প্রবন্ধ

আমরা কোথায় চলেছি?

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

আমরা, আজকের অধিকাংশ মানুষ, ছাত্র-ছাত্রা, যুবক-যুবতী --- আমরা কোথায় চলেছি? আমরা তো প্রতিদিন প্রচন্ড ব্যস্ততার  মধ্য দিয়ে ছুটে চলেছি  অর্থ, পদ, যশ এগুলির পেছনে বা এগুলির কোনো একটির  পেছনে৷ এর বেশি আমরা খুব একটা চিন্তা করছি না৷ তাই নয় কি?  হয়তো আজকের সমাজব্যবস্থায় এ ছাড়া উপায় নেই, বাঁচাবার পথ অবরুদ্ধ৷ বিশেষ করে অর্থ না হ’লে তো কিছুই হবে না৷ সব অন্ধকার দেখতে হবে৷ কথাটা মিথ্যে নয়৷   হয়তো ব্যষ্টিগতভাবে আজকের যা পরিস্থিতি তাতে কথাটা  অস্বীকার করার উপায় নেই৷ কিন্তু সমষ্টিগতভাবে অর্র্থৎ সমাজের দিক থেকে তো আমরা অন্যভাবে চিন্তা করতে পারি৷ 

কেন একথা বলছি?

বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক সংস্কার জনগণকে নিরাশ করেছে

প্রভাত খাঁ

আর বি আই-এর  ‘কাস্টোমার কনফিডেন্স সার্ভের  রিপোর্ট  মূলত চারটে বিষয়কে তুলে আনে, যেমন  আর্থিক স্থিতি, আয়, মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারত্ব৷  এই ব্যাপারে ৬টি মহানগরীর সমীক্ষা দেশের মানুষকে আশাহত করেছে৷

সাধারণ মানুষের মনে মোদি সরকারের প্রতি অসন্তোষ বেড়েছে৷  এটা সমীক্ষায় স্পষ্ট৷ সরকারের অর্থনৈতিক সংস্কারকে জনসাধারণ মেনে নিতে তো পারেই নি বরং ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে তাদের ভয় ও দুশ্চিন্তা অনেকাংশে বেড়ে গেছে৷ 

বর্তমান পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর উচিত জিটিএ চুক্তি সম্পূর্ণ বাতিল করা

নিজস্ব প্রতিনিধি

গত ১২ই সেপ্ঢেম্বর শিলিগুড়ির উত্তরকন্যায় সর্বদলীয় বৈঠকে বিমল গুরুং বেশ বড় ধাক্কা খেলেন৷ গুরুং-কে বাদ দিয়েই মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের  জন্যে মিটিং করলেন৷

বিশ্বে প্রতি বছর ৮ লক্ষ আত্মহত্যা

পি.এন.এ :

  ১০ই সেপ্ঢেম্বর ‘বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস’৷  বিশ্বের ক্রমবর্ধমান আত্মহত্যার প্রবণতা রোধ করার জন্যে  বিশ্বের কয়েকটি দেশ ২০০৩ সাল থেকে চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছিল এর বিরুদ্ধে জনমত তৈরীর জন্যে বিশেষ করে একটা দিন নির্দিষ্ট করতে, যেমন করে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন দিবস পালিত হয়৷ ২০১১ সালে ৪০ টি দেশ একমত  হয়ে প্রতিবছর  ১০ই সেপ্ঢেম্বর তারিখটিকে ‘বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে পালন  করে আসছে৷

প্রভাত সঙ্গীত দিবস উপলক্ষ্যে আমাদের এই ‘প্রভাতী’তে প্রভাত সঙ্গীতের বিপুল ভাণ্ডারের মধ্য থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের কয়েকটি গান তুলে ধরা হ’ল–

সম্পাদক

শিশুদের জন্যে গান

রাতের বেলায় সবাই ঘুমায় শিউলি কেন জাগে৷

বলতে হবে মা গো আমায় বলতে হবে আগে৷৷

আর ফুলেরা দিনে জাগে রাত্তিরে ঘুমায়৷

দিনের বেলায় সুবাস ঢালে মধুতে গান গায়৷৷

তাদের সাথে মোর পরিচয় আলোর অনুরাগে৷৷

ঘুমায় ময়না কুকুরছানা, ঘুমায় যে মৌমাছি৷

শিউলি তরু হেসে’ বলে আমি জেগে’ আছি৷

বলো না মা শিউলি জাগে কাহার অনুরাগে৷

শিশুর মনের মতো করেই মা একটা উত্তর দিলেন–

শোণরে খোকন, শিউলি জাগে রাতের অন্ধকারে৷

দিনের আলোয় লজ্জা পেয়ে’ মাটিতে যায় পড়ে’৷

রাতের শেষে শিউলি ঝরে হলে পড়েই ভোর৷

প্রভাতসঙ্গীত ঃ আঁধার থেকে আলোয় উত্তরণের সঙ্গীত

আচার্য মন্ত্রেশ্বরানন্দ অবধূত

অনেকে মনে করেন যে প্রভাতসঙ্গীত বুঝি প্রভাতকালীন সঙ্গীত অর্থাৎ এই সঙ্গীত বুঝি শুধু প্রভাতে গাওয়ার জন্যেই৷ আবার অনেকে মনে করেন, শ্রী প্রভাত রঞ্জন সরকার এই সঙ্গীত দিয়েছেন বলে এর নাম প্রভাতসঙ্গীত৷ এ সবই আংশিক সত্য৷ প্রভাতসঙ্গীত এই জন্যেই প্রভাতসঙ্গীত যেহেতু গানগুলি আমাদের অসৎ থেকে সৎ–এর দিকে, তমসা থেকে জ্যোতির দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্যে চিত্তকে উদ্বোধিত করে৷

দার্জিলিং সমস্যার সত্যিকারের সমাধান

আচার্য সর্বাত্মানন্দ অবধূত

গত ১৯-২০ আগস্ট দার্জিলিং-এ নানাস্থানে  ভয়াবহ ধারাবাহিক বিস্ফোরণের পরে পরেই রাজ্য সরকার বিমল গুরুং ও  তার তিন সহযোগীর বিরুদ্ধে ইউ-এ-পি-এ এ্যাক্টের  ধারা  (রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ইত্যাদি ) রুজু করতে বাধ্য হয়৷ এতে নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে,বিমলগুরুং নিজে ও তার আন্দোলন শুধু অবৈধ নয়, তা সন্ত্রাসবাদী বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন৷ সম্প্রতি সঞ্জয় থুলুং নামে মোর্চার একজন বিশেষজ্ঞ উগ্রপন্থীর কথা জানা গেছে যে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ সহ আগেকার সব সন্ত্রাসবাদী ঘটনার হোতা ও বিমল গুরুং-এর আজ্ঞাবহ৷ এরকম অনেক সঞ্জয় থুলুং দার্জিলিং বা তার আশেপাশে ছড়িয়ে  ছিটিয়ে আত্মগোপন করে আছে৷ সরকার যথারীতি থুলুং বা অন্যান্য

ভারত মানবিক মূল্যবোধ ও বিশ্বৈকতাবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে ভোগবাদ ও জড়বাদ ক্লিষ্ট বিশ্বকে এগিয়ে চলার পথ দেখাক

প্রভাত খাঁ

বর্তমান সারা বিশ্বে এক জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে৷ সেটি হ’ল ব্যষ্টিকেন্দ্রীয় ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ও রাষ্ট্রকেন্দ্রীক জড়বাদী সাম্যবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে চুলোচুলি আর লাঠালাঠিতে বিশ্ব দিশেহারা৷ কিন্তু দেখা যায় এই দুটোর মধ্যে একটা সাদৃশ্য আছে৷ সেটি হ’ল অর্থনৈতিক ও সামাজিক শোষণের দুই ব্যবস্থার জনগণ একই নৌকার যাত্রী ব্যষ্টিকেন্দ্রীক সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ধীরে ধীরে রাষ্ট্রকেন্দ্রীক সাম্রাজ্যবাদী শক্তিতে যেমন রূপান্তরিত হয়ে পড়ে ঠিক তেমনই রাষ্ট্রকেন্দ্রীক জড়বাদী একদলীয় শাসকগণ সমাজতন্ত্রের কথা মুখে আউড়ে ভয়ঙ্কর দলীয় রাষ্ট্রক্ষমতার দিকে এগিয়ে চলে৷

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের  সাম্প্রতিক   রিপোর্ট বনাম মোদিজীর চমক

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

২০১৬ সনের ৮ই নভেম্বর সন্ধ্যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী মাননীয় শ্রী নরেন্দ্রমোদী ঘোষণা করেন, ৮ই নভেম্বর ২০১৬ তারিখ রাত্রি ১২ টার পর  ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল অর্র্থৎ বাজার-দোকানে অচল হয়ে যাবে৷  দেশের নাগরিকগণ  ব্যাঙ্কে গিয়ে নিজ নিজ এ্যাকাউন্টে বাতিল নোট জমা দিতে পারবেন৷  এই নোট বাতিলের উদ্দেশ্য হিসাবে   ঘোষিত হলো-- ১) কালো টাকা উদ্ধার ২) জাল টাকা ধবংস ৩) সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণ৷ পরবর্তীকালে  আরো  জানানো হল, যে এই নোট বাতিলের অন্যান্য উদ্দেশ্যগুলি হচ্ছে---দুর্নীতিরোধ,ক্যাশলেস ইকোনমি বা নগদহীন অর্থব্যবস্থা ও ডিজিটাইজেশন বা চেক,ডেভিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড মোবাইলের মাধ্যমে লেন দেন বৃদ্ধি অর্র্থৎ  নগদ

ফিট বা তড়কা

 ছন্দা বসু 

আজকাল বেশীর ভাগ বাচ্চাদের জ্বর হলেই তড়কা বা কনভাল্শন হচ্ছে৷ এতে স্বাভাবিকভাবেই বাবা–মায়েরা ভয় পান, নার্ভাস হয়ে পড়েন৷ বেশ কিছুদিন আগেও এ বিষয়ে মানুষের ধ্যান ধারণা ছিল অন্ধকারাচ্ছন্ন৷ তখন তড়কা বা ফিট হলেই লোকে ভাবত ভূতে পেয়েছে৷ মানুষ ছুটত ওঝার কাছে৷ তখন ওঝাই ছিল এই রোগের নির্ভরযোগ্য চিকিৎসক৷ যে পদ্ধতিতে এর চিকিৎসা করা হত সেটাও ছিল বীভৎস, কষ্টদায়ক ও অমানুষিক৷ ক্রমশঃ মানুষ সভ্যতার দিকে এগিয়ে যেতে শুরু করল৷ চিকিৎসা পদ্ধতিতেও এল পরিবর্তন৷ চিকিৎসা পদ্ধতিও হ’ল আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত৷ সাধারণতঃ বেশী জ্বর, শরীরে জল কমে যাওয়া, মৃগী আর মেনিনজাইটিস থেকে এই তড়কা বা ফিট হয়৷ ধনুষ্টঙ্কার বা টিটেনাস থেকেও ফিট