প্রবন্ধ

অনন্য প্রাউট (পঞ্চম পর্ব)

 জিজ্ঞাসু

প্রাউট দর্শনের নানা বৈশিষ্ট্য আছে৷ আজ প্রগতিশীল শব্দের প্রাউটিস্টিক ব্যাখ্যা বুঝে নেবার চেষ্টা করব৷ তার পূর্বে জানবো এই বিষয়ে ধনতান্ত্রিক জড়বাদী ব্যাখ্যা কী বলে৷ পুরাতন সব কিছুর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ, জড়ভোগবাদকে বেলাগাম প্রশ্রয়, তারজন্য মানব অধিকার ও স্বাধীনতার দাবি চলছে দেশে দেশে৷ গান তৈরী হচ্ছে, ‘‘আমাকে আমার মত থাকতে দাও’’৷ যে যেমন ইচ্ছা ব্যষ্টিগত জীবনযাপন করবে ৷ তাতে অন্যের অসুবিধা হলে হবে৷ তাদের কথা আমরা আমাদের নিয়ে মত্ত থাকি বা যা ইচ্ছা করি, আমরা তো কারো ক্ষতি করছিনা৷ এই চিন্তার বশবর্তী হয়ে কিছু দেশের সরকার তো নারী-পুরুষের দেহ ব্যবসাকেও স্বীকৃতি দিয়ে দিয়েছে৷ সরকারের ট্যাক্স পেলেই হ’ল --- মদ

রাফেল-বফোর্স তর্জা না---উন্নয়ন কোনটা জরুরী?

সুকুমার সরকার

বোফোর্স কেলেঙ্কারী নিয়ে রাজীব গান্ধীর বিরুদ্ধে নানান কথা উঠেছিল৷ তার পরেও কংগ্রেস বেশ কয়েকবার ক্ষমতায় এসেছে ৷ কেননা, সরকার গড়তে যারা ভোট দেয় তারা এসব বোফোর্স ঠোফোর্স বোঝে না৷ সম্প্রতি নরেন্দ্রমোদীকে নিয়ে রাফেল কেলেঙ্কারীরর যে কথা বলে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী গলা ফাটাচ্ছেন, সেটাও ভারতীয় ভোটারদের একটি বিরাট অংশ কিছুই বুঝবে না৷ উল্টে এ ধরনের কথায় কিংবা ভিডিও টুইটে সাধারণ ভোটারদের মনে রাহুল গান্ধীর ইমেজে কিঞ্চিৎ হলেও নেগেটিভ প্রভাব পড়ছে৷ কেননা, এই মুহূর্তে ভারতীয় ও ভোটারদের কাছে অন্য অনেক ইস্যু বেশি জরুরি৷ বিশেষ করে কৃষি উন্নয়ন , ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশ বেকার সমস্যা দূরীকরণের মতো বিষয়

বর্তমানের চরম সংকটে জনগণকে মানবিক মূল্যবোধকে জাগ্রত করে এগুতে হবে, নিছক দলবাজি করা নয়

মুসাফির

এদেশে কিছু হোক আর না হোক সংসদীয় গণতন্ত্রে ঢাক পেটাবার জন্য যখন যারা কি কেন্দ্রে আর কি রাজ্য শাসনে আসে তারা গদীতে বসেই নোতুন নোতুন উন্নয়নের ফিরিস্তি ছাড়ে যা দেখে এদেশের জনগণ বিশেষ করে যে দলের শাসন কায়েম হয় তারা সেই সব নিয়ে বাজার গরম করে৷ আর তারাই হয়ে যায় দেশের প্রথম শ্রেণীর নাগরিক অর্থাৎ শাসক দলের সমর্থক, কর্মী, বিশেষ করে ক্যাডার৷ দল তাদের ছেড়ে রেখেছে৷ জনসংযোগ তারাই করে৷ তাই তারাই হয় দণ্ডমুণ্ডের কর্র্ত্ত৷ শুধু তাই নয় পুলিশ প্রশাসন তো তাদের হাতে তাই তারাই সর্বদা তিলকে তাল করে আর তালকে তিল করে, যেটি দলীয় স্বার্থে প্রয়োজন তাই করেই চলে৷ যখন দল উল্টে যায় তখন তারা আর হালে পানি পায় না৷ তখনই মিথ্যার

শারদোৎসবের মহিমা

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মেই পৃথিবীর বুকে নেমে আসে স্নিগ্দ শরৎ৷ নির্মল সুনীল আকাশে শাদা মেঘের ছোপ, বাতাসে শিউলি, কেতকীর সৌরভ মানুষের মনে জাগায় খুশীর হিন্দোল৷ বঙ্গে শরৎ ঋতুর আগমন মানেই শারদোৎসবের প্রস্তুতি৷ পাড়ায় পাড়ায় সুদৃশ্য প্যাণ্ডেলে রংবাহারি কারুকার্যের বৈচিত্র্যে দক্ষ শিল্পীর নিপুণ শিল্পকর্মের নিদর্শন ফুটে ওঠে৷ দিন যত এগিয়ে আসে সকলের ব্যস্ততা ততই তুঙ্গে উঠতে থাকে৷ আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা মাতৃবন্দনা ও শক্তি আরাধনার আনন্দযজ্ঞে সামিল হয়৷ ঢাকের বাদ্যি, আলোর রোশনাই, ধূপের গন্ধ ও বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণে সকলের মনে খুশীর প্লাবন বয়ে চলে৷ নূতন জামাকাপড়ে সুসজ্জিত মানুষজন শারদোৎসবের দিনগুলিতে দৈনন্দিন দুঃখ-বেদ

বন্ধু হে, নিয়ে চলো.......

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

বর্তমান পৃথিবীর এক সংকটময় মুহূর্ত্তে মানব সভ্যতা যখন ক্রমশঃ মর্র্মন্তিক পরিণতির দিকে এগিয়ে চলেছে, চতুর্দিকে অস্ত্রের ঝনঝনি, রাসায়নিক-পারমানবিক অস্ত্রের বিষবাষ্প, মানুষের লোভ, অহংকার ও বর্বরতা বিশ্বপিতার সুন্দর সৃষ্টি পৃথিবীর সর্বনাশে উদ্যত--- এই যুগসন্ধিক্ষণে আবির্ভূত মহান দার্শনিক শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার মানব সমাজের কল্যাণে প্রদান করলেন যুগান্তকারী ‘‘প্রভাত সংগীত’’ যার প্রথম গানটি রচিত হল ১৯৮২ সালের ১৪ই সেপ্টেম্বর দেওঘরের মনোরম প্রাকৃতিক ও আধ্যাত্মিক পরিমন্ডলে ঃ

 ‘‘বন্ধু হে নিয়ে চলো,

আলোর ওই ঝর্ণাধারার পানে৷৷

আঁধারের ব্যথা আর সয় না প্রাণে৷৷

এ রাজ্যে বর্তমান দুর্দিনে সকলে মিলে তিক্ততা ভুলে জাতীয় সম্পদগুলিকে রক্ষার কাজে হাত লাগান

প্রভাত খাঁ

বর্তমানে এই বাঙলার দুটি বিষয়ে সংবাদপত্র, রাজনৈতিক দলগুলি, সরকার, তার সাথে সাথে জনগণ খুবই মুখর হয়েছেন ও সারা রাজ্য এ ব্যাপারে সকলেই দুশ্চিন্তায় মগ্ণ৷ যে ব্যাপারে সবাই উদ্বিগ্ণ তা হলো বাঙলার অধিকাংশ সেতুই বিপজ্জনক৷  আর বাজারগুলিতে, যেগুলি বিখ্যাত, প্রায় আগুন লাগায় কোটি কোটি টাকার নিত্যপ্রয়োজনীয় মালপত্র আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যাওয়াতে পূজার মরশুমে রাজ্যবাসী সকলে বিমর্ষ ও দুঃখিত!

অনন্য প্রাউট

জিজ্ঞাসু

অতি দ্রুত ভারতের প্রতি রাজ্য সমৃৃদ্ধিতে ভরে যেতে পারে৷ এমন কি সেই ভারতীয় মডেলে সমস্ত পৃথিবীর দুঃখ দূর হতে পারে৷ স্থানীয় ভাষায় কথা বলা মানুষের, ভাষাভিত্তিক সমাজ বানিয়ে নেবেন৷ নিজের মাতৃভাষা ভিত্তিক অঞ্চলে মানুষটিকে পেশার জীবন, উন্নততর বাসস্থান, নিরন্তর সমৃদ্ধি স্বাস্থ্য-গতি নিপুণতা, পরিচ্ছন্নতা, গভীর সংযোগ ব্যবস্থা, তার সাথে মানসিক জগতে ঋদ্ধি ও আধ্যাত্মিক জগতে একত্ব, সংশ্লেষণ, সমবায় ও পূর্ণতার বোধ, সার্বিক সামাজিক সুরক্ষার আঞ্চলিক পরিকাঠামো দিতে হবে৷ কে দেবে ?

একটি বৈঠকী বার্তা

মনোরঞ্জন বিশ্বাস

নমস্কার, আলোচনার শুরুতে একটা কথা বলে নেওয়া ভাল -- যে তর্ক করে নিজেদের শ্রেষ্ঠ প্রতিপন্ন করা বা পান্ডিত্য জাহির করাটা এই আলোচনার উদ্দেশ্যে নয়৷ পারস্পরিক মত বিনিময়ের মধ্যে দিয়ে একটা সহজ সত্যে পৌছে যাওয়াটাই আমাদের লক্ষ্য৷ এই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের ভূমিকা কী বা দায়বদ্ধতাটাই কী?

প্রথম কথা হল কাউকে দোষারোপ বা কারো সমালোচনা করে লাভ নেই ৷ এটা কোন সমাধানের পথও নয়, সমস্যার মূল শিখরটা খুঁজতে হবে৷ মূল জায়গার ত্রুটি /গন্ডগোল/ঘাটতিটা বের হলে সমাধান সহজ ও স্বাভাবিক হবে৷

প্রাউটের শিল্পনীতি

 সত্যসন্ধ দেব

প্রাউটের পঞ্চমূলনীতিতে বলা হয়েছে, বিশ্বে যে সম্পদ আছে তা মুষ্টিমেয় পুঁজিপতিদের হাতে কুক্ষিগত হতে দেওয়া যাবে না৷ তাই প্রয়োজনাতিরিক্ত অবাধ সঞ্চয় প্রাউটে নিষিদ্ধ৷ তার ফলে সমাজ পুঁজিপতিদের দ্বারা তৈরী কৃত্রিম অভাবের অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবে৷ এবার, প্রকৃতির দেওয়া সম্পদের উৎকর্ষ সাধন করতে হবে৷ তাই আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে এ কাজে নিয়োজিত করবার সর্বাধিক প্রয়াস চাই৷ এইভাবে প্রাকৃতিক সম্পদকে মানুষের অভাব পূরণের উপযোগী করতে  হবে ও তার এমনভাবে সুষ্ঠু বন্টনের ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে সমাজের প্রতিটি মানুষের ন্যূনতম চাহিদা পূরণ হয় ও তাদের জীবনের মান উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পায়৷ সমবণ্ঢন সম্ভব নয়৷ কিন্তু বন্টন