সম্পাদকীয়

ধর্মমতের বিভেদ ভুলে মানুষ মানবধর্মে প্রতিষ্ঠিত হোক

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

বর্তমানে ধর্মের নামে নানান ধরণের গোঁড়ামী, জাত–পাতের ভেদ ও সাম্প্রদায়িক বিভেদ ও বিদ্বেষ চলছে৷ অন্ধবিশ্বাস আর কুসংস্কারের জালে জড়িয়ে আঁতুড় ঘর থেকে শশ্মানঘাট পর্যন্ত শোষনের জাল বোনা হয়েছে৷ অপ্রয়োজনীয় সামাজিক আচরণের বোঝাকে ধর্মের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ বলে বলা হচ্ছে৷ তা কিন্তু  মোটেই ঠিক নয়৷

পুঁজিবাদের করালগ্রাসে মানব সমাজ

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

আজ থেকে দশ লক্ষ বছর পূর্বে মানুষের আবির্ভাব৷ মানুষ যখন আসে বন্যপ্রাণীদের মত মানুষেরও প্রধান কাজ ছিল আহারান্বেষণে ঘুরে বেড়ানো৷ আর সেদিন অন্যান্য প্রাণীদের তুলনায় সে ছিল অসহায়৷ তার চারদিকে ঘুরে বেড়াত নানান হিংস্র ও ভয়ঙ্কর পশুর দল৷ তাদের কাছ থেকে আত্মরক্ষা করাটাই তখন তাদের কাছে প্রধান সমস্যা ছিল৷ আর সেই আদিম মানুষ তখন ভয় করত অন্যান্য মানুষদেরও৷ কখন তার আহূত খাদ্য অন্যেরা ছিনিয়ে নেয়৷ সব নিয়ে লড়াইটাই ছিল তার কাছে একমাত্র বাঁচার উপায়৷ আর তার জন্যে দরকার ছিল দৈহিক শক্তি৷ এইভাবে লড়াই করতে করতে যাদের দৈহিক শক্তি ছিল বেশী, সাহসী, লড়াইয়ে পটু মানুষের মধ্যে প্রাধান্য বাড়াল তাদের৷ আর তার ওপর মানুষ ছিল যূ

ধূলুন্ঠিত মনুষ্য মর্যাদাগর্ব

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

ভয়ঙ্কর মানসিক ব্যাধিতে আক্রান্ত সমাজ৷ উত্তর প্রদেশের হাথরাস থেকে দিল্লীর শ্রদ্ধা ওয়াকার মনুষ্য মর্যাদাগর্ব বার বার ধূলুন্ঠিত৷ দ্বি–পদ জীবের এই নির্মম নিষ্ঠুর আচরণকে পাশবিক বললেও পশুর প্রতি অবিচার করা হবে৷ কিন্তু আর কত দিন?

নারী নির্যাতন ও একটি বিজ্ঞানসম্মত সমীক্ষা

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

দেশে মহিলাদের ওপর পাশবিক অত্যাচার কেন বাড়ছে? কেন মেয়েদের ওপর বলাৎকার করে নৃশংস খুনের ঘটনা বেড়েই চলেছে?

এবার বাঙলা জাগবে

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

ছোটবেলায় মুখে মুখে শুনতাম ‘বর্গী এলো দেশে’৷ এই বর্গীরা কারা ও  তাদের বাঙলায় আসার কারণটি কী? সে প্রায় ২৮০ বছর আগের কথা৷ এই বর্গীরা ছিল পশ্চিম ভারতীয়, তৎকালীন মারাঠা রাজ্যের৷ এই বর্গীদের সর্দার মারাঠা দস্যু ভাস্কর পণ্ডিত নামে পরিচিত৷ মূলত তাঁরা সম্পদ ও নারী লুট করতো, এক কথায় তাদের আমরা লুটেরা বলতাম৷  এদেরকে  সাহায্য করতেন একশ্রেণীর অর্থ পিশাচ মীরজাফর অথবা রাজাকার বাঙালী, যারা জাতির কলঙ্ক--- বাঙালী জাতির বিশ্বাসঘাতকের দল৷ বাঙালীস্থান অতীতে ছিলো এখনো আছে সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলার দেশ৷ তাই কবি বলেছিলেন---

‘এমন দেশটি কোথায় খুঁজে পাবে নাকো তুমি,

মোদির ডিজিটাল ইন্ডিয়া!

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ডিজিটাল ইন্ডিয়া গড়তে চান৷ তিনি তাঁর এই সংকল্পের কথা দেশে বিদেশে সর্বত্র ব্যক্ত করেছেন ও বিদেশী কোম্পানীগুলিকে এদেশে ঢালাও আহ্বান জানিয়েছেন তাঁর এই সংকল্প পূরণ করতে৷ তিনি বলেছেন, ইন্টারনেটের সুবিধা আমজনতাকে পাইয়ে দেওয়া হবে৷ ইন্টারনেটের মাধ্যমে সরকারী পরিষেবাকে জনসাধারণের হাতের মুঠোয় আনবেন তিনি৷  ইন্টারনেটের মাধ্যমে উন্নত শিক্ষণ ও উন্নত চিকিৎসাকে গ্রামে গ্রামে পৌঁছে দেবার সুভাষিত  বাণী তিনি সবাইকে শুনিয়েছেন৷ বিদেশী ইলেক্ট্রনিক কোম্পানীগুলি তাঁর এই মহৎ সংকল্পের ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন৷

আনন্দমার্গ আদর্শের বাস্তবায়নই হোক মহাপ্রয়ান দিবসের শপথ

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

মানুষ সাধারণতঃ চলে আত্মসুখকেন্দ্রিক দর্শন বা জীবন সম্পর্কিত দৃষ্টিভঙ্গী, জড়কেন্দ্রিক দর্শন বা দৃষ্টিভঙ্গী কিংবা ভাবজড়তা কেন্দ্রিক দর্শন বা দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে৷ আত্মসুখকেন্দ্রিক দর্শনের অনুগামী বলতে বোঝায় যারা নিজের সুখ, নিজের স্বার্থ ছাড়া আর কিছু বুঝতে চায় না৷ তারা যা করে, নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্যে নিজেদের সুখের জন্যে করে৷ তারা বলে ‘আপনি বাঁচলে বাপের নাম’৷ তাদের সমস্ত কার্যকলাপের পেছনে আছে এই আত্মসুখের বাসনা৷ পুঁজিবাদী দর্শন এই পর্যায়ে পড়ে৷

মহা সংকল্প দিবস

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

মানবতা যখন এক অত্যন্ত বেদনাদায়ক পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে, ধর্ম, আধ্যাত্মিকতা, বিজ্ঞান, শিল্প-সাহিত্য সংস্কৃতি অর্থনীতি রাষ্ট্রনীতি-সমাজ জীবনের সর্বস্তরে যখন গ্লানি দেখা দেয়, সর্বস্তরেই অধর্মের প্রার্দুভাব দেখা দেয়, সেই অধর্মের হাত থেকে গ্লানির হাত থেকে  পরিত্রাণ পাওয়া মানুষের সাধ্যের বাইরে, তখনই পরমপুরুষকে অবতীর্ণ হতে হয় ধরাধামে অধর্মের হাত থেকে অশুভ শক্তির হাত থেকে সমাজকে পরিত্রাণ করতে৷

সামাজিক ব্যাধি ও নিরাময়ের পথ

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি থেকে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তি, সংবাদ মাধ্যম থেকে মন্ত্রী আমলা–দেশের ন্যায় নীতি শৃঙ্খলা রক্ষার দায়ীত্ব যাদের কাঁধে–তারাই আজ দুর্নীতির জ্বালে জড়িত৷ বহু দলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় শাসকের মাথার ওপর নৈবিদ্যের মণ্ডা হয়ে যারা বসে থাকেন সেই নেতা মন্ত্রীরা দলীয় গণ্ডীর বাইরে আসতে পারে না৷ কিন্তু আমলা আদালত৷ সংবাদ মাধ্যম গণতন্ত্র রক্ষার মূল স্তম্ভগুলিই আজ দলদাসে পরিণত হচ্ছে৷ শাসকের রক্ত চক্ষুর সামনে তারা অসহায়৷ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেও হতাশ হয়ে বলতে হয়–এখন টাকা দিয়ে আদালতের রায় কেনা বেচা যায়৷

শারদোৎসব ও শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী নববিধান

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

নীল আকাশে সাদা মেঘের আনাগোনা, নীচে ধরনীর কোলে শিউলি কাশের মেলা নিয়ে আসে শরতের আগমন বার্র্ত৷ এই শরতেই বাঙালীর প্রিয় উৎসব---দূর্র্গপূজা,এই পূজাকে কেন্দ্র করে হাজার হাজার কোটি টাকা বাজারে ছড়িয়ে পড়ে৷ কুমোর পাড়া, আলো,মাইক, প্যাণ্ডেল বহু মানুষের সাময়িক কিছু উপার্জনের পথ করে দেয়৷