প্রবন্ধ

‘ধর্ম’ নিয়ে বিভ্রান্তি দূর হোক

সত্যসাধন সরকার

বর্তমানে বিজেপি ও তার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ‘ধর্ম’কে মাধ্যম করে আপন আপন রাজনৈতিক ফায়দা তোলার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছে৷ বিজেপি তো শুরু থেকে ধর্মের সেন্টিমেন্টকে প্রধান হাতিয়ার করে রাজনৈতিক ময়দানে লড়াই করতে নেমে বর্তমানে কেন্দ্রে ক্ষমতা দখল করেছে৷ এখন সামনের ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনী যুদ্ধে জয়লাভের জন্যেও এখন অন্যান্য সমস্ত অস্ত্র ছেড়ে ধর্মকেই একমাত্র হাতিয়ার করে নিয়েছে৷ বিজেপি’র কাছে এখন বোধ হয় আর এমন কিছু ইস্যু নেই যাতে নিজেদের কৃতিত্ব বা সাফল্য দেখিয়ে জনগণের দরবারে পুনরায় বোট ভিক্ষা করে৷ ‘আচ্ছে দিন’ও এল না, সুইসব্যাঙ্ক থেকে কালো টাকাও ফেরানো গেল না, গরীব জনসাধারণের ব্যাঙ্ক একজোট ১

রামলীলা ময়দানে কর্ষক সমাবেশ ঐতিহাসিক ঃ তাদের দাবী --- রামমন্দির নয় কৃষিঋণ মুকুব চাই

মুশাফির

ভারত কৃষিপ্রধান দেশ৷ দীর্ঘ ৭১ বছরে এদেশের কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি কৃষির উন্নতি কতটুকু করেছে? --- যার জন্যে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি গর্ববোধ করতে পারে? অদ্যাবধি উর্বর কৃষিজমির অধিকাংশ রাস্তা তৈরী করতে, শিল্প গড়তে ব্যবহার করেছে৷ বাড়ীঘর হয়েছে৷ ভূমি সংস্কার তেমন করেছে বলে মনে হয় না৷ চাষের উন্নতির জন্যে নূ্যনতম কাজগুলি কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার করেনি৷ অদ্যাবধি চাষাবাদের জন্যে যে জলটুকু প্রয়োজন তা অধিকাংশ চাষীই পায় না৷ আজও দেশের নদনদীগুলি, খাল-বিলের তেমন সংস্কার হয়নি৷ কিন্তু খরচ হয়েছে অনেক৷ গঙ্গা নাকি জাতীয় নদী?

শারীরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক বিকাশ চাই

যোগাচার্য্য

স্বাস্থ্য বলতে সাধারণতঃ মানুষের ধারণা শরীরটা সুস্থ থাকা৷ না, শুধু শরীর সুস্থ থাকলেই তাকে স্বাস্থ্য বলা হয় না৷ ধরা যাক, একজন শারীরিক ভাবে সুস্থ কিন্তু প্রচণ্ড ধরণের মানসিক বিষাদে ভুগছে৷ তাকে কী করে সুস্থ বলতে পারি কিছুদিন পর মানসিক বিষাদ থেকে তার পরিপাক ক্রিয়ায় ত্রুটি দেখা দেবে, ও তারপর নানান দৈহিক রোগেরও শিকার হবে৷ তাই বলছি, কেবল শারীরিক সুস্থতাকে স্বাস্থ্য বলে না৷

বুদ্ধিজীবীদের ভাবনায় প্রাউট

একর্ষি

বর্তমানে সমগ্র বিশ্বই মন্দার শিকার৷ কম–বেশী সব দেশেই তার প্রভাব পড়েছে৷ এই পরিস্থিতিতে সকল রোগের মকরধ্বজ রূপে প্রাউট বুদ্ধিজীবীদের আকর্ষণ করেছে৷ তাঁদের দৃষ্টিতে প্রাউটের অভিনবত্ব ও বিশেষত্ব নির্ণীত হয়েছে৷ অর্থনীতি সচেতন প্রতিটি মানুষই জানেন যে অর্থনীতি বিষয়টাই দাঁড়িয়ে আছে উৎপাদন–বণ্ঢন–ভো ব্যবস্থার ওপর৷ বুদ্ধিজীবীরা লক্ষ্য করেছেন প্রাউট অর্থনীতিতে গোটা ব্যবস্থাপনার নিয়ামক ও সঞ্চালক সমবায় পদ্ধতি৷ প্রাউটের সমবায় পদ্ধতি প্রথাগত সমবায় থেকে স্বতন্ত্র৷ তাঁরা বলেছেন, সমবায় প্রাউট অর্থনীতির একটি উল্লেখযোগ্য দিক৷ আরো লক্ষ্য করেছেন সমবায় অর্থনীতির মূল লক্ষ্য সর্বাধিক উপযোগ বা ভোগ ও সামূহিক কল্যাণ৷ অন্য

সমাজে নীতিবাদীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে শোষণ মুক্তির নোতুন আদর্শ গ্রহণ করতে হবে

প্রভাত খাঁ

মানবজীবনে যদি আদর্শ না থাকে তাহলে জীবন সার্থক হতে পারে না৷ মানুষ মননশীল উন্নত প্রাণী বিশেষ৷ সাধারণ ভোগ লালসার শিকার হয়ে যদি মানুষ চলে তাহলে মনুষ্যত্ব বলতে আর আদর্শবান বলতে যা বোঝায় তার ত্রিসীমানায় থাকাটা সম্ভব নয়৷ তাই বলা হয় ‘হাই থিঙ্কিং প্লেইন লিভিং’ হ’ল সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকার মহৎ উপায় বা পথ নির্দেশনা৷ ভারত তাই ঘোষণা করেছে সুপ্রাচীন কালে ‘ভূমৈব সুখং নাল্পং সুখমস্তি’৷ ‘ভূমাকে লাভ করাই সুখ, সেটা ব্যতীত সুখ লাভ সম্ভব নয়’৷ এই ভূমা কী?

প্রধানমন্ত্রীজি সত্যি কথাটা বলে ফেলুন

অমলেন্দু ভূষণ দাস

গত ২১শে অক্টোবর ২০১৮ আজাদ হিন্দ সরকারের ৭৫বছর পূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষ্যে লালকেল্লায় অনুষ্ঠিত জনসভায় পতাকা উত্তোলন করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে ভাষণ দিয়েছিলেন তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমার প্রবন্ধ৷ ওই জনসভায় নেহেরু পরিবারকে কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘‘একটি পরিবারকে বড় করতে গিয়েই নেতাজীর মত ব্যক্তিত্বকে ছোট করা হয়েছে৷’ খুব সত্যি কথা৷ নেতাজী ছিলেন অখণ্ড ভারতের একনিষ্ঠ সেবক অন্যদিকে ইংরেজ সরকারের বশংবদ জহরলাল নেহেরু ভারত ভাগের প্রধান কারিগর৷ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, নেতাজীর অবদানকে ভোলানোর চেষ্টা করা হয়েছে তাঁর এই বক্তব্য অর্ধেকটা সত্য, বাকি অর্ধেকটা প্রধানমন্ত্রী নিজেও চেপে গেছেন৷ তিনি যদি জানেনই নেতা

কৃপা, করুণার সঙ্গে মাইক্রোবাইটামের সম্পর্ক

শ্রী সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

 

রমপুরুষের কৃপা ও করুণার সহিত মাইক্রোবাইটামের বিশেষ যোগ সূত্র আছে৷ আর এই বিশেষ যোগ সূত্র কোথায় তা জানতে হলে বা বুঝতে হ’লে আমাদের এই মানব দেহের চক্রগুলির অবস্থান অনুযায়ী কটি ভাগ আছে ও চক্রগুলির বৈশিষ্ট্য ও তার গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জেনে নিতে হবে৷

বাঙালীর অস্তিত্বের সংকট

আচার্য অমৃতবোধানন্দ অবধূত

সম্প্রতি ফেব্রুয়ারী বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরায় বিজেপি ও আই.পি.এফ.টি জোট কম্যুনিষ্টদের পরাস্ত করে ক্ষমতায় আসে৷  আই.পি.এফ.টি আসল দাবী রাজ্য ভাগ করে পৃথক তিপ্রাল্যাণ্ড গড়া৷ রাজ্য বিধানসভায় ৬০টি আসনের মধ্যে ৪৪টা আসন নিয়ে বিজেপি ক্ষমতায় আসে৷ তার আগের নির্বাচনে বিজেপির কোন আসন ছিল না৷ তাদের প্রাপ্ত ভোট ছিল মাত্র ১.৫ শতাংশ৷ দীর্ঘ কম্যুনিষ্ট শাসন ও শোষন রাজ্যবাসী দমবন্ধকরা অবস্থা থেকে বাঁচতে সর্ব ভারতীয় শক্তি স্বরূপ বিজেপিকে শুধু অবলম্বন হিসাবেই গ্রহণ করেছিলেন৷ রাজ্যবাসীর সমস্যার   সার্বিক সমাধানের  লক্ষ্য তাদের কাছে তখন গৌণ ছিল৷ রাজ্যে ক্ষমতাসীন হওয়ার পূর্বশর্ত অনুসারে আই.পি.এফ.টি,-র পক্ষ থেকে ব

অবযন্ত্রণার মুশকিল আসান

আচার্য রবীশানন্দ অবধূত

বৈশ্যতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার নির্লজ্জ দৃষ্টান্ত মুকেশ আম্বানীর মেয়ের বিয়ের একটি আমন্ত্রণ পত্রের মূল্য তিন লক্ষাধিক টাকা৷ অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের চা-বাগানে, জঙ্গলমহলের প্রত্যন্ত গ্রামে, বা ওড়িশ্যার কালাহান্ডি অথবা দণ্ডকারণ্যে বা ঝাড়খণ্ডের পালামো অথবা লোহার-দাগার দারিদ্র্য পীড়িত কত শত গ্রামে অনাহারে অপুষ্টিতে দীর্ঘদিন জ্বরে ভুগে বিনা চিকিৎসায় অসহায় মানুষের মৃত্যু হচ্ছে৷ আধুনিক সংবাদ মাধ্যমের দৌলতে এসব ঘটনা আজ সর্বজন বিদিত৷ এই হল বৈশ্যতান্ত্রিক গণতন্ত্রের আসল রূপ৷ বৈশ্যশাসিত সমাজব্যবস্থার পরিবর্ত্তন না হওয়া পর্যন্ত তিন লক্ষ টাকার নিমন্ত্রণ পত্রও হতে থাকবে,আর অর্থ তছরূপকারী তথাকথিত শিল্পপতি বিজয় ম

নিরাপত্তার  পরিবর্ত্তে নির্যাতন ঃ এ কোন আশ্রয়?

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

 সারাদেশের প্রত্যেক রাজ্যেই সরকারী ও বেসরকারী পরিচালনায় মহিলা, শিশু, প্রতিবন্ধীদের জন্যে ‘হোম’ বা আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে, যাদের দায়িত্ব হচ্ছে আবাসিকগণের নিশ্চিন্ত আশ্রয় ও সুরক্ষা সুনিশ্চিত করা৷ কিন্তু মাঝে মধ্যেই এই সমস্ত হোমগুলির সম্পর্কে জঘন্য ও নিন্দনীয় ঘটনার সংবাদ প্রকাশিত হয়৷ কয়েকদিন আগে হাওড়া জেলার জয়পুরের পারবাকসিতে অবস্থিত একটি বেসরকারী হোমের চারজন কিশোরীকে যৌননির্যাতনের অভিযোগে সেই হোমেরই তিনজন কর্মী --- কেয়ার টেকার ফণীমোহন বাগ, কর্মী প্রতাপ প্রামাণিক ও ড্রাইভার বাবলু ধাড়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ নির্যাতিতাদের মধ্যে তিনজন মানসিক প্রতিবন্ধী ও একজন শ্রবণ প্রতিবন্ধী৷ কয়েকদিন আগে জে