প্রবন্ধ

ভারত ও পাকিস্তানে গণতন্ত্রের গঙ্গা যাত্রায় ধর্মমতের গোঁড়ামির প্রাধান্য

প্রবীর সরকার

বর্ত্তমানে  ভারতে  শুধু নয়, পৃথিবীর  অনেক দেশে যেমন  পাকিস্তানে  ধর্মমতের নামে  নোংরা দলবাজি  করতে  গিয়ে  মানবতাহীন  কাজ করে বসছে পদপদে৷ কিন্তু অত্যন্ত আশার কথা, মহামান্য বিচার  বিভাগ থাকায় বিশেষ করে সর্বোচ্চ আদালত (সুপ্রিম কোর্ট)  আছে  বলে  সাধারণ  মানুষগুলো বেঁচে আছে৷ ভারতবর্ষকে  দ্বিখণ্ডিত করে যে পাকিস্তানের  জন্ম তার মূলভিত্তি হলো  হিন্দু  বিদ্বেষ৷ এই বিদ্বেষটাই  হলো পাকিস্তানের  মূল মূলধন৷ তাকে  জনমানসে দৃঢ়মূল  করতেই  ইসলাম ধর্মমতকে  বড়ো  করে দেখায়, যেটাতে  মানবাধিকার ও গণতন্ত্র অবহেলিত হয়৷  এতে    ইসলামের মহত্বটাই খাটো হয়ে যায়৷ সেটা ওই মিথ্যাচারী রাজনৈতিক  দলগুলো  বুঝেও বোঝে  না৷ তবে

স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্বপ্ণ ভেঙ্গে চুরমার!

প্রভাত খাঁ

বর্ত্তমানে যাঁরা ভারতের কেন্দ্র ও রাজ্যের শাসক তাঁরা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের লক্ষ্য ও আদর্শ সম্বন্ধে কিছু জানেন কিনা সন্দেহ রয়েছে৷ দেশ সত্যিই স্বাধীন হয়েছে কিনা--- এটাই বর্ত্তমান প্রজন্মের কাছে আজ সবচেয়ে বড়ো ধরণের প্রশ্ণ৷

৭১ বছরের ভারতের গণতন্ত্রের যা ছবি সেটা দেখে মনে হয় যেন এটা একটা তামাসা ! কোটি কোটি মানুষ আজও দারিদ্র্যসীমার নীচে৷ এদেশের গরীব নাগরিকদের তো কোন নিরাপত্তা নেই৷ ধনতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় দেশ চলছে৷ শোষণের ওপর সমৃদ্ধির সবটুকুই স্বার্র্থন্বেষী লোভীর দল ভোগ করছে৷ শোষণ তা অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক এমনকি ধর্মনৈতিক---যাই হোক না কেন সেটা বেড়েছে বই কমেনি৷

স্বয়ংসম্পূর্ণ সামাজিক–অর্থনৈতিক অঞ্চল

সত্যসন্ধ দেব

প্রাউটের মতে কোন বড় দেশের সমগ্র এলাকার সুষ্ঠু অর্থনৈতিক পরিকল্পনার জন্যে প্রাথমিক পর্যায়ে ওই দেশকে প্রয়োজনে একাধিক সামাজিক–অর্থনৈতিক অঞ্চলে (socio-economic unit) বিভক্ত করা উচিত ও প্রতিটি অঞ্চলের জনগোষ্ঠীকে তাদের নিজ নিজ এলাকার সার্বিক উন্নয়নের জন্যে পৃথক পৃথক ভাবে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণের সুযোগ প্রদান করা বাঞ্ছনীয়৷ যে সমস্ত বিষয়গুলির ভিত্তিতে এই বিভাজন করা হবে তা হ’ল,

১. একই ধরণের অর্থনৈতিক সম্পদ ও সমস্যা৷ তার সঙ্গে সঙ্গে অবশ্যই স্বয়ংসম্পূর্ণ অর্থনৈতিক অঞ্চল হওয়ার সম্ভাবনা •potentiality—

দণ্ডকারণ্যেও ‘বাঙালী খেদাও’?

মানস দেব

অসমের পর আন্দামান, আবার দণ্ডকারণ্যেও বাঙালীদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষের বিষ ছড়ানোর চাঞ্চল্যকর খবর প্রকাশিত হয়েছে বহুল প্রচারিত বাংলা দৈনিকে৷ সরকারী উদ্যোগেই বাঙালী উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছিল দণ্ডকারণ্য সহ ভারতের বিভিন্ন স্থানে ৷ উদ্বাস্তু বাঙালীরাও সমস্ত বঞ্চনা দুঃখ-কষ্ট স্বীকার করে নিয়ে দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করে নিজেদের বাঁচার ব্যবস্থা করেছিলেন৷

আগামী লোকসভা নির্বাচন যেন সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করা হয়

প্রভাত খাঁ

ভারত একটি বহুভাষাভাষীর বিরাট দেশ৷ এখানকার গণতন্ত্র আজ বিভিন্ন দলের নেতানেত্রীদের শাসনাধীনে চলছে ৷ এই গণতন্ত্রের বয়স হলো ৭১ বছর৷ আগামী ২০১৯শে লোকসভার নির্বাচন হবে ১৯ এর প্রথমদিকে৷ আমাদের রাজ্যের লোকসভার আসন ৪২ টি ৷ এই ৪২টি আসনের নির্বাচন আছে৷ এদিকে এই আসনের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে যে কী করবে তার কোন ভবিষ্যৎ কর্মপন্থার কথা না বলে শুধু দু’দলের মধ্যে তর্জার লড়াই চলছে৷ এদিকে অন্যান্য বিরোধী দল তাদের যে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যে কর্মসূচী গ্রহণ করবে তার কোন চিহ্ণ দেখা যাচ্ছে না৷ কংগ্রেস শাসনে এলে কৃষিঋণ নাকি ১০ দিনে মকুব করে দেবে৷ সরকারের পক্ষ থেকে শাসকদল বলছে যে কংগ্রেস সারা দেশে বি

বিভিন্ন মতবাদ বনাম মানবধর্ম

আচার্য অমৃতবোধানন্দ অবধূত

এই ধরাপৃষ্ঠে মানুষের আবির্র্ভব দশ লক্ষ বছর পূর্বে হলেও মানবসভ্যতার সূত্রপাত হয়েছিল আজ থেকে মাত্র পনের হাজার বছর পূর্বে ঋগ্বেদের আমলে৷ তার পূর্বে মানুষকে একটা বন্য ও প্রকৃতির প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে দীর্ঘ অসহায় জীবন কাটাতে হয়েছিল৷ সভ্যতার সূত্রপাত তখন হলেও, বিধিবদ্ধ দাম্পত্য জীবন বা পারিবারিক জীবনের সূচনা হয়েছিল আজ থেকে সাত হাজার বছর পূর্বে তারকব্রহ্ম সদাশিবের আবির্ভাবের পরে৷ তার পূর্বে সুসংবদ্ধ কোন পারিবারিক জীবন ছিল না৷ সমাজে সন্তানের মায়ের পরিচয় থাকলে জন্মদাতা পিতার কোন পরিচয় ছিল না৷ সন্তান লালন পালনের দায়িত্ব একা মাকেই বহন করতে হতো৷ এই বিশ্বে শিবই প্রথম বিবাহিত পুরুষ ছিলেন৷ তিনি এইভাবে পরি

ঐক্যের ভাবনা

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

গত ৩১শে অক্টোবর ২০১৮ গুজরাতের নর্মদা জেলায় সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জন্মভিটেতে প্রতিষ্ঠিত হ’ল সর্দার প্যাটেলের ৫৯৭ ফুট উচ্চতার বিশাল মূর্ত্তি৷ এ মূর্ত্তি নির্মাণে খরচ হয়েছে ২৯৮৯ কোটি টাকা ও মূর্ত্তিটি এখনও পর্যন্ত বিশ্বের সর্বোচ্চ৷ এই মূর্ত্তির নামকরণ হয়েছে ‘ঐক্যের মূর্ত্তি’ বা ‘স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’---যার উদ্দেশ্য হিসেবে প্রচারিত হয়েছে, দেশবাসীর মনে ঐক্যের ভাবনা জাগ্রত করা৷ ৩১শে অক্টোবর দেশের বিভিন্ন জায়গায় আয়োজিত হয়েছে ‘ঐক্যের জন্যে দৌড়’ বা ‘রান ফর ইউনিটি’---সব মিলিয়ে সমগ্র দেশকে এক অটুট বন্ধনে সংগ্রথিত করার সুচিন্তিত শুভ প্রয়াস৷ এই শুভ প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছেন দেশবিদেশের বহু গণ্যমান্য

সব দায় প্রশাসন ও রাজনীতিবিদদের ঘাড়ে চাপিয়ে দিলেই হয় না

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

গোটা দেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গেও মানুষের অসংযমী আচরণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ যার স্বীকার হচ্ছে শিশু থেকে বৃদ্ধা সব বয়সের মেয়েরা৷ স্বাভাবিকভাবে সব দায় প্রশাসনের ঘাড়ে এসে পড়ে ও প্রশাসনের মাথায় যেহেতু রাজনীতিবিদরাই বসে তাদেরকেই দায় নিতে হয়৷ প্রশাসনের অযোগ্যতা, রাজনীতিবিদদের অস্বচ্ছতা সবকিছু মেনে নিয়েও বলতে হচ্ছে এদের বাহিরে আর একটা গোষ্ঠী আছে সমাজের নক্কারজনক অবস্থার জন্য তারাও কম দায়ী নন৷ এরা হলেন শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি জগতের লোকজন ও বর্তমান খেলার জগৎও৷ এদের সুবিধা হচ্ছে এদের কোন দায়-দায়িত্ব নেই, কিন্তু জ্ঞান-গর্ভ বাচালতার অবাধ স্বাধীনতা আছে৷ রুশ বিপ্লব, ফরাসী বিপ্লবের পিছনে এদের বিরাট অবদান৷ এদে

সংক্ষেপে প্রাউটের অর্থনৈতিক তত্ত্বের মূল কথা

সত্যসন্ধ দেব

প্রাউটের অর্থনৈতিক তত্ত্বের মূল কথা হ’ল প্রথমতঃ সমাজের প্রতিটি মানুষের যুগানুসারে জীবনের নূ্যনতম চাহিদা পূরণের গ্যারাণ্ঢী দেওয়া৷ দ্বিতীয়তঃ সকলের নূ্যনতম চাহিদা মেটানোর পর গুণীদের মধ্যে গুণানুপাতে বণ্ঢন৷ তৃতীয়তঃ, নিম্নতম মানের ক্রমবৃদ্ধি সমাজের অর্থনৈতিক উন্নতির প্রকৃত সূচক৷ আর এর মধ্য দিয়ে সর্বনিম্নমান সর্বোচ্চ মানের ব্যবধান হ্রাস করার প্রয়াস চালিয়ে যেতে হবে৷

বর্ত্তমান শাসন ব্যবস্থায় রাজনৈতিকভাবে শিক্ষাক্ষেত্রে প্রধানদের উপর ভয়ংকর মানসিক ও শারীরিক চাপ তাই প্রধান হওয়ার অনীহা

প্রভাত খাঁ

মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ হতে শিক্ষাবিদ বিশেষ করে অধ্যাপকদের এতো অনীহা কেন এর উত্তর তো একটাই তা হলো অধ্যক্ষপদে গেলে ছাত্রছাত্রাদের বহুমকী তো অধ্যক্ষকেই সহ্য করতে হবে৷ কখনো কখনো সেই ছাত্র-ছাত্রাগণ দাবী আদায়ে অফিস ঘরে আটক করে রেখে তাঁকে জল পান করতে, এমনকি প্রাকৃতির ডাকে বাহিরে যেতেও দেয় না৷ শুধু তাই নয় বর্তমানে সরকারের নিয়ন্ত্রণটা এতটা শিক্ষাক্ষেত্রের ওপর পড়েছে যার দরুণ সরকারী নির্দেশের তিলমাত্র এদিক ওদিক হলে অধ্যক্ষের চেয়ারও টলমল করতে পারে৷ শিক্ষাবিদ্গণ শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষাদান করেই তাঁদের পবিত্র কর্তব্যের সমাপ্তি ঘটাতে চান৷ কিন্তু যত দিন যাচ্ছে শিক্ষাক্ষেত্রগুলিতো রাজনৈতিক দলগুলোর ছেলে ধরার আঁত