প্রবন্ধ

প্রভাতসঙ্গীতে আলোকের বার্তা

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

‘‘আলো এল, ভোরের আলো নূতনের বারতায়৷

কলি হাসল, ফুল ফুটল রঙেরই সুষমায়৷৷’’

(প্রভাত সঙ্গীত ৪৮৪৬)

অমারাত্রির অবসান ঘটিয়ে প্রভাতের বার্তা নিয়ে এসেছে ‘প্রভাত সঙ্গীত’৷ মানবসমাজে আজ যে পুঞ্জীভূত অন্ধকার জমে আছে এই অন্ধকারের জগদ্দল পাথরকে সরিয়ে আলোকের পথ ধরে যারা চলতে চায় যুগপুরুষ শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী, যাঁর লৌকিক নাম শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার–‘প্রভাত সঙ্গীতে’র মধ্যে তাঁদের ডাক দিয়েছেন–

ডাক দিয়ে যাই যাই যাই,

                                আমি ডাক দিয়ে যাই যাই যাই৷

আলোকের পথ ধরে যারা যেতে চায়

সর্বস্তরে শিক্ষার আলো--- এই হোক সাক্ষরতা দিবসের তাৎপর্য

স্নেহময় দত্ত

আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এমন কিছু  কিছু দিন রয়েছে যে দিনগুলিকে বিশেষ কিছু বিষয়কে কেন্দ্র করে উৎসর্গ করা হয়েছে৷ যেমন আন্তর্জাতিক নারী দিবস, শ্রমিক দিবস, বিশ্ব আবহাওয়া দিবস, বিশ্বস্বাস্থ্য দিবস, বিশ্ব পরিবেশ দিবস, রয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, বিশ্ব পুস্তক শান্তি দিবস, কবিতা, নাট্য, সঙ্গীত, নৃত্য দিবস, বিশ্ব মানবতা দিবস, বিশ্ব শান্তি ইত্যাদি নানা দিবস৷ তেমনই একটি দিন ৮ই সেপ্ঢেম্বর দিনটি ---আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস৷

স্বাধীনতার সত্তর বর্ষপূর্তি প্রসঙ্গে কিছু কথা

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

১৯৪৭ সালের ১৫ই আগষ্ট থেকে শুরু করে ২০১৭ সালের ১৫ই আগষ্ট--- ভারতবর্ষের স্বাধীনতা লাভের সত্তরটি বছর পূর্ণ হল৷  প্রথম স্বাধীনতা প্রাপ্তির   দিনটিতে আমরা অনেকেই জন্ম গ্রহণ করিনি বা শৈশব-কৈশোর অবস্থায় থাকার কারণে স্বাধীনতা সংগ্রামের সেই রক্তঝরা দিনগুলোর কথা লোক মুখে বা ইতিহাস পুস্তক পাঠের মাধ্যমে বিশদে জানতে পেরেছি৷ কিন্তু অনুভূতি ও মননের ব্যঞ্জনায়  যখন সেই দিনগুলির ছবি মানসপটে ভেসে ওঠে, মহান বিপ্লবী  দেশপ্রেমিকদের আত্মত্যাগ ও দেশ মাতৃকার  শৃঙ্খল মোচনের সংগ্রামে জীবন বিসর্জন দেওয়ার উন্মাদনা তখন আমাদের শিহরিত, রোমাঞ্চিত করে৷ সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশের অত্যাচার ও নিপীড়নের হাত থেকে দেশবাসীকে রক্ষা করা

ভারতের স্বাধীনতা ও আজকের দেশের দুর্দশা

প্রভাত খাঁ

পা পা করে কালধর্মে দেশ এগিয়ে চলেছে কারণ কিছুই থেমে থাকে না৷ আজ অনেকেই আছেন যাঁরা সেই ১৫ই আগষ্ট ১৯৪৭ সালের কথা স্মরণ করতে পারেন৷ আজকের মত সেদিন টি.ভি.র মতো ব্যাপকভাবে প্রচার মাধ্যম ছিল না৷ সংবাদপত্রের সংখ্যাও ছিল গুটি কয়েক৷ তবে  সেদিন  সরকারী বেতারযন্ত্র ছিল৷ বেতারে যেভাবে সংবাদ পরিবেশিত হতো, আজ কিন্তু তেমনভাবে কলকাতা বেতার কেন্দ্র ও দিল্লির বাংলা প্রচারকেন্দ্র থেকে  তেমন গুরুগম্ভীর ভাষায় সংবাদ প্রচারিত হয় না৷ অনেক টিভিতে সংবাদ প্রচারিত হয় ঠিক কিন্তু সংবাদের বিষয়বস্তুও সংবাদ প্রচারের ধরণটি মনকে আকৃষ্ট করে না৷ সেদিনের সংবাদ প্রচারে যে দৃঢ় গুরুগম্ভীর  কন্ঠশ্বর শোনা যেত তেমনটি আজ আর নেই৷ নানাধর

দার্জিলিংয়ে অবৈধ আন্দোলন বন্ধ করতে সরকার কি সত্যিই আগ্রহী?

অাচার্য সর্বাত্মানন্দ অবধূত

দার্জিলিংয়ে গোর্র্খ জনমুক্তি মোর্র্চর অবৈধ আন্দোলন বন্ধ করতে সরকার কি সত্যিই আগ্রহী? প্রশ্ণটা বেশ কয়েকদিন ধরেই ঘুরপাক খাচ্ছে নানা মহলে৷ গত ১৬ আগষ্ট মদন তামাং হত্যা মামলায় বিমল গুরুং অব্যাহতি পাওয়ায় এই প্রশ্ণটা আবার চাগিয়ে উঠেছে৷ এটা জেলা দায়রা আদালতের রায়৷ তাই সিবিআই যদি সত্যিই আন্তরিক হয় তাহলে তারা উচ্চ আদালতগুলিতে (হাইকোর্ট-সুপ্রীমকোর্ট) মামলা লড়তে পারে ও নিম্নকোর্টের রায় বাতিল করাতে পারে৷ কিন্তু সেটা তারা সেভাবে করলে তো?

বিজেপির শাসনে জনগণের নাভিশ্বাস উঠছে

মুসাফির

বিজেপি বিপুল সংখ্যায়  এমপি নিয়ে  দিল্লির  শাসন ক্ষমতা লাভ করে৷ কিন্তু নরেন্দ্রমোদী সরকার  জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষাকে নির্মমভাবে পদদলিত করে ধনীদেরই স্বার্থ সিদ্ধি করে  চলেছেন৷  ব্যাঙ্কের সুদের হার একেবারে কমিয়ে দিয়ে কোটি কোটি নিম্নমধ্যবিত্তশ্রেণী  নাগরিকদের আর্থিক দিক থেকে শোষণ  করে  চলেছেন৷ টাকার মূল্য যখন দ্রুত কমে যাচ্ছে তখন গরিবদের কথা চিন্তা না করে ধনীদের  কথা ভাবছেন ৷ কোটি কোটি টাকায় আমানত যাঁদের ব্যাঙ্কে জমা তাঁরা শতকরা ৪ শতাংশ সুদ পাবেন আর সাধারণ আমানতকারীরা সু

চীনের আগ্রাসী মনোভাব

প্রভাত খাঁ

ভারতের উত্তরে হিমালয় পর্বতে অবস্থিত ভারতের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সীমান্ত  অঞ্চলে এক নাগাড়ে চীন, পাকিস্তান ও নেপালের কিছু উগ্রপন্থী জঙ্গী গোষ্ঠী দীর্ঘ বছর ধরে ভারতে অনুপ্রবেশ করে ভারতের সার্বভৌম অধিকারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আসছে৷  এটি প্রায় স্বাধীনতার  কিছু বছর পর থেকেই চলে আসছে৷ অবশ্য ভারতের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের রাষ্ট্রনেতা ও নেত্রীগণ প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন প্রতিরোধ করতে৷ মনে পড়ে চীন ভারতের পঞ্চশীল নীতিকে  পরিহাস করতেই গত ১৯৬২ তে ভারত আক্রমণ করে তেজপুর পর্যন্ত নেমে আসে৷ হিমালয়ের ম্যাকমোহন লাইনের সীমানার দক্ষিণ দিকে যেটি  ভারতের অংশ হিসাবে চিহ্ণিত তার প্রায় ৪৫ হাজার বর্গ মাইল জোর পূর্বক চীন আট

পুঁজিবাদের আগ্রাসন থেকে মুক্তি পেতে হবে

সত্যাসন্ধ দেব

আজ থেকে দশ লক্ষ বছর পূর্বে মানুষের আবির্ভাব৷ মানুষ যখন আসে অন্যান্য প্রাণীদের মত মানুষেরও প্রধান কাজ ছিল আহারান্বেষণে ঘুরে বেড়ানো৷ আর সেদিন অন্যান্য প্রাণীদের তুলনায় সে ছিল অসহায়৷ তার চারদিকে ঘুরে বেড়াতো নানান হিংস্র ও ভয়ঙ্কর পশুর দল৷ তাদের কাছ থেকে আত্মরক্ষা করাটাই তখন তাদের কাছে প্রধান সমস্যা ছিল৷ আর সেই আদিম মানুষ তখন ভয় করত অন্যান্য মানুষদেরও৷ কখন তার আহূত খাদ্য অন্যেরা ছিনিয়ে নেয়৷ সব নিয়ে লড়াইটাই ছিল তার কাছে একমাত্র বাঁচার উপায়৷ আর তার জন্যে দরকার ছিল দৈহিক শক্তি৷ এইভাবে লড়াই করতে করতে যাদের দৈহিক শক্তি ছিল বেশী, সাহসী, লড়াইয়ে পটু মানুষের মধ্যে প্রাধান্য বাড়াল তাদের৷ আর তার ওপর মানুষ