প্রবন্ধ

নৈতিকতা

দাদাঠাকুর

ছোট্ট ভাইবোনেরা, তোমরা জেনেছ যে মানব জীবনের লক্ষ্য হ’ল ঈশ্বরকে উপলব্ধির দ্বারা আনন্দ লাভ করা৷ কিন্তু আমাদের মনের কামনা–বাসনা, লোভ–লালসা আমাদের ঈশ্বরের দিকে না নিয়ে গিয়ে আপাত সুখের জন্যে জড় ভোগের দিকে নিয়ে যায়৷ মনের এই কামনা বাসনাকে বাধা দিয়ে ভোগমুখী মনকে ঈশ্বরমুখী করা দরকার৷ তার জন্যে চাই কিছু বিধি–নিষেধ৷ যেমন, একটা চারা গাছকে গোরু–ছাগল থেকে রক্ষা করে বড় করে তুলতে গেলে তার চারপাশে বেড়া দেবার প্রয়োজন হয়, ঠিক তেমনি সাধকের সাধনার পথে এগিয়ে চলার জন্যে যে প্রাথমিক বেড়া বা অনুশাসনের প্রয়োজন তার নাম নীতিবাদ বা নৈতিকতা৷

একুশে ফেব্রুয়ারীর শপথ

  ডঃ গোবিন্দ সরকার

ভারতের বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রাম ও ২১শে ফেব্রুয়ারী ঢাকা ও অসমের ১৯ শে মে’র শিলচরের বাংলা ভাষা আন্দোলন বাঙালি জাতির কাছে এক স্পর্শকাতর আবেগ মথিত বিষয়৷ ঘটনাগুলির উত্থাপন ও স্মৃতি রোমান্থনে আমরা যুগগৎ স্বজন হারানোর ব্যথায় বেদনার্ত হই ও স্বজাতির মহিমাময় আত্মত্যাগে গর্ব অনুভব করি৷ এক দুটো উদ্ধৃতিতে তার প্রমাণ মেলে –

‘‘মুক্তির মন্দিরে সোপানতলে কত প্রাণ হল বলিদান

                লেখা আছে অশ্রুজলে৷

কত  বিপ্লবী  বন্ধুর রক্তে রাঙা বন্দীশালার ঐ শিকলভাঙা

                তারা কি ফিরিবে আজ

                তারা কি ফিরিবে এই সুপ্রভাতে

প্রজাতন্ত্রের প্রতিশ্রুতি পালিত হচ্ছে না

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

১৯৪৭ সালের ১৫ আগষ্ট ভারতবর্ষ স্বাধীনতা লাভ করে৷ যদিও এই স্বাধীনতাকে সার্বিক স্বাধীনতা বলা যায় না৷ বলা চলে এদিন আমরা রাজনৈতিক স্বাধীনতা লাভ করেছি৷ অর্থনৈতিক স্বাধীনতা আমরা পাই নি৷ ব্রিটিশ শাসকের হাত থেকে শাসনতান্ত্রিক ক্ষমতা ভারতীয়দের হাতে এলেও বহুজাতিক পুঁজিপতি গোষ্ঠীর অর্থনৈতিক নাগপাশ থেকে ভারতের জনগণ মুক্তি লাভ করে নি৷

বাংলা আমার মাতৃভূমি আমি বাংলাকে ভালবাসি

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

গত ১৮ই জানুয়ারী ২০১৮ তারিখে অসম ভবনের সামনে আমরা বাঙালী সংঘটনের পক্ষ থেকে  বিক্ষোভ প্রর্দশনের সময় আমার  এক প্রাক্তন সহকর্মীর সঙ্গে দেখা৷ তিনি জিজ্ঞেস করলেন-কী ব্যাপার৷ আমি বললুম –“বাংলা ও বাঙালী” দুইই আজ বিপন্ন৷ অসমের ১ কোটি ৩৯ লক্ষ বাঙালীর নাগরিকত্ব সংকটের মুখে---তাই এই বিক্ষোভ ধুস৷ ওতে  কিছু হবে না বলে তিনি তাঁর গন্তব্যে চলে গেলেন৷ আমার সেই আপাদমস্তক  বাঙালী বন্ধুবরটির মত হয়তো বেশীরভাগ বাঙালীই এই ভাবনার শরিক৷ বাংলা ও বাঙালী যে সত্যই  আজ বিপন্ন এই বোধ টুকু তাদের নেই৷ বাংলাযে সব দিক থেকে বঞ্চিত শোষিত--- বাঙালীরা অত্যাচারিত উৎপীড়িত স্বভূমে পরবাসী--- এই ভাবনাগুলো কি

গান্ধী, নেহেরু, ব্রিটিশরা একযোগে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতেই সুভাষ বসুকে কংগ্রেস থেকে সরে যেতে বাধ্য করেছিলেন

মানস মল্লিক

মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী অসহযোগ আন্দোলনের জন্য জেলে৷ সেই সময় কংগ্রেসের গয়া অধিবেশন চলছে৷ সভাপতি দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ৷ সেই অধিবেশনে দেশবন্ধু বললেন, ব্রিটিশের সঙ্গে লড়াইয়ে নতুন ফ্রণ্ট খোলা হবে৷ সেই ফ্রণ্ট হবে আইনসভার ভেতরে৷ ভোটে জিতে ভেতর থেকে সরকারকে অচল করে দেওয়াটাই হবে নতুন কৌশল৷

কিন্তু গান্ধী গোষ্ঠী ভোট বয়কট, অধিবেশন সভা বয়কটের চিল চিৎকার জুড়ে দেশবন্ধুকেই বয়কট করে দিলেন গয়া অধিবেশন থেকে৷

পজেটিভ মাইক্রোবাইটামের ক্রিয়াগত অভিব্যক্তি

সমরেন্দ্রনাথ  ভৌমিক

অতীতে পজেটিভ মাইক্রোবাইটামের ব্যাপক প্রয়োগ হয়নি৷ পৃথিবীতে এই প্রথম মানুষের জন্যে ব্যবহারিক জগতে বিভিন্ন কাজে ও আধ্যাত্মিক প্রগতির জন্যে পজেটিভ মাইক্রোবাইটা  (মাইক্রোবাইটাম একটি ল্যাটিন শব্দ, এর বহুবচনে হবে মাইক্রোবাইটা) প্রয়োগ করা হচ্ছে৷ বলা বাহুল্য এই পজেটিভ মাইক্রোবাইটার ব্যাপক প্রয়োগ ও ব্যবহার সম্পর্কে পৃথিবীর বুকে বিস্তারিতভাবে বলেছেন--- মাইক্রোবাইটাম আবিষ্কারক শ্রী প্রভাত রঞ্জন সরকার৷ শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার বলেছেন--- মাইক্রোবাইটাম হ’ল সুস্থ সমাজ গড়ার চাবিকাঠি মাইক্রোবাইটামেই নিহিত রয়েছে৷

বিশ্বভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা হবে কী করে ?

আচার্য্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

আজ  আমরা দেখছি হিংসায় উন্মত্ত পৃথিবী নিত্য নিঠুর দ্বন্দ্ব’৷  পৃথিবী ধবংসকারী পারমাণবিক মারণাস্ত্রের পাহাড় তৈরী হচ্ছে৷

রাঢ়ের ওপর শ্রীপ্রভাত রঞ্জন সরকারের অবদান

অধ্যাপক চণ্ডীচরণ  মুড়া

১৯ নবেম্বর ২০১৭ আনন্দমার্গ প্রচারক সঙ্ঘের  রেনেসাঁ ইউনিভার্র্সল-এর আহ্বানে  পুরুলিয়ার  আনন্দনগরে  গিয়েছিলাম ‘রাঢ়’ নিয়ে বলতে৷ আমার বলবার  বিষয় ছিল ‘‘রাঢ়ের ওপর  শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকারের অবদান ’’৷ সহবক্তা ছিলেন  উত্তরপাড়া স্বামী নিঃসম্বলানন্দ গালর্স কলেজের অধ্যাপক  ও লেখক শুভমানস ঘোষ মহাশয় (বিষয়ঃ ‘‘সাহিত্য ও দায়িত্ব’’), সিধু-কানু-বীরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক লক্ষ্মীরাম  গোপ মহাশয় (বিষয়: ‘‘নব্যমানবতাবাদ শিক্ষা’’), সভাপতির ভূমিকায় ছিলেন সঙ্ঘের প্রবীণ সন্ন্যাসী আচার্য মন্ত্রেশ্বরানন্দ অবধূত৷ সুবক্তা ও পাণ্ডিত্যের অধিকারী এই বিদগ্দ আচার্য শ্রী সরকারের অর্

চাই নোতুন নেতা, নোতুন পরিকল্পনা

অরুণাভ গুপ্ত

জনগণের  যাঁরা প্রতিনিধি তাঁদের নীতিবাদী  হতেই হবে৷ জনগণের  প্রতিনিধি রূপ আইনসভায় গিয়ে জনগণের  স্বার্থে আইন পাশ করবেন, জনগণের সেবা করবেন--- এই কারণেই তাঁদের জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্র্বচিত  করা হয়েছে৷ এই কাজের  জন্যে  জনগণের কাছ থেকে ট্যাক্সরূপে সংগৃহীত অর্থ থেকে  তাঁদের বিপুল অংকের বেতন তথা ভাতা দেওয়া  হয়৷ রাজার মত সুযোগ সুবিধা তাঁরা ভোগ করেন৷

স্বামীজীর ভাবশিষ্য নেতাজীর দর্শন চিন্তা

সুধাংশু গঙ্গোপাধ্যায়

পূর্ব প্রকাশিতের পর

১৯/২০ বছর বয়সেই নেতাজী শঙ্করাচার্যের অদ্বৈত মায়াবাদে ভীষণ ভাবে বিশ্বাসী হয়ে পড়লেন৷ তাঁর যুক্তিবাদী ভাবুক মনটি মায়াবাদের দৃঢ়ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে Ignatius Loyola–র কিছু কিছু বক্তব্যে আকর্ষণ বোধ করতে থাকে৷ এই নবতর আকর্ষণের মূলে ছিলো এক Jesuit father–এ সঙ্গে তার ঘনিষ্টতা৷ পাদ্রী ভদ্রলোক ছিলেন মস্ত পণ্ডিত৷ কিন্তু তা সত্বেও অসাধারণ তীক্ষ্ণধী যুবক সুভাষের সঙ্গে তর্ক জালে জড়াতে জড়াতে একদিন তিনি স্বীকার করতে বাধ্য হন্ - ‘‘I admit that Shankara's position is logically the soundest – but to those who cannot live up to it, we offer the next best.’’