ভারতবর্ষের জনগণের ‘অচ্ছে দিন’-এর স্বপ্ণে এফ.আর.ডি.আই কি বৃহত্তম আঘাত?
বর্তমানে সংবাদপত্র ও বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে সর্বাপেক্ষা চর্চিত বিষয়ের নাম এফ. আর. ডি.
বর্তমানে সংবাদপত্র ও বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে সর্বাপেক্ষা চর্চিত বিষয়ের নাম এফ. আর. ডি.
বর্তমানে ভারতের ভাগ্যবিধাতা হয়ে যাঁরা কেন্দ্রে বসেছে, তাঁদের চিন্তা ভাবনার মধ্যে দেখা যাচ্ছে প্রতি পদে পদে অপরিণামদর্শিতার ছাপ৷ আশ্চর্য হতে হয় যখন কানে আসে একটা কথা --- ‘‘যারা ওপার থেকে এসেছে তাদের ওপারে তাড়ানো হবে’’৷ ওপার মানে পূর্ব পাকিস্তান (অধুনা বাংলাদেশ)৷ এই পূর্ব পাকিস্তান কারা জন্ম দিয়েছিল?
সমাজ সম্পর্কে আনন্দমার্গ দর্শনের প্রণেতা শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী বলেছেন–‘‘নীতিবাদের স্ফূরণ থেকে বিশ্বমানবত্বে প্রতিষ্ঠা–এ দুয়ের মাঝখানে রয়েছে যেটুকু অবকাশ তাকে অতিক্রম করার যে মিলিত প্রয়াস তারই নাম সামাজিক প্রগতি, আর যারা মিলেমিশে চেষ্টা করে এই অবসরটুকু জয় করবার প্রয়াসে রত হয়েছে তাদের নাম একটা সমাজ৷’’ সমাজ সম্পর্কে এই স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গীর পরিচয় ইতোপূর্বে মানুষ পায়নি৷ উপরিউক্ত সংজ্ঞা থেকেই ধারণা করা যায়, আনন্দমার্গের দর্শনশাস্ত্র, ধর্মশাস্ত্র ও সমাজশাস্ত্রের চিন্তাধারা প্রচলিত সমস্ত প্রকার দর্শন ও শাস্ত্রের তুলনায় উন্নত, স্বতন্ত্র ও বিপ্লবধর্মী, সর্বপ্রকার সংকীর্ণতামুক্ত উদার ও সার্বভৌম পথের
এগার বছরের ছেলেটি৷ র্যাভেনশ কলেজিয়েট সুক্লের ছাত্র৷ ভারি সুন্দর দেখতে৷ টানা টানা চোখ৷ একমাথা কালো চুল৷ পুষ্টল গোলগাল মিষ্টি মুখখানা৷ দেখার সঙ্গে সঙ্গেই ভালবাসতে ইচ্ছে করে৷ কিন্তু যে বয়সের যা তার ভীষণ ব্যতিক্রম এই ছেলেটির স্বভাবে৷ কোথায় সারাদিন খেলা–ধুলো নিয়ে মেতে থাকবে তা’ নয় – লাজুক ও গম্ভীর প্রকৃতির ছেলেটি – সকলের সঙ্গ এড়িয়ে – একাকী বসে বসে কী সব ভাবতেই যেন ভালাবাসে৷ ভাসা ভাসা চোখের প্রসারিত দৃষ্টি মেলে সে যখন বসে থাকে – দেখে মনে হয় – সে কিছুই যেন দেখছে না, শুধু ভাবছে আর ভাবছে আবার কখনো মনে হয় কী যেন খুঁজছে অথবা ঢুকতে চাইছে কোনো গভীরতর ভাবনার অন্তরঙ্গ প্রদেশে৷
‘‘বাণিজ্যে বসতি লক্ষ্মী’’–এই প্রবাদ বাক্যটি দিয়েই মূল প্রসঙ্গে আসা যাক৷ ভারতীয় ‘‘দেব–দেবী ভাবনায় ‘লক্ষ্মী’ হ’ল ধনের অধিষ্ঠাত্রী দেবী৷ কিন্তু যেখানেই ‘ধন’ সেখানেই অর্থের কেন্দ্রীকরণ৷ অর্থ এক জায়গায় সঞ্চিত অথবা এক বা মুষ্টিমেয় মানুষের কুক্ষীগত না হলে ধন সৃষ্টি হয় না৷ পুঁজিপতি হওয়া যায় না৷ অতিরিক্ত ধন বা পুঁজি কেন্দ্রীকরণ হলেই বঞ্চনা শোষণের ক্ষেত্র তৈরী হয়৷ আবার বাণিজ্যে ধনাগম মানেই মুনাফামুখী অর্থনৈতিক ক্রিয়া–কলাপ৷ সর্বাধিক মুনাফা যেখানে লক্ষ্য, সেখানে শোষণ–বঞ্চনার ক্ষেত্র তৈরী হয়৷ কেননা জনস্বার্থ এক্ষেত্রে উপেক্ষিতই থেকে যায়৷ কাজেই মানুষের সর্বাধিক কল্যাণ কাম্য হলে অর্থ–মুনাফার কেন্দ্রীয়কর
শুভ নববর্ষ৷ সবাইকে আন্তর্জাতিক নববর্ষের প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাই৷ ২০১৭ সাল পেরিয়ে ২০১৮ সালে পা দিলুম৷ আমরা কোথায় আছি? পেছনের দিকে তাকিয়ে আমরা কী দেখছি? একদিকে এক শ্রেণীর ধনিক ও উচ্চবিত্ত শ্রেণীর বিপুল বিলাসিতা, পাশাপাশি জনসাধারণের বৃহদংশের চরম দারিদ্র্য ও বেকারত্ব৷ দুর্নীতিতে সারা দেশ ভরে গেছে৷ গরীব মানুষের টাকা লুঠে নিচ্ছে জনপ্রতিনিধির মুখোসধারী এক শ্রেণীর ভদ্র লুঠেরা৷ অথচ এঁরাই সমাজে নেতা বলে পরিচিত৷ তারপর মেয়েদের ওপর জঘণ্য নারকীয় অত্যাচার–যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না৷ মনে হয় মানুষ এখন তার মনুষ্যত্ব হারিয়ে বিবেক বিচারবুদ্ধিহীন পশুতে পরিণত হয়ে যাচ্ছে৷
সবাই সুখ চায়, শান্তি চায়৷ কিন্তু বর্তমান পরিবেশ পরিস্থিতি সুখ বা শান্তির জন্যে অনুকূল নয়৷ অর্থ দিয়ে মানুষ কত কি করছে৷ সুখ শান্তি সে তো অর্থকরী ফসল নয় যে অর্থ দিয়ে তা কিনবে৷ তা মানুষের কর্মের পরিণতি৷ বর্তমান এ জটিল পরিস্থিতিতে এককভাবে শান্তি রক্ষা করাও সম্ভব নয়৷ তাই সামূহিক জীবনে শান্তি প্রতিষ্ঠিত করতে হলে চাই শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা৷ আর তারই জন্যে প্রয়োজন কুসংস্কার মুক্ত বৃহদাদর্শ৷ ‘‘যত মত তত পথ’’ হলে এখন আর চলবে না৷ সর্বধর্ম সমন্বয়ও আর কাজে লাগছে না৷ তাই চাই সংগ্রামী জীবন, বলিষ্ঠ মন, কর্মতৎপর, সৎসাহসী গোষ্ঠীবদ্ধ মানুষ৷ কী তাঁদের কাজ?
কালের আবর্তনে আবার একটা বছর অতিক্রান্ত৷ আন্তর্জাতিক ক্যালেন্ডারের পাতায় ২০১৭-র অবসানে ২০১৮ সনের আগমন৷ ঘটনার ঘনঘটায় পরিপূর্ণ একটি বছর হাসি-কান্নার সংমিশ্রনে প্রভাবিত করেছে মানুষের ব্যষ্টিগত জীবন কখনো সাফল্যের রশ্মিচ্ছটায় আবার কখনো ব্যর্থতার নিকষ আঁধারে৷ নববর্ষের নূতন স্পর্শে মানুষ জেগে ওঠে নবশক্তি সঞ্চারে --- নোতুন লক্ষ্যকে সামনে রেখে৷ অতীতের সাফল্য তাকে নূতন লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে চলতে প্রেরণা দেয় আর ব্যর্থতার অভিজ্ঞতা ফেলে আসা দিন গুলোর ভুল ত্রুটি শুধরে নিজেকে গুছিয়ে নিতে শেখায়৷ আগামী দিনের স্বপ্ণ আ র আশা মানুষের চালিকাশক্তি৷ এই শক্তিই ব্যষ্টিজীবন ও সমাজ জীবনে নব উদ্দীপনার উন্মেষ ঘটা
পূর্ব প্রকাশিতের পর
যোগাসন অভ্যাসকারীদের কিছু কথা অবশ্যই মনে রাখতে হবে---
১) কারো কথা শুনে কিংবা বই পড়ে নিজে নিজে আসন অভ্যাস করবেন না৷ এটা ঠিক অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই শক্তিশালী ঔষধ সেবন করার মতই অনুচিত৷ ভুল আসন শরীরে কুপ্রভাব ফেলবেই৷
২) তাড়াহুড়ো করে আসন অভ্যাস একেবারেই অনুচিত৷ এতে হৃদযন্ত্রের ওপর চাপ পড়ে রক্তসঞ্চালনে বিঘ্ন ঘটে৷
৩) আসন করার পর অঙ্গ সংবাহন (Massage of whole body) অবশ্যই করবেন৷
৪) আসন অভ্যাসের পর অভ্যাসকারীকে অবশ্যই আরাম বোধ করতে হবে, ক্লান্তি নয়৷
বিশ্বাসঘাতকতা ভারতের ইতিহাসকে বারবার কলঙ্কিত করেছে---
৩২৭ খ্রীঃ পূঃ- ম্যাসিডন রাজ আলেকজান্ডার এর ভারত অভিযানে তক্ষশীলার রাজা অস্তি কেবল বশ্যতা স্বীকারই করেননি, গ্রীক বাহিনীকে পথ দেখিয়ে নিয়ে আসেন, আর সেনা ও পরামর্শ দিয়ে গ্রীক বাহিনীকে নানাভাবে ভারতীয় ভূখন্ড দখলে সাহায্য করেন৷ বর্র্ণবতীর রাজা শশী গুপ্ত প্রমুখ অনেক রাজাই আলেকজান্ডারকে নানাভাবে সাহায্য করে বশ্যতা স্বীকার করে৷’’ ভারতের ইতিহাসে দেশদ্রোহির এটাই ছিল প্রথম উদাহরণ৷’’ ড. রমেশচন্দ্র মজুমদার৷