সম্পাদকীয়

সংবিধানের অঙ্গীকার ওমৌলিক অধিকার

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীন হবার পর ১৯৫০ সালের ২৬শে জানুয়ারী দেশ শাসনের জন্যে ভারতের নিজস্ব সংবিধান প্রবর্ত্তিত হয়৷ তারপর ৭২ বছর অতিবাহিত হয়েছে৷ আজ দেশের নাগরিককে নাগরিকত্বের প্রমাণের জন্যে লাইনে দাঁড়াতে হবে, চৌদ্দপুরুষের নথি খুঁজে বার করতে হবে৷  সীমাহীন অর্থনৈতিক বৈষম্য, সামাজিক বিভাজন ও রাজনৈতিক সংঘাতে প্রতিনিয়ত পদদলিত হচ্ছে মানুষের মৌলিক অধিকার৷ পরিতাপের বিষয় এই যে শাসক দলের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ মদতে এগুলি হয়ে চলেছে৷ অথচ শাসক দলেরই প্রধান দায়িত্ব সংবিধানের অঙ্গীকারগুলি পালন করা৷ মৌলিক অধিকার সুরক্ষিত করা৷

পিতামাতা ও সন্তানের সম্পর্কেও অবক্ষয়!

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

রবীন্দ্রনাথ বলেছেন --- ‘‘মানুস  পিতামাতার মধ্য থেকে যে অমৃতের  ধারা লাভ করেছে সেইটিকে অনুসরণ করতে গিয়ে দেখেছে কোথাও  তার সীমা নেই৷’’ পিতামাতার সঙ্গে সন্তানের যে অবিচ্ছেদ্য স্নেহের সম্পর্ক তা অন্তহীন, তা চিরন্তন৷ তাই  পিতা মাতা যেমন তাঁদের অন্তরের সমস্ত স্নেহ ভালবাসা, সম্পদ দিয়ে সন্তানের প্রতি  দায়িত্ব পালন করেন, সন্তানকে উপযুক্ত করে গড়ে তোলেন, উপযুক্ত সন্তানও তেমনি পিতামাতার বয়সকালে তার দায়িত্ব পালন করে, পিতামাতার সব ভার সন্তানের ওপর বর্র্তয়৷ আমাদের সমাজে এটাই ছিল সংসারের স্বাভাবিক ধর্ম৷ এ নিয়ে কোন গোল ছিল না৷ কিন্তু  আজ জড়বিজ্ঞানের নিত্যনূতন আবিষ্কার যেমন মানুষকে অঞ্জলি ভরে  দিয়েছে, তেমনি

প্রাউটের অর্থনৈতিক গণতন্ত্র

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

প্রচলিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে থেকেই  বিভিন্ন ভাবে কি কেন্দ্রীয় সরকার কি রাজ্য সরকার দরিদ্র্য জনসাধারণের সমস্যা সমাধানের নামে নানান পাঁয়তারা কষছেন, নানা ধরণের চমক দিয়ে চলেছেন৷ কিন্তু স্বাধীনতার পর ৭০ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেল আজও গরীব জনসাধারণের দুর্দশার অন্ত নেই৷ আসলে পুঁজিবাদ বা মার্কসবাদ–এদের কোনটাই দরিদ্র মানুষের যথাযথ কল্যাণ করতে পারবে না৷ প্রাউটের অর্থনৈতিক গণতন্ত্রই একমাত্র বিকল্প৷

বাংলা ভাষার অবদমন বন্ধ হোক

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

মাতৃভাষায় মানুষ যত সহজে সাবলীল ভাবে ও স্বচ্ছন্দে ভাবপ্রকাশ করতে পারে, অন্য কোনো ভাষায় সে তা পারে না৷ অন্য ভাষায় মানুষ স্বচ্ছন্দে ভাব প্রকাশ করতে পারে না৷ প্রতি মুহূর্ত্তে কোনো জনগোষ্ঠীকে অন্য ভাষায় ভাব প্রকাশ করতে বাধ্য করা হলে, সব সময় তারা অস্বচ্ছন্দ বোধ করে, ফলে তাদের প্রাণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷ এ অবস্থায় তাদের দু’ধরণের মানসিক সংকটের সম্মুখীন হতে হয়–(১) হীনম্মন্যতা বোধ৷ ওই হীনম্মন্যতা বোধ ওই জনগোষ্ঠীর মনকে ধীরে ধীরে দুর্বল করে দেয়৷ তাই তাদের ভাষায় অবদমিত, মাতৃভাষা ছাড়া অন্য ভাষাতে সবসময় কাজকর্ম করতে হয় তারা ধীরে ধীরে যেমন মানসিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে, তারা তাদের নৈতিক উদ্যম ও প্রতিবাদ করার শ

দুর্নীতির করালগ্রাসে রাষ্ট্র

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

দুর্নীতির করালগ্রাসে দেশ৷ যদিও কেন্দ্রের শাসকদল বেছে বেছে বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধেই প্রশাসনকে সক্রিয় হতে নির্দেশ দিচ্ছে৷ এর অর্থ এই নয় যে শাসক দলের নেতা মন্ত্রীরা সব ধোয়া তুলসী পাতা৷ আসলে ভারত স্বাধীন হয়েছে মধ্যরাতের অন্ধকারে দুর্নীতির আঁতুড় ঘরে৷

শ্রাবণী পূর্ণিমা

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

মানব ইতিহাসে শ্রাবণী পূর্ণিমার একটা বিশেষ তাৎপর্য আছে, এই তাৎপর্যকে অন্তর দিয়ে উপলব্ধি করতে পারলে সমস্ত মানব সমাজের কল্যাণ৷

সরিবে দুর্নীতিরাজ

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

দুর্নীতির জালে জড়িত রাষ্ট্র৷ স্বাধীনতার জন্মলগ্ণের আগে থেকেই দুর্নীতির গুঞ্জন শুরু হয়েছিল ক্ষমতার অলিন্দে৷ শক্তি ও স্পর্ধার প্রভাবে রাজনৈতিক ব্যাভিচারের অভিযোগ উঠেছিল স্বাধীনতার আগেই৷  স্বয়ং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ নেহেরুকে এক পত্রে লিখেছিলেন---‘‘কংগ্রেসেরও অন্তঃসঞ্চিত ক্ষমতার তাপ হয় তো অস্বাস্থ্যের কারণ হয়ে উঠেছে বলে সন্দেহ করি৷’’ সেই ক্ষমতার তাপ আজ দুর্নীতির ভাইরাস হয়ে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করেছে৷ আজ ভারতবর্ষে রাজনীতি ও দুর্নীতি একে অপরের পরিপূরক৷ অবশ্য দুর্নীতি বলতে শুধু আর্থিক কেলেঙ্কারিকেই বোঝায় না৷ রাষ্ট্রের পরিচালকরা আত্মস্বার্থ চরিতার্থ করতে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অব্যবহার করাটাই

পেট্রল ও ডিজেলের ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধি!

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

গত এক বছর ধরে  পেট্রোল ও ডিজেলের ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধি হয়ে চলেছে৷ পেট্রল ও ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি মানে অন্যান্য সমস্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের  মূল্যবৃদ্ধি ৷ কারণ তেলের ওপর নির্ভরশীল ট্রাক, বাস প্রভৃতি পরিবহন৷ ভোগ্যপণ্যের পরিবহন খরচ বাড়লে স্বাভাবিকভাবে তার দাম বাড়বে৷ এমনিতে করোনা সংক্রমণ রোখার জন্যে দীর্ঘ লকডাউনের ফলে বহু কলকারখানা বন্ধ হয়ে গেছে৷

সমাজ–সভ্যতা বাঁচাতে চাই আদর্শ শিক্ষা

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

জাতিগঠনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হ’ল শিক্ষা৷ আজ যে সারা দেশ জুড়ে অসংখ্য আর্থিক দুর্নীতি, নারী–লাঞ্ছনা, পারিবারিক হিংসা ও হত্যা সহ অজস্র অপরাধের ঘটনা ঘটছে এ সবের পেছনে অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে শিক্ষার ব্যবস্থার ত্রুটি৷ প্রতি বছর তো লক্ষ লক্ষ যুবক–যুবতী স্কুল কলেজের গণ্ডী পেরিয়ে কর্মক্ষেত্রে ঝাঁপিয়ে পড়ছে৷ এই স্কুল কলেজগুলিই প্রধানতঃ মানুষ তৈরীর কারখানা৷ মানুষের মধ্যে সদ্বৃত্তির মূল্যবোধের জাগরণের প্রাথমিক দায়িত্ব এই স্কুল–কলেজের৷ এই স্কুল কলেজের শিক্ষাব্যবস্থা বর্তমানে যে এই প্রাথমিক দায়িত্ব পালন করছে না–সে সম্পর্কে বোধহয় কেউই দ্বিমত হবেন না৷ মূল্যবোধভিত্তিক শিক্ষা বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা

ভাইরাস আক্রান্ত পৃথিবী

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

করোনার চতুর্থ ঢেউ আছড়ে পড়ছে৷ স্বাস্থ্য অধিকর্র্ত ও  ডাক্তারদের আশ্বাস আগের মতো ভয়ানক হবে না চতুর্থ ঢেউ৷ তবুও দিন দিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে৷