আলোচনা করতে৷ পাকিস্তানের আই.এস.আই প্রধান ও তাঁর সঙ্গে কিছু অফিসার গোপনে বাংলাদেশে এসে বাংলাদেশের সামরিক শক্তি যাতে বাড়ে ও ভারতের বিরুদ্ধে পূর্ব সীমান্তে অশান্তি সৃষ্টি করতে চায়৷ একাজ কেমন করে.! যে ভারত খাদ্য যোগান দিচ্ছে ও তাঁর সামাজিক উন্নতিটা যাতে হয় সেটা দেখছে সেটার বারোটা বাজাতেই ইয়ূনুস বাংলাদেশ বিরোধী কাজ করতেই পশ্চিম পাকিস্তানের প্রেমে আবদ্ধ হচ্ছে৷ শান্তি পুরস্কার প্রাপ্ত নোবেলজয়ী শিক্ষক মানুষটি করে যাচ্ছে অশান্তির কাজ৷ এ কেমন একজন বিখ্যাত লোকেদের দেশসেবা? তাঁর স্মরণে রাখা দরকার যে কাজ নির্বাচিত জনগণের প্রতিনিধি করবেন সেটা জোর করে নিজের ব্যষ্টিগত স্বার্থে বাংলাদেশের একচ্ছত্র শাসক হয়ে যেতেই যা করছেন সেটাতে তিনি বাংলাদেশের বন্ধু না হয়ে চরম বৈরিতার কাজ কি করছেন না? মনে রাখবেন একটি কথা তা হলো বাঙালীজাতি হিন্দু ও মুসলমান নির্বিশেষেই পূর্ব পাকিস্তান থেকে মাতৃ ভাষার মর্যাদা রাখতে হাজার মানুষ প্রাণ দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ করেছেন তাঁরা ইয়ূনুসের রাজনৈতিক ভণ্ডামীকে ঐক্যবদ্ধ হয়েই উপযুক্ত শিক্ষা দেবেন অতি শীঘ্রই৷ কারণ জনগণের সরকার যা  পারেন সেটা কখনোই অস্থায়ী তদারকি সরকারের তিলমাত্র সে ক্ষমতা নেই৷ তাই একটু মানবতাবাদী হতে চেষ্টা করুন ইয়ূনুস সাহেব, তাতে বাংলাদেশের ও তদারকি সরকারের ভালো হবে৷ নচেৎ যে পরিণতি তবে সেটা মোটেই মঙ্গলজনক নয়৷ কারণ বাঙালী জাতিটাই হলো চিরবিপ্লবী পৃথিবীতে৷ আর ঐ অখণ্ড বাংলার অংশটাও হলো সেই মহান বিপ্লবী বাঙালীদেরই!

পরিশেষে একটি কথা বলি অখণ্ড ভারতবর্ষকে রক্তাক্ত করে সাম্প্রদায়িকতা ভিত্তিতে হিংসাকে প্রশ্রয় দিয়ে ইংরেজের দেওয়া স্বাধীনতাটা স্বাধীনতা নয় এটা, এই সমগ্র জাতির হিন্দু মুসলমান নির্বিশেষের মৃত্যু ফাঁদ! সেই মৃত্যু ফাঁদকে উষ্কে কি দিচ্ছেন না শান্তির দূত ডঃ ইয়ূনুস সাহেব!