দিশাহীন উন্মত্ততা

লেখক
কৌশিক খাটুয়া

এদের *ক* লিখতে কলম ভাঙ্গে

 *খ* লিখতে ছেঁড়ে খাতা,

 এরা হলেন বাংলাদেশের

বি. এন. পি আর জামাত নেতা!

জাতির জনক মুজিবর

ভেঙেছে তাঁর দুয়ার-ঘর,

ইতিহাসকে লোপাট করে

বাড়ায় নিজের বাজার দর!

যাঁর ভূমিকায় স্বাধীনতা

সম্মানীয় জাতির পিতা,

স্বেচ্ছাচারী নেতা বলে

এসব নাকি আদিখ্যেতা!

ক্ষমতাচ্যুত নির্বাচিত সরকার

ক্ষমতায় উন্মত্ত জবরদখলদার,

উগ্র রক্ষণশীলতার আবরণে

‘ভারত-বিদ্বেষ’ একমাত্র হাতিয়ার৷

এরা মানব সমাজে বিরাজমান

 বিষাক্ত হুলে ভিমরুল,

কাজি হলেও হয়নাতো তারা

 বিদ্রোহী কবি নজরুল!

এদের হাওয়ায় ভাসে মুহুর্মুহু

 হুঙ্কার আর আস্ফালন,

হিংসায় আর দাঙ্গায় তার

 নিত্য ঘটে প্রতিফলন৷

হামলা মামলা কর্মসূচি

 বিধর্মীদের রক্ত চায়,

পদ্মা-যমুনা রঞ্জিত হয়

অপাপবিদ্ধ শোণিত ধারায়৷

মন্দির আজ দেবতা মুক্ত

জন-দেবতা ভাঙা কান্নায়,

লুন্ঠন আর অগ্ণিসংযোগ

 নারী সম্ভ্রম ধূলায় লুটায়৷

দেশ স্বাধীনে ভারতের স্থান

কে করে স্বীকার তার অবদান,

ধর্মের ভাই এক পাতে খাই

 কেমনে ভুলিবে পাকিস্তান!

শিক্ষার পথ ভুলে গেছে এরা

 স্কুল শেষ কোন অতীত কালে,

তুঘলকি রাজ করিছে বিরাজ

 মাছ ধরে এরা ঘোলা জলে!

যখনই দাবি ওঠে

 বুভুক্ষু জঠরে চাই খাদ্য,

তখনই দেখানো হয়

সীমান্তে বাজিছে রণবাদ্য৷

জল-স্থল-বায়ু পথে

 ভারত আক্রমনাত্মক,

শাসকের মন্তব্যে বুঝি

 প্রতারক আহাম্মক!

দেড় হাজার বছর প্রাচীন

 ধর্মীয় নীতি-নির্দেশিকা,

কালের গতিতে ত্যাজ্য

যুগের দাবিতে ব্রাত্য

 ঘোর বিভীষিকা৷

মৌলবাদ, ধর্মান্ধতাপুষ্ট

 রক্ষণশীলতা

হারায় মূল্যবোধ

 বাড়ায় সাম্প্রদায়িকতা!

ধর্ম যখন বর্ম হয়ে

 দেয় নিজ পরিচয়৷

সমাজ-সংস্কৃতি বিকৃত হয়,

 হয় সামাজিক অবক্ষয়!

নাই সম্প্রীতি, ভ্রাতৃ-প্রীতি

 কবে হবে এর ইতি,

কবে দায়িত্বশীল জনপ্রতিনিধি

 সমাজে আনিবে স্থিতি?